একটা ছেলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। হঠাৎ তার সামনে একটি চীনা ভদ্রলোক গাড়ী চাপা পড়লো। তাকে সবাই মিলে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে যে যার সরে পড়লো, কিন্তু সরলো না ঐ ছেলেটি। তার নাম রতন। রতন সারারাত হাসপাতালে বসে থেকে ভোরের দিকে যখন লোকটির হুঁশ ফিরলো, তখন তাকে দেখতে গিয়ে রোগীর বেডের মাথার কাছে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো।
চীনা ভাষা রতন বোঝে না, কিন্তু চীনা মরণাপন্ন লোকটি বারবার হাতজোড় করে, চোখে জল নিয়ে বলে চললো-- সু তাই কোয়াং তির সাই। কিছুক্ষণ চোখের জলে ভেসে করুণ কন্ঠে এই কথা বলার পর লোকটি চিরকালের জন্য চোখ বন্ধ করলো।
ঘটনাটা এখানেই শেষ হতে পারতো, কিন্তু রতন তো শেষ হতে দিলো না। রতন বিভিন্ন সূত্র জোগাড় করে নিজের টাকায় পৌঁছে গেল চীনের হুনান প্রদেশে, ঐ লোকটির একমাত্র পুত্র এবং তার স্ত্রীর বাড়িতে। মৃত্যুর সংবাদ আগেই এসেছিল। রতন কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করে সিক্ত কন্ঠে নিজের মনেই বলে উঠলো-- সু তাই কোয়াং তির সাই।
লোকটির ছেলেটি ভীষণ চমকে উঠে ইংরাজিতে বললো- আপনি হঠাত এই কথা বলছেন কেন?
রতন বললো- এর মানে কি?
ছেলেটি হতভম্ব হয়ে বললো-- এর মানে, শুয়োরের বাচ্চা, অক্সিজেন পাইপের থেকে পা টা সরা।
এরপর রতন ভারতে ফিরে এলো।
🤣🤣🤣
No comments:
Post a Comment