নুঙ্কু বাবুর বউ মারা যাবার পর বড্ডো একা একা হয়েগেলো। তিন ছেলে , তিন বৌমা , গোটা আটক নাতি নাতনির সংসারে ও একা। বৌমার আদর যত্নের ত্রুটি রাখে না।
ইদানিং নুঙ্কু বাবুর যা খাচ্ছে তাই অম্বল হয়ে যাচ্ছে। কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে এলো। ডাক্তার দেখে ই বললো, আপনার কিছুই হয়নি, রোজ রাতে ত্রিফলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ঢক ঢক করে খেয়ে নেবেন, যান আর কোনো ওষুধ খেতে হবে না। এক মাস পরে এসে একবার দেখিয়ে যাবেন বলেই নুঙ্কু বাবু কে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে পরের পেশেন্ট কে ডেকে নিলো। এদিকে ত্রিফলা টা কি সেটাই জানা হলো না। নুঙ্কু বাবুর মনটা বিগড়ে গেছে।
ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছে, অপজিটে র ভদ্রলোক এমন ভাবে সিটের ওপর পা তুলে বসে আছে যে ধুতির ফাঁক দিয়ে সব দেখা যাচ্ছে। কিছু স্কুলের চ্যাংড়া ছেলে বলে উঠলো, দাদু ঠিক করে বসুন, ত্রিফলা দেখা যাচ্ছে। নুঙ্কু বাবুর ধরে প্রাণ এলো, তালে একে ই বলে ত্রিফলা।
বাড়ি গিয়ে বৌমাকে বললো শোনো, আমাকে দুটো উচু মাথার বালিশ, আর একটা বড়ো দেখে জাম বাটি দিয়ে যেও তো আমার ঘরে। তার পর দুটো বালিশের ফাঁকে জল ভর্তি বাটি রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লো। সারা রাত ত্রিফলা ভিজিয়ে সকালে ঢক ঢক করে খেয়ে নিলো। এমনি ভাবে এক মাস চালালো। অম্বল ও বেমালুম উধাও । এক মাস পর আবার ডাক্তারের কাছে গেল।
ডাক্তার দেখে ই চিনতে পেরে বললো, কেমন আছেন ত্রিফলা ভেজা জল খেয়ে?
স্যার অম্বল তো একদম চলে গেছে, কিন্তু ত্রিফলাতে হাজা হয়ে গেছে।
😜😜😜
Friday, 30 March 2018
ত্রিফলাতে হাজা হয়ে গেছে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
একদা কোন এক সময়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাধ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি সামসুর রহমান বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন । আড্ডা দেওয়ার এক পর্...
No comments:
Post a Comment