Monday, 15 November 2021

রবীন্দ্র-জয়ন্তী

"জুতিয়ে চামড়া গুটিয়ে দেব শয়তান ছেলে” ...

শুনে প্রায় লাফিয়ে উঠলেন রবিনবাবু। রবীন্দ্রনাথ বাগুই... সংস্কৃতের মাস্টারমশাই। আর দেড়বছর আছে চাকরি শেষ হতে। অষ্টম শ্রেণীতে যৎপরোনাস্তি জ্ঞান ও অম্ল-মধুর বাক্য বিতরণের পর ফিরছিলেন স্টাফরুমে।
 
প্রধানশিক্ষকমশাই-এর ঘরের সামনে দিয়ে যেতে যেতেই এই তীব্র বাক্যবাণ তাঁর 'কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল'। 
এ কি ভাষা ! বিদ্যালয়ের চৌহদ্দিতে এ ভাষা ঢোকার অধিকার পায় কি করে !? চটি সংস্কৃত পাঠ্য বইটি বগলদাবা করে একটুক্ষণ চুপ করে দাঁড়ালেন তিনি। 

"পায়ে দড়ি বেঁধে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেবো!!!".... 

আবার ! প্রায় ভিরমি খেলেন রবিনবাবু!!!

একটু এগিয়ে মাথাটা গলিয়ে দিলেন হেডমাস্টারমশায়ের ঘরের দরজা দিয়ে। দরজা থেকে ঘরের পুরোটা দেখা না গেলেও দেখলেন একটি মুস‌্‌কো লুঙ্গিপরা লোক দাঁড়িয়ে আছে হেডমাস্টারমশায়ের টেবিলের সামনে।

হেডস্যার গৌরবাবু অবশ্য বসেই আছেন।

'সর্বনাশ... কোনো গুন্ডা নাকি ! তাহলে কি অন্য স্টাফদের ডাকতে হবে এবার' ?

'আর করবি এরকম?', হুঙ্কার দিয়ে উঠলো লুঙ্গিধারী। 

জিভ কাটলেন রবিনবাবু। এইভাবে তুই-তোকারি করে কে গালিগালাজ করছে হেডমাস্টারমশায়কে !!!

সঙ্গে সঙ্গে একটা মিনমিনে গলা কানে এলো : 'আর হবে না।' 

'ওঃ হো, তাহলে কোনো ছাত্র আছে ভেতরে ! সে-ই তাহলে এমন সুমধুর বাক্যবিন্যাসের লক্ষ্যকেন্দ্র !', মনে মনে একথা ভাবতে ভাবতে ঘরের মধ্যে আরেকটু এগিয়ে গেলেন রবিনবাবু। এবার তাঁর দৃষ্টির গোচরে এলো একাদশ শ্রেণীর ছাত্রটি। 

একইসঙ্গে তিনিও চলে এলেন হেডস্যারের দৃষ্টির গোচরে। হেডস্যার গোঁফ নাচিয়ে মুচকি হেসে কাছে ডাকলেন রবিনবাবুকে।

'মেরে তক্তা বানিয়ে দেবো, শয়তান।' রবিনবাবুর কানের কাছে হাঁক পাড়লো মিস্টার লুঙ্গি ! 

এবার মুখ খুললেন আদ্যন্ত বাঙাল হেডমাস্টারমশায়, 'এই ছোকরা কি লিখসে জানেন ?' 

রবিনবাবু ভেটকি মাছের মতো মুখভঙ্গি করে মাথা নাড়েন।

'আমি তো ওদের বাংলা পড়াই', চেয়ারে ভালো করে হেলান দিয়ে বসে শুরু করেন হেডমাস্টারমশায় - 'তা ক্লাসে লিখতে দিসিলাম আমাগো বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী সম্পর্কে। এই
ছোকরা যা লিখসে তা দেইখ্যা আমার মনে হইল লিখাডা তার বাপকে দেখানো উচিত হইব। 

রবিনবাবু ঘাড় ঘুরিয়ে চশমার উপর দিয়ে তাকালেন সেই লুঙ্গিধারীর দিকে। তখন লোকটি লুঙ্গির ঢিলে হয়ে যাওয়া গিঁট খুলে আবার বাঁধছে। তাঁর সামনেই!

হেডমাস্টার বললেন,"ইনি লিখাটা পড়সেন। পইড়া যা বলার নিজের পোলাকে বলসেন। ইতে আমাগো কুনো হাত নাই। উনি নিজের পোলাকে পুরস্কার দিবেন কি তিরস্কার করবেন সিডা উনার ব্যাপার।"

রবিনবাবু অসহায়ের মতো উপর-নিচে মাথা নেড়ে বলেন,
"কি লিখেছে?"

"আপনি সজ্জন মানুষ", বললেন হেডস্যার, "বিদ্বানও বটে। নিজেই পড়েন লিখাডা...।" বলে একটি খাতা খোলা অবস্থায় এগিয়ে দিলেন তাঁর দিকে। 

"অভিভাবকটিকে বললেন হেডমাস্টারমশাই, 
"সবসময় বাবা-বাছা কইরা যে সন্তানকে মানুষ করা উচিত নয়, তা আপনি জানেন দেখতাসি। না জাইনলে তার পরিণাম বালো হয় না, আশা করি মনে রাইখবেন।"

পিতা-পুত্র প্রস্থান করলে টেবিলে কনুইদুটো রেখে হেডমাস্টার বললেন, "পড়েন লিখাডা। তবে মনে মনে। পইড়া যদি আপনি মূর্চ্ছা যাইতে চান তাইলে তা অত্যন্ত সংগত বইলাই আমি বিবেচনা করুম।"

খোলা পাতায় ওপরের দিকে শিরোনাম - 
_'আমাদের বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-জয়ন্তী'_

তারপর লেখা, 
'আমাদের বিদ্যালয়টি অনেক বড়। এখানকার একজন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাগুই। তিনি খুব ভালো শিক্ষক। উনি যখন ছোটো ছিলেন, মানে যখন ইস্কুলে পড়তেন তখন একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। 
একদিন তিনি একটি চিঠি মেয়েটিকে দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল - 
_'আমি যাই সাইকেলে, তুমি যাও হেঁটে,_ 
_তোমার-আমার দেখা হবে ইস্কুলের গেটে।'_

মেয়েটিও একটি চিঠি দিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল,
_'রাস্তায় কুকুর আর আকাশে বাদুড়,_ 
_তোমার হাতেই পরবো আমি মাথায় সিঁদুর'।_
 
কিন্তু ওনাদের আর বিয়ে হয়নি।
সেই মেয়েটি বড় হয়ে আমাদের ম্যাডাম হয়েছেন। তাঁর নাম জয়ন্তী সেন। এই রবীন-স্যার আর জয়ন্তী-ম্যাম খুব ভালো মানুষ।
এই হলো আমাদের বিদ্যালয়ের *রবীন্দ্র-জয়ন্তী।"*

অনেক দূর থেকে যেন হেডমাস্টারের গলা ভেসে এল-
"আমি কিন্তু কইসিলাম, এমনটা অইতেই পারে। 
হেই রামধন, রবিনবাবুর মুখেসোখে এট্টু জল ছিটাইয়া দে বাবা।"

😂😂😂😂😂

বরফ

দূরপাল্লার এ সি টু টায়ারের প্যাসেঞ্জার, ট্রেন এটেনডেন্টের হাতে 100/- টাকার নোট ধরিয়ে ফিসফিস করে বলল " আরো একটু বরফ এনে দাওতো ,শেষ পেগটা মারি ।" এটেনডেন্ট ততোধিক ফিসফিসিয়ে বলল" আর তো দেওয়া যাবে না, ডেডবডি টা তো আগের স্টেশনেই নামিয়ে নিল।

শোকসভা

এককালে শোকসভা হতো , এখন শোক কে শক দিয়ে শোকসার্কাস হয় ফেসবুকে । এই তো সেদিন বাজারে ঝরুর সঙ্গে ছগুর দেখা । 

ছগু বলল - - 'কাকা মারা গেলো , অর্শ অপারেশন করাতে গিয়ে ...’

- 'রিপ রিপ' । ফেসবুকে দিয়েছিলে ? 

-  হ্যাঁ ।

- কটা লাইক আর কমেন্ট পেলে ?

- ৬৭ টা লাইক আর ১০৮ টা কমেন্ট । তুমি তো কবিতাও দিয়েছিলে একটা ।

‘আজ তোমায় নিয়েছে কেড়ে প্রাণঘাতী এক পাইলস, চার কাঁধে তোমাকে যেতে হবে ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস'। 

এককালে লোকজন শোকে পাথর হতেন, এখন শোকে আগে অনলাইন হন তারপর পাথর হন । এই তো সেদিন কমলদার দাদু মারা গেলেন । কমলদা লিখলেন - 'আজ একটু আগেই দাদু দেহ রাখলেন' । এবার চারিদিক থেকে লাল পিঁপড়ের মতন কাতারে কাতারে মানুষ সেই দুঃখের মিছিলে যোগ দিতে চলে এলেন । বেশীরভাগ লোক লিখলেন -  রিপ ! যাদের আর একটু বেশী কষ্ট হয়েছে বা হাতে বেশী সময় তারা লিখলেন , রেস্ট ইন পিস । যাদের আরও বেশী কষ্ট বা আরও বেশী টাইম আছে হাতে তারা লিখলেন , ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি । যাদের বড় বেশী কষ্ট তারা বললেন , বিশ্বাস করতে পারছি না । অথবা , আমি দাদুকে চিনতাম না কিন্তু কেন জানি না বড্ড কষ্ট হচ্ছে । সকালে ঠাণ্ডা লুচি আর বাসি ঘুগনি খেয়ে গৌতমদার বুকের কাছে এসে একটা সিরিয়াস ঊর্ধ্ববায়ু আটকে ছিল । সেটাকেই কষ্ট বলে চালিয়ে দিয়ে গৌতমদা লিখলেন - 'বুকের কাছে একটা কষ্ট এসে আটকে আছে' । সেই কমেন্টে আবার ১০ টা লাইক । যদিও এখানেই শেষ নয় । কমলদার পরিচিত ভজা ভট্ট পাড়ার নাটকে রাবণ , রাক্ষস , যম এসবের পার্ট করে বেশ আঁতেল হয়েছেন। তিনি বেশ সিরিয়াস পোস্ট লিখবেন , এটাই স্বাভাবিক !  উনি লিখলেন - 'গলার কাছে একটা দলা পাকানো কষ্ট আর কান্না' । কেউ কেউ সেই পোস্টে লিখলেন - 'আমার কষ্টটাও ওইরকম' । কেউ জাস্ট লিখেছেন , সেম । মানে , উনিও একইরকম , অর্থাৎ সেম ফিল করছেন । কেউ এটাও ভাবছেন - 'আরে আমারও তো গলার কাছটায় দলা পাকানো কষ্ট আর কান্না ছিল , কিন্তু ভজাদা আগে পোস্ট করে দিলো' । ভজাদা আগে পোস্ট করে দেওয়ায় অনেকেরই গলার কাছের কষ্ট ঢেঁকুর হয়ে উঠে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে আর কান্না শুকিয়ে গেছে । কেউ কেউ আবার চোখ বুজে টাইপ করেন আর অদ্ভুত বানান লেখেন 😩। শ্যামদা লিখলেন - 'আমার হুকটা কষ্টে ডেটে যাচ্ছে' । বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে , এটাই লিখতে চেয়েছিলেন । ওদিকে আবার বিমলের পোস্টে শ্যামদা লিখলো - 'যন্ত্রণার ফল গু ধারা' । ওই ফল্গু ধারা লিখতে গিয়ে বিপত্তি ! তবে দুঃখ তাঁদের সবচেয়ে বেশী হয় যারা বারবার পিতৃহীন , দাদুহীন , ঠাকুমাহীন ইত্যাদি হন। কেলাবের নদুদা মরলেও 'আবার পিতৃহীন হলাম' ,  ওদিকে মাদাগাস্কারের কেত্তনশিল্পী মরলেও 'আবার পিতৃহীন হলাম'  ! 

তবে কমলদা পুনুদার উপর বেজায় চটেছেন। দাদু টেঁসে যাবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই কমলদা আপডেট দিচ্ছিলো ... 'দাদু আর খাচ্ছে না' , 'দাদু আর বেডপ্যান চাইছে না' । এদিকে পুনুদা আবার পাহাড়ে যাবেন , ওখানে টাওয়ার নেই । তাই এর মধ্যে কমলদার দাদু মরলে , রিপ লেখা হবে না । তাই , উনি কমলদার কোন এক পোস্টে লিখে দিলেন - 'আমি তো পাহাড়ে যাচ্ছি । আমি ফিরে আসার আগে যদি কিছু হয়ে যায় ! তাই 'আগাম রিপ' লিখে গেলাম ।' আগাম শুভেচ্ছা হলে , আগাম রিপ বা রেস্ট ইন পিস হতেই পারে !  পুনুদা আবার অবিচুয়ারি স্পেশালিষ্ট । তাই , কোন বুড়ো হসপিটালে যাচ্ছে খবর পেলেই পুনুদা অবিচুয়ারি রেডি করে রাখেন । আরে অবিচুয়ারির হ্যাজানি নামাতে ইনফো জোগাড় করতে টাইম লাগে ভাই ! যাইহোক , সেই বুড়ো বেঁচে বাড়ি ফিরলে অবিচুয়ারিটা এদিক ওদিক পালটে স্মৃতিকথা হিসেবে পোস্ট করে দেন , আর বুড়ো টেঁসে গেলে অবিচুয়ারি পোস্ট হয়ে যায় । মরুক বা বাঁচুক , দুটো কেসেই পুনুদা লাইক , মন ছুঁয়ে গেলো , কিকরে লেখেন এমন , এসব পেয়ে থাকেন ।

ফেসবুক অঞ্চলে অনেক প্রাণী ঘুরে বেড়ায় যারা না পড়ে লাইক , কমেন্ট করে । সময় কম , পোস্ট অনেক । এবার কেউ হয়তো তার দাদুর ছবি দিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন । এবার এতো বড় পোস্ট পড়ে দেখার সময় নেই যে ওটা দাদুর জন্মদিন উপলক্ষে লেখা নাকি দাদু পার্মানেন্ট শাট ডাউন হয়ে গেছেন বলে লেখা ! ফলে অনেক উজবুক জন্মদিনের পোষ্টে লিখে ফেলেন - ভাবতেই পারছি না । আবার কেউ মৃত্যুদিনের পোস্টে লেখেন - কি মিষ্টি লাগছে !

বাজারে এমনটাই এখন "ইন'--
😭😭😂😂

ওকালতি!!

ল-কলেজের একদল ছাত্র একজন দুঁদে উকিল সাহেবকে জিজ্ঞেস করল, " স্যার, ওকালতি শব্দের অর্থ কী?"

উকিল সাহেব বললেন," এজন্য একটা উদাহরণ দিই: ধর, দুজন লোক আমার কাছে এলো। একজন খুব সাফসুতরা অন্যজন বেজায় নোংরা। আমি ওদের দুজনকে পরামর্শ দিলাম চান করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে। এখন তোমরা বল, দুজনের মধ্যে কে চান করবে?"

এক ছাত্র বলল," যে নোংরা সেই চান করবে।"
উকিল: উঁহু, কেবল পরিষ্কার লোকটিই এমন করবে... কেননা তার চান করার অভ্যাস আছে। নোংরা লোকটা তো পরিস্কার থাকার গুরুত্বই বোঝে না! বল এবার, কে চান করবে? "

আরেকজন ছাত্র বলল, "পরিষ্কার লোকটি।"
উকিল: না, নোংরা লোকটা চান করবে। কেন না তার পরিস্কার হওয়াটা দরকার, সেটা তার প্রয়োজন, তাই গুরুত্ব বুঝুক বা না বুঝুক চান তাকে করতে হবে। এখন বল দেখি কে চান করবে?

দুজন ছাত্র একসাথে বলে উঠল," যে নোংরা সে!"
উকিল: না, না দু'জনেই চান করবে। সাফ লোকটার অভ্যাস চান করা আর নোংরা লোকটার প্রয়োজন চান করা। এখন বল কে চান করবে?"

তিন ছাত্র মিলে বলল, "হ্যাঁ, দুইজনেই করবে তাহলে।"
উকিল: আবার ভুল, চান কেউই করবে না। কেন না, নোংরা লোকটার তো চান করার অভ্যাস নেই, তাকে প্রয়োজনের কথা বলা হলেও সে অগ্রাহ্য করবে আর পরিষ্কার ব্যক্তির চান করার দরকার নেই তাই সেও চান করতে বলা হলে অগ্রাহ্য করবে। এখন বল, কে চান করবে?"

এক ছাত্র সবিনয়ে বলল, "স্যার, আপনি এক এক বার এক এক রকম জবাব দিচ্ছেন আর আমাদের কাছে সব জবাবই ঠিক মনে হচ্ছে। সঠিক উত্তর আমরা কি করে বুঝব?"
উকিল: বাস্ এটাই তো ওকালতি... বাস্তব কি এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ হল তুমি নিজের বক্তব্য সঠিক প্রমাণ করার জন্য কতগুলো সম্ভাব্য যুক্তি উপস্থাপন করতে পার সেটাই দরকারী।"  

কি বুঝলে?
বোঝ নি? 
এটাই ওকালতি!!
😝😂😂

দাম্পত্য কলহের উপকারিতা

১। এতে গলার রেওয়াজ হয় । কণ্ঠের range বৃদ্ধি পায় । 
উদাহরণ: এক ভদ্রমহিলার গানের গলাটি ভালো ছিল ; কিন্তু বেশী উঁচুতে উঠতো না। বিবাহের চতুর্থ বছরেই দাম্পত্য কলহ অনুশীলনের কারণে বর্তমানে তার গলা তার সপ্তকের ধৈবত নিষাদ অবধি পৌঁছে যায়।

২। নানারকম ভাষা শেখা যায়।বাক্যগঠন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং stock of word  বাড়ে।
মন্তব্য: একবার এক অ্যাংলোইন্ডিয়ান দম্পতিকে দাম্পত্য কলহ করতে দেখেছিলাম। তাঁরা ইংরাজিতে ঝগড়া করছিলেন, কিন্তু মধ্যে মধ্যে হিন্দি গালাগালি দিচ্ছিলেন। পরে প্রশ্ন করে জানতে পারি যে ইংরাজিতে তেমন জবরদস্ত গালাগালির অভাবই তাঁদের বাধ্য করেছিল হিন্দি গালাগালি ব্যবহার করতে। এই ভাবে তাঁরা হিন্দিও শিখে যান।

৩। উচ্চৈঃস্বরে দাম্পত্য কলহ হ’লে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, ফুসফুসের জোর বাড়ে, ফ্যারিংসের ওপর চাপ পড়ে বলে ফ্যারিংজাইটিস সেরে যায়। মস্তিস্কেও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ফলে অ্যালঝাইমার রোগের সম্ভাবনা কমে।
মন্তব্য: লো-প্রেসারের রুগী, হাঁপানি রুগী, টনসিলাইটিস, ফ্যারিংজাইটিসের রুগীদের নিয়মিত দাম্পত্য কলহ করা উচিত।

৪। দাম্পত্য কলহে কখনও কখনও চোখের জলও পড়ে। এতে চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ হয়। চোখের ভিতর ময়লা থাকলে automatically ধুয়ে সাফ হয়ে যায়।
 উদাহরণ: একবার এক ভদ্রমহিলার চোখে ছানি পড়েছিল। দাম্পত্য কলহ কালীন প্রবল অশ্রু ধারায় সেই ছানি টুপ করে খসে পড়ে – তাঁকে আর অপারেশন করাতে হয়নি।

৫। দাম্পত্য কলহের কোন কারন লাগে না ; অকারনে বা বিনাকারনে করা যায়।
মন্তব্য: দার্শনিকদের কর্ম-কারন সুত্রের সত্যতা ব্যর্থ প্রমানিত হয়।

৬। দাম্পত্য কলহ শেষ হওয়ার পর যখন ভাব হয়, তখন প্রেম আরও ঘনীভূত হয় এবং পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
মন্তব্য: এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করলে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারি, তাই বিরত থাকলাম।

দাম্পত্য কলহের উপকারিতা সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।

যারা ঝগড়ায় এঁটে উঠতে পারেন না  তাঁদের জন্যে “দাম্পত্য কলহ অনুশীলন কেন্দ্র” এখন আসে পাশে প্রায় সব জায়গায় পেয়ে যাবেন তবে সব চেয়ে ভালো ফ্রি অফ কস্ট নিয়মিত দৈনিক সিরিয়াল গুলো তে  মন দিন ...

😁😁😁

Monday, 4 October 2021

আপনি সিগারেট খান?

স্ত্রী - আপনি সিগারেট খান?

স্বামী – হুম খাই!

স্ত্রী - কয়টা খান?

স্বামী- দৈনিক ৫টা খাই!

স্ত্রী - কত টাকা করে.?

স্বামী - ১২ টাকা।

স্ত্রী - কয় বছর ধরে খান ? স্বামী - ০৭ বছর ধরে.!

স্ত্রী - আপনি প্রতিদিন ৫টা সিগারেট খান ১২ টাকা

দামের, তাহলে হয় (১২×৫) =৬০ টাকা, মাসে হয় (৬০×৩০)=১৮০০ টাকা,

বছরে হয় (১৮০০×১২)= ২১,৬০০ টাকা, আর ০৭ বছরে হয় (২১৬০০×৭) =১,৫১,২০০ টাকা

দেখছেন কত টাকা………....!!! এই টাকার সিগারেট না খেয়ে টাকা জমাইলে আজকে আপনার একটা হোন্ডা থাকতো বুঝছেন? স্বামী- তুমি সিগারেট খাও.....?

স্ত্রী - না খাই না.! স্বামী - তাহলে তোমার হোন্ডাটা একটু দাও,

আমি একটু ঘুরে আসি আর একটা সিগারেট খেয়ে আসি,

স্ত্রী - শুনে বেহুশ....
🤣🤣🤣

Sunday, 3 October 2021

ভারতের বিভিন্ন জায়গা চিনবেন কিভাবে??

Scenario 1 : 
দুজন লোক মারপিট করছে, ৩য় ব্যক্তি এলো দেখলো চলে গেলো।

-তাহলে এটা মহারাষ্ট্র।

Scenario 2 :
দুজন লোক মারপিট করছে, তৃতীয় ব্যক্তি এলো, মারপিট থামাতে গেল।প্রথম দুজনে এক হয়ে তৃতীয় লোককে ধরে পিটিয়ে দিল।

-বুঝবেন এটা দিল্লী।

Scenario 3 :
দুজন লোক মারপিট করছে, তৃতীয় ব্যক্তি এলো, বললো আমার বাড়ির সামনে মারপিট করো না অন্য কোথাও যাও।

-এটা কর্নাটক।

Scenario 4 : 
দুজনে মারপিট করছিল, তৃতীয় ব্যক্তি এক কার্টন বিয়ার নিয়ে এলো, তিনজনে একসাথে বসে পড়লো। খিস্তি খামারি করলো তিনজন মিলে। তারপর বন্ধুত্ব পাতিয়ে বাড়ি ফিরে গেল।

-তাহলে আপনি নিশ্চিত গোয়াতে পৌঁছে গেছেন।

Scenario 5: 
দুজন লোক মারপিট করছিল, কিছুক্ষন বাদে দুজনেই মোবাইলে কথা বলতে লাগলো আর তারপরেই পঞ্চাশ জন লোক এসে মারপিটে যোগ দিল।

-দাদা আপনি এখন পাঞ্জাবে আছেন।

Scenario 6 : 
দুজন লোক মারপিট করছিল। তৃতীয় ব্যক্তি এসে বন্দুক বের করে দুজনকে গুলি করে দিল।

-বিহার ছাড়া কোথাও হতেই পারেনা।

Scenario 7 : 
দুজন লোক মারপিট করছিল। তৃতীয় ব্যক্তি এসে কোনোকিছু না বুঝেই প্রথম লোকের সাথে মিলে দ্বিতীয় লোককে ধরে পেটাতে লাগলো।

-ঠিক ধরেছেন তামিলনাড়ু।

Last Scenario: 
দুজন লোক মারপিট করছে। আশেপাশে প্রচুর লোক দেখছে আর মোবাইলে ফটো তুলছে... একজন লোক এলো। চায়ের একটা স্টল খুলে বসে পড়লো। তার সাথে গরম চপ ভাজা!

-হেঃ হেঃ আপনি একদম নিঁখুত ধরেছেন। এটা পশ্চিমবঙ্গ।

Thursday, 30 September 2021

কাক মা - কোকিল মা

কাক-মা জানত তার বাসায় কোকিলের ডিম।

সে চুপিসারে কোকিল-মাকে তার বাসা থেকে বেরোতে দেখেছিল। বাসায় ফিরে সে গুণে দেখেছিল, তার বাসায় ডিমের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছে।

জানলেও সে কিচ্ছুটি বলল না কাউকে। ধৈর্য ধরে ডিমে তা দিল, বাচ্চা হলে তাকে পোকাটা-মাকড়টা খাইয়ে বড় করল। সে জানত, এই অবোধ শিশু একদিন ভিনস্বরে গেয়ে উঠবে গান, আলাদা করে নেবে নিজেকে।

সবই জানত কাক-মা, কিন্তু বুঝতে দিল না কাউকে।

সবাই ভাবল, তার মত বোকা আর কেউ হয় না, তাকে বারবার বোকা বানিয়ে যায় কোকিল-মা। দুনিয়ার কাছে বোকা হয়েও সে চুপ করেই থাকল, নইলে কি হত কোকিলের ছানাগুলোর? জন্মই যে হত না তাদের! জন্ম না হলে কেই বা গাইত বসন্তদিনের অমন বন-মাতানো মন-মাতানো গান ? মা যে তাদের উড়নচণ্ডী ! বাসা বানানোর ধৈর্য নেই, সারাক্ষণ শুধু উড়ে-উড়ে সুরে-সুরে ঘুরে-ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তাকে অবশ্য দোষ দেয় না কাক-মা। সবাই কি আর একরকম হয়? সে নিজে কি অমন গাইতে পারবে কোনদিন? যে পারে সে নাহয় একটু কম সংসারী হলই! তার ছানাদের বড় করে দিতে কোনও আপত্তি নেই কাক মায়ের। এক-একজন এক-এক ধারার বলেই না এত রঙ, এত রূপ, এত সুর এই জগতটায় !

কোনও এক বসন্তদিনে নিজের বাসায় বসে দূরে কোনও কোকিলের কুহুরব শুনে স্বরটা কেমন চেনা চেনা লাগে কাক-মায়ের। খুশিতে তৃপ্তিতে চোখ বুজে আসে। মনে মনে কত যে আশীর্বাদ সে করে তাদের! আহা, বাছারা! বেঁচে থাকো। কাক-মাকে নাই বা মনে করলে, মধুর গানে ভুবনখানি ভরে রাখো।

দুনিয়ার সবাই তাকে বোকা ভাবলেও একজন কিন্তু ঠিকই চিনেছে তাকে। নইলে কেনই বা সে ডিম পাড়বার সময় হলেই বারবার সেই কাক-মায়ের বাসাতেই ফিরে ফিরে আসে? কাক-মা আর কোকিল-মায়ের এ এক অদ্ভুত সম্পর্কের রসায়ন।

শুভচিন্তক

বউ মন্দিরের সামনে গাছে মনষ্কামনা পূরনের জন্য ঢিল বাঁধতে গিয়ে, খানিক কি ভেবে, ঢিল না বেঁধেই ফেরত এল। স্বামী জিজ্ঞেস করল, কি হল, ঢিল বেঁধে ভগবানকে ডাকলে মনষ্কামনা পূরণ হয়, বাঁধতে গিয়েও বাঁধলে না কেন? বউ বলল, ঠাকুরের কাছে বলব ভেবেছিলাম, আমার স্বামীকে ভালো রাখো, ওর সমস্ত কষ্টের কারন সরিয়ে নাও। তারপর, মনে হল, এসব শুনে ভগবান আমাকেই না তুলে নেয়, তাই ঢিল ফেলে চলে এলাম।
🤣🤣🤣

খেলা

স্বামী-স্ত্রী ঘরে বসে ছিল।
লকডাউন। 🙍🏻‍♀️🙍🏻

বউ বলল, চলো সময় কাটাতে দুজনে একটা খেলা খেলি। 🙋🏻
তুমি একটা কাগজে পাঁচজন নারীর নাম লেখো, যাদের তুমি পছন্দ করো। আর আমি পাঁচজন পুরুষের নাম লিখছি, যাদের আমি পছন্দ করি। 🤺

দুজনে কাগজ-কলম নিয়ে লেখা শুরু করে দিল।🧑🏻‍💻👩🏻‍💻

কিছুক্ষণ পরে কাগজ খোলা হলো।

বউ লিখেছে:-
■ ব্র্যাড পিট
■ সৌরভ গাঙ্গুলী
■ উত্তমকুমার
■ ওস্তাদ জাকির হোসেন
■ হৃতিক রোশন

স্বামী লিখেছে:-
◆ রিমা (ছেলের স্কুলের বন্ধুর মা)
◆ অঙ্কিতা (বউয়ের মামাতো বোন)
◆ সীমা (বউয়ের বান্ধবী)
◆ শবনম (সামনের ফ্ল্যাটের বৌদি)
◆ অপর্ণা (ছেলের গৃহশিক্ষিকা)
😵‍💫🤢🤢🤢🤢🤢😵‍💫

মরাল অব দ্য স্টোরি:-
পুরুষ বাস্তববাদী। নারী থাকে স্বপ্নের জগতে।👼👼

★এই খেলার পরিণতি:
● স্বামী দশ দিন ধরে হোটেলের খাবার খাচ্ছে 🙇🙇
● ড্রয়িংরুমের সোফায় ঘুমোচ্ছে 🤕
● অপর্নার চাকরি গেছে🥵
● অঙ্কিতার মোবাইল নাম্বার ও ফেসবুক ২টোই ব্লক🥴
● বউ সীমাকে বাড়িতে আসতে বারণ করেছে😔
● সামনের ফ্ল্যাটের দিকের জানালায় কাঠের ব্যাটাম দিয়ে পার্মানেন্ট বন্ধ😑
● অনলাইন ক্লাস শেষে স্কুল খুললে রিমার কি ব্যবস্থা হবে সেটা এখনও অজানা 🤔🤷

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:-
এই বিপজ্জনক খেলা নিজের ঘরে খেলবেন না।আমার মনে হয় একটা বয়েসের পরে খেলা ধুলা না করাই ভালো🙂🙂
প্রাণায়াম, যোগাসন, গীতা পাঠ করে সময় কাটানো নিরাপদ 😁🤗

মোবাইল

অফিস যাবার পথে এক ভদ্রলোকের মোবাইল হারিয়ে গেল। অফিস পৌঁছে কাজের চাপে তিনি মোবাইলের কথা ভুলেই গেলেন।

বিকেলে বাড়ি ফিরে এক ভয়ানক পরিস্হিতির সম্মুখীন হলেন তিনি।

বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ি সশরীরে উপস্হিত। শুধু তাই নয়...! কেঁদে কেঁদে স্ত্রীর চোখ রক্তবর্ণ....। আর দরজার পাশে ব্যাগ, স্যুটকেস গুছিয়ে রাখা..। তারমানে চলে যাবার প্রস্তুতি। 

আশ্চর্য্য হয়ে ভদ্রলোক জানতে চাইলেন, "কি হয়েছে!"

স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে নিজের মোবাইলে স্বামীর থেকে পাওয়া মেসেজ দেখালেন। লেখা রয়েছে....

‘আজ থেকে আমি তোমাকে ত্যাগ করলাম।’

অফিস যাবার পথে নিজের মোবাইল হারিয়ে যাবার বিষয়টি ভদ্রলোক বুঝিয়ে বললেন। অর্থাৎ তিনি কিছুতেই এই মেসেজটি পাঠাতে পারেন না। কিন্তু স্ত্রীর কান্না আর থামে না।

অতঃপর ভদ্রলোক স্ত্রীর মোবাইলের লাউড স্পিকার অন করে নিজের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করলেন।

বিপরীত দিক থেকে একজন লোক ফোনটি ধরল।
ভদ্রলোক বললেন, "আপনি কি আমার মোবাইলটি পেয়েছেন?"

উত্তর - হ্যাঁ।

 "আমার স্ত্রীর কাছে আপনি মেসেজ পাঠিয়েছন?"

হ্যাঁ।

 "কেন?"

মশাই, আপনার স্ত্রী মেসেজ করে করে আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছে!

মেসেজগুলি নিম্নরূপঃ

             কোথায় আছো?

             অফিস পৌঁছে গেছো কি?

             কি করছো?

             উত্তর দিচ্ছো না যে!

             কাজ কি খুব বেশি?

             কখন আসবে?

 আসার সময় এই এই জিনিসগুলো নিয়ে আসবে কিন্তু।

আলু,
পটল,
জিঙে,
উচ্ছে,
বেগুন,
পেঁয়াজ,
কাঁচা লঙ্কা,
আদা,
রসুন,
কুমড়ো,
চিচিঙ্গা,
নারকেল,
ধনেপাতা,
লাউ,
শিম,
বিট,
গাজর,
বিনস,
বড়ি,
সমস্ত মশলা পাতি

             তাড়াতাড়ি এসো।

             আর শোনো ... আসার সময় মাংস নিয়ে আসবে?

অফিস থেকে সোজা বাড়ি এসো কিন্তু ..... আবার আড্ডা দিতে চলে যেও না যেন!

             ক’টায় আসছো?

             অফিস থেকে বেরিয়ে ফোন করো।

             আমি কিন্তু ফোনের অপেক্ষা করব। 

             কোন উত্তর দিচ্ছো না কেন?

কার সাথে এত বিজি আছ?

আজকে বাড়ি আসো তোমার একদিন কি আমার একদিন 

আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছে আপনার স্ত্রী।

আর আপনার স্ত্রী কি সারা মাসের সব্জী একদিনেই খাবে নাকি?

 মূহুর্তে মূহুর্তে মেসেজের আওয়াজ ..... রোজ রোজ আপনি এসব সহ্য করেন কি করে?আপনি একটা ভীতুর ডিম.....
তাই, শেষ পর্যন্ত আমি বাধ্য হয়ে ত্যাগ করার কথা লিখে দিলাম। ......... তারপর গিয়ে মেসেজ আসা বন্ধ হল!।

শারীরিক চাহিদা

অনেক রাত...। ছেলেটি মেয়েটিকে মেসেজ করল -----

ইয়ে.. মানে তুমি মাইন্ড করতে পারবে না কিন্ত।
- OK.. বলুন।
- পছন্দ না হলেও ব্লক করে দিয়ো না প্লিজ।
- আচ্ছা, কী এমন কথা বলবেন শুনি...! 
- হুমমম্, সরাসরিই বলি। তুমিও এডাল্ট, আমিও এডাল্ট।
- হ্যাঁ তো... 
- এছাড়া ফেসবুক ফ্রেন্ডের বাইরে আমাদের পরিচয় তুমি মেয়ে আর আমি ছেলে।
- হুমম্।
- এখন গভীর রাত।
- তারপর?
- এই সময় আমাদের শরীরের একটা চাহিদা থাকে... মানে নীড্ আর কী...। জিনিসটা সবসময়ই থাকে কিন্তু রাতে তার চাহিদা বেড়ে যায়। রাত যত বাড়ে চাহিদাও তত বাড়ে।
- হোয়াট্...? 
- জিনিসটা তোমারো দরকার আমারও দরকার।
- এক্সকিউজ মি...! 
- লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক... ফিজিক্যাল নীড্৷ পৃথিবীর সবারই থাকে এই চাহিদা। বুঝতে পারছো আমি শরীরের কোন চাহিদার কথা বলছি? যেটা সারাদিন থাকে.. কিন্তু রাতে বাড়ে।
- না বোঝার কিছু নাই।
- তাইলে বলেই ফেলি, নাকি?
- হুমম্... বলুন।
- শরীরের সেই চাহিদাটার নাম হলো ঘুম। আমি যদি বলি অনেক রাত হয়েছে.... চলো.. দু'জনে ফেসবুকে টাইম নষ্ট না ক'রে এখন ঘুমিয়ে যাই, তুমি কি রাগ করবে?

- শালা হতভাগা, যা ঘুমো 😴.... 😡

মানবতার অনেক রূপ

একটা ছেলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। হঠাৎ তার সামনে একটি চীনা ভদ্রলোক গাড়ী চাপা পড়লো। তাকে সবাই মিলে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে যে যার সরে পড়লো, কিন্তু সরলো না ঐ ছেলেটি। তার নাম রতন। রতন সারারাত হাসপাতালে বসে থেকে ভোরের দিকে যখন লোকটির হুঁশ ফিরলো, তখন তাকে দেখতে গিয়ে রোগীর বেডের মাথার কাছে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো।
চীনা ভাষা রতন বোঝে না, কিন্তু চীনা মরণাপন্ন লোকটি বারবার হাতজোড় করে, চোখে জল নিয়ে বলে চললো-- সু তাই কোয়াং তির সাই। কিছুক্ষণ চোখের জলে ভেসে করুণ কন্ঠে এই কথা বলার পর লোকটি চিরকালের জন্য চোখ বন্ধ করলো।

ঘটনাটা এখানেই শেষ হতে পারতো, কিন্তু রতন তো শেষ হতে দিলো না। রতন বিভিন্ন সূত্র জোগাড় করে নিজের টাকায় পৌঁছে গেল চীনের হুনান প্রদেশে, ঐ লোকটির একমাত্র পুত্র এবং তার স্ত্রীর বাড়িতে। মৃত্যুর সংবাদ আগেই এসেছিল। রতন কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করে সিক্ত কন্ঠে নিজের মনেই বলে উঠলো-- সু তাই কোয়াং তির সাই।

লোকটির ছেলেটি ভীষণ চমকে উঠে ইংরাজিতে বললো- আপনি হঠাত এই কথা বলছেন কেন?

রতন বললো- এর মানে কি?

ছেলেটি হতভম্ব হয়ে বললো-- এর মানে, শুয়োরের বাচ্চা, অক্সিজেন পাইপের থেকে পা টা সরা।

এরপর রতন ভারতে ফিরে এলো।
🤣🤣🤣

পুলিশের কবলে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়

১২ই সেপ্টেম্বর বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্মদিন। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মারা যান বিভূতিভূষণ। মৃত্যুর তিন বছর আগে একমাত্র ছেলে তারাদাস বন্দোপাধ্যায়(১৯৪৭-২০১০) জন্মগ্রহণ করেন। পুত্র তারাদাস বন্দোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথা থেকে পাওয়া।

 তারাদাস বাবুর বয়েস তখন অল্প, বছর বাইশ তেইশ হবে। পাড়ার একজন দাদা স্থানীয় লোক অবসরপ্রাপ্ত ডাকসাইটে পুলিশ অফিসার পঞ্চানন ঘোষালের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন শুনে তারাদাসবাবুও চললেন তার সাথে। বাঙালির শার্লক হোমস এই পঞ্চানন ঘোষাল(১৯০৭-১৯৯০) অপরাধ বিজ্ঞান সাহিত্যের জনক। ক্রিমিনাল সাইকোলজিতে ডক্টরেটধারী প্রথম ভারতীয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের নির্দেশেই ক্রাইম উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন। তারাদাস বন্দোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর মুগ্ধ পাঠক। সুতরাং পাড়ার দাদার সাথে পঞ্চানন ঘোষালের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ তিনি হাতছাড়া করতে চাইলেন না। গেলেন তাঁর কাছে এবং সঙ্গের দাদা পরিচয় করিয়ে দিলেন...বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে, শুনে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকলেন পঞ্চাননবাবু। তারপর বললেন , "তোমার বাবাকে একবার পুলিশ অ্যারেস্ট করেছিল,জানো ?"।

তারাদাসবাবু বলে উঠলেন , "অসম্ভব। কখনো হতে পারে না। আমি সকলের মুখ থেকে শুনে বা পড়ে যা জেনেছি তাতে কখনো তা হতে পারে না। আমার বাবা কোনোদিন সেরকম ছিলেন না"। 
--"সেসব তোমার জানতে পারার কথা নয়, তাই জানতে পারনি । জোড়াবাগান থানায় গিয়ে খোঁজ করলে পেতে পারো। অবশ্য অত পুরোনো রেকর্ড আছে কি না কে জানে। আসল কথাটা আগে শোনো, সন্ধ্যার মুখে বাইরের কাজ টাজ সব সেরে থানায় ফিরেছেন বড় বাবু। থানার কাজকর্মের খোঁজ নেওয়া চলছে তখন। হাজত-বাবু হাজতে যারা ছিল তাদের বের করে এনে বড় বাবুর সামনে হাজির করল। বড় বাবু সব শুনে সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে রাখা হবে , কাকে ছাড়া হবে। যাদের বের করা হল তাদের মধ্যে ধুতি শার্ট পরা একজন ভদ্রলোককে দেখে বড় বাবু জিজ্ঞেস করলেন, "আরে এ তো ভদ্রলোক দেখছি , এ আবার কী করল"। 

হাজত বাবু বলল,"স্যার , উনি ঐখানে থানার দেওয়ালের খাঁজের মধ্যে পেচ্ছাপ
করছিলেন"।
 
"অ্যাঁ, থানার দেওয়ালে পেচ্ছাপ ? দেখে তো মনে হচ্ছে শিক্ষিত , পোশাকে আসাকে তো বেশ ভদ্দরলোক, ভদ্দরলোক লাগছে, খোলা জায়গায় এসব করতে নেই জানেন না ?"

--- "আর কোনোদিন হবে না। বিশ্বাস করুন, না পেরে বাধ্য হয়ে করে ফেলেছি। খুব জোর চেপেছিল, কোথাও কোনো টয়লেট খুঁজে পাই নি। আর পারছিলাম না, কাপড়ে চোপড়ে হয়ে যেত। তাই একটু আড়াল দেখতে পেয়ে এখানে করে ফেলেছি। এটা যে থানা বুঝতে পারিনি ।"

--- "কাপড়ে চোপড়ে হয়ে যেত বলে অন্যের বাড়ির দেওয়ালে পেচ্ছাপ করবেন ? থানার কথা নাহয় বাদই দিলাম । কী করেন ?"

--- "আজ্ঞে আর হবে না । আমি শিক্ষকতা করি ।"

--- "শিক্ষকতা করেন ? কোন স্কুল ?"

--- "খিলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুল।" ধর্মতলাস্থ স্কুলটির তখন বেশ নাম ডাক ছিল।

--- "ওরে বাবা, অমুক স্কুল ? স্কুলটা কোথায় জানেন ?"

--- "বিশ্বাস না হলে ফোন করে দেখতে পারেন। আমার কাছে ফোন নাম্বার আছে দিতে পারি"।

ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন করে দেখলেন বড় বাবু। কথা সত্যি। এবার আরো ঝেঁঝেঁ উঠলেন। "তাহলে তো সোনায় সোহাগা , মাস্টারমশাই হয়ে এসব করছেন, ছাত্ররা কী শিখবে ?"।

--- "বলছি তো ভুল হয়ে গেছে। আগে কখনও হয়নি। অবস্থার ফেরে হয়েছে আর কখনো হবে না"।

বড়বাবুর চোখ মুখ দেখে কোনো আশা পাচ্ছিলেন না ভদ্রলোক। ভাবছিলেন হয়ত আবার কোন কেস লাগিয়ে কোর্টে পাঠিয়ে দেবে। লোক জানাজানি হবে, হয়রানির শেষ থাকবে না। তাই বড় বাবুর সহানুভূতি আদায় করার জন্য বললেন, "এ ছাড়া আমি একটু লেখালিখিও করি"।

-- "আচ্ছা ! তা কী লেখেন শুনি" ?

-- "গল্প, উপন্যাস, এইসব"।

-- "কী উপন্যাস ?"

-- "আপনি নাম শুনেছেন কি না জানি না,আমার একটা লেখা একটু নাম করেছে,'পথের পাঁচালী'।"

--- "এবার ঠাটিয়ে একটা চড় কষাব। অনেক সহ্য করেছি। 'পথের পাঁচালী' কার লেখা জানেন ?"

--- "আজ্ঞে, আমার লেখা, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন আপনাকে নাম বললাম তো যখন স্কুলে ফোন করলেন !"

 বড়বাবু অবাক দৃষ্টিতে মুখের দিকে চেয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। কী যেন পড়বার চেষ্টা করলেন। তারপর বিস্ময় তার কণ্ঠস্বরে।
--- "আপনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ?"

বলতে বলতে বড় বাবু চেয়ার ছেড়ে উঠে টেবিলের পাশ দিয়ে ঘুরে এসে তথাকথিত "আসামীর" পায়ের উপর গড় হয়ে পড়লেন তিনি। মাথা ঠুকে ঠুকে প্রণাম সেরে উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, "যান, মুতুন, মুতুন, এই থানার যেখানে খুশি মুতুন, যত খুশি মুতুন, পূণ্যভূমি হয়ে উঠবে এ থানা ।"

 এই পর্যন্ত বলে পঞ্চাননবাবু বললেন তারাদাসবাবুকে,"বুঝলে , সত্যি সত্যিই তোমার বাবাকে পুলিশে ধরেছিল"।

তারাদাসবাবু বললেন, "এ আপনার বানানো গল্প। আপনি লেখক মানুষ, সামান্য একটু কিছু কারো কাছে শুনেছেন হয়তো, তাই দিয়ে এত সুন্দর একটা গল্প বানিয়ে ফেললেন"।

--- গল্প হবে কেন ? আর, অন্যের মুখ থেকেই বা শুনতে হবে কেন ? সেদিনের সেই বড়বাবুটা যে আমিই। আমিই সেই পঞ্চানন ঘোষাল যিনি পুণ্য অর্জন করেছিলাম।।

Tuesday, 28 September 2021

দুই বিঘে জমির মর্ম কথা

সেদিন ক্লাসে বাংলার স্যার পচাকে জিজ্ঞেস করল, "বলতো পচা, রবিঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতায় সবথেকে পাজি এবং বদমাশ লোকটা কে?"

"এটা কি কনো প্রশ্ন হলো স্যার? এটাতো সবাই জানে যে, সবথেকে পাজিএবং বদমাশ লোকটার নাম উপেন, আর ভালো লোকটা হলো জমিদার।"

"আমাকে বোঝা হতচ্ছাড়া,, উপেন কিকরে পাজি হলো আর রাজা কি করে ভালো হলো। আর যদি বোঝাতে না পারিস আমি মেরে তোর ঠেং খোড়া করে রেখে দেবো।"

"এ আর এমন জটিল কি? আপনি মনেহয় পুরো কবিতাটাই ঠিক মতো পড়েননি, যদিও বা পড়েছেন ঠিকমতো বুঝেউঠতে পারেননি স্যার? 

দেখুন কবিতার শুরুতেই আছে "শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋনে।"
উপেন যৌবনে রোজগার বলতে কিছুই করেনাই,
ঋন করে ভালোমন্দ খেয়ে জমি বিক্রি করে পরিশোধ করেছে, এখন যখন মাত্র দুই বিঘা জমিতে এসে ঠেকেছে তখন জমির প্রতি দরদ যেন উথলে উঠছে।

এবার আসাযাক উপেনের ছাত্রাবস্থার কথায় -
"একে একে মনে উদিল স্মরনে বালক - কালের কথা।
সেই মনে পড়ে জ্যেষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম -
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম :
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা - পলায়ন -"
এবার ভাবুন সকাল দুপুর রাত্রি শুধুই আমের চিন্তায় মসগুল, পড়াশোনা করার বালায় নাই, এতো পাজি যে স্কুলে যাতে পড়াশোনা করতে না হয় তার জন্য সেখানেও ফাঁকি। যদি জীবনে পড়াশোনাটা ঠিকঠাক করতো তাহলে টিপছাপ দিয়ে দুই বিঘা জমিটা রাজা চালাকি করে নিতে পারতো না।

এবার আসি উপেনের বার্ধক্য বয়সে -
"মনে ভাবিলাম, মোরে ভগবান রাখবে না মোহগর্তে, 
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য"।

এই পর্যন্ত পড়ে ভেবে ছিলাম শেষ বয়সে এসে ফাঁকিবাজ উপেন এবার বোধহয় ধর্ম কর্মে মনদেবে, কিন্তু ভবি ভোলবার নয়, সাধুসঙ্গ ছেড়ে সেই আমতল, ওখানেও ফাঁকি। ওরে পাগলা দুই বিঘার মোহ কাটাতে পারছিস না, আর তুই হবি সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী???
অন্যদিকে জমিদারটাকে দেখুন কি সুন্দর অমায়িক ব্যবহার।
"বাবু বলিলেন, বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব কিনে।"

লাইনটা লক্ষ্য করুন, চুরি বলেনি, বলেছে কিনে নেবো। তাছাড়া অতবড় একজন মানুষ তার কনো অহংকার নেই, উপেনের মতো অকাট মুর্খকে পর্যন্ত তুমি তুমি করে কত মিষ্টি ভাবে কথা বলছে।

"বাপু, জান তো হে, করেছি বাগানখানা, 
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দীঘে সমান হইবে টানা। "

শুধু সৌখিন মানুষ নয়, পরিবেশ সচেতনও বটে... সুন্দর একখান বাগান করার স্বপ্ন দেখছেন। নগদ মূল্যে দামদিয়ে জায়গাটা কিনে বাগান করবেন বলে মনস্থির করেছেন। এটা উপেনের সহ্য হলো না, যে যৌবনে সব বিক্রি করে পেটায় নমো করলো, আর বৃদ্ধ বয়সে এটা নগদে বিক্রি করতে ওর গায়ে লাগছে। আসলে তা নয়, আসল কথা হল হিংসে জমিদারের বাড়বাড়ন্ত দেখে হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে, অন্যের ভালো দুচোখে সহ্য করতে পারে না । নিজে তো কিছু করতে পারেনি, তাই সুন্দর বাগান করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা সমাজেরও ক্ষতি..
এবার আপনিই বলুন স্যার কে ভালো আর কে খারাপ?

(আজ নিয়ে সাতদিন হলো স্যারের জ্ঞান ফেরেনি..... হয়তো কোভিড2 আক্রান্ত.....)

কনট্যাক্ট এবং কানেকশন

একদিন এক সাংবাদিক এক সন্যাসীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন।
সাংবাদিক- আপনার গতকালের বক্তৃতায় আপনি বলেছেন, কনট্যাক্ট এবং কানেকশন। আমি দ্বিধায় আছি। একটু ব্যাখ্যা করবেন?
সন্যাসী মৃদু হাসলেন এবং আপাত দৃষ্টিতে প্রশ্ন থেকে নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে বললেন- আপনি নিউইয়র্কে থাকেন?
- হ্যাঁ।
- বাড়িতে কে কে আছেন?
সাংবাদিক ভাবলেন উনি প্রশ্নটা এড়াতে চাইছেন, তাই এরকম ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করছেন। তবুও বললেন- মা মারা গেছেন। বাবা আছেন। আর তিন ভাই ও এক বোন। সবাই বিবাহিত।
সন্যাসী মৃদু হেসে বললেন- বাবার সঙ্গে কথা হয়?
সাংবাদিক বিভ্রান্ত।
সন্যাসী জিজ্ঞেস করলেন
- বাবার সঙ্গে শেষ কবে কথা হয়েছে?
সাংবাদিক নিজের বিরক্তি চেপে রেখে বললেন- মাস খানেক হবে।
সন্যাসী- তোমাদের ভাইবোনদের মাঝে মধ্যেই দেখা হয়? শেষ কবে ফ্যামিলি গেট টুগেদার হয়েছে?
সাংবাদিক যথেষ্ট ঘামতে শুরু করেছেন।
মনে হচ্ছিল যেন সন্যাসীই সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন।
লজ্জাবনত হয়ে উত্তর দিলেন- দুবছর আগে খ্রিস্টমাসের সময়।
- সবাই একসঙ্গে কদিন কাটিয়েছিলেন?
- দুদিন।
-বাবার পাশে বসে ছিলেন কতক্ষণ?
সাংবাদিক বিভ্রান্ত হয়ে তাকিয়ে রইলেন।
- আপনারা কি একসঙ্গে ব্রেকফাসট, লাঞ্চ, ডিনার করেছিলেন? উনি কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করেছিলেন? মা মারা যাওয়ার পর কি ভাবে উনি সময় কাটাচ্ছেন, জিজ্ঞাসা করেছিলেন?
সাংবাদিকের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল।
সন্যাসী তাঁর হাত ধরে বললেন- লজ্জিত হবেন না। অনুশোচনা করবেন না। আমি দুঃখিত আপনাকে অজান্তে আঘাত দিয়ে থাকলে। আসলে এটাই আপনার প্রশ্নের উত্তর ।
বাবার সঙ্গে আপনার কনট্যাক্ট আছে কিন্তু কানেকশন নেই। কানেকশন হৃদয়ে হৃদয়ে হয়। একসঙ্গে বসা, খাবার ভাগা ভাগি করা খাওয়া। একে অপরের খেয়াল রাখা, স্পর্শ করা, হ্যান্ডশেক করা, চোখে চোখ রাখা, একসঙ্গে সময় কাটানো। আপনাদের সব ভাই বোনের কনট্যাক্ট আছে কিন্তু কানেকশন নেই।
.
.
*আজকে এটাই বাস্তব*
 
অনেকেই গর্ব করে বলি আমার হাজার হাজার কনট্যাক্ট আছে।
কিন্তু কানেকশন?

Sunday, 26 September 2021

ভবেশ পুরান

ভবেশবাবু মাথা ফাটিয়ে ঘরে এসেছেন।

স্ত্রী বললেন--- হে রাম, তোমার মাথা থেকে এতো রক্ত কেন বেরুচ্ছে, কি হয়েছে। 

ভবেশবাবু বললেন-- এক বন্ধু মাথায় পাথর ছুড়ে মেরেছে।

স্ত্রী বললেন-- তাহলে তুমি তাকে উল্টো পাথর মারলে না কেন, তোমার হাতে কি কিছু ছিল না?

ভবেশবাবু বললেন- আমার হাতে ওর স্ত্রীর হাত ছিল ৷

🤣🤣🤣

পুরুষরা কী করে?

সেরা 😍😍😍

ছেলে বাপের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা বাবা বিয়ের পর পুরুষরা কী করে? 

বাবা ছেলেকে বললো,আমার কাছে এসে বসো।

বসার পরেই বাপ রেগেমেগে ছেলেকে ধমক দিয়ে বললো, আমাকে একটু একা থাকতে দাও, ভাগো এখান থেকে!! তোমাকে আমার সহ্য হচ্ছে না।

ছেলে ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি বাবার রুম থেকে বের হয়ে গেলো। 

এবার বাপ আরো বেশি রেগে গিয়ে চিৎকার করে বললো, তোমার এতো বড় সাহস তুমি আমাকে একা রেখে চলে যাও? আমাকে ইগনোর করো? তুমি তো দেখি আমাকে ভালোই বাসো না।

কাজেই ছেলেটি আবার গিয়ে বাপের কাছে বসলো। 

বসার পরেই আবারও বাপ রেগেমেগে ছেলেকে ধমক দিয়ে বললো,তোমাকে বললাম না, আমাকে একটু একা থাকতে দাও?কথা কানে যায় না? ভাগো এখান থেকে!! 

ছেলে ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি বাবার রুম থেকে বের হয়ে গেলো। 

এবার বাপ আরো বেশি রেগে গিয়ে চিৎকার করে বললো, তোমার এতো বড় সাহস তুমি আমাকে একা রেখে চলে যাও? আমাকে ইগনোর করো? আমি বললেই আমাকে রেখে চলে যাবে?

কাজেই ছেলেটি আবার গিয়ে বাপের কাছে বসলো। 

বসার পরেই আবারও বাপ রেগেমেগে ছেলেকে ধমক দিয়ে বললো,তোমাকে বললাম না, আমাকে একটু একা থাকতে দাও?কথা কানে যায় না? ভাগো এখান থেকে!! 

এবার ছেলে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো। বললো, বাবা, এই সাতসকালে তুমি আমার সাথে কী শুরু করলে? 

বাবা মুচকি হেসে বললেন, তোমাকে শুধু বিয়ের পর পুরুষদের কী করতে হয় সেটাই বুঝাচ্ছিলাম। 

বলাই বাহুল্য, ছেলেটা পরবর্তী জীবনে আর বিয়ের নাম মুখে নেয়নি।
🤣🤣🤣🤣🤣🤣

Monday, 20 September 2021

আড্ডা




খরগোশের বাড়িতে জম্পেশ আড্ডা হচ্ছে। খরগোশ, শিয়াল, কচ্ছপ আর কুকুর মিলে আসর জমিয়ে তুলেছে ।

এরমধ্যে বিয়ার শেষ। কে বিয়ার আনতে যাবে এই নিয়ে তুমুল আলোচনার পর শেষে সবাই মিলে কচ্ছপকে রাজি করাল।

দু ঘণ্টা পরও কচ্ছপ বিয়ার নিয়ে ফেরে নি !!

খরগোশ : “ ব্যাটা ফাজিল !! এত আস্তে চলে যে কি বলব!! আমি একটু ঘুমোচ্ছিলাম বলে একটা রেস জিতে খুব তো বাহাদুরি দেখাল। দেমাগে মাটিতে পা পড়ে না!!”

কুকুর : “ আরে!! রাস্তায় কোথাও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে মনে হয়!! এত্ত অলস ওটা !!

শিয়াল : “ব্যাটাকে পাঠানোই উচিত হয় নি!! ”

এমন সময় কচ্ছপ দরজা খুলে উঁকি দিয়ে বলল: “ এই !! আমার নামে এভাবে বাজে কথা বললে আমি যাব না বলে দিলাম।
😂

Friday, 17 September 2021

মহালয়া




- ও দাদা, নমস্কার, শুভ মহালয়া।

- মানে!

- মানে আবার কি, পূজো শুরু হয়ে গেল তাই বললাম।

- মানে!

- দূর মশাই, এর আবার মানে মানে কি?

- মানে, জানতে চাইছি, মহালয়ার সঙ্গে পূজোর কী

সম্পর্ক? এ তো আচ্ছা ক্ষ্যাপা লোক! মহালয়া মানেই তো দেবীর আগমনের শুরু, পূজো শুরু, এই যে দেখুন মা দুর্গার

মুখের ছবি দিয়ে 'শুভ মহালয়া' লিখে কত ছবি। - শুনুন, মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজোর আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। যারা মা দুর্গা'র ছবির সঙ্গে 'মহালয়া' লিখছে তারা

নিজেরাও জানেনা কত বড় ভুল করছে।

- যাঃ বাব্বা....! বলে কি, এতো সবজান্তা দেখছি।

- সবজান্তা নই, তবে এটুকু জানি যে, দুর্গাপূজোর সঙ্গে

এর কোনো সম্পর্ক নেই। -বললেই হলো নেই! সকালে রেডিওতে মহালয়া শোনেন না আপনি?

- ওটা মহালয়া নয়। ওটা 'মহিষাসুরমর্দিনী' নামের একটি অনুষ্ঠান। এর সঙ্গেও মহালয়া'র কোনো সম্পর্ক নেই। এই

দিনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হয়, এই পর্যন্তই। - তাহলে মহালয়াটা কি ঘোড়ার ডিম, খায়, না মাখে?

- মহালয়া কথাটি এসেছে 'মহৎ আলয়' থেকে। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয় যে পিতৃপুরুষেরা এই সময়ে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পিণ্ডলাভের আশায়। প্রয়াত পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের 'তৃপ্ত' করা হয় বলেই মহালয়া একটি পূণ্য তিথি।

- সে তো জানি। ঘাটে ঘাটে সব মন্ত্র ফন্ত্র বলে। তাতে কী

হল? পুজোর আগে জল টল দিয়ে শুদ্ধ করা হল।

-শুদ্ধ, অশুদ্ধের ব্যাপার নয়। এর সঙ্গে মহাভারতের যোগ

আছে।

-কেলো করেছে। এখানেও মহাভারত?

- আজ্ঞে হ্যাঁ। মৃত্যুর পর কর্ণের আত্মা পরলোকে গমন করলে তাঁকে খাদ্য হিসেবে স্বর্ণ ও রত্ন দেওয়া হয়েছিলো। কর্ণ এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে বলা হয়, তিনি সারা জীবন স্বর্ণ ও রত্ন দান করেছেন, কিন্তু প্রয়াত পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কখনও খাদ্য বা পানীয় দান

করেননি। তাই স্বর্গে খাদ্য হিসেবে তাঁকে সোনাই দেওয়া হয়েছে।

বিমর্ষ কর্ণ বলেন, তাঁর পিতৃপুরুষ কারা সেটা তো তিনি মৃত্যুর মাত্র একদিন আগেই জানতে পেরেছেন। তার দোষ কোথায়! যমরাজ তখন বোঝেন, সত্যিই তো, এতে কর্ণের কোনো দোষ নেই। এই কারণে কর্ণকে পক্ষকালের জন্য ফের মর্ত্যে ফিরে পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এই পক্ষই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয়। আর সেই

হিন্দুদের মধ্যে তর্পণের প্রথা চালু হয়।

- এ তো হেব্বি ক্যাঁচাল। এত সব তো জানতাম না।

- আরো শুনে রাখুন, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের তিথি হিসেবে নির্দিষ্ট হওয়ায় একে 'শুভ' বলতে নেই।

- সে কি! শুভ মহালয়া বলবো না তাহলে? - না, বলবেন না। আপনার প্রিয়জনের শ্রাদ্ধের দিন কেউ

যদি আপনাকে 'হ্যাপি শ্রাদ্ধ' বা 'শুভ শ্রাদ্ধ' বলে, কেমন লাগবে?

আপনার

- হেব্বি মাথা গরম হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তো না বুঝেই বলেছি।

- এমন না বুঝেই তো আমরা কতকিছু বলি। এবার বুঝলেন তো?

-বুঝলাম, তবে অভ্যাস বড় বালাই। এতদিনের অভ্যাস কি সহজে যাবে? আমরা হলাম গিয়ে 'পাবলিক', লোকে বলে তাই বলি। তা আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগলো। আপনি ভালো থাকবেন। 'শুভ মহালয়া' দাদা। চলি এবার।

Friday, 10 September 2021

চুরি




স্কুলে সাঁতার ক্লাসে একটা ছেলের তোয়ালে চুরি হয়ে গেছে।

পরের দিন ছেলের বাবা স্কুলে গিয়ে রেগে ক্লাস টিচারকে বলল :-- আমার ছেলের সাথে যারা পড়ে, তারা সব এক একটা চোর। বলুন, আমার ছেলের তোয়ালে চুরি করে নিয়েছে। এই শিক্ষা দেন আপনারা আপনাদের ছাত্রদের ??

ক্লাস টিচার: এরকম নয় স্যার, ভুল করে কোনো বাচ্চার ব্যাগে হয়তো চলে গেছে ।। আমরা খোঁজ করছি, আপনার ছেলের তোয়ালে কেমন দেখতে??

ছেলের বাবা:- সাদা রঙের তোয়ালে। ক্লাস টিচার:- কিন্তু সাদা তোয়ালে তো অনেক বাচ্চার কাছে আছে। অন্য কোন চিহ্ন যাতে আপনার ছেলের তোয়ালে চেনা যায়।

ছেলের বাবা:- তোয়ালের ওপর *ভারতীয় রেলে* র ছাপ দেওয়া আছে।

🤣🤣🤣

শিক্ষাব্যবস্থা




স্কুল পরিদর্শকঃ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে?

লেবুঃ নরেন্দ্র মোদি স্যার!

পরিদর্শকঃ তোমাকে জিজ্ঞেস করছি প্রেসিডেন্ট কে?

লেবুঃ ইয়ে মানে প্রেসিডেন্ট? মমতা ব্যানার্জি স্যার!

পরিদর্শকঃ তুই ক্লাস এইটে উঠলি কীভাবে? আমি তোর নাম কেটে দেব..

লেবুঃ আমার তো স্কুলের খাতায় নামই নেই, আপনি কাটবেন কী?

পরিদর্শকঃ তার মানে?

লেবুঃ আমি স্কুলের মাঠে গরু চরাচ্ছিলাম, একজন স্যার বলল, তোকে কুড়ি টাকা দেব, তুই ক্লাসে কিছুক্ষনের জন্য বসবি!

পরিদর্শকঃ (খুব রেগে) ছিঃ মাস্টারমশাই, আপনাদের লজ্জা করে না? শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা? আমি আপনার চাকরি খেয়ে ফেলব..

শিক্ষকঃ কাকে ভয় দেখান? আমি মাস্টার না! সামনের মুদি দোকানটা আমার... মাস্টারসাহেব আমাকে বলল, শহর থেকে এক বেটা আসবে, আমি একটু হাটে গেলাম, আমার শালী আসছে, জরুরী কিছু কিনতে হবে... তুই একটু ক্লাসঘরে থাকবি!

পরিদর্শকঃ (ভীষণ রেগে,হেডস্যারের রুমে গেলেন) আপনি হেডস্যার হয়ে এইভাবে স্কুল চালাচ্ছেন?

প্রধান শিক্ষকঃ কেন কি হল? কোনও সমস্যা?

পরিদর্শকঃ আপনার লজ্জা করে না, নকল ছাত্র-শিক্ষক দিয়ে ক্লাস চালান?

প্রধান শিক্ষকঃ দেখুন আমার মামা এই স্কুলের হেডস্যার,

তিনি জমি কেনা-বেচার দালালি করেন! বর্তমানে এক কাস্টমারকে সাথে নিয়ে এক গ্রামে জমি দেখাতে গেছেন, আমাকে বলে গেছেন ইনস্পেক্টর এলে, তাঁর হাতে এই এক হাজার টাকার বান্ডিলটা দিয়ে দিস!

পরিদর্শকঃ এই যাত্রায় আপনারাও বেঁচে গেলেন...

আসলে আমার কাকা ইনস্পেক্টর, ঠিকাদারির কাজও করেন! টেন্ডার সাবমিট করতে কলকাতা কর্পোরেশনে গেছেন...

আমাকে বললেন,তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়, যা পাবি অর্ধেকটা তোর!

Thursday, 9 September 2021

পালিয়ে অপমান




মেয়েটি পালিয়ে তার পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে করলো। অবশেষে সাত দিন পর যখন বাড়ি ফিরলো, মেয়ে কে সাত দিন পর দেখে..

বাবা: তুই যেদিন বাড়ি থেকে পরিবারের মুখে চুনকালি মাখিয়ে গেছিস সেদিন ই তুই আমার কাছে মারা গেছিস। আমি ভুলে গেছি যে আমার কোনো মেয়ে আছে।

মা বললো: তুই এ কাজ কিভাবে করলি। যাওয়ার আগে আমার কথা এক বার ও মনে আসলো না তোর?

ভাই বললো: শোন, তুই মা বাবা কে কাদিয়ে কখনই সুখি থাকবি না। তোকে আমার নিজের বোন ভাবতে আজ ঘৃনা করছে।

সব শুনে অবশেষে মেয়েটি বলল... আমি তোমাদের অপমান শুনব বলে এ বাড়িতে আসিনি। আমার নোকিয়া মোবাইলের সরু পিনের চার্জারটা ভুলে ফেলে গিয়েছিলাম ওটাই নিতে এসেছি.....

Friday, 27 August 2021

আঠারো বছর




ডাক্তারবাবু সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষে, সন্ধ্যায় স্নান করে স্ত্রীর সাথে চা বিস্কিটসহ গল্প করছিলেন। মোবাইলটা বেজে উঠলো।

ডাক্তারবাবু, 'হ্যালো'।

অন্য প্রান্ত, 'আমরা তিনজন, আঠারো বছরের পুরোনো সিঙ্গল মল্ট নামী হুইস্কি নিয়ে বসেছি। তুই কি আসবি'?

ডাক্তারবাবু গম্ভীর গলায়, 'তাই? আসছি'।

উনি তাড়াতাড়ি পোশাক পরে রেডি।
বেরোনোর সময় স্ত্রী প্রশ্ন করলেন, 'কিছু কি সিরিয়াস ব্যাপার'?

ডাক্তারবাবু, 'মাত্র আঠারো বছর বয়স। অলরেডি তিনজন ডাক্তার পৌঁছে গেছে। আর দেরি করলে হয়তো শেষ হয়ে যাবে'।

স্ত্রী, 'তাড়াতাড়ি যাও তাহলে'।

মুহূর্তরা




পাড়ার মোড়ের ফুলওয়ালী কাকিমাটা শেষ বেলীর থোকাটা বিক্রি করতে গিয়েও পাশে সরিয়ে রেখে

একগাল হেসে বললে,

- “এ ফুল বিক্কিরি হবে না বাবু।”

তাড়াতাড়ি হাত চালিয়ে ব্যাগপত্তর গোছাতে গোছাতে মনে

মনেই বকবক করতে লাগল ফুলওয়ালী,

- “মানুষটা কবে থেকে বিছানায় শুয়ে রয়েছে, গাছের ফুলগুলোও মানুষটার দেখা হয় না। খালি হসপিটাল আর ওষুধ। আজ মানুষটার মাথার পাশের জানালাটার উপর বড়ো স্টিলের বাটিটার জলে বেলীর থোকাটা ভাসিয়ে রাখব। আমার মানুষটার মনটা ভালো হবে নিশ্চিত।”

ওদের মুহূর্তটুকু *বন্ধক* থাক ভালোবাসার কাছে।

❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

ক্লাস সেভেনের ছেলেটাকে পড়ানো শেষ করেই* মুখচোরা কলেজ পাশ ছেলেটা মাথা নীচু করে আমতা

আমতা করে বলেই ফেলল,

– “কাকিমা, আজ মাইনের টাকাটা পেলে একটু উপকার

হতো।”

মিনিট পাঁচেক পর টাকাটা হাতে পেয়েই মুখচোরা ছেলেটার মুখে একগাল হাসি ফুটল, - “বাবার শীতের শালটা কিনে তবে বাড়ি যাব। পাতলা চাদরটা গায়ে দেওয়া বের করছি এবার। খুব বকব কথা

না শুনলে।”

এই বকুনিটুকুও থাকুক ভালোবাসার রোজনামচায়।

🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺

বাবা নামক মানুষটা অফিসফেরত ট্রেন থেকে নেমে *ভ্যানে* উঠেও নেমে গিয়ে হাঁটতে শুরু *করল,* ভ্যানকাকু পেছন দিক দিয়ে হাঁক দিয়ে বলল,

- “ও দাদা কি হল, আজ যাবেন না?”

লম্বা চওড়া মানুষটা হেসে বললে,

- “আজ নাহয় একটু হাঁটি, শরীরটা ভালো থাকে যে

হাঁটলে।”

সামনের দিকে তাকিয়ে আবার হাঁটতে হাঁটতে পকেটের

মানিব্যাগে হাত রেখে ফিসফিসিয়ে উঠল, - “মেয়েটা বড্ড নাচতে ভালোবাসে। সারাদিন কেমন ফড়িং -এর মতন নেচে নেচে বেড়ায়। ওকে নাচের ক্লাসে ভর্তি করে দেব। মাইনেটা উঠে আসবে। রোজ রোজ ভ্যানে না চড়ে *হাঁটলে* উপকারও হবে।”

হেঁটে ফেরার রাস্তাটুকু এগোেক ভালোবাসায়।

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

বিয়ের লগ্নের মিনিট পাঁচেক আগেই খুব প্রিয় বান্ধবীটি

মেয়েটার কানে কানে এসে বললে,

- “আর্য ফিরে এসেছে রে। ও জানতে পেরেছে রাহুলের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক ছিল না, ভুল বোঝাবুঝি। বিয়েটা ভেঙে দিতে পারিস এবার একটু ভেবে দ্যাখ | গেটের বাইরে ও দাঁড়িয়ে আছে তোর জন্য।” একগাল হেসে কনে মেয়েটা আলমারির থেকে একটা

রুমালে বাঁধা এগারোটাকা বান্ধবীটির হাতে দিয়ে বলল, - “বছর দুই আগে হাতে টাকা ছিল না। ঠাকুরকে বলেছিলাম আর্য সত্যিটা জানতে পারলে এগারো টাকার পুজো দেব। আমার তো আর হল না। আর্যকে বলিস

টাকাটা দিয়ে পুজো দিতে।" বান্ধবীটি ভীষণ অবাক হয়ে বলল,

- “তুই এই বিয়েটা করবি?”

*কনে* মেয়েটা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বসতে বলল,

- “যে মানুষটা আমায় বিয়ে করতে এসেছে, সেই মানুষটার চোখ ভর্তি শুধু বিশ্বাস।”

এই লগ্নটুকুও থাকুক ভালোবাসার মুহূর্তে।

💚💚💚💚💚💚💚💚

বাজারের ব্যাগটা নামিয়ে বাবা নামক মানুষটা

ফিসফিসিয়ে মা'কে বললে,

- “পমফ্রেটের দামটা বেড়েছে আবার। আমাদের জন্য বাটা এনেছি। আর মেয়েটার জন্য একটা পমফ্রেট

আনলাম। বুঝলে?” কি বোঝা হল সেটা জানাই বাকি থাকল,

মা মানুষটাকে একটু পরেই উঁচু গলায় বলতে শোনা গেল, - “আরে বাহ্ এতো জ্যান্ত বাটামাছ গো। মেয়েটা যে কি খায় ঐ বরফের পমফ্রেট। ওর পমফ্রেটের আলাদা ঝোল করে দেব আর আমাদের বাটামাছটা কালোজিরা দিয়ে করব কিন্তু।”

বাবা-মা'র বোঝাবুঝিটুকুও ভালোবাসা মতন।

বড্ড সাধারণ মানুষগুলোর মুহূর্তরা বাঁচুক ভালোবাসায়।

💕💕💕💕💕💕💕💕

Monday, 23 August 2021

বাস্তব পরিস্থতি




একটা মেয়ে কোর্টে গেছে তার বয়ফ্রেন্ড এর নামে মামলা করতে। মামলাটা ছিলো তার বয়ফ্রেন্ড তাকে ধর্ষণ করেছে। জজ সাহেব সব কিছু জানতে চাইলে মেয়েটা তাদের রিলেশনের সব কিছু খুলে বলে, জজ সাহেব সব শুনে মেয়েটার হাতে একটা ৫ টাকার কয়েন দেয়, এবং বলে এক সপ্তাহ পর যদি এই কয়েনটা তুমি আমার কাছে জমা দিতে পারো তাহলে তুমি নির্দোষ। আর ছেলেটাকে বলল তুমি যদি কয়েনটা মেয়েটার কাছ থেকে আনতে পারো তাহলে তুমি নির্দোষ। এক সপ্তাহ পর মেয়েটা জজের কাছে কয়েনটা ফিরিয়ে দিয়েছে। জজ মেয়েটাকে প্রশ্ন করলো, ছেলেটা কি তোমার কাছ থেকে কয়েনটা নেওয়ার চেষ্টা করেনি? মেয়েটা বলল হ্যা স্যার অনেক চেষ্টা করেছে আমাকে লাখ টাকার লোভ ও দেখিয়েছে, কিন্তু আমি দিই নি। জজ সাহেব বলল এইভাবে তুমি তোমার ইজ্জত টাও বাঁচাতে পারতে কিন্তু তুমি বাঁচাও নি। দুজনেই সেচ্ছায় রুম ডেট করেছো এখন যখন ব্রেকাপ হয়েছে ছেলেটা ধর্ষক হয়ে গেছে ..

এটাই বর্তমান বাস্তবতা

গান্ধারীর অভিশাপ, তালিবান




গান্ধার প্রদেশের রাজা সুবল ও রানী সুদ্রামার জেষ্ঠ পুত্র শকুনি সহোদরা গন্ধারীকে অতি স্নেহ করতেন, কারণ তিনি রূপসী ও বিদুষী, ধৰ্মনিষ্ঠা।রাজ জ্যোতিষী, গান্ধারীর অকাল বৈধব্য ভবিষ্যৎ বানী করলে, একটি ছাগলের সাথে গান্ধারীর বিয়ে দিয়ে, ছাগলটি কে মেরে তার কপাল যোগ খন্ডন করা হয়।
এ সেই গান্ধার, যা লোকমুখে গান্ধাহার ও পরে কান্দাহার হয়, যা অধুনা আফগানিস্তান এর একটি প্রদেশ।
 ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ হওয়ার কারনে, যোগ্য রাজকন্যা পাত্রী খোঁজা দুরুহ হয়ে ওঠে, তার অভিভাবক ভীষ্ম ও বিদুরের পক্ষে। তাই হস্তিনাপুরের বহুদূরে, ক্ষুদ্র রাজ্য গান্ধারের রাজকন্যা গান্ধারীকেই
ধৃতরাষ্ট্রের যোগ্য পাত্রী নির্বাচিত করলেন ভীষ্ম। গান্ধারী বুঝলেন,
এ অসম বিয়ে মেনে না নিলে, গান্ধার দেশে পরাক্রমশালী ভীষ্ম ও ধৃতরাষ্ট্র, রক্তগঙ্গা সৃষ্টি করবেন, তাই রাজী হলেন। বিয়ের পরে, তার রূপ, শিক্ষা, বুদ্ধি স্বামীকে ছাপিয়ে না যায়, তাই নিজের চোখ আজীবন বেঁধে রাখলেন।
কিন্তু ভীষ্ম অচিরেই জানতে পারলেন, রাজ জ্যোতিষীর ভবিতব্য কহন ও গান্ধারীর ছাগ বিবাহ ও বৈধব্য। এ সত্য, রাজা সুবল বা রাজপুত্র শকুনি গোপন করায়, ভীষ্ম আক্রমণ করলেন গান্ধার রাজ্যকে। রাজা সুবল, শকুনি ও তার অজস্র ভ্রাতা, আত্মীয় বন্দি হলেন।বন্দি শিবিরে ধৰ্ম মেনে, সব বন্দিকে একটি ভাতের দানা খেতে দেওয়া হতো। কিন্তু সবাই, সেই ভাত, রাজপুত্র শকুনিকে দিয়ে দিতো, যাতে প্রতিশোধ নেবার তাগিদে অন্তত
শকুনি বেঁচে থাকে। শকুনি শপথ নিয়েছিল,ভীষ্ম ও কুরু বংশ, তিনি
একাই ধ্বংস করবেন।আহারের তাগিদে, শকুনির ভাই, বাবা মারা গেলে তাঁদের মাংস খেয়েই মনের জোরে শকুনি বেঁচে রইলেন ও বাবার পায়ের পাতার হাড়( Metatarsal bones)থেকে তৈরী করলেন পাশা খেলার গুটি।
শুরু হলো শকুনির প্রতীক্ষা, কারণ শকুনি জানতেন, কেবল রক্তপাত এড়ানোর কারণেই,
গান্ধারী ইচ্ছের বিরুদ্ধে,অন্ধ রাজাকে বিয়ে করেও রক্তপাত এড়াতে পারলেন না।
****** বাকিটা সবাই জানে।যুদ্ধের পরে,গান্ধারীর অভিশাপে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বংশ ধ্বংস হয়ে যায়। এ সেই গান্ধার বা আফগানিস্তান, যেখানে রাজা আলেকজান্ডার জয় পতাকা তুলেও বেশিদিন বাঁচতে পারে নি। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ সনে, মৌর্য বংশ এখানে রাজত্ব করলেও বেশী দিন
টেকে নি ও তার পরেও অষ্টম, নবম শতাব্দীতে বুদ্ধ ধৰ্ম প্রচার হলেও, বৌদ্ধধর্মী ও তাদের সভ্যতা বিলীন হয়ে যায় ।
ইংরেজরা ভারতকে পরাধীন করলেও, আফগানিস্তান জয় করতে পারে নি। পাকিস্তান শত চেষ্টাতেও দখল নিতে পারে নি । পারে রাশিয়া দখল নিয়েও পস্তাতে থাকে। আমেরিকা তো আফগানিস্তানে, আরেক ভিয়েতনামের নজির সৃষ্টি করলো।
যদুবংশ ধ্বংস হওয়ার মতো এখন তো তালিবানরা গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে, তারাও ধ্বংস হবে।
এ এক অভিশপ্ত দেশ আফগানিস্তান । গান্ধারী ও শকুনির আক্রোশ, আজও বোধহয় ভেসে বেড়ায় কাবুলের পাহাড়ে পাহাড়ে ।

Friday, 6 August 2021

প্রসব কৌতুক




তিন বন্ধুর তিন স্ত্রী সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি।

যথারীতি তিন বন্ধু ওয়েটিং রুমে বসে এবং খুব চিন্তামগ্ন।

সময় কাটছে না দেখে তিন জন তিনটে গল্পের বই পড়তে শুরু করলো। প্রথম জন A tale of two cities নিয়ে পাতা ওল্টাচ্ছে।
সঙ্গে সঙ্গে নার্স এসে বললো congratulation আপনার যমজ সন্তান হয়েছে।

দ্বিতীয় জনের হাতে three masketiers।

নার্স এসে জানালো congratulation আপনার স্ত্রী এক সাথে তিনটি সন্তান প্রসব করেছেন।

এই শুনে তৃতীয় জন হাতে থাকা গল্পের বইটি সঙ্গে সঙ্গে ছুড়ে ফেলে দিলো।

নার্স জিজ্ঞাসা করলো, কি ব্যাপার বইটি ছুড়ে ফেললেন যে?
কি বই ছিল?
তৃতীয় জন কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,.......

আলিবাবা ও চল্লিশ চোর।

🤣🤣🤣

কি অদ্ভুত মিল!




এক লোক ফাস্টফুড কাউন্টারে বসে মাটন কাবাব আর চিলি সস অর্ডার দিতেই পাশে বসা এক সুন্দরী মহিলাও একই অর্ডার দিয়ে বললো কি অদ্ভুৎ মিল !!

আপনার আমার প্রিয় খাবার একই মাটন আর চিলি

বাই দ্য ওয়ে আমি রত্না, আপনি?

আমি রতন

আরে আপনার আর আমার নামের প্রথম অক্ষরও এক, নামের অর্থও এক।

আপনি কি নিয়মিত আসেন?

না,

আমি সেলিব্রেট করতে এসেছি।

এখানেও কি অদ্ভুৎ মিল,

আমিও সেলিব্রেট করতে এসেছি।

জানতে পারি কিসের?

ভদ্রলোকঃ আমার পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীগুলো প্রায় চার বছর যাবৎ ডিম দিচ্ছে না।

আজ সকালে ডিম দিয়েছে সেই আনন্দ উদযাপনের জন্য এখানে আসা।

মহিলাঃ

এখানেও আমার সাথে আপনার কি অদ্ভুৎ মিল। আমার চার বছর বিবাহিত জীবন।

সন্তান হচ্ছিলো না। আজই প্রেগনেন্সি পজিটিভ হলো।

কিভাবে মুরগী ডিম দিলো?

ভদ্রলোকঃ আমি মোরগ চেঞ্জ করেছিলাম।

আপনি?

মহিলা মৃদু হেঁসে

কি অদ্ভুৎ মিল...

😮😮😮

Wednesday, 4 August 2021

পরকীয়া প্রেম




পরস্ত্রীর সাথে প্রেম করার অর্থ কিন্তু এটা নয় – যে তুমি নিজের স্ত্রীকে প্রতারণা করছ। এটা অনেকটা তোমার নিজের গাড়ি থাকা সত্বেও ট্যাক্সি ভাড়া করার মত। এতে তোমার গাড়ির টায়ারের আয়ু বাড়বে। তোমার গাড়ি অনেক বেশি দিন সুন্দর থাকবে।

এই পুরো ব্যাপারটা তোমার স্ত্রীকে বুঝিয়ে বলো। তারপর তুমি কোন হাসপাতালে ভর্তি আছো জানাবে দেখতে যাব।

খবরদার আমি বলেছি একথা কিন্তু বৌকে বোলোনা, যা বলবে নিজের দায়িত্বে। 👠

Saturday, 31 July 2021

বর বউয়ের বিবাদ




শুভময়ের আজ সকালে ভীষণ জরুরী মিটিং | সাড়ে নটা র ভিতর অফিস ঢুকতেই হবে | স্নানে যাবার সময় হয়ে এল,কিন্তু যেতে পারছে কই | কাজের সময় মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছে না তার মধ্যে শ্বশুর মশায় আর শাশুড়ি মা, সাত সকালে এসে হাজির একই পাড়ায় প্রেম ঘটিত বিয়ে তার আর সঞ্চিতার শ্বশুর বাড়ি হেঁটে পাঁচ মিনিটের রাস্তা | শ্বশুর মশায় ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন,এখন অবসর নিয়েছেন,আর শাশুড়ি মা হলেন ডাক্তার, গাইনোকোলজিস্ট| সাংঘাতিক দাপুটে মহিলা | ওনাদের দু জনেরই দৃঢ় বিশ্বাস, মেয়ের সম্বন্ধ করে বিয়ে দিলে অনেক ভাল জামাই পাওয়া যেত | তাই কথা বার্তায় একটা খোঁচার আভাস পাওয়া যায় | শুভময়ের বাবা,মা এখন দিল্লীতে,শুভময়ের দিদির কাছে গেছে, তাই ওনাদের যাওয়া আসাটাও বেড়েছে | শ্বশুর মশায় বললেন "কি হে কি খুঁজছো এত তন্ন তন্ন করে "?"না, আসলে ফোনটা কোথায় যে রাখলাম" | "ফোন কি সাইলেন্ট মোডে রাখা "? এই সব প্রশ্ন এই সময় ভালো লাগে কারুর?তাও মাথা ঠান্ডা রেখে বললো "না সাইলেন্ট এ রাখা নয়" | শ্বশুর মশায় খোঁচা মারার এমন সুযোগ কি আর ছেড়ে দেন?বললেন" তা হলে এত চিন্তা করার কি আছে? আমি তোমার ফোনে ফোন করছি,রিং হলেই তো বুঝে যাবে ফোন কোথায়, তোমাদের আজকাল কার ছেলেদের এই উপস্থিত বুদ্ধিটুকু যদি না থাকে ,তা হলে তো মুস্কিল"| শুভময় মনে মনে বললো "এটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয় অনেকেই তাই করে" ", আজ নেহাত মিটিং এর টেনশন এ মাথা কাজ করছে না তাই"| কিন্তু সামনে তো আর সেটি বলা যায় না, তাই খোঁচাটুকু হজম করে,হেঁ হেঁ করে দেঁতো হাসি হেসে ম্যানেজ করল | অনেক দেরী হয়ে গেছে | সঞ্চিতাকে বলে দিল ফোনটা পেলে যেন খাবার টেবিলের উপর রেখে দেয়| বাথরুমে যাবার আগে দেখলো শ্বশুর মশায় সোফাতে আয়েশ করে বসে খুব স্মার্টলি নিজের স্মার্ট ফোনটি বার করে তাকে ফোন লাগাচ্ছেন,আর শাশুড়ি মা একসাথে দশটি করলার জুস্ সদ্য খেয়ে ওঠার পর যেমন মুখ হয় মানুষের,সেই রকম মুখ করে বসে আছেন | বাথরুমে ঢোকার পর তার কানে ফোনের মিষ্টি আওয়াজ ভেসে এল,"যাক বাবা, নিশ্চিন্ত, এবার ফোনটা পাওয়া যাবে স্নান করে বেরিয়ে দেখে সঞ্চিতা তার ফোনটি হাতে নিয়ে বসে আছে | এক গাল হেসে সে যেই ফোনটি নিতে যাবে অমনি সঞ্চিতা চিৎকার করে বলে উঠলো " তুমি এত অশিক্ষিত আমার জানা ছিল না তো | "ছিঃ,ছিঃ, বাবার আজকে যা অপমান হলো,বাবা মনে হয় আর কোনোদিনও এ বাড়ি আসবে না" | শুভময় তো কিছুই বুঝতে পারলো না | স্নান এ যাবার আগে দেখে গেল বউ হাসি হাসি মুখে চা বানাচ্ছে, স্নান সেরে বেরিয়েই দেখছে বউ এমন মারকুটে হয়ে ল, এ কি কান্ড রে বাবা | তাই খুব ভয়ে ভয়ে আমতা আমতা করে জিজ্ঞাসা করলো "কি হয়েছে বল তো"?"বাবা,মা কোথায় চলে গেলেন"? "তুমি বা এত ক্ষেপে আছো কেন"? "আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না" | সঞ্চিতা একটি হাড় হিম করা চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো "কিছুই বুঝতে পারছো না, তাই না"? "ন্যাকামো হচ্ছে"? "তোমার ফোনটা বাবার ঠিক পাশেই সোফার ফাঁকে ঢুকে গেছিলো,বাবা রিং করেই ফোনটা পেয়ে যায়, তারপর বাজতে থাকা অবস্থাতেই আমাকে দেখায়, দেখি ফোনের স্ক্রীনে যে লেখাটা বার বার ফুটে উঠছে, সেটা হল "টাকলা শ্বশুর", টাকলা শ্বশুর", "তুমি আমার বাবার নম্বর এই নামে সেভ করেছো"? "বাবা,মা ভীষণ অপমানিত বোধ করে বাড়ি চলে গেল"| শুভময় বুঝলো হাওয়া সাংঘাতিক খারাপ, এখন কিছু বলতে গেলেই কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে |তাছাড়া আজ মিটিং আছে,যা মিটমাট সব মিটিং এর পর | সে কোনো কথা না বলে ঝটপট তৈরি হয়ে নিল | খেতে খেতে দেখতে পেল সঞ্চিতা বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে | এখন শান্ত করার কোনো মানেই হয় না,যা হবে অফিস থেকে ফিরে বেরোনোর আগে সে শুধু ভগবানকে একবার ডাকলো আর একবার ধন্যবাদ দিল | ডাকলো যাতে মিটিং টা ভালো ভাবে উৎরে যায়,আর ধন্যবাদ দিল কারণ শাশুড়ি মা, শ্বশুর মশায়ের মত ফোনটা খোঁজার চেষ্টা করেননি বলে শুভময়ের ফোনে তার শাশুড়ির নাম্বারটি "গাইনির ডাইনি"বলে সেভ করা আছে। 😂

সুখবর

বাড়ির বৌ টক লেবু চাটছে দেখে, ভাববেন না যে খুশির খবর আসতে চলেছে, জমানা, পাল্টেছে, হতে পারে চার পেগ মেরে এসেছে, এখনো ঘোর কাটেনি। 🥂🍾🍻

ভাইরাস

😂😂😂
এত intellectual ভাইরাস আগে হয়ত আসেনি। 
প্রথমে বয়স্ক, তারপর যুবককে, তারপর বাচ্ছাদের। একটা শৃঙ্খলা  মেনে এগোচ্ছে।
সে জানতো যে টিকা আসছে সেইজন্য সে ডেল্টা রূপে পালিয়ে গেল। অদ্ভুত দূরদর্শিতার পরিচয়।
যে সময় lockdown চলছে শুধুমাত্র সেই সময়েই সে ঘুরতে বা শিকার করতে বেরোবে। যেমন রাত 9 তা থেকে 5 । অদ্ভুত ভাবে disciplined.
Train সে খুবই ভালোবাসে। বাস বা অন্য public ট্রান্সপোর্ট সে পছন্দ করে না। হতেই পারে ..virus বলে কি তার ইচ্ছে থাকতে পারে না?
Virus কিন্তু চাইলেই মাস্কের মধ্যে দিয়ে ঢুকে পড়তে পারে, কিন্তু না। কানে ঝুলিয়ে রেখে সম্মান টুকু দিলেই করোনা খুশি। প্রচন্ড আত্মসম্মানি জীবাণু।
আপনি রেঁস্তোরাতে মাস্ক পরে ঢুকবেন এবং অবশ্যই আশা করি মাস্ক খুলেই খাবেন, সেই টুকু সময় ও আপনাকে আক্রমণ করবে না। virus বলে কি প্রাণে মায়া নেই???
Virus পরীক্ষা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব পছন্দ করে। হয়তো অতৃপ্ত কোনো বাসনা ছিল। কিন্তু যুব আন্দোলন সমর্থন করেন সেই জন্য ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের তিনি ছাড় দিয়েছেন। বিপ্লবী মন থাকতেই পারে।
ও জানে যে রাজনৈতিক কোনো জায়গায় সেরকম ভাবে তার উপস্থিতি গ্রাহ্য হয় না। সেই জন্য সে মিটিং মিছিল থেকে দূরে থাকে। মর্যাদা পালন করে থাকে ভোটের আগে।
জীবানু বদ অভ্যেস একদম পছন্দ করে না। মদ বা মদের দোকান থেকে সে দুরেই থাকে। মানুষ না বুঝলেও সে বোঝে মদ্যপান স্বাস্থের জন্য হানিকারক।
যত বলা যায় তত কম এই  জীবাণুর প্রতিভার বিষয়ে। আমি মুগ্ধ।

🙏🙏🙏

গালাগালির উপকারিতা

গালাগালির উপকারিতা বিষয়ক একটি গল্প :
😊😊😊😊😊😊

মিন্টু ঘোষ ব্যাগ নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ রাস্তার পাশের পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের নিচে পাবলিকের ভিড় দেখে সেদিকে এগিয়ে গেলেন। সবাই ওপরের দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখছে ?? 🤔
ভদ্রলোকও ওপরের দিকে তাকালেন। দেখলেন ছাদের কার্নিশে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। একটু এদিক-সেদিক হলেই পাঁচতলা থেকে সোজা নিচে পড়ার প্রবল আশঙ্কা। 

মিন্টুবাবু উপস্থিত একজনকে জিজ্ঞেস করলেন - ‘মশাই, বিষয় কী?’
ভদ্রলোক বললেন - ‘বৌ *ছ্যাঁকা* দিয়েছে। 😢 তাই আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে উঠেছেন।’ 

মিন্টু বাবু বললেন - ‘আপনারা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন না?’ 

ভদ্রলোক বললেন - ‘সবাই তাকে নেমে আসার জন্য বলছে, কিন্তু সে নামতেই চাইছে না।’

মিন্টুবাবুর মনটা খুব খারাপ হলো। এমন তরতাজা নওজোয়ানেরা তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে দেখে তাঁর মন ব্যথায় ভরে গেল। ব্যথার জন্য পাশের ফার্মেসি থেকে একটা পেইনকিলার খেয়ে ছেলেটাকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সে চিন্তা শুরু করলেন।

আইডিয়া পেতে দেরি হলো না। মিন্টুবাবু ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন - ‘কোন শুয়োরের বাচ্চা  ছাদে উঠেছে রে?’ 

ওপর থেকে জবাব এল, ‘গালাগালি করে কে রে?’

মিন্টু ঘোষ আবার বললেন - 'বেশ করেছি গালাগালি করেছি। তুই কী করবি রে বোকা**  হারামির বাচ্চা?’ 

‘দেখুন, ভদ্রলোক মানুষ, মুখ খারাপ করবেন না। 
আমি নেমে আসলে কিন্তু অবস্থা খারাপ করে ফেলব!' 

জবাব এল আত্মহননকারীর কাছ থেকে।

মিন্টু ঘোষ এবার আসল বোমাটা ছাড়লেন - ‘তোর এত বড় সাহস, আমাকে হুমকি দিস! কুত্তার বাচ্চা, সাহস থাকলে সামনে আয় খা**র ছেলে।’ 

ব্যস, এতেই কাজ হলো। আত্মহননকারী আত্মহত্যার চিন্তা বাদ দিয়ে মিন্টু ঘোষ কে ধরতে সিঁড়ি দিয়ে হড়হড় করে নামতে শুরু করল। 

এই ফাঁকে মিন্টু বাবু দিলেন দৌড়।
🕺🕺🕺🕺🕺🕺🕺

সেই আত্মহননকারী আজও বেঁচে আছে। মিন্টু ঘোষকে উপযুক্ত  শিক্ষা না দিয়ে সে মরবে না বলে পণ করেছে।
😡😡 😠😠

Moral: *গালাগালি দিয়ে যদি ভালো কিছু হয়, তবে গালাগালিই ভালো😉😘*

Friday, 30 July 2021

তালার নিরাপত্তা

এক ভদ্রলোক ঘরের নিরাপত্তার জন্য একটা তালা কিনতে দোকানে গিয়ে বললেনঃ এই তালাটার দাম কত ভাই? বিক্রেতাঃ এটা জাপানি তালা। দাম মাত্র ৩৫০০/- টাকা।

ভদ্রলোক দাম শুনে দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন দেখে বিক্রেতা বললোঃ

কি ভাই তালা নেবেন না?

ভদ্রলোকঃ না ভাই,আমার দারোয়ান নেই।

বিক্রেতাঃ দারোয়ান দিয়ে কি হবে?

ভদ্রলোকঃ বুঝলেন না, ৩৫০০/- টাকার তালা পাহারা দেবে কে? আগে দারোয়ান ঠিক করি, তারপর তালা। 😒

ভোলাভালা

বিয়ের প্রায় পনেরটি বছর পর আজ গিন্নি হঠাৎই ইমোশনাল হয়ে বললো, "তুমি কিন্ত একটুও বদলাওনি, সেই একই রকম ভোলাভালা শান্তশিষ্ট প্রথম দেখা দিনটির মতন!"

আমি উদাস হয়ে বললাম, "যো রহিম উত্তম প্রকৃতি, কা করি সক্ত কুসংগ। চন্দন বিষ ব্যাপত্ নহি, লিপটে রহি ভুজঙ্গ।।"

গিন্নি আহ্লান্দী হয়ে বললো, "বাংলায় বলোনা গো!"

রহিম বলছে, "যেমন সাপ জড়িয়ে থাকলেও চন্দন গাছের কোন ক্ষতি হয় না, সেরকম উত্তম প্রকৃতির মানুষের ওপর কুসঙ্গ কোন প্রভাব ফেলে না!"

চোয়ালে বরফ ঘষছি। রাতে রুটিও বোধহয় চিবুতে পারবো না! 😭

সম্পত্তি

   ♦এক বৃদ্ধ হাসপাতালে তার শেষ নিশ্বাস নিচ্ছিল ৷ বেডের পাশে একজন নার্স, তার স্ত্রী, 
দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল৷
   ♦বৃদ্ধ বড় ছেলেকে বলল- "বাবা,আমিতো আর বেশিক্ষণ বাঁচবো না৷ তাই ভুবনডাঙ্গার১৫টি বাড়ি তুই নে ৷"
   ♦মেয়েকে বলল- "রতন পল্লীর ১৭টি বাড়ি তুই নে ৷"
   ♦ছোটো ছেলেকে বলল- "তোকে তো আমি খুব ভালোবাসি তাই শ্যামবাটির ২০টি বাড়ি তোর৷"
   ♦স্ত্রীকে বলল- "আমার যাবার পর কারো কাছে তোমাকে হাত পাততে হবেনা ৷ তাই বসুন্ধরার ১০টি ফ্ল্যাট তুমি রাখো৷"
   ♦তখন নার্স তার স্ত্রীকে বলল- "আপনি কত ভাগ্যবান আপনার স্বামী আপনাদের জন্য কত সম্পত্তি দিয়ে যাচ্ছেন৷".......
   ♦স্ত্রী বললো- "কিসের সম্পত্তি! ও দুধওয়ালা!! বাড়ি বাড়ি দুধ দেয়। সকলের দুধ দেয়ার Duty ভাগ করলো!!!"......
   ♦নার্সের এখনও জ্ঞান ফেরেনি.

Thursday, 29 July 2021

স্ট্রোক সনাক্তকরণ

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিকষ আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।
মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো- তার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক হয়েছিল। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভারসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটে মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।
স্ট্রোককে চিনুন...
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R... পড়ুন এবং জানুন!
মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।
সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile. রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk. রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।
এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো। সুতরাং, আপনি শিখলেন- আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান..!!

Wednesday, 28 July 2021

এত রাতে

বন্টু মদ খেয়ে বেশি রাত করে যখন বাড়ি ফিরে দেখলো টুনি দরজা কিছুতেই খুলতে চাইছে না!

বন্টুঃ ও গো দরজাটা খুলো.

টুনিঃ লজ্জা করেনা তোমার, রাত বিরেতে ছাই-পাস গিলে এসেছো? আজ বাইরেই থাকো, নয়তো যেখান থেকে গিলে এসেছো সেখানেই যাও,আমি দরজাখুলবই না।

বন্টু অনেক কাকুতি মিনতি করলো তাও দরজা খুললো না।শেষে বল্ট টুনিকে হুমকি দিল বললো

বন্টুঃ যদি দরজা না খুলো তো আমি কিন্তু পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মরে যাবো।

ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ভাবলো ওষুধে কাজ হয়েছে, . কিন্তু !! কিছুক্ষণ পর ওই টুনি বলে উঠলো টুনিঃ তুমি যাই করো আমার যায় আসেনা,আজ তোমার ঘরে আসা বন্ধ।

বন্টু চুপচাপ করে ঘরের এক পাশে অন্ধকার জায়গায় গিয়ে লুকিয়ে একটু অপেক্ষা করলো,

কিন্তু টুনি দরজা খুললো না। তখন একটা ইট তুলে ছুড়ে দিল পুকুরে,আর অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে রইলো।

এদিকে টুনি শুনতে পেলো জলে কিছু পড়ার আওয়াজ! সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে ছুটে গেল পুকুর পাড়ে। ঠিক সেই সুযোগে বল্ট ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। টুনি অনেক ধাক্কা দিল কিন্তু বল্ট দরজা খুললো না।

তখন টুনি খুব রেগে বললো-

টুনিঃ তুমি দরজাখুলবে, না আমি চেঁচিয়ে লোক ডাকবো?

বল্টুঃ একটু জোরে জোরে চিল্লাও যাতে করে বেশি লোক ঘুম থেকে উঠে চলে আসে, তারপর আমি তাদের সামনে তোমার কাছে জানতে চাইবো যে এতো রাতে তুমি কোথায় গিয়েছিলে? তাও আবার

নাইট ড্রেস পরে ....

🤣🤣🤣

দুধ, ক্ষীর আর ছানার সম্পর্ক

দুধ, ক্ষীর আর ছানার মধ্যে কী সম্পর্ক জানেন?

দুধ খেতে খেতে সঠিক জায়গায় ক্ষীর ঢালতে পারলে ছানা তৈরী হওয়ার সম্ভবনা বেশ ভালোই থাকে।

ভারতীয় বিমান পরিষেবা

ভারতীয় বিমানের ফ্লাইটে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে টয়লেটে বসিয়ে বললেন,

তুমি টয়লেট করো, আমি পাঁচ মিনিট পর আসছি।

কিন্তু বাচ্চাটা ২ মিনিট পরই টয়লেট থেকে বের হয়ে ওর মা-এর কাছে না গিয়ে ভুল করে উল্টো দিকে চলে গেল।

এদিকে প্রথমবার প্লেনে চড়ে বিজয় বাবু বিদেশ যাচ্ছিলেন, তিনি টয়লেটে ঢুকলেন।

পাঁচ মিনিট পর বাচ্চার মা এসে দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ করছেন আর বলছেন,

হয়ে গেছে নাকি?

তাহলে দরজা খোলো, আমি তোমাকে ধুইয়ে দিয়ে প্যান্ট পরিয়ে দেবো।

টয়লেটের ভিতর থেকে বিস্মিত বিজয় বাবু ভাবছেনঃ

উফ্:.....

একেই বলে সার্ভিস!

কে বলে ভারতীয় বিমানের সার্ভিস খারাপ?

🤣🤣🤣

Monday, 26 July 2021

বান্ধবী

পচার বউয়ের বান্ধবী এসেছিলো ঘরে। পচা বান্ধবীকে অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলো, তখন হঠাৎ প্রেশারকুকারের ১০টা সিটি বেজে উঠলো।

পচাঃ যাও রান্নাঘরে গিয়ে দেখো ডাল হয়তো পুড়ে গেছে।

পচার বউঃ ডাল পুড়লে পুড়ক চলবে,তবুও আমি তোমার ডাল এখানে গলতে দেবোনা।
🤣🤣🤣

সাইকোলজি

১. সেদিন স্টাফরুমে বসে আছি, মাথার ওপর ফ্যান চলছে মিডিয়াম স্পিডে৷ হঠাৎ বাইরে প্রবল বৃষ্টি এল, একজন বললেন, 'দীপেন, ফ্যানটা একটু কমা দিখি! ঠান্ডা লাগছে বিরাট'! আমি উঠে গেলাম ফ্যানের রেগুলেটারের কাছে, রেগুলেটারে হাত দিলাম কিন্তু স্পিড কমালাম না! জাস্ট রেগুলেটারে হাত ছুঁইয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, 'ঠিক আছে? নাকি আরেকটু কমাবো?' তিনি বললেন, 'না না, এটা ঠিক আছে, থাক! এবার ভাল্লাগছে'৷ ঠিক একই অনুরোধে, মানে ফ্যানের স্পিড কমানোর অনুরোধে পরের একদিন রেগুলেটারে হাত রেখে স্পিড অল্প বাড়িয়ে দিলাম, মানে রেগুলেটারটা একদম একটু খানি ডানদিকে ঘুরিয়ে দিলাম(ধরুন ৪ এ ছিল, আমি ৪.২ করলাম)! তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, 'কমেছে? এটা ঠিক আছে?' তিনি হেসে বললেন, 'হ্যাঁ ভাই, এবার ঠিক আছে'৷

২. সেদিন বাইকে করে ফিরছি, ফাঁকা রাস্তা দেখে স্পিড মোটামুটি সত্তর পার করেছি৷ পিছনে যিনি বসেছিলেন, তিনি বললেন, 'এত জোরে চালাস না, একটু আস্তে চল'! আমি বললাম 'ঠিক আছে, কমাচ্ছি থামো' এই বলে স্পিড সত্তর থেকে বাড়িয়ে ৭০.১ এর মত করলাম, জিজ্ঞাসা করলাম 'ঠিক আছে এবার'? পিছনের তিনি জবাব দিলেন, 'হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে৷ এত জোরে কেউ বাইক চালায়, একটু কমই ভালো'৷

৩. পিকনিক হচ্ছে, চিকেন বসিয়েছি কড়াইয়ে৷ রান্নার মাঝে একজনকে ডেকে অল্প ঝোল বাটিতে তুলে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, 'নুন ঝাল সব ঠিক আছে কিনা দেখ তো'! সে ঝোল মুখে নিয়ে স্বাদ সম্পর্কে বেশ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বলল, 'নুন একটু লাগবে বুঝলি, অল্প দিয়ে দে'! আমি নুনের প্যাকেটের দিকে হাত বাড়িয়ে সেই হাত কড়াইয়ের ওপর নিয়ে এসে জাস্ট আঙুলগুলো নেড়ে দিলাম, না নুনের একটা দানাও নিইনি দিইওনি ঝোলে৷ তারপর সেই ঝোলটাই আবার বাটিতে তুলে তাকে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এবার ঠিক আছে কিনা, সে দ্বিতীয়বার ঝোলের স্বাদ পরীক্ষা করে বলল, 'হ্যাঁ, এবার পারফেক্ট আছে! দারুণ লাগছে'!

এরকম প্রতিদিন হাজারো ঘটনা নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা চলে, প্রতিদিন নানান রেজাল্ট পাই!

কিন্তু এই ব্যাপারগুলো কেন ঘটে, সেটা খুঁজে পাইনি৷ আজ হঠাৎ গ্যাঁড়ার সাথে ভরদুপুরে বসে ছিলাম, ব্যাপারটা বোঝাচ্ছিলাম ওকে, তারপর জিজ্ঞাসা করলাম 'ভাই, কেন এরকম হয় বলতো? মানুষ এত বোকা কেন!!'

ব্যাটাচ্ছেলে মুচকি হেসে বলল, 'মাষ্টার! আজ সকালে মাছ কেনার সময় যখন তোর মাছের দাম হল ৩৭৮টাকা, তুই যখন মাছদিদিকে ৫০০ টাকার নোট দিল আর দিদি বাকি টাকা ফেরৎ দিল খুচরো কয়েন আর নোট সমেত, তখন কি তুই দোকানে দাঁড়িয়ে টাকাটা গুনে হিসেব করে পকেটে ঢুকিয়েছিলি?' আমি বললাম, 'না'! গ্যাঁড়া হেসে ফেলল, 'ভাই তুইও তো তাহলে বোকা'! মাথা নিচু করলাম, সত্যিই তো, আমিও তো বোকা!! সে হেসে বলল, 'মাস্টার, তুই যেটাকে বোকা বলে ভাবছিস, আসলে সেটা বিশ্বাস, সেটা ভরসা, ভালবাসা, স্নেহ, প্রশ্রয়...., সেটা আসলে আরও অনেক কিছু যেটা তোর সাইকোলজির কোন চ্যাপ্টারেই ডিফাইন করা নেই! ডিফাইন করা সম্ভবও নয়৷ যেদিন এই সিচুয়েশনগুলোর ডেফিনেশন আবিষ্কার হবে, ফর্মুলা আবিষ্কার হবে, প্রসিডিওর আবিস্কার হবে, সেদিন বরং সত্যি সত্যিই একে অপরকে 'বোকা' ভাবার অবকাশ পাবি! দে, তিরিশটা টাকা দে....'

কাজের ফোন

বাড়ির ফোনের বিল সাংঘাতিক বেশি আসায় গৃহকর্তা বাড়ির সবাইকে বললেন,"আমি বেশিরভাগ ফোনই অফিস থেকে করি, বাড়ির বিল তবুও এত বেশি আসে কী করে??"

স্ত্রী বললেন, "আমিও তাই । কোম্পানির ফোনেই আমার কাজ মিটে যায়।"

ছেলে বলল,"অফিসের ফোন ব্যবহারের পর আমারও তো বাড়ির ফোন ব্যবহারের তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না।"

ঘরভর্তি লোকের চোখ এরপর গিয়ে পড়ল একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা পরিচারিকার ওপর। সে এতক্ষণ নির্বিকারভাবে সব শুনছিল । ততোধিক নির্বিকার স্বরে সে এবার বলে উঠল, "তো? সবাই -ই তো দেখছি কাজের জায়গার ফোন ইউজ করে! আমি করলেই দোষ?"

Sunday, 25 July 2021

শতবর্ষ বৃদ্ধ

প্রায় শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই এক বৃদ্ধকে মদ্য পান দেখে এক যুবক বলল, আপনি এই বয়সে এ সব খাচ্ছেন? প্রেসার বাড়বে, লিভার খারাপ হয়ে যাবে, ডায়াবিটিসে কষ্ট পাবেন। বৃদ্ধ বললেন কি করি বাবা। না খেয়ে থাকতে পারি না।

আপনাকে কেউ কোনদিন বারণ করেনি? কি আর বলি বাবা। যারা বারণ টারণ করত তাদের কেউই আজ আর বেঁচে নেই। অনেকদিন পর এই তুমিই আজ বারণ করলে| সাবধানে থেকো বাবা!! 
😂😂😂

Saturday, 24 July 2021

শুদ্ধ বাংলা

দোকানদার দোকানের সাইনবোর্ডে লিখে রেখেছেন—'গ্রাহক দোকান থেকে জিনিস কেনার সময় একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করলে তাকে আমরা ২৫% ছাড় দিচ্ছি।'

লেখাটা পড়ে আমাদের পচা দোকানে গিয়ে বলল —"ভাই, দুখানা সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম বিষানুগমনাগমন নির্গমন অবরোধক মুখ-ওষ্ঠ-নাসিকাদি রক্ষার্থে কর্ণদ্বয় কর্তৃক সমর্থিত বস্ত্রখন্ড' দিন।"

দোকানদার তার কথা শুনে বলল—"আপনাকে আমি ৫০% ডিসকাউন্ট দেব। দয়া করে ইংরাজিতেই বলেন কী লাগবে?"

পচা হেসে বলল— *"দুটো মাস্ক দিন।"*

রাজুর বাচ্চা

রাজুর 4টে বাচ্চা। একদিন কাগজে রাজু দেখল যে, সরকার ঘোষনা করেছে, যার পাচটা বা তার বেশী বাচ্চা আছে তাকে প্রতি মাসে সরকার 20000 টাকা দেবে। রাজু তখন তার বউকে খবরটা দেখাল আর বলল, তুমি যদি কিছু মনে না কর, তো একটা কথা বলব ?

বৌ – বলো, কিছু মনে করব না।

রাজু - দেখো, আমার প্রেমিকার কাছে আমার একটা বাচ্চা আছে, তুমি বললে আমি নিয়ে আসব, আর আমাদের পাচটা বাচ্চা হয়ে যাবে। 20000 টাকা করে মাসে মাসে পাব।

বউ বলল – যাও ...

রাজু বাচ্চা নিয়ে ফিরে এসে দেখল ... তার ঘরের দুটো বাচ্চা গায়েব। রাজু বৌকে জিজ্ঞাসা করল, ব্যাপার কি বৌ বলল, যার বাচ্চা ... সে নিয়ে গেছে। কারণ, খবরের কাগজ তো তুমি একা পড়োনি।

স্বামী স্ত্রী সংবাদ

একজন মহিলা তার অসুস্থ স্বামীকে চিকিৎসার জন্য এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেন।

রোগীর উপযুক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক মহিলাটিকে বললেন- ওনাকে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ দেবেন ও হাসিখুশি মেজাজে রাখবেন। ওনার সঙ্গে ঝগড়া মারামারি করবেন না। দুপরে খাওয়ার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করবেন আর আপনার সমস্যার কথা ওনাকে বলবেন না। টেলিভিশন দেখা ও ফেসবুক করা বন্ধ রাখবেন। কখনো টাকা পয়সা ও নতুন গয়না গাটির জন্য দাবি জানাবেন না । যদি এক বছর এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন তবে আপনার স্বামী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন।

চিকিৎসকের চেম্বার থেকে ফেরার পথে স্বামী ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন - ডাক্তারবাবু কি বললেন?

স্ত্রী গম্ভীর স্বরে বললেন- তোমার রোগ এ জীবনে সারবে না।😂😂😂

আম চোর

আম চুরি করতে একটি ছেলে গাছে উঠেছে। গাছের মালিক হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলল। 'ওই বদমাশ, আমার আমগাছে কী করছিস? 'ইয়ে... আঙ্কেল... মানে 
কয়েকটি আম মাটিতে পড়েছিল, ওগুলো গাছে তুলে রাখছি।😂😂😂

ডাক্তারি

একটি অসাধারণ সুন্দরী যুবতী একটা ওষুধের দোকানের সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল।
মনে হচ্ছিল যেন সে দোকানের ভীড় কমার অপেক্ষায় ছিল।
দোকানের মালিক তার দিকে বেশ কৌতূহলের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল মাঝে মাঝে।
ভাবছিল, সে এমন কিছু জিনিষ কিনতে এসেছে যেটা নিতান্ত গোপনীয়?
কারুর সামনে সে বলতে বোধহয়  তার লজ্জা বোধ করছে!
ভেবেই যাচ্ছে আর নিজেও চাইছে যেন ভীড়টা তাড়াতাড়ি কমে যায়।
ওষুধের বিক্রী কমে কমুক, সুন্দরী যুবতীটির কী প্রয়োজন আর সেটা সে মেটাতে পারবে কিনা, সেই ভেবেই তার হাঁকপাকানি অবস্থা।
যাই হোক, অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর অবশেষে দোকানটা একটু ফাঁকা হল।
কোন গ্রাহকই আর ছিলনা।
মেয়েটি দোকানে ঢুকল আর মালিককে একটু আস্তে ঈশারায় ডাকল।
একেবারে মৃদু সুরে সলজ্জ ভঙ্গীতে একটা কাগজ দোকানের মালিকের দিকে এগিয়ে দিল।
আর অতি সুরেলা ভঙ্গীতে, প্রায় ফিসফিস করে বলল...
“কাকু, আমার না........
আমার না .......কি যে বলি.....
আমার না এক ডাক্তারের সঙ্গে বিয়ে পাকা হয়ে গেছে।
আর আজ না ওনার প্রথম চিঠি পেয়েছি।
ডাক্তারদের হাতের লেখা তো আপনারাই পড়তে পারেন!
তাই একটু এটা পড়ে শোনাবেন  প্লিজ?
আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা কাকু ।

বন্ধুত্ব

বিলুর ছোটবেলা থেকেই ভয় যে তার খাটের নিচে বোধহয় কেউ লুকিয়ে আছে।

শেষ পর্যন্ত এক মনোবিদের কাছে গেল সে। "আমার একটা সমস্যা আছে। যখনই শুতে যাই, আমার মনে হয় কেউ যেন আমার খাটের তলায় লুকিয়ে রয়েছে। ভয়ে ঘুম হয় না। মনে হয় আমি পাগল হয়ে যাব।"

মনোবিদ বললেন "চিন্তার কোনও কারণ নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু একটু সময় লাগবে।"

"কত সময় লাগবে"?

"তা ধরুন বছর খানেক। আপনি সপ্তাহে তিনদিন করে আমার কাছে আসবেন, আমরা শুধু কথা বলব। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ভয় হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে।"

"আপনার ফি কত?"

"২০০০ টাকা প্রতি সেশন।"

বিলু নমস্কার জানিয়ে চলে এলো।

এর ছয় মাস পরে একদিন রাস্তায় বিলুর সঙ্গে সেই

মনোবিদের হঠাৎ দেখা।

"কি ব্যাপার, আপনি আর এলেন না কেন?"

বিলু বলল "প্রতি দর্শনে ২০০০ টাকাটা অনেক বেশী মনে হল। বছরের শেষে সেটা লাখ টাকায় দাঁড়িয়ে যেত। আমার এক বন্ধু মাত্র একটা Egg Roll পারিশ্রমিক নিয়ে আমার ভয় সারিয়ে দিয়েছে।"

মনোবিদ বেশ ক্ষুন্ন হয়েই বললেন, "আচ্ছা ? তা কিভাবে সারালেন তিনি আপনার রোগ?"

"সহজ রাস্তা। পুরো Egg Roll টা শেষ করে ও আমাকে বলল খাট বেচে দিয়ে মেঝেতে তোষক পেতে শুতে।"

নীতিশিক্ষা:

আগে বন্ধুর সঙ্গে কথা বল।

বন্ধুদের কাছে সব সমস্যারই সহজ সমাধান আছে। দেখা হওয়া, কথা বলা জরুরী। তাই দূরে থাকুন কিন্তু touch এ থাকুন।

ফ্রী এর অফার

দরজা খুলতেই দেখা গেলো প্রতিবেশি সুন্দরী ডিভোর্সি মহিলা সেজেগুজে অপ্সরা রূপে দন্ডায়মান!

মহিলাটি বললো - একাকীত্ব আর সহ্য হচ্ছে না... আমারও ইচ্ছে করছে নাইট ক্লাবে গিয়ে ড্রিঙ্কস, ডান্স ও ডিনারের সাথে life enjoy করতে.... আপনি কি আজ রাত free আছেন? 😀😀

হৃদপিন্ডের দ্রুত স্পন্দন সংযত করে লাজুক মুখে ভবেশবাবু বলে দিলেন হ্যাঁ -😍

মহিলাটি বললো- গুড.... তাহলে আজ রাত আমার বাচ্চাটাকে একটু খেয়াল রাখবেন প্লিজ, আমি ভোরবেলা চলে আসবো! 😁😁

Note - Please read the instructions carefully before saying " Yes".. All free offers come with hidden terms and conditions.😂😂😂

বেতন

Sir, আমার বেতন বাড়ান।

Boss : সম্ভব না।

- তাহলে আগামীকাল থেকে আমাকে

বিকাল ৫ টার পর ছুটি দিতে হবে!

Boss : কেন?

- আমি সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাতে, অটো রিকশা চালাবো।

কারণ, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই

বেতন দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।

Boss : Ok, তবে অটো চালাতে চালাতে মধ্যরাতে যদি তুমি ক্ষুধার্ত হয়ে যাও,

শ্রীরামপুর রেলস্টেশনের দক্ষিন পাশে আইসো! -কেন?

Boss : মধ্যরাতে আমি ঐখানে পরটা

তরকারি বিক্রি করি! 😂😂😂

Monday, 19 July 2021

সাহচর্যের প্রভাব

1. স্ত্রীর পাশে 1-মিনিট বসুন
বুঝতে পারবেন জীবন বড় কঠিন.
2. 2-মিনিট মাতালের কাছে বসুন
আপনি বুঝতে পারবেন জীবন খুব সহজ।
3. সাধুদের সাথে 3-মিনিট বসুন
আপনার সবকিছু দান করে অবসর নিতে ইচ্ছে করবে।
4. রাজনীতিবিদের সাথে 4-মিনিট বসুন
বুঝবেন আপনার পড়াশুনা সব বেকার।
5. একজন জীবন বীমা এজেন্টের সাথে 5-দশ মিনিট বসুন
বুঝবেন বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
6. একজন ব্যবসায়ীর সাথে 6-মিনিট বসে থাকুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনার উপার্জন কিছুই না।
7. একজন বিজ্ঞানীর সাথে 7-মিনিট বসুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মধ্যে খারাপটা আপনার অজ্ঞতার কারণে।
8. একজন ভালো শিক্ষকের সাথে 8-মিনিট বসুন
আপনি একজন ছাত্র হয়ে ফিরে আসতে চাইবেন।
9. একজন কৃষক বা শ্রমিকের সাথে 9-মিনিট বসে থাকুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন না।
10. একজন সৈনিকের সাথে 10-মিনিট বসুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কাজ এবং ত্যাগ অত্যন্ত ঘৃণ্য।
11. অর্থীকে নিয়ে দশ এগারো-মিনিটের জন্য শ্মশানে যান
মনে হবে জীবনের সবই মায়া, হাল ছেড়ে দিন।
12. কিন্তু একজন * প্রকৃত বন্ধু ইতিবাচক ব্যক্তির সাথে দশ-মিনিট বসুন
এবং মনে হবে আপনার জীবন স্বর্গের চেয়েও সুন্দর।

 🙏

খুঁটি

কোনো গাধাকে খুঁটোর সঙ্গে বেঁধে রাখলে,, গাধাটি মেজাজ হারিয়ে,, খুঁটো উপড়ে নিয়ে,, কোথাও পালিয়ে যেতে পারে।। 

এমন ঘটনার হাত থেকে নিস্তার পেতে,, বহু যুগ আগে,, মানুষ একটি নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে।। 

খুঁটোর পরিবর্তে,, দুটো গাধাকে পরস্পরের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হতো।। গাধার চরিত্র হলো ভিন্নধর্মী।। একটা গাধা উত্তর দিকে যেতে চাইলে,, অন্যটা দক্ষিণ দিকে যাবে।। 

এক গাধা ছুটে পালাতে চাইলে,, অন্য গাধা 
ধুপ করে বসে পড়বে!!

বুদ্ধিমান মানুষ,, দুটো গাধাকে এক দড়িতে বেঁধে রাখার এই পদ্ধতি অবলম্বন করে,, গাধা পালানোর হাত থেকে রক্ষা পেতে থাকে।।

*

*

*

*

*

কথিত আছে যে,, 
এই পদ্ধতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে,, আমাদের পূর্বপুরুষদের,, বিবাহের কথা 
মাথায় আসে ।।

😀😀😀😀😀😀

সোনার মালিক

এক দম্পতি নিজের সদ্যোজাত ৩ কিলো ওজন সন্তানের জন্য খুবই খুশী এবং সদ্যোজাত ছেলেটির নাম রাখলেন "সোনা"

সেন বাবু এই আনন্দ সামলাতে না পেরে সোজা পত্রিকার এডিটরকে জানালেন যে তিনি ৩ কিলো ওজনের সোনার মালিক হয়েছেন। 

আর কি..!!
এই রকম একটা অতি বিশিষ্ট রোমাঞ্চকর সংবাদ শুনে এডিটর নিজের বিশেষ সাংবাদিককে "সেন বাড়ী"তে ইন্টারভিউ নেবার জন্য পাঠিয়ে দিলেন..।

যখন সাংবাদিক পৌঁছালেন,
সেন বাবু বাইরে গিয়েছিলেন এবং গিন্নী একলা ঘরে ছিলেন।
সাংবাদিক :- মিঃ সেন বাবু কি এখানে থাকেন??
গিন্নী :- হ্যাঁ।
সাংবাদিক :- উনি কি বাড়ি আছেন?
গিন্নী :- না, উনি বাইরে গেছেন।
সাংবাদিক :- এটা কি সত্যি যে উনি ৩ কিলো ওজনের সোনার মালিক হয়েছেন ?
গিন্নী :- (মজা টি বুঝতে পেরে) হ্যাঁ, তাইতো।
সাংবাদিক :- আমি কি ওই জায়গাটি দেখতে পারি যেখান থেকে এটি পাওয়া গেছে ?
গিন্নী :- আমি দু:খিত, কারণ সেন বাবুর আপত্তি আছে। তাছাড়া জায়গাটি খুব গোপনীয়।
সাংবাদিক :- জায়গাটি কি অনেক দূরে ?
গিন্নী :-  না, খুবই কাছে এবং সহজেই যাওয়া যায়।
সাংবাদিক :-  কত বছর ধরে মিঃ সেন বাবু এই গর্তে খোড়া খুড়ি করছিলেন?
গিন্নী :- এই প্রায় ২ বছর হলো।
সাংবাদিক :- গর্ত টি কি খুব গভীর ?
গিন্নী :- বলতে পারেন...
সাংবাদিক :- কোন সময় মিঃ সেন বাবু সচরাচর খোড়া শুরু করেন ?
গিন্নী :- উনি বেশিরভাগ সময় রাতেই খুঁড়তেন, সময় পেলে দিনেও খুঁড়তেন।
সাংবাদিক :- উনি কি এর উপর খুব পরিশ্রম করেন?
গিন্নী :- সে আর বলতে!! কি ঘাম ই না হয়।
সাংবাদিক :- মিঃ সেন বাবুই কি প্রথম খোড়েন ?
গিন্নী :- এর আগেও দু/চার জন খুঁড়েছিলেন তাঁরা কিছুই পাননি!
সাংবাদিক :- আপনি কি করে জানেন যে আর কেউ ওনার আগে খুঁড়েছিলেন ?
গিন্নী :- আমি ভাল করে বলতে পারি কারন ওটি আমার জায়গা।
সাংবাদিক :- ওহঃ!! বুঝলাম, কিন্তু আপনি কি জায়গাটি মিঃ সেন বাবুর কাছে বেচে দিয়েছেন?
গিন্নী :- না, কিন্তু আপাতত উনিই আইনত জায়গাটির মালিক।
সাংবাদিক :- মিঃ সেন বাবু কি এই কাজে কারোর সাহায্য নেন?
গিন্নী :- হ্যাঁ, আমি ওনার নিচে কাজ করি....
সাংবাদিক :- কখনও আপনার মনে হয় উনি জায়গাটি বেচে দিতে পারেন ?
গিন্নী :- আমার মনে হয়না কারন উনি খুব উপভোগ করেন এর উপর কাজ করতে।
সাংবাদিক :- আমি কি ওই ৩ কিলো ওজনের সোনাটি দেখতে পারি একটু ?
গিন্নী :- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই......
গিন্নী রিপোর্টারকে সদ্যোজাত শিশুটি দেখালেন...
সাংবাদিক মৃত প্রায়.....😂😂😂

Tuesday, 13 July 2021

টিভি সিরিয়াল

বেশ কয়েকদিন আগের কথা, এক পরিচিতের  বাড়িতে গিয়েছি মায়ের সাথে। সন্ধ্যা সাতটা, টিভিতে তখন যথারীতি পাড়া কাঁপানো সিরিয়াল "শ্রীময়ী" চলছে। কাহিনীটা সবাই জানেন। সিরিয়ালে শ্রীময়ী একজন মধ্যবয়সী মহিলা,বড়বড় তিন ছেলেমেয়ের মা। স্বামী এই বুড়োবয়সে ডিভোর্স দিয়ে অফিসের কলিগ জুনকে বিয়ে করেছে। এইদিকে শ্রীময়ীর পুরোনো প্রেমিক আর চরম হ্যান্ডসাম সাথে বড়লোক রোহিত সেন রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানে বিপদে পড়বে আমাকে স্মরণ করিবে,আমি ছুটিয়া জুটিয়া যাইবো টাইপের মহাপুরুষ হয়ে শ্রীময়ীর জীবনে আসে। 
    যাইহোক, তো আমি আর মা যথারীতি বসে আছি সেই আত্মীয়ার বাড়ি।কিন্তু ওনার কথা বলার সময় নেই, যাষ্ট হাঁ করে গিলছেন সিরিয়াল। ব্যাপারটা এই, "তোমরা এই টাইমে যখন এসেছো তখন বসতে হবে বাপু। আগে শ্রীময়ী তারপর অন্য কিছু। বাকি দুনিয়া যায় ভার মেঁ। "
    হঠাৎ চিৎকার " যা যা চলে যা, চলে যা। ওরা তোকে কিছুই দেবেনা। চলে যা ওর সাথে, নিজের মতো করে বাঁচ। আমরা তো আর পারলামনা। "
   মা ফ্যালফ্যাল করে মহিলার দিকে তাকিয়ে। পিলে চমকে উঠেছে আমার তখন, কোথায় যাবো? কেন যাব? কার সাথে যাব? নিজের মতো বাঁচবো শুনলে মাবাবা দূর করে দেবে বাড়ি থেকে ভেবে ভেবে আমি তখন আকুল যখন মহিলা টিভিতে বিজ্ঞাপনের বদন্যতায় অমায়িক স্বরে জানালেন " শ্রীময়ীকে বলছিলাম। রোহিত সেনের সাথে নতুন করে সংসার করো। কেন সমাজের কথা ভেবে নিজেকে কষ্ট দেবে? "
   মায়ের রিয়্যাকশন জানিনা। আমি তো বস পারলে মহিলাকে জড়িয়ে ধরি, কিন্তু খারাপ দেখায়। উফ্ উফ্  কি উচ্চমানসিকতা! যদি শ্রীময়ী দেখে এমন সমাজের উন্নতি হয় তো আমি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন রাখতেও রাজি যাতে টিভিতে ২৪ঘন্টা শ্রীময়ী চলে দেশ ও দশের উন্নতির জন্য। 
     কিন্তু, কিন্তু। কাহানী মেঁ টুইস্ট আসলো কয়েকমাস পরে।এইবার তিনি এসেছেন আমাদের বাড়ি, আমি তো উনাকে নিজের রোল মডেল ভেবেই নিয়েছি ততদিনে। একথা সে কথায় হঠাৎ শুনি বলছেন "জানো বৌদি আমাদের পাশের বাড়ির অল্পবয়সী ডিভোর্সী মেয়েটার কথা বলেছিলাম না? ছোটো একটা বাচ্চা আছে যার? কি বলবো রোজ বাড়িতে একটা ছেলে আসে, বলে দু সম্পর্কের দাদা। দাদা না ছাই! ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি চরিত্র দেখেছো? এমন মেয়ের স্বামী টিকবে কি করে বলো? "
      আমার কথা আর কিচ্ছু কানে যাচ্ছেনা। মানে? এই তো কদিন আগে শ্রীময়ীকে মুভ অন করতে বলছিলো, যেই নিজের পরিচিতের মধ্যে ঘটলো অমনি ১৮০ ডিগ্রি পাল্টি?how??!!! 
    ঐদিন একটা কথা বুঝেছিলাম। মানুষ সিনেমা সিরিয়াল দেখে যে ঘটনায় বাহবা দেয়? ঠিক সেই ঘটনাটাই যদি ঘটে বাস্তবে? মানতে পারেনা। 
    আচ্ছা আরেকটা বিখ্যাত সিরিয়াল হলো খড়কুটো।কাহিনী কিছুই না, বড়লোকের বিশ্বন্যাকা( যে নাকি বায়োলজিক্যালি কি করে মানুষ প্রেগন্যান্ট হয় তাও জানেনা। ভাবে মানুষ গাছে হয়।)বিগড়ে যাওয়া ফেল করা এক মেয়ের বিয়ে হয় সায়েন্টিস্ট এক মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলের সাথে। সেই বাড়ির লোকের ওদের ঘরে আড়ি পাতা ছাড়া কোনো কাজকর্ম নেই, আর ছোটো পোশাক গায়ে শ্বশুরবাড়িতে মেয়েটা আলফাল  কথা বলে বেড়ায়।আর শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে মাথায় তুলে নাচে। এই সিরিয়ালের ন্যাকা নায়িকা মানে গুনগুনকে দেখে আমার বাড়ির লোক অবদি পাগল। আমি ভাবি অন্য কথা, আচ্ছা ধরুন আপনি মধ্যবিত্ত মফস্বলের মানুষ। ছেলের বৌ হটপ্যান্ট পরে বাড়িতে ঘোর,আপনি এতটাই মুক্তমনা তো যে মেনে নেবেন? আর বাড়ির বৌ এর কোনো দোষ না দেখে মাথায় তোলা?? এও হয়???!!!  আমার এক পরিচিত কাকিমা  শুনেছি এই সিরিয়াল না দেখলে অন্নস্পর্শ করেননা। তাঁরই আবার তাঁর পুত্রবধূর সাথে চরম অশান্তি। কারণ? কারণ একটাই বৌ টি নাকি কাজ করেনা। ইশারা কাফি হেঁ  মেরে দোস্ত। 
    বহু মণিমুক্ত ছড়িয়ে আছে, যা দেখে মানুষ হুটহাট মুক্তমনা হয়ে যাচ্ছে। যমুনাঢাকি না কি যেন! মেয়েটি সারাদিন চরম মেকাপ করে ঢাকা বাজায়।গঙ্গারাম সিরিয়ালে ছেলেটি ধুতিপাঞ্জাবি  গায়ে সরল মন নিয়ে রূপম ইসলামের গান গায় আর বৌ এর হাতে মার খায়। 
     আমি ভাবি অন্যকথা, আমার বাড়িতে খেলাঘর নামক এক দুনিয়া বদলে দেওয়া সিরিয়াল চলে।গুন্ডা নায়ক হুট করে একদিন বিলেত ফেরত এক মামণিকে  রাস্তায় সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে। সেই মেয়ে আবার বস্তিতে থাকতেও চলে এসেছে, একফোঁটা ইংরেজি ওয়ার্ড না বলে। আর সবচাইতে কেলেঙ্কারির কথা হলো গুন্ডা নায়ক নাকি হেব্বি পড়াশুনায় ছিলো। বুকে আঘাত পেয়ে গুন্ডা হয়েছে। বৌদি সিরিয়াল দেখে বলে "দেখ,কি আঘাত পেলো ছেলেটা।আহা "
    সিঁদুর পরানো ছাড়ুন।আমি ভাবছি অন্য কথা, স্ট্যাটাসে একটু কম হলে মানতে পারেননা। এইদিকে আপনার মেয়ে যদি পাকা বাড়িতে কোনও ভালো ছেলেকেও বিয়ে করে চলে যায়, জীবনে মুখ দেখবেন? 
     টিভি সিরিয়াল, সিনেমায় যে চরিত্রগুলোকে আমরা রোল মডেল ভাবি? অ্যাডমায়ার করি?ভালোবাসি? আসল কথা তো এই যে সেই চরিত্র বাস্তব হয়ে আমাদের চারপাশে জীবন্ত হয়ে উঠলে মেনে নিতে পারিনা। সেলুলয়েডের দুনিয়ায় যতটাই  মুক্তমনা, ততটাই একটা অন্ধকূপ মন বাস্তবটাকে মানতে শেখায়নি। আসলে আমাদের সবার মধ্যে দ্বৈতসত্ত্বা  বাস করে। আমরা কল্পনার জগতের মতো যদি বাস্তবেও এতটাই বুঝদার হতাম কত সম্পর্ক হয়তো আজও বেঁচে যেতো, কত মানুষ হয়তো হারিয়ে যেতোনা।টিভি সিরিয়ালকে দোষ দিই আমরা? 
 মাল্টিপ্লেক্সে  প্রাক্তন সিনেমাটা দেখেছিলাম যাদের সাথে তারা তখন সম্পর্কে ছিলো। মনে আছে হলে বসেই বান্ধবীটি নিচু স্বরে বললো "ইগোটা সব শেষ করে দেয় বুঝলি? কাউকে তো এগোতে হবে। নইলে সম্পর্ক টিকবে কি করে? "
     ওদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে একবছর হলো।কম্প্রোমাইজ করা হেরে যাওয়া নয় যাওয়া এই বিখ্যাত ডায়লগ নিজের ছবির ক্যাপশানে রেখেও, কেউ সেদিন একফোঁটা কম্প্রোমাইজ করেনি।

লিপিড প্রোফাইল

একটি সুন্দর গল্প ...
( লিপিড প্রোফাইল কে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ) ...
**********************************

আমাদের শরীর যদি একটা ছোট্ট শহর হয়, তবে এই শহরের প্রধান সমাজবিরোধী হচ্ছে *কোলেষ্টেরল* । এর সাথে কিছু সাঙ্গপাঙ্গ আছে। তবে একেবারে ডানহাত হলো *ট্রাইগ্লিসারাইড* । এদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় রাস্তায় মাস্তানি করে রাস্তা ব্লক করা আর শহরকে ব্যতিব্যস্ত রাখা । 
*হৃৎপিন্ড* হলো এই শহরের প্রাণকেন্দ্র । শহরের সব রাস্তাগুলো এসে মিশেছে সেই প্রাণকেন্দ্রে । সমাজবিরোধীর সংখ্যা বেশী হলে কি হয় আপনারা সবাই জানেন । এরা নিত্য নতুন হাঙ্গামা বাধিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রকে অচল করে দিতে চায় । 
আমাদের শরীর নামক শহরে কি পুলিশ নেই ? যারা মাস্তানদের ক্রসফায়ার করবে , তাদের ছত্রভঙ্গ করে জেলে‌ ভরবে ?
হ্যাঁ, আছে। তার নাম *H D L* এই ব্যক্তি পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানী করা এসব মাস্তানদের রাস্তা থেকে তুলে এনে জেলে ভরে রাখে । জেল মানে *লিভার* । *লিভার* এইগুলোকে বাইল সল্ট বানিয়ে শহরের পয়ঃ নিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে ( পায়খানার সাথে ) শহর থেকে বের করে দেয়। কি অদ্ভুত শাস্তি মাস্তানদের !
আর একজন আছে *L D L*। তিনি‌ আবার ক্ষমতালোভী। তিনি ক্ষমতার জোরে তাদের জেলখানা থেকে তুলে আবার রাস্তায় বসিয়ে দেন। মাস্তানদের মাস্তানীতে পুরো শহরে জ্যাম লেগে যায় । 
*H D L* হায় হায় করে দৌড়ে আসে। কিন্তু সে *L D L* আর মাস্তানদের যৌথ শক্তির সাথে পেরে ওঠেনা। পুলিশের *(H D L*) সংখ্যা যত কমে মাস্তানরা ততই উল্লসিত হয় ।

 শহরের পরিবেশ হয়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর ।

এমন শহর কার ভালো লাগে বলুন ?

আপনি কি মাস্তানদের কমিয়ে পুলিশ বাড়াতে চান ? *তবে হাঁটুন।*
আপনার প্রতি কদমে পুলিশ পোস্টিং *(H D L)* বাড়বে - যত পুলিশ বাড়বে , ততই *Cholesterol* (মাস্তান) *Triglyceride* (মাস্তানের চামচে) , *L D L* ইত্যাদি সমাজবিরাধী কমবে ।

 আপনার শহর *(শরীর)* প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পাবে।
আপনার শহরের প্রানকেন্দ্র *(হার্ট)* মাস্তানদের অবরোধ *(হার্ট ব্লক )* থেকে বাঁচবে । 
আর শহরের প্রানকেন্দ্র *(হার্ট)* সুস্থভাবে বাঁচা মানে আপনিও সুস্থভাবে বাঁচবেন ।

তাই সময় বা সুযোগ পেলেই শুরু করুন 🚶🏾‍♂🚶🏻‍♀🚶🏾‍♂🚶🏻‍♀

Popular Posts