গালাগালির উপকারিতা বিষয়ক একটি গল্প :
😊😊😊😊😊😊
মিন্টু ঘোষ ব্যাগ নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ রাস্তার পাশের পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের নিচে পাবলিকের ভিড় দেখে সেদিকে এগিয়ে গেলেন। সবাই ওপরের দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখছে ?? 🤔
ভদ্রলোকও ওপরের দিকে তাকালেন। দেখলেন ছাদের কার্নিশে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। একটু এদিক-সেদিক হলেই পাঁচতলা থেকে সোজা নিচে পড়ার প্রবল আশঙ্কা।
মিন্টুবাবু উপস্থিত একজনকে জিজ্ঞেস করলেন - ‘মশাই, বিষয় কী?’
ভদ্রলোক বললেন - ‘বৌ *ছ্যাঁকা* দিয়েছে। 😢 তাই আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে উঠেছেন।’
মিন্টু বাবু বললেন - ‘আপনারা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন না?’
ভদ্রলোক বললেন - ‘সবাই তাকে নেমে আসার জন্য বলছে, কিন্তু সে নামতেই চাইছে না।’
মিন্টুবাবুর মনটা খুব খারাপ হলো। এমন তরতাজা নওজোয়ানেরা তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে দেখে তাঁর মন ব্যথায় ভরে গেল। ব্যথার জন্য পাশের ফার্মেসি থেকে একটা পেইনকিলার খেয়ে ছেলেটাকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সে চিন্তা শুরু করলেন।
আইডিয়া পেতে দেরি হলো না। মিন্টুবাবু ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন - ‘কোন শুয়োরের বাচ্চা ছাদে উঠেছে রে?’
ওপর থেকে জবাব এল, ‘গালাগালি করে কে রে?’
মিন্টু ঘোষ আবার বললেন - 'বেশ করেছি গালাগালি করেছি। তুই কী করবি রে বোকা** হারামির বাচ্চা?’
‘দেখুন, ভদ্রলোক মানুষ, মুখ খারাপ করবেন না।
আমি নেমে আসলে কিন্তু অবস্থা খারাপ করে ফেলব!'
জবাব এল আত্মহননকারীর কাছ থেকে।
মিন্টু ঘোষ এবার আসল বোমাটা ছাড়লেন - ‘তোর এত বড় সাহস, আমাকে হুমকি দিস! কুত্তার বাচ্চা, সাহস থাকলে সামনে আয় খা**র ছেলে।’
ব্যস, এতেই কাজ হলো। আত্মহননকারী আত্মহত্যার চিন্তা বাদ দিয়ে মিন্টু ঘোষ কে ধরতে সিঁড়ি দিয়ে হড়হড় করে নামতে শুরু করল।
এই ফাঁকে মিন্টু বাবু দিলেন দৌড়।
🕺🕺🕺🕺🕺🕺🕺
সেই আত্মহননকারী আজও বেঁচে আছে। মিন্টু ঘোষকে উপযুক্ত শিক্ষা না দিয়ে সে মরবে না বলে পণ করেছে।
😡😡 😠😠
Moral: *গালাগালি দিয়ে যদি ভালো কিছু হয়, তবে গালাগালিই ভালো😉😘*
No comments:
Post a Comment