Saturday 7 April 2018

কাঁচা বৌ

এক ভদ্রলোক সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। যাকে
বিয়ে করেছেন তার বয়স নিতান্তই কাঁচা
বিবাহ পরবর্তি বিষয়গুলোর ব্যপারে স্পষ্ট
ধারনা নেই সেই মেয়ের। যাইহোক, ভদ্রলোক
প্রথম কিছুদিন অনেক ভাবে চেষ্টা করেও
ব্যর্থ হলেন তার নতুন বৌ এর লজ্জা ভাঙ্গাতে।
অতঃপর শেষ চেষ্টা হিসেবে একটা খেলার
আশ্রয় নিলেন।
তিনি তার নবপরিনীতাকে বললেন, এসো
আমার চোর-পুলিশ খেলি। স্ত্রী খেলার নাম
শুনে বেশ উৎসাহি হয়ে উঠলো। নিয়ম জানতে
চাইলো। ভদ্রলোক তখন জানালেন এই খেলায়
আমার একটা চোর আছে যাকে তোমার জেলে
নিয়ে বন্দি করতে হবে।বিষয়টা ভদ্রলোকের
স্ত্রীর কাছে খুব মজার মনে হলো। তারা
পরবর্তি বেশ কিছু সময় চোর-পুলিশ খেলার
মধ্যদিয়ে চোরটাকে জেলে নিয়ে বন্দি করতে
সক্ষম হলো। ভদ্রলোক খুশি হলেন। ভদ্রলোক
পাশ ফিরে শুয়ে আছেন। পাঁচ মিনিটও যায় নি,
তার স্ত্রী চিৎকার করে উঠলো, “এই দেখো
দেখো চোরটা জেল থেকে বের হয়ে
গিয়েছে!”
কি আর করা! অতঃপর আবার তারা চোর ধরতে
ব্যস্ত হয়ে পড়লো এবং কিছুক্ষনের মধ্যে চোর
ধরাও পড়লো। ভদ্রলোক স্ত্রীকে বললেন,
“এবার খুশি?” স্ত্রী লাজুক হেসে জবাব দিলো,
“হ্যা”। ভদ্রলোক ক্লান্তিতে দুচোখ বন্ধ করে
শুয়ে আছেন। এমন সময় শুনতে পেলেন স্ত্রী
বলছে, “এই, দেখো না! চোরটা আবার জেল
থেকে বের হয়ে গিয়েছে!”
ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে আবারও চোর-পুলিশ
খেলায় অংশ নিলেন এবং খেলা শেষে
যথারীতি স্ত্রীকে বললেন, “খুশি?” স্ত্রী
এবারও লাজুক হেসে জবাব দিলো, “হ্যা”।
ক্লান্ত-অবসন্ন ভদ্রলোক দ্রুত তন্দ্রায় চলে
গেলেন। সেখান থেকে তিনি শুনতে পেলেন
স্ত্রীর গলা, “এই, দেখো না! চোরটা আবারও
জেল থেকে বের হয়ে গিয়েছে!”
এবার রাগে চিৎকার করতে করতে ভদ্রলোক
বললেন, “তুমি এটা কেন বুঝতে পারছো না যে
চুরির অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়
না ?”

No comments:

Post a Comment

Popular Posts