Tuesday, 3 November 2020

ধোকাবাজ

আমি একজন মধ্যবয়সী পুরুষ। ফেসবুকে আমার অনেক অনেক ফ্রেন্ড। তার মধ্যে অনেক মেয়ে ফ্রেন্ডও আছে। চ্যাট ট্যাট করে, নানারকম গল্পসল্প করে ভালই দিন কাটে। এরকম একজন হল প্রিয়া। বয়স ত্রিশ পয়ত্রিশ, বিবাহিতা। অসাধারণ সুন্দরী। কি সুন্দর করে কথা বলে ইনবক্সে! কথা বলতে বলতে খেয়ালই থাকে না সময় কোনদিক দিয়ে চলে যায়। একদিন সে কল করে বলে, " আমার স্বামী ব্যবসার কাজে কোলকাতা গেছে, বাড়িতে কেউ নেই। তুমি এসো"। তোমার স্বামী যদি ফিরে আসে এর মধ্যে?
" আরে আসবে না। আর আসলে তুমি একটা ন্যাকড়া নিয়ে দরজা জানালা মুছতে থাকবে। আমি ওকে বলব তুমি ক্লিনিং কোম্পানী থেকে এসেছো, ঘর পরিস্কার  করতে।  এমনিতেও পূজো সামনে।"  আচ্ছা ঠিক অাছে, আসছি। কি অদ্ভুত! আমি যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ওর স্বামী এসে হাজির। কি আর করা! জানালার গ্লাস মুছতে শুরু করলাম। গ্রীল পরিস্কার করলাম। সবগুলো জানালা দরজা পরিস্কার করলাম। রান্নাঘরের কোনাকানি পরিস্কার করলাম। বাথরুম পরিস্কার করলাম। 
ফ্যান মুছলাম, ফার্নিচার মুছলাম। ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে তাদের পুরো বাড়ি পরিস্কার ঝকঝকে করে দিলাম। সে আর তার স্বামী মিলে সারাক্ষণ এটা সেটা ইন্সট্রাকশন দিয়ে গেলো। পরিস্কার করা শেষ হলে তার স্বামী জিজ্ঞাসা করল, "আপনার বিল কত হয়েছে?" সে আগ বাড়িয়ে উত্তর দিল, " জানু আমি তো আগেই অনলাইনে পেমেন্ট করে দিয়েছি। তারপর ওরা লোক পাঠিয়েছে।" "ও আচ্ছা" বলে ওর স্বামী আমাকে ১০০ টাকা বখশিশ্ দিয়ে দিল। আমি বাড়ি চলে এলাম। কাজের লোক পাওয়া যে কঠিন আজকাল! 
তাই তো বলি পোলাপান, ফেসবুকের সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে দেখে পটে যাস না । দুনিয়াটা ভরে গেছে ধোকাবাজে।
 🤔🤔

Sunday, 1 November 2020

শিশি

কয়েক দিন ধরে ভোরবেলায় দেখছি খুব ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে । শোবার সময় বেশ গরম ই থাকে । তাই ফুল স্পীডেই পাখা চালিয়ে শুই। বউকে বললাম, বিছানায় একটা চাদর রেখো তো। কিন্তু কে শোনে কার কথা? যথারীতি এক ভোরে ঠান্ডা লাগতে পরণের লুঙ্গিটাকেই চাদরের মতো ব্যবহার করতে হোল । কিন্তু তাতে কি হয়? যা হবার তাই হলো । প্রচন্ড সর্দিতে চারদিন নাকানি চোবানি খেয়ে শেষে সিটি লাইফ নার্সিংহোমে গিয়ে ডাক্তারবাবুকে দেখালাম। তিনি গম্ভীর মুখে আমাকে ইউরিন পরীক্ষা করিয়ে নিতে বললেন । ওখানেই হবে । আমি নার্সকে জিগ্যেস করলাম শিশি কোথায় পাবো?  নার্স বললে, টয়লেটের বাইরেই একটা শেল্ফে শিশি রাখা আছে । স্যাম্পল টা নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে চলে আসবেন ।

গিয়ে দেখি, কোন শিশিই সেখানে নেই । কোভিডের দৌলতে মনে হয় একটা খালি স্যানিটাইজারের শিশি পড়ে রয়েছে । অগত্যা তাতেই স্যাম্পল ভর্তি করে কাউন্টারে চলে এলাম । একটু পরে ই সচকিত হয়ে দেখলাম মোবাইলটা তাড়াহুড়োয় টয়লেটে ফেলে এসেছি । তড়িঘড়ি করে ছুটলাম। গিয়ে ভাগ্যবলে ওটাকে তো পেলাম, কিন্তু কাউন্টারে অনেক লোকের লাইন হয়ে গেছে । দেখি প্রত্যেকেই একটি বার করে আমার রেখে যাওয়া স্যাম্পল-এর শিশি থেকে বেশ করে স্যানিটাইজার ঢেলে নিয়ে হাতের চেটোয় , কনুই তে, ঘাড়ে, এমনকি মুখে ও ঘষছিলেন । কেউ কেউ আবার গন্ধ শুঁকে কমেন্টস করছেন,  বাজে মাল, মনে হয় ডুপ্লিকেট হবে ।

আমি বিস্ময়ে থ' মেরে গেছি । ভাবলাম সতর্ক করে কিছু বলবো । কিন্তু ততক্ষণে আর সময় নেই । শিশিটা প্রায় খালি হয়ে এসেছে । বললে তো, নির্ঘাত মারধোর খেতাম।

তাই বলে কিছু বলবো না, তাকি হয়? আপনাদের সবিনয়ে জানিয়ে রাখি, না দেখেশুনে কিছু ব্যবহার করতে যাবেন না শুধু মাত্র ফ্রি তে পাওয়া যাচ্ছে বলে ।

Thursday, 3 September 2020

নুনু পত্রিকা

নুনু মিয়া নামের এক লোক পুরনির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছে। পরদিন স্থানীয় পত্রিকার শিরোনাম :-
 
"নুনু দাঁড়িয়েছে!"

খবর দেখে নুনু মিয়ার মেজাজ গরম হয়ে গেছে। তিনি পত্রিকা অফিসে ফোন করে রাগী গলায় বকা ঝকা করলেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এসেছে :-

"নুনু গরম হয়েছে!"

নুনু মিয়া ভোটে দাঁড়িয়েছে এই খবর এলাকার বড় এক বয়স্ক নেতা জানেন না। মূলত তিনি একই দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রানিং ভাইস চেয়ারম্যান।  সাংবাদিকরা ওনার কাছে গিয়ে অনুভূতি জানতে গেলে উনি বলেন "নুনু আবার কবে দাঁড়াল, আমিতো টেরই পেলাম না।"

এদিকে সেই নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়িয়েছেন এক মহিলা। তিনি নুনু মিয়ার ঘোর বিরোধী। তিনি নারীদের নিয়ে নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে মিছিল করলেন। নারীরা পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিল। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এসেছে :-

"এলাকার নারীদের খুশী করতে পারেনি নুনু!"

খবর দেখে এবার পত্রিকাওয়ালার বিরুদ্ধে সেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষেপে গেছেন। তিনি এবং নুনু মিয়া একই দলের লোক। ওনাকে কেন্দ্র থেকে বকা দিয়েছে। বকা খেয়ে তিনি পত্রিকায় ফোন করে বলেন " এই সামান্য বিষয় নিয়েও আপনারা শিরোনাম করেন!" ওনার সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত ঝামেলা নেই। আপনারা আগামীকাল সঠিক খবর প্রকাশ করুন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

"মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুনুতে সন্তুষ্ট!"


বিষয়টা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গোচরে আসল। তারা ভাবলেন সেখানে একজন নিরপেক্ষ নেতা পাঠানো দরকার যিনি সবাইকে বোঝাবেন। কেন্দ্র থেকে খোকন মাল নামের একজনকে পাঠানো হল। যাকে আবার আদর করে লোকজন 'মাল' ডাকেন। কিন্তু মিটিংয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যাওয়ায় খোকন মাল রাগ করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

"নুনু ঢোকার সাথে সাথেই মাল আউট"

এইবার নুনু মিয়া পড়লেন টেনশনে। কেন্দ্র থেকে পাঠানো নেতা ফেরত গেছে। কেন্দ্রের লোকজন ক্ষেপলে তিনি নমিনেশন পাবেন না।তার ওপর অনেকেই ক্ষিপ্ত। দুঃখে নুনু মিয়া কয়েকদিন প্রচার বন্ধ রাখলেন।একদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

"মাল আউটের পরে নিস্তেজ নুনু"


এদিকে নুনুর পক্ষে কথা বলতে আসরে নামলেন আরেক বড় নেতা। ওনার নাম কেষ্ট মাল। নুনু মিয়া এবার উজ্জীবিত হলেন। তিনি আবারও প্রচার শুরু করলেন।
পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

'মালে পরিপূর্ণ নুনু সতেজ হয়ে গেছে!"
 

কিন্তু নুনু মিয়ার টেনশন এখনো দূর হয় নাই। কারণ তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোনা মিয়া। পত্রিকায় প্রায়ই খবর আসে :-

"কে বড়? সোনা, নাকি নুনু?"


অবশেষে নুনু মিয়া সফল হলেন। তিনি নমিনেশন পেলেন। যারা এতদিন সোনা মিয়াকে গুরুত্ব দিত তারা এখন সবাই নুনুর পক্ষে।  পত্রিকায় শিরোনাম এলো :-

"নুনু এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। সবাই নুনুতে তেল মাখাচ্ছে!"

Saturday, 2 May 2020

ব্ল্যাক মার্কেট


লিফটে নামছি ।

পাশের অপরিচিত লোকটি ফোনে চেঁচাচ্ছে, “মদ-টদ পাওয়া যাবে না ..। সব দোকান বন্ধ । ..শুধু *বেলা'কে*  রিকোয়েস্ট করে দেখতে পারি, যদি রাজি হয়.. ।” 

কী কান্ড ! এক ‘ম’ নেই, কিন্তু অন্য ‘ম’-এর অ্যাভেইলিবিলিটি এমন প্রকাশ্যে কেউ বলে !

 আড়চোখে পাশে তাকিয়ে দেখি, আমার বৌ নির্বিকার।

রাস্তায় বেরিয়ে চাপা গলায় বললাম, “দেখলে, কেমন বলছে মদ নেই, শুধু *বেলা* কে পাওয়া যাবে"। ব্যাটা দালাল মনে হয়। এসব সাপ্লাই করে ।” 

বৌ বলল, ‘বেলাকে’ মানে ‘ব্ল্যাকে’...😷😀।”

Sunday, 26 April 2020

মহামারী আক্রান্ত



সমগ্র বিশ্বের করোনা রিপোর্ট নিম্নলিখিত 

আমেরিকা  
আক্রান্ত  890000
মৃত  50372

ইটালি 
আক্রান্ত  189973
মৃত 25549

স্পেন
আক্রান্ত  219764
মৃত 22524

ফ্রান্স 
আক্রান্ত  121000
মৃত   21856

ইরান 
আক্রান্ত   88194
মৃত   5574

ভারতের রিপোর্ট দেখে পুরো বিশ্ববাসীর বিচি মাথায় উঠে গেছে। রিপোর্ট টি যথাক্রমে নিম্নরুপ
আক্রান্ত   23452
মৃত  723
হাতে পায়ের গাঁট ফুলেছে   133506
লাঠির বারিতে পোঁদ লাল  88320
মদ না পেয়ে পাগলাচোদা হয়েছে  230536
বিড়ির বদলে কাগজ জ্বালিয়ে টানছে  153720

আর সবচেয়ে ভয়ংকর সমীক্ষা 
লকডাউনে গর্ভবতী  739509

কমিউনিজম নিপাত যাক



পচাদা বারান্দায় বেরিয়ে হাঁক পাড়ল,-"চীন নরকে যাক!!!"
আমি অবাক হয়ে বললা,
-"সেকি, তুমি তো পাঁড় কম্যুনিশ্ট!!"
পচাদা মুখ ভেংচে উত্তর দিল, 'আরে, রাখ তোর কম্যুনিজম!! তোর বৌদির রাঁধা অমন সুন্দর পায়েসটা!!"
আমি বললুম, -"কেসটা কি বলবে তো!!"
পচাদা কাঁদো কাঁদো মুখে বল্ল,-"বাড়িতে ফিরে, পায়েসের বাটিতে চুমুক মারতেই দুধ পেটে, চাল বাটিতে পড়ে রইল,,, শালা চীন, গো টু হেল!!!"
আমি চমকে গিয়ে বললুম, -"মানে!!"
পচাদা বিরক্তিমাখা জবাব, -"আরে, মাস্ক খুলতে ভুলে গেছিলাম!!" 😭

Saturday, 18 April 2020

পুত্রহীন



*কে, নজরুল? বোসো। কখন এলে?*
*এই তো। স্তিমিত কন্ঠে বললেন নজরুল।*
*তা গলাটা এরকম শোনাচ্ছে কেন? (রবীন্দ্রনাথ ঈষৎ বিস্মিত। নজরুল খুবই হুল্লোড়বাজ রগুড়ে মানুষ। আজ তো গলা শোনাই যাচ্ছে না!) কি ব্যাপার, কারোর শরীর-টরীর খারাপ নাকি!*
*আমার ছেলেটা কাল চলে গেল, গুরুদেব। ফুঁপিয়ে উঠলেন কাজী নজরুল।*
*সে কী! চমকে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ। ঊনসত্তর বছর বয়স তাঁর। এখন কি শুধু খারাপ খবর পাওয়ার জন্যেই বেঁচে থাকা? রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝেই একথা ভাবেন। চিকিৎসাশাস্ত্র একেবারেই অনুন্নত। বাঙালি পুরুষের গড় আয়ু মেরেকেটে চল্লিশ। নিজের অদ্ভুত ভালো স্বাস্হ্যের জন্য।নিজেরই বিড়ম্বনা লাগে। খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে জিজ্ঞাসা করলেন- কি হয়েছিল?*
*বসন্ত। স্মল পক্স।*
*কত বয়স হয়েছিল। তিন, না?*
*চার।*
*আবার দীর্ঘক্ষণের নীরবতা। বাঙালির দুই প্রাণের কবি। শব্দের দুই জাদুকর। আজ দুজনেই নীরব। একটু পরে রবীন্দ্রনাথই আবার নীরবতা ভাঙলেন- তোমার ছেলেটি বড় গুণের ছিল শুনেছিলাম। কি যেন নাম রেখেছিলে?*
*ভালো নাম অরিন্দম খালিদ। সবাই ডাকতাম বুলবুল বলে।*
*হ্যাঁ, বুলবুল, বুলবুল। নিজের মনেই দুবার নামটা আওড়ালেন রবীন্দ্রনাথ। শুনেছিলাম তার নাকি অদ্ভুত স্মৃতিশক্তি।*
*আপনি কি করে জানলেন? অবাক চোখে তাকালেন নজরুল ইসলাম। কত ব্যস্ত মানুষ গুরুদেব। অথচ কত ছোট ছোট ব্যাপারের খবর রাখেন!*
*আরে না, সেরকম কিছু না। আমায় মুজফ্ফর আহমেদ বলেছিল। গতবছর জেলে যাবার আগে আমার সঙ্গে দেখা করেছিল। তোমরা তো একসময় মেসে একই ঘরে থাকতে?*
*হ্যাঁ। দশ বছর আগে কলেজ স্ট্রীটে। বত্রিশ নম্বর। নজরুল আবারও একটু চুপ করে থেকে জিগ্যেস করলেন- তা কি বলছিল আহমেদ সাহেব?*
*বলছিল, তোমার ছেলে নাকি শ্রুতিধর!*
*হ্যাঁ, গুরুদেব। যখন ওর দেড় দু'বছর বয়স তখন ওকে একটা ছবির বই দেখিয়ে আমি পাখিদের ইংলিশ নাম বলেছিলাম। ব্যাটা সঙ্গে সঙ্গে মুখস্থ করে ফেলল! করুণ হেসে বললেন নজরুল। অথচ তখন তো অক্ষরজ্ঞান হওয়া সম্ভব ছিল না!*
*বলো কী!*
*আমি তো কিছুদিন জমিরউদ্দিন খানের সঙ্গে সংগীতচর্চা করলাম। কি বলব গুরুদেব। যা গান শিখি, হরকত কব্জা করি, ও ব্যাটাও সব গলায় বসিয়ে নেয়! অবিকল। সেই ছেলে .... কেঁদে ফেললেন কাজী।*
*রবীন্দ্রনাথ কিছু বললেন না। সন্তান হারানোর চেয়ে বড় শোক আর কি আছে। কেঁদে একটু হাল্কা হোক।*
*বাড়ির কি খবর? আবার রবীন্দ্রনাথই নীরবতা ভাঙলেন। এমনিতে নীরবতা তাঁর বড় প্রিয়। কিন্তু আজ যেন বড্ড অস্বস্তিকর লাগছে।*
*সেইজন্যেই তো আপনার কাছে চলে এলাম কাঁদতে। আমার বাড়ির দুজনই খুব চাপা। মনে মনে কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু বাইরে প্রকাশ করছে না। আমি আর সেইখানে কি করে ...। নজরুলের কথা অসমাপ্তই থেকে গেল। তারপর আবার বললেন- আমাকে আপনি শান্তিনিকেতনে নিয়ে চলুন। কলকাতা আমার আর ভাল লাগছে না।*
*রবীন্দ্রনাথ মৃদু হাসলেন। তোমার মনে আছে নজরুল, আজ থেকে দশ বারো বছর আগে তুমি যখন সেনাবাহিনী ছেড়ে কলকাতায় এলে তখন আমি তোমাকে শান্তিনিকেতন যাবার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম? বলেছিলাম তুমি আমাদের শরীরচর্চা শেখাবে আর প্রাণের খুশিতে গান গাইবে। তুমি রাজি হওনি।*
*মনে আছে গুরুদেব।*
*পরে কিন্তু আর বলি নি, তাই তো?*
*না।*
*কেন বলতো?*
*আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন নিশ্চয়ই। এ তো বোঝাই যায়। ধীর কন্ঠে জানালেন নজরুল।*
*আরে , না রে পাগল। সেই জন্য নয়- রবীন্দ্রনাথ হেসে উঠলেন।*
*সেই জন্যে না? আমি তো ভাবতাম .....*
*না হে , না। তোমার গুরুদেবের মন অত সংকীর্ণ নয়। তাহলে তো তোমার আমার সম্পর্কই কবে খারাপ হয়ে যেত। তাহলে কি আর তোমার লেখা 'বিদ্রোহী' কবিতা পড়ে তোমাকে সকলের সামনে ওরকম জড়িয়ে ধরতে পারতাম? আমি আর কখনো কি কোথাও ওরকম আবেগ প্রকাশ করেছি?*
*তা ঠিক। আপনি আমার বড্ড প্রশংসা করেন, সব জায়গায়।*
*করবো না? তুমি তো সরস্বতীর বরপুত্র। কি অপূর্ব তোমার লেখার হাত। তোমাকে ও কথা বললাম। তুমি রাজি হলে না। তারপরে আমি তোমার লেখা পড়েই বুঝেছিলাম তুমি অস্বাভাবিক প্রতিভাবান। শান্তিনিকেতনে গেলে তোমার ট্যালেন্ট একটা ছোট জায়গাতেই আবদ্ধ হয়ে থাকত। কলকাতায় না রইলে তোমাকে এত লোক চিনতো না!*
*আপনি আমায় খুব ভালবাসেন গুরুদেব।*
*বাসিই তো। তুমিও তো প্রথমদিকে খালি আমার গানই গাইতে। তুমি আর তোমার এক বন্ধু তো জুটি বেঁধে সারা বাংলায় আমার গানই গেয়ে বেড়াতে।*
*গাইব না? এবার নজরুল কথা বলে উঠলেন রবীন্দ্রনাথের সুরে। কি অপূর্ব গান! পরে তো আমিও গান লিখতে শুরু করলাম। কিন্তু আপনার মত লিখতে পারলাম কই?*
*ও কথা বোলো না। আমাদের দুজনের স্টাইল তো আলাদা। কি চমৎকার শ্যামাসংগীত লেখো তুমি। আমি তো সেরকম কিছু লিখলামই না!*
*তাহলেও। আমার গান তো শুনেই বোঝা যায় কোন রাগরাগিনীর আশ্রয় করে সেগুলো গড়ে উঠেছে। আর আপনার ....। কি অদ্ভুতভাবে যে রাগগুলোকে মিলিয়ে নেন।*
*তুমি তো প্রচুর গান লেখ। তোমার গানের সংখ্যা তো এখনই আমাকে ছাড়িয়ে গেছে শুনতে পাই।*
*আসলে গ্রামাফোন কোম্পানিতে চাকরি নেবার পর গানের অর্ডার এত বেড়ে গেছে- নজরুল সলজ্জ ভঙ্গিমায় বললেন। আর গান লেখা ছাড়া তো আমাদের কোন কাজই নেই। ওদিকে আপনি? গান লিখছেন, বিদ্যালয় চালাচ্ছেন, জমিদারি দেখছেন, দেশবিদেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন। উফফ্, কি করে যে পারেন!*
*ও হয়ে যায়। প্রকৃতিগত ভাবেই আমি খুব স্বাস্হ্যবান। সামান্য অর্শ ছাড়া আমার আর কোন সমস্যাই নেই।*
*এরকমই থাকুন গুরুদেব। নজরুল কাতরভাবে প্রার্থনা করলেন।*
*কথায় বাধা পড়ল।কবিগুরুর বউমা প্রতিমাদেবী এসে জিগ্যেস করলেন, বাবা, আপনি কিছু খাবেন?*
*তুমি কিছু খাবে নাকি, নজরুল?*
*কে আমি? না , গুরুদেব। নজরুল অসম্মতি জানালেন।*
*আমিও এখন কিছু খাব না, বউমা।*
*আপনি এখন খুবই কম খান। মৃদু অনুযোগ জানিয়ে প্রতিমা চলে গেলেন।*
*খুব কম খান কেন, গুরুদেব?*
*না গো বয়স হয়েছে। আমার বাবা বলতেন বেশী যদি খেতে চাও, তো কম কম খাও। তা সত্যি।*
*আরেকজনও ছিল বুঝলে? সেও আমার গান গাইত। আর খেতে বড় ভালবাসত।*
*কে গুরুদেব?*
*কে আবার। বিবেকানন্দ। আমি বলতাম নরেনবাবু। আমরা তো প্রায় সমবয়সী। আমি এক দেড় বছরের বড়।*
*নজরুল একটু অবাক হলেন। তার কেন জানি ধারণা ছিল রবীন্দ্রনাথ আর বিবেকানন্দের পারস্পরিক সম্পর্ক সেরকম ভাল ছিল না।*
*কী ভাবছ? রবীন্দ্রনাথ যেন মনের কথা পড়তে পারলেন। তুমি জানতে আমাদের আদায় কাঁচকলায়, তাই তো?নজরুল আর কি বলবেন। অস্বস্তির হাসি হাসলেন।*
*লোকে এসব বলে বেড়ায়। কেউ কিছু জানে না, জানার চেষ্টা করে না।* 
*বিবেকানন্দ আপনার গান গাইতেন?*
*তবে শোন। তখন আমার বয়স বিশ। রাজনারায়ন বসুর মেয়ের বিয়ে। আমাকে জ্যোতিদাদার মাধ্যমে খবর পাঠালেন গান গাইতে হবে। বাল্মিকী প্রতিভা বেরিয়ে গেছে। একটু আধটু নামও হয়েছে। তবে অত লোকের মধ্যে একা গাইব! একটু টেনশন হচ্ছিল। এইসময় হঠাৎ নরেনবাবুর সঙ্গে দেখা। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই আসত। আমার ভাইপোর বন্ধু ছিল। ব্যাস্। ওঁকে চেপে ধরলাম।*
*তারপর?*
*বেশ কিছুদিন রিহার্সাল করলাম। তিন খানা গান। আমার লেখা। নরেনবাবু গাইল, পাখোয়াজ বাজাল। আমি অরগান বাজালাম।*
*সে কি। আপনি গাইলেন না?*
*ঐ গলা মেলালাম। নরেনবাবুর গলার সঙ্গে আমি পারি নাকি? কি জোরাল ওজস্বী গলা ছিল।*
*নজরুল চুপ করে রইলেন।*
*তারপর তো সারা কলকাতায় আমার গান গাইতে লাগল। রেগুলার তাড়া। গান লিখুন, গান লিখুন। আমার গান তো রামকৃষ্ণদেবকেও শুনিয়েছিল। তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা।*
*আচ্ছা, আপনি রামকৃষ্ণকে গান শোনান নি?* 
*শোনাই নি মানে? বছরখানেক পরেই তো শোনালাম, কাশী মিত্রের বাগানবাড়িতে। কি খুশি যে হলেন! বড় মধুর স্বভাবের ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ একটু যেন অন্যমনস্ক।*
*তারপর কি হল?*
*তারপর তো রামকৃষ্ণদেব মারা গেলেন। নরেনবাবুও ভ্যানিশ। প্রায় দশ বছর পর হঠাৎ উদয়- বিবেকানন্দ হয়ে। বিশ্বজোড়া নাম। কলকাতায় সম্বর্ধনা দেওয়া হল। আমিও মঞ্চে ছিলাম। চিনতে পারলো, বেশ কথাও হল।*
*আপনি ছিলেন? নজরুল বিস্মিত। কোথায় যেন শুনেছিলেন যে বিবেকানন্দের নামডাক হবার পর রবীন্দ্রনাথ অস্বাভাবিক চুপচাপ ছিলেন। সেরকম কোথাও কিছু লেখেন নি ওনার সম্পর্কে।*
*ছিলাম তো। কী নায়কোচিত জীবন। যেন নভেল। আমার একটা উপন্যাস তো ওঁকে নিয়েই লেখা না হলেও ওর খানিকটা প্রভাব আছে।*
*কোনটা গুরুদেব?*
*কেন, গোরা।*
*ও তাই বুঝি। সত্যি, আগে খেয়াল করি নি। অনেক মিল আছে।*
*আর বিবেকানন্দের আরেক অনুষ্ঠানের তো আমিই ছিলাম প্রধান উদ্যোক্তা। তবে তাতে উনি ছিলেন না।*
*কবে, গুরুদেব?*
*কবে আর। ওনার স্মরণসভায়। যেবার আমার স্ত্রী মৃণালিনী চলে গেল, সেবছরই তো নরেনবাবুও...। কী লোক। যেমন সাহস, তেমন অপূর্ব চিন্তাধারা, আর তেমনি বক্তৃতা দেবার ক্ষমতা। আমার বাবাও তো ওঁকে খুব ভালবাসতেন। নরেনবাবু তো খুব খেতে পারত। বাবা ওকে সামনে বসিয়ে খাওয়াতেন। আর ওর কথা শুনতেন। বলতেন ছেলেটির কথায় যেন জাদু আছে। তোমরা তো ওনার কথা বা বক্তৃতা শোনোনি, তাই না?*
*কি করে শুনবো, গুরুদেব? ঊনিশশো দুই সালে আমার বয়স তো মাত্র তিন।*
*মাত্র? ও বাবা। তুমি তো তার মানে আমার ছোট ছেলে শমীর চেয়েও ছোট।*
*নজরুল আবারও সলজ্জ হাসলেন।*
*শমীও খুব প্রতিভাবান ছিল জানো তো। আমাকে সবাই বলত ও নাকি আমার কার্বন কপি। তা সেও তো চলে গেল। মাত্র এগারো বছর বয়স ছিল।*
*কি হয়েছিল, গুরুদেব? নজরুল জিজ্ঞাসা করলেন।*
*কলেরা। মুঙ্গের গেছিল।বন্ধুর বাড়ি। সেখানেই। নজরুল চুপ করে রইলেন।*
*যেদিন শমী চলে গেল ... রবীন্দ্রনাথ বলে চললেন। রাতের বেলা দেখি সারা পৃথিবী যেন চাঁদের আলোয় ধুয়ে যাচ্ছে। দেখলাম প্রকৃতি যেমনিভাবে চলে ঠিক তেমনভাবেই চলছে। কোথাও কোনো ব্যতিক্রম নেই। আমার এই শোকের দিনে যেন কারোর কিছু আসে যায় না। একটা ভারি অদ্ভুত অনুভুতি হল, জানলে!*
*নজরুল বড় বড় চোখ মেলে রবীন্দ্রনাথের দিকে চাইলেন।*
*মনে হল- ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তার এটাই ইচ্ছা। মৃত্যু আসবেই, হয়ত অকালেই আসবে। শোকতাপ থাকবে। যেমন আনন্দও আছে। কিন্তু কাজ থামালে চলবে না। আমাদের আরব্ধ কাজ আমাদের করে যেতেই হবে। আর এইটেই হল মহাবিশ্বের পরম সত্য।

Friday, 17 April 2020

দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে

একলোক অসুস্থ্য হওয়ায় তার ওয়াইফ তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেছে।
ডাক্তার রোগীর ভাষ্য শুনে বললো কোন সমস্যা নেই শরীর একটু দূর্বল কোন ওষুধ দিলাম না শুধু এই ভিটামিন তিনবার খাওয়ার পরে খাবেন আর রাতে ঘুমোবার আগে দুধ খাবেন।
এ কথা শুনে রোগীর ওয়াইফ বলল, *কি আর বলবো ডাক্তার সাহেব,
আমিতো রোজই খাইতে কই কিন্তু সে তো খায়না; নেড়ে চেড়ে রেখে দেয়।

নামের প্রকারভেদ

শিক্ষকঃ বলত? এমন একটা জিনিষ যা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম।
ছাত্রঃ স্বার এটাতো খুব সহজ। এটা হচ্ছে চুল। কারন যখন মাথায় থাকে তখন চুল আবার যখন চোখে আসে তখন ভ্রু আবার যখন নাকে আসে তখন গোফ। আবার যখন মুখের নিচে আসে তখন দাড়ি। আবার বুকে নামলে পশম।
শিক্ষকঃ আর নিচে নামিস না।

টুকলি

স্কুলে পরীক্ষার সময় সবাই গণহারে দেখাদেখি করে লিখছে।
সামনের বেঞ্চের একজন স্টুডেন্ট লিখলো *সম্রাট শাহজাহান দুঃসময়ে ভাঙ্গিয়া পড়িতেন না*।
পিছনের বেঞ্চের একজন স্টুডেন্ট এটা দেখে লিখতে গিয়ে লিখলো *সম্রাট শাহজাহান দুঃসময়ে জাঙ্গিয়া পরিতেন না*।

লাল প্যান্টি

গ্রামের মাতব্বর সাহেবের বউ বাইরে যাইবেন, কিন্তু তার শখের লাল প্যান্টিখান পাইতেছেন না। 
স্বাভাবিক ভাবেই দোষ পড়লো বুয়ার উপর।
তাকে চার্জ করা হইলো।
মাতব্বর এর বুয়া বলিয়া কথা।
সে ক্ষিপ্ত হইয়া মাতব্বরের কাছে ফরমাইলো *মাতব্বর সাহেব ! বিবিসাব কয় আমি নাকি হের প্যান্টি চুরি করছি!
মাতব্বর সাহেব আপনি তো জানেন, আমি নিচে কিছু পড়িনা।

ছেড়া লুঙ্গী

সুন্দরী আপু রিকশায় করে যাচ্ছে এমন সময় আপু রিকশাওয়ালার ছেড়া লুঙ্গী দেখে বললো,
মামা আপনার তো জয় বাংলা দেখা যাচ্ছে লুঙ্গীটা ঘুরাইয়া পরেন
রিকশাওয়ালা : এহন তো জয় বাংলা দেহা যাইতাছে ঘুরাইয়া পরলে সোনার বাংলাও দেহা যাইবো

পিরিয়ড এর মূল্য

এক ছাত্র ক্লাস এ দেরি করে আসলো
শিক্ষকঃ এই ছেলে তুমি পিরিয়ড এর মূল্য বোঝ??
ছাত্রঃ
হ্যাঁ স্যার, পাশের বাড়ির মেয়েটার একবার হয় নাই, মেয়ের মা বেহুঁশ হয়ে গেল, বাবার হার্ট অ্যাটাক হল* আর আমার বড় ভাই বাড়ি থেকে ভেগে গেল

কয়টা বয়ফ্রেন্ড ছিল?

বাসর রাতে স্বামী তার স্ত্রীর কথোপকথোন
স্বামী : এই, বিয়ের আগে তোমার কয়টা বয়ফ্রেন্ড ছিল??
স্ত্রী কোন কথা না বলে সেখান থেকে উঠেগিয়ে একটা খাম নিয়ে এসে স্বামীর হাতে ধরিয়ে দিল । খামের মধ্যে ছিল কিছু চাল আর ২০০ টাকা ।
স্বামী : এইটা কি ?? 
স্ত্রী : না মানে, আমি যখন কারো প্রেমে পড়তাম তখন ১টা করে চাল এই খামে ঢুকিয়ে রাখতাম ।
স্বামী খাম খুলে চাল গোনা শুরু করল ১,২,….. ৭টা ।
স্বামী : ও তার মানে ৭টা বয়ফ্রেন্ড ছিল?? আজকালকার যুগে এইটা কোন ব্যাপারই না ।
আচ্ছা আর এই ২০০ টাকা কিসের??
স্ত্রী : না মানে, গতকালকে ৪কেজি চাল বিক্রি করছি ।

মহিলা কামরা

ট্রেনে ভিড়ের মাঝে একটা লোক যা করার করছিল তো পুলিশ তারে ধইরা নিয়া গেলো পুলিশ লোকটারে জিগাইলো *ঐ ব্যাটা তুই মহিলাটারে কামরাইতেছিলি ক্যান???*
লোকটি বলল
*স্যার আমার কি দোষ???
ওখানেইতো লিখা ছিল মহিলা কামরা।

করবা এখন?

বল্টু বাজার থেকে বাজার করে কিছু ৫ টাকার কয়েন বাচল।
বল্টু বাড়ি এসে ঐগুলো বাজাচ্ছিল টুং টুং করে।
বল্টুর বৌ রেগে তার সাথে বোকল আর ও চুপচাপ থাকল।
পকেটে রেখে দিল।
রাত্রি খাওয়ার পর বল্টু বলল করবো এখন!!
বল্টুর বৌ,,,করবা এখন?
বল্টু,,হ্যা। তুমি অনুমতি দিলে।
বল্টুর বৌ,,আচ্চা। তখন বল্টুর বৌ তো রেডি খাটের উপর খুলেটুলে রেডি।
বল্টু,,তখন পকেট থেকে ঐ ৫ টাকার কয়েন বের করে বাজাতে শুরু করল।টুং টাং,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,।

প্রিয়াঙ্কা ভাবী

আবুল মিয়ার সাথে পাশের বাসার প্রিয়াঙ্কা ভাবীর যৌন সম্পর্ক আছে। আবুল তারে একটা বিদেশী ব্রা গিফট করছে। 
তার সাতদিন পর: 
আবুল:তোমাকে যে বিদেশী ব্রা টা দিছিলাম সেইটা দিয়া কি করছো?
প্রিয়াঙ্কা: সেটা তো রফিক নিয়া গেছে আমার কাছে থাকে।
আ: তার মানে তুমি রফিকের সাথেও xxx কর। 
প্রি: তো তোমার কি ধারনা শুধু তোমার সাথেই।
আ: যাই হোক, রফিক সেটা দিয়া কি করছে।
প্রি: রফিকের সাথে আবার আইরিনের প্রেম। সে আইরিনকে গিফ্ট করছে।
আ: আইরিন সেটা দিয়া কি করছে? 
প্রি: তা তো জানিনা। কেন, কি দরকার তোমার তা দিয়া
আ: খুব দরকার। আজ আমার বৌ দেখি সেই ব্রাটা পইরা আছে।

ঠিক রাত ৯টায়

সখিনাঃ তোমার স্বামী প্রতিদিনই দেখি ঠিক ৯টার সময় বাসায় ফেরে। 
আমার স্বামী তো পারলে বাসায়ই ফেরে না। কিন্তু তোমার স্বামী আসে, রহস্য কি?
*
*
*
*
*
*
জরিনাঃ আমি বাসায় সাধারণ একটা নিয়ম করে দিয়েছি। 
তাকে বলেছি যে সেক্স হবে ঠিক রাত ৯টায়, তুমি তখন বাসায় থাকো আর নাই বা থাকো।

পোস্টঅফিস

এক পোস্টমাস্টার গেছে অনুষ্ঠান বাড়িতে, কিন্তু ভুলে বেচারা প্যান্টের চেইন লাগায় নাই পার্টিতে এক লোকের তা দেইখা তো আক্কেল গুড়ুম।
সরাসরি তো আর বলা যায়না যে চেইন খোলা। তাই সে কায়দা কইরা বলল, ভাই, আপনার পোস্টঅফিস তো খোলা।
কিন্তু পোস্টমাস্টার ইংগিতটা বুঝলো না, সে কয়- না না , পোস্টঅফিসে আমি নিজের হাতে তালা মাইরা আইছি। খোলা না, বন্ধই আছে।
তো ঐ লোক যতই বোঝায়, পোস্টমাস্টার বুঝে না, কয় বন্ধ, বন্ধ, নিশ্চয়ই বন্ধ। তো লোকটা হাল ছাইড়া দিয়া চইলা গেলো।
পরে পোস্টমাস্টার বাসায় ফিরা দেখে তার চেইন খোলা।
সাথে সাথে সে সব বুঝলো, বুইঝা তো পাইলো ব্যাপক শরম।
কিছুক্ষণ ঝিম মাইরা থাইকা ফোন করলো ঐ লোকটারে।
ফোন কইরা কয়- ভাই, এইবার আমি বুঝছি আপনি কি বুঝাইতে চাইছিলেন। তা ভাই যখন খোলা আছিলো, তখন কি পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে?

বদ অভ্যাস

এক লোক কথায় কথায় গালি দেয় যেমন ১০ টা শব্দ বললে তার ভিতর ৩ গালি দিবেই তাকে ঠিক করার জন্য পুলিশে অভিযোগ করা হল
পুলিশ: মানুষকে নাকি কথায় কথায় গালি দেন....
লোক: শালার সব মিথ্যা কথা কোন চু**নির পুলায় বলছে গালি দেই।

স্বামীর তুলনা

নতুন বিয়ে হওয়া বান্ধবীকে প্রশ্ন করল শায়লা- কী রে তোর বর কেমন?
স্বামী আর পেঁচার মাঝে কোন প্রর্থক্য নেই |
কেন, এমন কথা বলছিস কেন?
বলছি কারন স্বামীরা তাদের বউদের সব ভালো জিনিস শুধু রাতের বেলাই খুজে পায় |

পিরিতি কাঁঠালের আঠা

বাসর ঘরে স্বামী যাবার পর ৩ দিন পর বের হলে ! 
বন্দুরা প্রশ্ন করল এতো লম্বা সোহাগ রাত কিভাবে করলি বল?
স্বামী বললঃ আগে বল ভেসলিন এর বোতলে কে সুপার গ্লু রাখছে?

মেয়ের শপথ

কেরামত বিয়া করছে...
বাসর রাতে বৌ কে আদর করতে গেল.... বৌ তো রেগে গেল!
বৌ: খবরদার! আমার কাছে আসবেনা!
কেরামত: (অবাক হয়ে) কেন?
বৌ: কারন আমি মাকে কথা দিছি...
-
-
-
-
-
-
-
-
বিয়ের পর এসব ছেড়ে দেব!

আব্বুর চোখে সমস্যা

আবুলঃ মা,মা আব্বুর না চোখ এ সমস্যা
আবুলের মাঃ কেন?
আবুলঃ বাবা দুরের জিনিশ খুব ভালো দেখতে পায়,কিন্তু কাছের জিনিস একদম ই দেখতে পারেনা
আবুলের মাঃ কিভাবে বুঝলি?
*
*
*
*
আবুলঃ আমি বিকেলে নিচে খেলতে গিয়ে ঝিলমিল আন্টির মেয়ে সুমির হাত ধরলাম, বাবা ৫ তলা থেকে বলল এই সুমির হাত ছাড়
*
*
*
*
*
কিন্তু কিছুক্ষন আগে আমাদের ঝিলমিল আন্টিরে তুমি মনে কইরা জড়াইয়া ধরতে গেলো, ভাগ্যিস আমি সময়মতো উপস্থিত হয়েছিলাম!

ইচ্ছাশক্তি

নাতি: দাদু তুমি বিড়ি খাওয়া ছাড়লা কেমনে ? 
দাদু : ইচ্ছাই সব চেয়ে বড় শক্তি
নাতি: দাদু তুমি মদ খাওয়া ছাড়লা কেমনে?
দাদু : ইচ্ছাই সব চেয়ে বড় শক্তি
নাতি এইবার সাহস কইরা : দাদু তুমি না ঐ ড্যান্স বারের মেয়েটার সাথে ঘুরতা, তারে ছাড়লা কেমনে ? এইটাও কি ..... 
দাদু : আরে নারে , ইচ্ছা ছিল কিন্তু শক্তি নাইরে...

ক্যালেন্ডার টাঙ্গাইবেন

এক লোক ডাক্তার দেখাতে গেছে কারণ তার ইয়ে দাঁড়ায় না। ডাক্তার শুনে বললেন, বিয়ে করছেন?
: না।
: প্রেমিকা আছে ? 
: না।
: পরকীয়া করেন ? 
: ন।
: টানবাজার যান ? 
: না।
: মাস্টারবেট করেন?
: না।
ডাক্তার ক্ষেপেবললেন, ? ওই মিয়া,তাহলে দাড়া করায়ে কি করবেন? ক্যালেন্ডার টাঙ্গাইবেন!!! ?

কেচো দে

দুই ভাই বাসার পাশের ডোবাতে ছিপে মাছ ধরছে 
আর ঐ দিকে বাসার ভেতর কামের বেটি ড্রাইভার এর সাথে কাম করতাছে!!!
এদিকে মাছ বার বার কেচো খেয়ে নিচ্ছে তাই এক ভাই আরেকটারে বলে,* কেচো দে, কেচো দে*।
ঐ দিক থেকে কামের বেটি রেগে মেগে এসে এক চটকানি দিয়া বলে, *কে চোদে তা জাইনা তোদের কাম কি*????

উঠিয়ে নাও

মেয়েঃ এই শুনো জান তুমি ঐটা উঠাও না???
ছেলেঃ কোনটা? ?? 
মেয়েঃ তুমি কোনো কিছু বুঝো না..কোনটার কথা বলতেছি???
ছেলেঃ আমি আসলেই বুঝতেছি না..তুমি কোন জিনিষটা উঠাতে বলতেছ...
মেয়েঃ শুনো আমি আর পারতেছি না...প্লিজ ...উঠাও... 
ছেলেঃ খুলে বলোতো কোন জিনিষটা উঠাবো???
মেয়েঃ কেন...তুমি দেখতে পাচ্ছো না তোমার টাকা পরে গেছে...আমি সেটাই উঠাতে বলতেছি।

রক্ত বের হচ্ছে তো

মেয়েঃ ওহ!!! আবার রক্ত বের হচ্ছে......একটু তাড়াতাড়ি করুন...অনেক ব্যাথা লাগছে তো... ওহ!!! ওইই!!! মা.......
ছেলে : ওকে ওকে এবার তাহলে একটু বড় হা কর তা নাহলে তো আমি ফেলতে পারবো না......
মেয়ে : আহ!!! এতো জোর...!!! এবার থামুন তো...। এতো কষ্ট,
উফফ .... 
. . 
. . 
ডাক্তারঃ এই নাও... আক্কেল দাঁত উঠানোর কাজ শেষ.....এবার খুশি তো???

গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড-এর খেলা

শামসু তার গার্লফ্রেন্ড কে ফোন দিয়ে বলতেছেঃ জান আজকে রাতে চল গুল্লি-ডান্ডা খেলি ...... 
গার্লফ্রেন্ডঃ নাহ্। সেটা খেলতে পারবো না। পিচ ভেজা আছে । কিন্তু তুমি চাইলে ভলি বল খেলতে পার ।

স্পিড ব্রেকার

এক স্মার্ট মেয়ে টি-শার্ট পরে পার্কে বসেছিলো।
সে মেয়ের বুকের উপর একটা গাড়ির ছাপ ছিল।
শামসু পাশেই বসে বিড়ি খাচ্ছিল, হঠাৎ মেয়েটার বুকেরদিকে তাকিয়ে হা করে রইল। 
মেয়েটি তা খেয়াল করল এবং রেগে বললো ........... 
মেয়েঃ- এভাবে হা করে তাকিয়ে কি দেখেন?
শামসুঃ-না মানে, গাড়ি দেখছি!!
মেয়েঃ-[রাগের সুরে] গাড়ি কোনদিন দেখেন নাই??
/
/
/
/
/
/
শামসুঃ না মানে,গাড়ি তো অনেকই দেখছি কিন্তু এত বড় স্পিড ব্রেকার আমার জীবনেও দেখি না........!!!!!!

আদব কায়দা

প্রিন্সিপালঃ *আপনার বাচ্চাকে আদব কায়দা শিখাবেন ভালো করে* 
অভিভাবকঃ *কেন স্যার? কি হয়েছে?* 
প্রিন্সিপালঃ *এপ্লিকেশন ফর্মের সেক্স কলামে সে লিখে এসেছে 
। 
। 
। 
। 
। 
। 
। 
। *কখনো সুযোগ মিলে নাই….

মোমবাতি

হোষ্টেলে হঠাৎ বিদ্যুৎ নষ্ট হয়ে গেলে, ওয়ার্ডেন বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলো,
হ্যালো বিদ্যুৎ অফিস? আপনার লোকজন কে শিগ্গির পাঠিয়ে দিন,
মেয়েরা সবাই মোমবাতি ব্যবহার করছে!!!!

ইস্ত্রি

এক লোক তার ভেজা কাপড় শুকানোর জন্য পাশের বাসায়
গেছে কাপড় ইস্ত্রি (Iron) আনতে, তো গৃহকর্তা দরজা খুললেন .......... 
লোক বলছেঃ আপনার স্ত্রী আছে ? 
পড়শির উত্তরঃ জ্বী আছে
লোকঃ গরম হয়?
পড়শিঃ মানে কী ! কি বলছেন এইসব…
লোকঃ না মানে, গরম করে একটু ডলে দিতাম আর কি………।

বাবা আর গার্লফ্রেন্ড

বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে তার হোস্টেলে গেল।
সেখানে ছেলের সাথে একটা সুন্দরী মেয়েও ছিল...।।
বাবাঃ তোর সাথে এই মেয়েটা কে....??
ছেলেঃ বাবা, ও আমার রুম মেট।এখানেই আমার সাথে থাকে....।।
বাবাঃ কিন্তু......
ছেলেঃ তুমি যা ভাবছো, তা নয় বাবা। 
আমাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
আমরা দুজনে আলাদা ঘরে আলাদা আলাদা থাকি।
আমরা দুজনে খুব ভালো বন্ধু মাত্র....।।
বাবাঃ ঠিক আছে....বুঝেছি.. ...।। 
পরের দিন বাবা বাড়ি ফিরে গেল।
এক সপ্তাহ পর......
মেয়েঃ শুনছো, গত রবিবার তোমার বাবাকে যে প্লেটে খেতে দিয়েছিলাম....সেটা খুঁজে পাচ্ছিনা....।। 
আমার মনে হচ্ছে,
তোমার বাবা ই ওটা চুরি করেছে।
ছেলেঃ মুখ সামলে কথা বলো,কি যা তা বলছো....??
মেয়েঃ তুমি একবার ওনাকে জিজ্ঞাসা করে তো দেখতে পারো জানতে তো বাধা নেই....।।
ছেলেঃ ঠিক আছে ছেলে বাবাকে ই মেল করল----
পূজনীয় বাবা
আমি এটা বলছিনা যে, প্লেট টা তুমি ই চুরি করেছো আবার আমি এটাও বলছিনা যে, প্লেট টা তুমি চুরি করোনি তুমি যদি ভুল করে প্লেট টা নিয়ে যাও,তাহলে ওটা ফেরত দিয়ে যেও....
কারন,ওটা ওই মেয়েটার প্লেট....।।
------তোমার ছেলে-----
বাবা একঘন্টা পর রিপ্লাইদিল-----
স্নেহের খোকা
আমি এটা বলছিনা যে, তুমি একই ঘরে ওই মেয়েটার সাথে থাকো আবার আমি এটাও বলছিনা যে, তুমি একই ঘরে ওই মেয়েটির সাথে থাকো না।
এই পুরো সপ্তাহ তে মেয়েটি যদি তার নিজের ঘরে একবারের জন্যেও শুতে যেত. তাহলে......
। 
সে তার প্লেট টি নিজের বালিশের তলায় ঠিক দেখতে পেত যেটা আমি লুকিয়ে রেখে এসেছি.......।।

আমি প্রেগনেন্ট

স্ত্রীঃ একটা কথা বলব রাগ করবা না তো?
স্বামীঃ না, বলো 
স্ত্রীঃ আমি প্রেগনেন্ট
স্বামীঃ এতো খুশির খবর, রাগ করার কি আছে
স্ত্রীঃ বিয়ের আগে একবার বাবাকে বলেছিলাম বাবা প্রচন্ড রাগ করেছিলো তো তাই।

অন্ধ

এক মহিলা দুপুর বেলায় ফ্লাটের দরজা লাগিয়ে সব কাপড় খুলে গোসল করছে। হঠাৎ দরজায় নক পড়লো। 
মহিলা দরজার ফুটো দিয়ে দেখলো যে পাশের বাড়ির অন্ধ ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে। মহিলা ভাবলো,আমি তো লেংটা এটা তো আর ও দেখতে পাবে না। কারণ ওতো অন্ধ।
মহিলা দরজা খুলে বলল, কি বাবা কি হয়েছে?
অন্ধ ছেলেটাঃ আন্টি আম্মু এই মিষ্টিগুলো পাঠিয়েছে।
মহিলাঃ মিষ্টি কেনো বাবা?
অন্ধ ছেলেঃ আন্টি আজ সকাল থেকে আমি চোখে দেখা শুরু করেছি....!!!!

চোরের বুদ্ধি

তিন চোর গ্রামের একটা বাড়িতে গিয়েছিল গরু চুরি করতে। তো বাড়ির মালিক টের পায় এবং বেশি সাহস দেখাইতে গিয়ে একা একা গেল চোর ধরতে। 
তো চোর তিনটা বুদ্ধি করল বেটারে একটা অভিনব শাস্তি দিবে। 
তো চোর তিনটা মালিককে ধরে গরুর সাথে উলঙ্গ করে দড়ি দিয়ে বেধে রেখে চলে গেল।
পরের দিন সকালে বাড়ির লোকজন তার বাধন খুলে দিল। 
তো সে সাথে সাথে একটা লাঠি খুজতে লাগল, জামা কাপড় না খুজেই।
একটা লাঠি পেয়ে সাথে সাথে গরুর বাছুরটিকে পেটাচ্ছে আর বলতে লাগল- 
*কাল সারারাত বললাম আমি তোর মা না, তারপরেও তুই সারারাত দুধ মনে কইরা আমারটা চুষতেছিল কে ???

পরকিয়া

ডাক্তারঃ আপনার এ অবস্থা হলো কেমন করে...? 
১ম রোগীঃ আজকে নাইট ডিউটি শেষে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছি। বাড়ি ফিরে দেখি বউ ঘরে নাই, খুঁজে দেখি বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। আর এক লোক শার্ট পড়তে পড়তে রাস্তায় দৌড়াচ্ছে। আমি যা বোঝার বুঝে নিয়েছি। রাগে আমি ফ্রিজ তুলে লোকটাকে মেরেছি। ফ্রিজটা ভারি ছিলো তাই কোমরে ব্যথা পেয়েছি। 
১ম রোগীটি চলে যাওয়ার পড় ২য় রোগী এল।
২য় রোগীর অবস্থা আরো খারাপ।
সে বললঃ আজকে আমার চাকরিতে জয়েন করার প্রথম দিন। ঘুম থেকে উঠে দেখি দেরি হয়ে গেছে। তাই রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে শার্ট পড়ছিলাম। কোন বান্দির পোলা যেন একটি ফ্রিজ তুলে আমার উপর মেরেছে। তাই আমার এ অবস্থা। 
এরপর এলো ৩য় রোগী। ৩য় রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। 
৩য় রোগীঃ আজকে খুব বড় বিপদ মানে পরকিয়া থেকে বাচাঁর জন্য ডিপ ফ্রিজে লুকেয়েছিলাম। কোন হারামজাদা যেন ফ্রিজ তুলে রাস্তায় ছুড়ে মেরেছে । তাই আমার এ অবস্থা...!!

উলটপুরান



ছয় বছরের এক বাচ্চা তার বাবার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে– বাবা, Sex মানে কি?? 
*বাবা* বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। ভাবলেন, এসব বিষয়ে কৌতুহলই ছেলেমেয়েদের বিপথে টেনে নেয়। তাই কৌতুহল জেগে উঠার আগেই তার সব বিষয়ে জানা উচিৎ। তাই এই বিষয়ে তিনি একে একে সব বুঝিয়ে বলা শুরু করলেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বাচ্চাকে বোঝালেন, Sex কি, বিয়ে কি ,জন্মদানের প্রক্রিয়া, Sex করার প্রয়োজনীয়তা, বিয়ের আগে Sex করার নিষেধাজ্ঞা… ইত্যাদি ইত্যাদি... 
সব কথা শেষে ছেলে বললো, সবই বুঝলাম বাবা। কিন্তু যেটা বুঝতে চেয়েছিলাম সেটাই তো বুঝলাম না।* এই বলে সে দৌড়ে গিয়ে স্কুলের এডমিশন ফর্ম এনে দেখালো। যেখানে লেখা– Sex: Male/Female

ইঞ্জিনিয়ার



তিন জন মেয়ে রাস্তায় একটা প্রাইভেট কারে ( private car ) লিফট নিল । 
তো প্রাইভেট কারে তিন জন তরুন ইঞ্জিনিয়ার যাচ্ছিলো, কাজেই মেয়ে তিনজনের বসার জায়গা ছিল না। 
মেয়ে তিন জন ছেলে তিনজনের কোলে বসে পড়লো । 
গাড়ী চলছে…... 
১০ মিনিট পর 
১ম মেয়েঃ আপনি কি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার? 
১ম ছেলেঃ ( অবাক হয়ে ) আপনি কি করে বুঝলেন? 
১ম মেয়েঃ নাহ, মানে আপনার টাওয়ার চেষ্টা করছে আমার নেটওয়ার্কহীন জাগায় নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে ।
২য় মেয়েঃ আপনি কি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার?
২য় ছেলেঃ ( অবাক হয়ে ) আপনি কি করে বুঝলেন? 
২য় মেয়েঃ নাহ, মানে আপনার পেনড্রাইভ মনে হচ্ছে আমার ইউএসবিতে কানেক্ট হতে চাচ্ছে ।
৩য় মেয়েঃ আপনি কি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার? 
৩য় ছেলেঃ ( অবাক হয়ে ) আপনি কি করে বুঝলেন? 
৩য় মেয়েঃ নাহ, মানে হচ্ছে আপনার পিস্টন মনে হয় আমার সিলিন্ডারে ঢুকতে চাচ্ছে।

উভয়সংকট



এক বৃদ্ধ লোকের একটি বড় ফার্মহাউজ ছিলো। ফার্মহাউজের পেছনে একটা বড় পুকুরছিলো। সে সেটাকে কেটে গভীর করলো, কিছু পিকনিক টেবিল বসালো এবং কিছু গাছপালা লাগালো যাতে এটাকে একটা পিকনিক স্পট বানানো যায়। 
একদিন বিকালে লোকটি পুকুরের অবস্থা দেখার জন্য চললো। তার হাতে ছিলো একটা বালতি। পুকুরের কাছে আসতেই তার নজরে পড়লো কিছু নারীকণ্ঠ। আরেকটু এগোতেই সে দেখলো স্বল্প বসনা কিছু মেয়ে পুকুরের পাশে হাসি-আনন্দ করছে।
বৃদ্ধ ভাবলো, হয়তো তারা পাশের কোন বাড়ি থেকে এসেছে। নিজের উপস্থিতি জানানোর জন্য সে গলা খাঁকারি দিলো। তার আওয়াজ শুনে মেয়েরা সবাই গলা পানিতে নেমে গেলো। একজন বললো, চাচা, আপনি এখান থেকে না গেলে আমরা উঠবোনা। 
বৃদ্ধ বললো, আমি তোমাদের শরীর দেখার জন্য এখানে আসিনি। আমি পুকুরের কুমিরগুলোর জন্য খাবার এনেছি।

ক্ষেপণাস্ত্র



বল্টু ৫ তারা হোটেল এর লিফট দিয়ে নামার সময় এক মহিলার সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গেল এবং বল্টুর কনুই মহিলার বুকের সাথে সজোরে আঘাত করলো। 
বল্টু বলল: আপনার মন যদি আপনার বুকের মত নরম হয়, তবে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
⇓ 
⇓ 
জবাবে মহিলাটি বলল: আপনার ক্ষেপণাস্ত্র যদি আপনার কনুইয়ের মত শক্ত হয় তবে ৪২০ নম্বর রুমে চলে আসবেন।

সব লুটে নিব



রুম্পা কে তার জামাইয়ের হাতে তুলে দেবার সময় রুম্পার বাবাঃ-সেলিম আমাদের সব ইজ্জত আজ তোমার হাতে ।
সেলিমঃ-আব্বা,আপনি কোনও চিন্তা কইরেন না । আজ রাতেই সব লুটে নিব।

Thursday, 16 April 2020

কোরোনা কবিতা



বাদুরেরা চোদে রাতে
কাক চোদে সারাদিন
না চুদেই মরে গেল
কাস্ত্রো আর হো চি মিন
আর পৃথিবীটা চুদে দিল
চায়নার জিংপিন।
😁😁

ডিভোর্স ইত্যাদি



প্রিয় শাশুড়ি মা,
চিঠিটা আপনাকে না লিখে আপনার ছেলেকে লিখতে পারতাম। লিখলাম না কারণ যে অকালকুষ্মাণ্ডটাকে আপনি মার্কেটে নামিয়েছেন, সে হয়ত চিঠিটা খুঁজেই পেত না। রাখতাম খাটে, ও হয়ত সেটার ওপরেই মুড়ি টুরি মেখে খেয়ে নিত। 
দাঁড়ান একটা করে সাবহেডিং দিয়ে শুরু করি।
প্রথমে আসি আপনার ছেলের কথায়- 
আপনাকে মা একটাই প্রশ্ন, কী খেয়ে বানিয়েছিলেন বলুন তো এমন মালকে? একে মাল বললে মাল বলে যদি কিছু থাকে সেও লজ্জা পাবে। ঘুম থেকে শুরু করি। আপনার ছেলে এমন ঘুমায় যে কুম্ভকর্ণও লজ্জা পাবে। নাক ডাকে তো ঠিক আছে, নাক ডাকার সঙ্গে সঙ্গে তার গ্যাসের মেশিনটাও সমান তালে চলতে থাকে। নাক মুখ পেছন সব দিক দিয়ে শব্দ বেরোয়। আর গন্ধ? ভোপাল গ্যাস কান্ডেও দেশের লোককে এত কষ্ট পোষাতে হয় নি। প্রতিটা রাতে আমাকে জেগে বসে থাকতে হয় আপনার ছেলের ঘুমের জন্য। এমন করে মুখ হাঁ করে ঘুমাবে, একটা গোটা অনুব্রত মণ্ডল তাতে ঢুকে যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে আপনার ছেলের বাথরুমে গিয়ে কাপড় ছাড়ে না। জামা কাপড় পরে বসে পড়ে। সে করুক। ফ্ল্যাশ টানবে না? প্রতিদিন সকালে উঠে কমোডে হলুদ কালারের বিভিন্ন ধরণের বিস্ময়বোধক চিহ্ন দেখে দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। ঘরের একটা কাজ করবে না। সারা ঘর ময় আপনার ছেলের জাঙ্গিয়া, বারমুডা, স্যান্ডো গেঞ্জি ঘোরা ফেরা করে। আর খাবার কথা? আচ্ছা বলুন তো আমাকেই কেন প্রতিবার ল্যাজা খেতে হবে? কে বলেছে ঘরের বউয়েরা মুড়ো খেতে পারে না? কোথাও লেখা আছে? 
এবার আসি সেক্স লাইফে। না না। লজ্জা পাবেন না, আপনাকে শুনতে হবে।  আপনি তো প্রতিদিন সকাল বিকেল আমার কান মাথা গরম করে দেন “নাতি চাই নাতি চাই” করে। কী করে হবে? আপনার ছেলে রাত দশটায় বাড়ি ফিরে খেয়ে দেয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়েই শব্দগন্ধব্রহ্ম শুরু করে দেবে। আপনি আমাকে বলুন কী করে নাতি নাতনি হবে? একবার তো ঠিক করেছিলাম আউটসোর্সিং করব। তারপর পিছিয়ে এলাম। বাপের বাড়ি থেকে খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল সবই আনা যায়, নাতি নাতনি তো আনা যায় না।
কোলে বসিয়ে, বাবা বাছা করে যে জিনিসটিকে বানিয়ে বড় করে তুলেছেন, বিশ্বাস করুন, জিনিসটা জাস্ট হয় নি। নেহাত আমি বলে দু বছর ঘর করে গেলাম। অন্য কেউ হলে তাও করবে না। আপনি খুব বলেন সোনার আংটি আবার বাঁকা! হাসিও পায়। সোনার আংটি নাকি! খ্যাক খ্যাক খ্যাক খ্যাক। আপনার ছেলে টাংস্টেনের আংটিও না।
এবার আসি আপনার আর শ্বশুর মশাইয়ের কথায়-
আপনি শাশুড়ি না রাজ্য সরকার? সারাক্ষণ ছেলের দোষ চেপে যান। ছেলের কোন দোষই দেখতে পান না আপনি। আপনার ছেলে কিছু করলেই “ছোট্ট ঘটনা”, “ছোট ছেলেরা এরকম করেই থাকে”, “সব সাজানো” বলে চালিয়ে দেন। আর আমি কিছু করলেই এমনভাবে সেগুলোকে ট্রিট করেন যেন আমি মানুষ না, সিপিএম। মাংস হলে আপনার ছেলে দশ পিসের মধ্যে সাত পিস খাবে। এক পিস আমি, এক পিস আপনি আর এক পিস শ্বশুর মশাই খাবে। কেন? আমার কি মাংস খেতে ইচ্ছা করে না? আমি মাংস খাব না? খাব না আমি মাংস? যেদিন বাইরে থেকে খাবার আসে, সেদিন আপনার ছেলে এমন ভাবে হামলে পড়ে সে খাবার খায় যেন সোমালিয়ার দুঃস্থ মানুষ। কী শিক্ষা দিয়েছেন বলুন তো? প্রতিবার বাড়িতে খাবার আসবে আর আপনার ছেলে প্রতিটা বিরিয়ানির প্যাকেট হাতড়ে দেখবে কোনটায় লেগ পিস আছে। যেটায় আছে, সেটা তিনি খাবেন, আর বাকি প্যাকেটগুলো সব ঘেঁটে দেবেন। লেগ পিস তিনি খাবেন আর আমার ভাগ্যে পড়বে ছিবড়া ব্রেস্ট পিস। কেন? পরের বাড়ির মেয়ে বলে কি পাপ করে এসেছি? আপনি এমন করে ছেলেকে আগলে রাখবেন, যেভাবে আইটি সেল ফিলীপ মোষকে আগলে থাকে। আপনার ছেলে যদি বলে হরিণ এক ধরণের পাখি, আপনি বলবেন হ্যাঁ, হরিণ এক ধরণের পাখি। কোন দিন বলবে আপনার বাড়ির টমের হিসিতে সোনা পাওয়া যায়। আপনি তুরস্কের কোন এক রিসার্চ পেপার গুগল থেকে নামিয়ে প্রমাণ করতে শুরু করে দেবেন আপনার ছেলেই ঠিক। কেন মা? ছেলে জন্ম দিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন না। আর শ্বশুর মশাইয়ের কথা কী বলব। উনি শ্বশুর মশাই না পলিট বুড়ো? এমন পোলাইট বুড়ো, যে বউকে কিছুই বলবেন না। আপনি যা বলবেন সেটাই ঠিক। আপনি শাশুড়ি হিসেবে শ্রীময়ীর শাশুড়ির থেকেও খারাপ। আর  শ্বশুর মশাইকে দেখে মাঝে মাঝে এল কে আদবানীর মত লাগে। দলে আছেন, কেন আছেন নিজেও জানেন না।  
আপনাদের ঐ ইয়ের সংসারে আমি আর থাকলাম না। যা পারেন করবেন। আর হ্যাঁ, ছেলেকে পারলে ম্যানহোলের তলায় রেখে দিন। আপনার ওটা ছেলে না, অ্যাস… মানে ম্যান হোল।
মারান।
ইতি
আপনার বউমা 
Sorry
এক্স বউমা
(ক্রমশ)

Wednesday, 1 April 2020

এক কথায় হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা



1. আঘাত পেয়ে যেকোন রোগ হলে- Arnica
2. হঠাৎ আসা তরুণ বা যেকোন রোগে- Aconite
3. গলায় মাছের কাটা বিধলে-Silicia 200
4. ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে গেলে-Staphysagria
5. পিন, তারকাটা, পেরেক, লোহা বিধলে-Ledum Pal 200
6. অতিরিক্ত হাঁচি আসলে-Natrum Mur 30
7. যানবাহনে চড়ে বমি হলে-Cocculus Ind
8. ঘুমের মাঝে নাক ডাকলে- Opium
9. ঘুম না আসলে- Opium
10. অত্যধিক ঘুমের জন্য লেখা পড়ার ক্ষতি হলে-Ferrum Phos 3x
11. চোখের পাতায় বার বার অঞ্জলি/তেলেঙ্গা হলে-Staphysagria
12. যেকোন স্থানে, যেকোন ব্যথায়-Mag phos 6x
13. ক্ষুধা ও বলশক্তি বৃদ্ধির জন্য-Nux Vom Q
14. খাবারে রুচি না থাকলে-Amloki Q
15. শরীরের কোন স্থান কেটে রক্তপাত ঘটলে-Calendula Q (বাহ্যিক)
16. বর্ষা/বৃষ্টির কারণে যেকোন রোগ হলে-Rhus Tox
17. আমাশয় হলে-Merc Sol
18. আমাশয়ে রক্ত গেলে-Merc Cor
19. শরীরের যেকোন স্থান দিয়ে টাটকা লাল রক্ত স্রাব হলে-Sinaberis
20. কি ঔষধ প্রয়োগ করবেন না জানলে-NuxVom- 30
21. নড়াচড়া বা চাপলে আরাম-RhusTox
22. চুপচাপ থাকলে আরাম-Bryonia Alb
23. স্কুল কলেজ/অবিবাহিত যুবকদের কামরিপু দমনের জন্য Cantharis
24. গায়ক/বক্তার স্বর ভেঙ্গে গেলে-Custicum/Arg Nit
25. স্মরণশক্তি লোপ পেলে-Anacardium 
26. খিটখিটে মেজাজ বদ-রাগি লোকদের যেকোন রোগে-Camomila
27. আগুন, গরম ও রৌদ্রজনিত যেকোনো রোগে বা সমস্যায়-Glonoine
28. শুঁচিপায়ি রোগির জন্য- Syphillinum-10m
29. বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করলে-Cina
30. মৌমাছি হুল ফুটালে-Apis Mel 
31. চুন খেয়ে জিহ্বা পুড়লে/সমস্যা হলে-Causticum
32. পিঠে ব্যথায়-Lycopodium
33. ঘাড় ব্যথার জন্য-Conium
34. দুরগন্ধযুক্ত যেকোন স্রাব হলে-Achinesia
35. সোরাইসিসের জন্য-Gynocardium Q
36. যা খায় তাই বমি করে, কোন খাবার হজম হয়না-Symphoricur pus 30
37. মাথায় যন্ত্রনা বা ব্রেনের যেকোন সমস্যায়- Kali Phos 6x
38. মহিলাদের জরায়ু ঝুলে গেলে-Sipia 200
39. মহিলাদের তল পেটে ব্যথা হলে-Colophylom Q
40. প্রস্রাব ধারনে অক্ষমতা-Causticum 200
41. গুরুপাক খাবার খেয়ে অসুখ হলে-Pulsitilla
42. যেকোনো বাতের জন্য -Guacum
43. শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে-Calcaria phos-6x
44. শরীরে আইরনের অভাব হলে-Ferum phos-6x
45. শরীরে মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন হলে- Five Phos
46. ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে গেলে মাথাব্যথা-Calcaria phos
47. রোগী কথায় কথায় “#যদি” শব্দ থাকলে- Arg Nit 200
48. মুখ ও গলার ভিতর যেকোন রোগে- Marc Sol
49. ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার ঔষধ- Eupatorium Perfoliatum
50. হৃদরোগের মহা ঔষধ- Crataegus Oxyacanth.

Saturday, 14 March 2020

তাঁবু থেকে পাপোশ



ঘুমের মধ্যে পল্টুদা লুঙ্গিতে তাঁবু খাটিয়েছে দেখে বৌদি অনেকদিন পর কাছে ঘেঁষে ঠেলা দিয়ে বলল 'করো-না!'
ভয়ের চোটে নিমেষে পল্টুদার তাঁবু পাপোশ হয়ে গেল! 😂😂

Tuesday, 10 March 2020

দুই পাগলের কথোপকথন



১ম পাগল:আচ্ছা কম্পিউটার চালু করে কেমনে?
২য় পাগল:তুই জানিস না।।
১ম:না
২য়:হাহাহাহাহা,,এইজন্য মানুষ তোরে পাগল বলে ।
২য় পাগল: যা রিমোট টা নিয়ে আয় আমি চালু কইরা দিতাছি।

Friday, 6 March 2020

জগন্নাথ



এক ICSE স্কুলের শিক্ষক হওয়ার কারণে ICSE আর ISC পরীক্ষার দিনগুলোতে আমাদের অনেককেই যেতে হয় অন্য স্কুলে Invigilation duty করতে, সোজা কথায় গার্ড দিতে! তো এবারে পালা করে এক-একটা স্কুলে ডিউটি দিচ্ছি, হঠাৎ একদিন সাতসকালে প্রিন্সিপাল ম্যাডাম আমায় ডেকে বললেন – “তোমার Schedule টা একটু পাল্টালাম! তোমাকে একটা অন্য স্কুলে ডিউটি দিচ্ছি, একজন স্পেশাল চাইল্ড পরীক্ষা দিচ্ছে, তার জন্য একজন Invigilator দরকার। রোজ কিন্তু তোমাকে ওখানেই ডিউটি দিতে হবে। অসুবিধা নেই তো?” এসব ক্ষেত্রে অসুবিধা থাকলেও তা বলতে নেই। সুতরাং আমাকে ডিউটি লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া হ’ল। 
নির্দিষ্ট সময়ে সেই স্কুলে পৌঁছেও গেলাম, দেখলাম – আমার বসার জায়গা, বলা ভালো আমার ডিউটির জায়গা করা হয়েছে স্কুলের Accounts বা Fees collection-এর ঘরটিতে। আমার বসার জন্য একখানা চেয়ার ছাড়া আর একটা মাত্র টেবিল ও চেয়ার পাতা। তাতে একজনই মাত্র ছাত্র বসে। পরীক্ষার পেপার তখনও আসেনি। দেখলাম ও বসে-বসে পায়ের পাতা দিয়ে টেবিলের নীচে মেঝেতে তাল ঠুকছে, আর একই ভাবে হাত দিয়ে তাল দিচ্ছে টেবিলের ওপরে। প্রথম দেখায় যদিও ওর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা বুঝতে পারলাম। আমার সঙ্গে যা কথা হল তা খানিক এই রকম-
Student : Good afternoon sir.
Me : Very good afternoon. Myself Pallab Banerjee, What’s your name?
Student : I am Avinash.
Me : OK. Best of luck for your exam. If you don’t mind may I ask you a question?
Avinash : Yah! Why not?
Me : What type of physical problem do you have?
Avinash : I have a critical problem in my nervous system, for which I can move only a few muscles of my body.

ও অবিনাশ, অবাঙালী উচ্চারণে আভিনাশ! পরীক্ষা শুরু হল। হিসাব মত Council ওকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়, ও কিন্তু প্রথম দু-দিনে তার একটুও ব্যবহার করেনি। দ্রুত লিখেছে, সময়ে শেষ করেছে। প্রথম দু-দিনে আমিও বার-বার ওকে দেখেছি আর ভেবেছি – “কই, তেমন কিছু তো সমস্যা মনে হচ্ছে না!” তিন নম্বর পরীক্ষার দিন আকাশ মেঘলা দেখে যথারীতি আমি একটু আগেই পৌঁছে গেছি সেই স্কুলে। Cash Collection-এর ঘরে গিয়ে দেখি তখনও আসেনি অবিনাশ। খানিক পরেই আমার চোখের সামনে স্কুলের Car Parking-এ একটা সাদা গাড়ি এসে থামল। গাড়ির ভিতর থেকে প্রথমে বেরিয়ে এল একটা Wheel Chair, এই Wheel Chair আমি চিনি। আমাদের room এর বাইরেই রাখা থাকে, এ জিনিস অবিনাশের। পিছনেই এক ভদ্রলোক নেমে এলেন, সম্ভবত ওর বাবা। অন্য গেট থেকে প্রথমে উনি টেনে বার করলেন এক জোড়া জুতো ও প্যান্ট-পরা-পা।এই পা’ও আমি চিনি- অবিনাশের। তারপর উনি সামনে থেকে টেনে আর ভিতর থেকে ওর মা ঠেলে বের করে আনলেন অবিনাশের গোটা শরীরটা। হুইল চেয়ারে ওকে বসিয়ে ওর মা হাঁপাতে-হাঁপাতে আমার দিকে তাকিয়ে একবার হাসলেন। মনে হ'ল, এক প্রস্থ যুদ্ধ শেষ করে উঠলেন যেন। এরপর আসল চমক বাকি ছিল যেন আমার জন্য! অবিনাশের লড়াইয়ের প্রধান দৃশ্য – যা গত দু-দিনে আমার নজরে পড়েনি। হুইল চেয়ার গিয়ে ঢুকল পরীক্ষার ঘরে। সেখানে ওকে Transfer করা হ'ল সাধারণ চেয়ারে। আমি দাঁড়িয়ে দেখছি – ওর পা দুটো ছিল টেবিলের Foot-Rest-এ অর্থাৎ যে সরু কাঠটির ওপর আমরা পা রাখি, তার ঠিক ওপাশে। ও একবার মৃদুস্বরে ওর মা-কে ডেকে চোখের ইশারা করতে, মা ওর পা দুটো ধরে এপাশে করে দিলেন। Admit Card, পেন সব টেবিলে সাজিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আর একবার হেসে যখন ওর মা বেরিয়ে যাবেন ব'লে পা বাড়াচ্ছেন, ঠিক তখনই অবিনাশ ডেকে উঠল – “মাম্মি, মাম্মি! মেরে হাত...!” ওর মা ছোট করে “ও, হাঁ, ভুল গ্যয়ি থি” ব'লে এগিয়ে গিয়ে ওর দুপাশে ঝুলে-থাকা হাত দুটো ধরে, টেবিলের ওপর সাজিয়ে রাখলেন এমন ভাবে যেন হাতে পেপার পেলেই সে লিখতে শুরু করতে পারে। এবার অবিনাশ হালকা ক'রে টেবিলের ওপর হাত দিয়ে আর নীচে পা দিয়ে তাল ঠুকতে শুরু করল, ঠিক যেমন দেখেছিলাম ওকে প্রথম দিন। ওর মা বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে। আমার গলার কাছটায় একটা কষ্ট দলা পাকিয়ে আটকেই রইল। এই ছেলেটিকে এখন দেখে কে বলবে যে, নিজের পায়ের পাতা ছয় ইঞ্চি নাড়াবার সামর্থ্য ওর নেই? কে বুঝতে পারবে যে, নিজের হাত টেবিলের ওপরে তোলার দরকার পড়লে ওকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়? গত দু-দিন এই স্কুলের প্রিন্সিপাল, ওর আগের স্কুলের প্রিন্সিপাল এসে ওকে দেখে গেছেন একাধিক বার। আমার সঙ্গে দেখা ক'রে প্রত্যেকেই বলেছেন- “He is our topper, but see, how unfortunate he is..!” 

অবিনাশ-অবিনশ্বর-বিনাশ নেই যার!অবিনাশের দিকে তাকিয়ে আছি আর ভেবে চলেছি নিজের কথা, নিজেদের প্রতি একরাশ লজ্জা এসে গ্রাস করছে আমায়। কত সহজে আমরা কত-কত অভিযোগ করি আমাদের জীবনের বিরুদ্ধে, কত অল্পেই অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ি যখন দেখি নিজেদের প্রাপ্তির খাতায় এক-চুল কম পড়েছে, ধৈর্য্য জিনিসটা-কে অনায়াসেই আমরা এড়িয়ে যাই, কত সামান্য কারণে আমরা কেঁদে ভাসাই। চোখের সামনে ছেলেটি বসে অনর্গল লিখে চলেছে আর আমার মনের ভিতরে চলে কেবল কিছু অনির্ণেয় প্রশ্ন:
আচ্ছা, আমাকে মশা কামড়াচ্ছে,
আমি হাত দিয়ে মশা তাড়াচ্ছি। ওকেও নিশ্চয় কামড়াচ্ছে, ও কী করবে?
আমার জল তেষ্টা পাচ্ছে, আমি বোতল থেকে জল খাচ্ছি, কিন্তু এই চার-ঘণ্টা ধরে যে ও পরীক্ষা দিচ্ছে ওর একদিনও তেষ্টা পায়নি? পেলে ও কী করবে?
বাড়ি ফিরে অবিনাশের কথা ভুলতে পারলাম না। ঘুম থেকে উঠে, প্রাত্যহিক কাজ করতে-করতে এমন অনেক কাজ মাথায় আসতে লাগল আর আমি কিছুতেই ভেবে উঠতে পারলাম না যে, সেই কাজগুলো অবিনাশ সামলায় কী ক'রে? আর যত ভাবতে লাগলাম ততই দিশাহারা ভাব জেগে উঠল মনে। তার পর থেকে একটা দিনের জন্যও ছেলেটার দিক থেকে চোখ সরাইনি, যদি কিছু দরকার হয় ওর, যদি আমার কাছে বলতে লজ্জা হয় – আমাকে তো দেখেই বুঝতে হবে ওর কী দরকার।

পরীক্ষা শেষের দিন আমায় বলল অবিনাশ – “Sir, you are a very nice person. I shall remember you” আমার গলা ধরে এসেছিল সেদিন, আমি বললাম – “I must say Avinash, I shall not just remember you, I shall respect you, rather I shall worship you” আসার আগে ওর মা-কে বলেছিলাম – “ও যদি আমার থেকে বয়েসে ছোট না হ’ত আর এটা যদি স্কুল ক্যাম্পাস না হ’ত তাহলে এখানেই আমি ওর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম”। 
বিশ্বকর্মা জগন্নাথ গড়ার সময় কেন তার হাত-পা গড়েননি তা আমরা অল্পবিস্তর অনেকেই জানি, কিন্তু এটা সত্যিই জানিনা এত শক্তিশালী এক মানুষ গড়ে বিশ্বকর্মা এই ভুল কী ক'রে করলেন। সব দিলেন অথচ শক্তি দিলেন না!
ধন্যবাদ আমার ভাগ্যকে, ধন্যবাদ আমার স্কুল কর্তৃপক্ষকে, ধন্যবাদ আমার ঈশ্বরকে – তারা আমায় চোখের সামনে জগন্নাথ দর্শনের সুযোগ করে দিয়েছেন। লাখে-লাখে মানুষ সারা বছর ধরে পুরী যায় যে মূর্তিরূপী জগন্নাথ দেখতে, আমার সৌভাগ্য সেই জগন্নাথ আমার চোখের সামনে চলে-ফিরে বেড়িয়েছেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।

মাস তিনেক পর – পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। আমিও কোনো এক দরকারে সেই স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছি, হঠাৎ নজরে পড়ল স্কুলের বাইরে গেটের কাছে ইয়া বড় একটা ফ্লেক্স টাঙানো – তাতে অবিনাশের ছবি। এবারেও সে ওই স্কুলের Topper. নিজের অজান্তেই আমার হাত দুটো নমস্কারের ভঙ্গিতে কপালে উঠে গেল।

[ওপরের ঘটনাটিতে একটুও গল্প বা বানানো অংশ নেই। শুধুমাত্র ছাত্রের নামটা ইচ্ছে করেই বদলে দেওয়া হয়েছে]

সৌজন্যে - পল্লব ব্যানার্জী

Thursday, 5 March 2020

গামলা



দুই বোন বাসনের দোকানে গেছে গামলা কিনতে :- 

বড় বোন - দাদা গামলা আছে ? 

দোকানদার - হ্যাঁ আছে । কি সাইজের ?

বড় বোন - এই অ্যাত্তো বড় ( হাত দিয়ে দেখালো )🤷‍♀️

দোকানদার - বসুন উপর থেকে পাড়তে হবে ।

দোকানদার মই বয়ে উপরে উঠে গামলায় যেই হাত দিয়েছে ওমনি ছোটবোন চেঁচিয়ে বলে উঠলো !

দিদি,দিদি, দ্যাখ লোকটার নুনু দেখা যাচ্ছে !🤭🤭

(দোকানদার লুঙ্গি পড়ে ছিল কিন্তু নিচে অন্তর্বাস পড়া ছিল না )

দোকানদার দ্রুত নেমে এসে বললো - না দিদি, গামলা নেই ☹️

বড় বোন - সে কি ? এইমাত্র তো বললেন গামলা আছে !

দোকানদার - এত বড় বাঁড়াটাকে যখন নুনু বললেন , তখন বড় গামলাটাকেও অবশ্যই বাটি বলবেন ? তাই আর পরিশ্রম বাড়ালাম না😬
😜😜

Saturday, 29 February 2020

অভিযোগের ডায়েরী



এক ছুটির সন্ধ্যায় স্ত্রী বলছিল স্বামী কে,
আমার অনেক কিছু
বলার থাকে তোমাকে।
হয়ে ওঠেনা বলা তোমাকে,
আর সব কিছু থাকেও না মনে ।
আসলে তুমি ফেরো অফিস থেকে
ক্লান্ত হয়ে,
আমিও ক্লান্ত সারাদিন ঘর সামলে ।
আমাদের বিয়ের বয়স পনেরো বছর  হয়ে গেছে ।
এখন থেকে আমি তুমি 
দুজনে মিলে লিখব ,
আমাদের অভিযোগের কথা এক  ডায়েরীতে ।
এখন থেকে ঠিক একটা বছর পরে,
তোমার ডায়েরী পড়ব আমি,
আমার ভুল জানতে ।
আমার ডায়েরী পড়বে তুমি,
তোমার ভুল জানতে ।
এরপর দুজনে দুজনের ভুল নেবো শুধরে  ।
স্বামী হেসে , মত দেয়  তাতে ।

ঠিক এক বছর পরে এক সন্ধ্যাতে,
স্ত্রী দেয় তুলে ডায়েরী স্বামীর হাতে ।
লেখা আছে তাতে----

সিনেমায় নিয়ে যাবে বলেও,
ফেরোনি সঠিক সময়ে ।
আমার জন্মদিনে যে শাড়ি টা এনেছিলে,
তার ডিজাইনটা ছিল পুরানো দিনের ।
বাপের বাড়ি থেকে যখন এসেছিল ভাইয়েরা 
তোমার আচরণ ছিল না ঠিক তাদের সাথে ।
সেদিন রাতে মাথাটা ধরেছিল বলে,
বলেছিলাম একটু টিপে দিতে,
ক্লান্ত বলে দাওনি টিপে ।
এমনি নানা ছোটো ছোটো
অভিযোগ ডায়েরীতে পড়ে,
স্বামীর চোখ জলে ভরে ওঠে ।
সে স্ত্রীকে বলে,
করবো চেষ্টা ভুল না করতে ‌।

এবার স্ত্রী স্বামীর লেখা
ডায়েরী পড়া শুরু করে ।

প্রথম থেকে একশ পাতা,
কিছুই লেখা নেই সেখানে ।
স্ত্রী রেগে গিয়ে বলে,
একটা কাজ বলেছিলাম এত বছরে,
সেটাও করোনি তুমি একটু ধৈর্য্য ধরে ।
স্বামী হেসে বলে,
শেষ পাতাতে সব লেখা আছে ।
স্ত্রী শেষ পাতা পড়া শুরু করে ।
তাতে লেখা আছে,

রাগ হলে বকাবকি করি তোমাকে,
কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে কিছু লিখতে,
হাত আমার কাঁপছে  ।
তুমি যে আমারই ছায়া 
তোমার ভুল যা আছে,
তা অনেক অনেক ছোটো,
যা দিয়েছ আমাকে তার থেকে ।
আজ এ সংসার আছে দাঁড়িয়ে
তোমারই ত্যাগে ।
ছেলে মেয়ে থেকে আমাকে,
এমনকি আমার বাবা মাকে
তুমিই তো রেখেছ দেখে,
সাজিয়ে তুলেছ সুন্দর এই সংসারকে ,
নিজের ত্যাগের রাস্তা তে ।
ক্ষমা করো আমাকে,
পারবনা লিখতে একটাও শব্দ
তোমার বিরুদ্ধে ।

ডায়েরী পড়া শেষে,
স্ত্রী  কেঁদে ফেলে
স্বামীর বুকে মাথা রেখে ।
===============
আদর্শ দম্পতিদের উদ্দেশ্যে সামান্য উৎসর্গ। ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে। 
🙏🙏🙏🙏🙏🙏

Friday, 28 February 2020

স্ত্রীর অঙ্ক



এক শি‌ক্ষিতা স্ত্রী তার স্বামী‌কে বল‌লো.........
 শো‌নো...............আমি অঙ্ক ক‌রে তোমা‌কে ব‌লে দেব তোমা‌কে তোমার টাকা কোথায় ল‌গ্নি কর‌তে হ‌বে ...

সততার স‌ঙ্গে সমাধান কর‌তে হ‌বে।

নী‌চে দেওয়া সংখ্যাগু‌লির ম‌ধ্যে যে কোন একটা সংখ্যা বে‌ছে নিন।

1 - 2 - 3 - 4 - 5 - 6 - 7 - 8 - 9.

বে‌ছে‌ছেন তো ?😕

এবার আপনার নির্বা‌চিত সংখ্যা‌টি‌কে তিন দি‌য়ে গুন করুন।😉

তারপর ঐ গুনফ‌লের সা‌থে তিন যোগ করুন।

এরপর ঐ যোগফল‌কে আবার তিন দি‌য়ে গুণ করুন। 

দেখুন দুই অ‌ঙ্কের এক‌টি সংখ্যা পাওয়া যা‌বে।

এবার ঐ সংখ্যার দু‌টি অঙ্ক‌কে(Digit) যোগ করুন। এবার যে সংখ্যা‌টি পা‌বেন, সেটাই ব‌লে দে‌বে যে আপ‌নি আপনার টাকা কোথায় রে‌খে খাটা‌বেন।

তার তা‌লিকা নী‌চে দেওয়া হ‌লো _____ ...

1. জ‌মি জায়গা
2. সোনা
3. ফিক্সড ডি‌পো‌জিট
4. ব্যবসা-বা‌নিজ্য
5. শেয়ার
6. পাব‌লিক প্র‌ভি‌ডেন্ট ফান্ড (PPF)
7. ‌রেকা‌রিং ডি‌পো‌জিট (RD)
8. ন্যাশানাল সে‌ভিংস সার্টি‌ফি‌কেট (NSC)
9. স্ত্রীর কা‌ছে গ‌চ্ছিত রাখুন
10. মিউচুয়াল ফান্ড
11. রি‌য়েল এস্টেট।

এবার আপনার যা উত্তর  এলো সেই অনুযায়ী কাজ করুন। য‌দি মান‌তে মন না চায় সেটা আপনার ব্যাপার।
আবার য‌দি একান্তই ইচ্ছা হয় তো অন্য একটা সংখ্যা নি‌য়ে চেষ্টা কর‌তে পারেন।
😜

গোপন তথ্য



1) *কামসূত্র* বলেছে - যদি তুমি কোন মহিলার একটা মাই চোষ তাহলে ঐ মহিলা তার আর একটা মাই চোষার জন্য *offer* করবে ।
আর এখান থেকেই *একটা কিনলে একটা ফ্রি এই concept এর উদ্ভব ।*

2) কখনও কি তুমি লক্ষ্য করেছো যে, মহিলাদের শরীরের উপরের অংশের নামকরণ গুলো সর্বদা *B* দিয়ে শুরু হয় । যেমন *Blouse, Bra, Bikini, boobs* ইত্যাদি । আর মহিলাদের শরীরের নিচের অংশের নামকরণ গুলো সর্বদা *P* দিয়ে শুরু হয় । যেমন *peticoat, Panty,  Pussy* ইত্যাদি । আর এই ভাবেই *BP*-র উদ্ভব হয় ।

3) সেক্সের আগে আমরা একে অপরকে নগ্ন করতে সাহায্য করি । কিন্তু sex হয়ে যাওয়ার পর আমাদের যে যার পোষাক নিজেদের কেই পরে নিতে হয় । এই সময় আমরা একে অপরকে সাহায্য করি না । 
*Moral* - *তুমি একবার চুদে গেলে কেউ তোমাকে সাহায্য করতে আসবে না ।*

4) সফলতা অনেকটা গর্ভবতী হওয়ার মতো । প্রত্যেকে তোমাকে ধন্যবাদ দেবে কিন্তু *কেউ জানবে না যে এটা অর্জন করতে তোমাকে কতবার চোদা হয়েছে ।*

5) *Frustration* এবং *Satisfaction* এর মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?
Frustration - *চুদে গেছে !!* Satisfaction - *কি চুদেছে !!*

6) 3 জন লোক যখন sex করে তখন *threesome* বলা হয় । 2 জন লোক যখন sex করে তখন *twosome* বলা হয়। তাই বলে এই পরিপ্রেক্ষিতে কেউ  যদি আপনাকে *Handsome*  বলে তাহলে আপনি আবার এটাকে প্রশংসা ভেবে ভুল করবেন না !

7) জীবন টা হল *বাঁড়ার* মত । কখনও কখনও এটা *অকারনে কঠিন হয়ে যায়* ।

8) বাস্তব মুখী চিন্তা :- একজন স্ত্রী চায় যে তার স্বামী তার *প্যান্টি ভেজাবে, চোখ ভেজাবে না* । আর একজন স্বামী চায় যে তার স্ত্রী *তার বাঁড়া টাকে কঠিন করে রাখবে তার জীবন টাকে নয়* ।

9) যখন মেয়েরা গর্ভবতী হয় তখন সকল মেয়েদের সকল নিকটজনেরা মেয়েটির পেট স্পর্শ করে অভিনন্দন জানায় । কিন্তু ওই নিকটজনেরা কখনই ছেলেদের ধোন টা স্পর্শ করে বলে না যে দারুন করেছো !!
*Moral* :- *কঠিন পরিশ্রমের* কোন দাম নেই । একমাত্র *ফল* আনতে পারলেই লোকে দাম দেবে ।

কথা গুলো শুনতে খারাপ, ভাষাটাও খারাপ । কিন্তু কথাগুলো চরম বাস্তব ।```

Sunday, 23 February 2020

দাদুর সেক্স



এক দাদু সেক্স করার সময় জোরে জোরে কাঁপতে লাগলো, মেয়েটা জিজ্ঞেস করলো দাদু কি হলো? দাদু বললো বুঝতে পারছিনা কি বেরোবে মাল না আত্মা।।
।। 😝😝😂😂```

বুকুনের রচনা



ক্লাসটিচার বুকুনের Guardian call করেছেন। বুকুনের বাবা গেছে স্কুলে দেখা করতে। ক্লাসটিচার বললেন "আমরা এই ডেঁপো ছেলেকে স্কুলে রাখব না, আপনি একে অন্যকোথাও ভর্তির ব্যবস্থা করুন।" বকুনের বাবা কারন জানতে চাইলে শিক্ষক বুকুনের পরীক্ষার খাতাটা দেখালেন যাতে বুকুন কুকুরের রচনা লিখেছে..... "কুকুর গৃহপালিত পশু। কুকুর খুব বিশ্বস্ত প্রাণী ইত্যাদি ইত্যাদি ........................  কুকুরের চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ, একটি লেজ ইত্যাদি ইত্যাদি ......... কিন্তু ভাদ্র মাসে দুমুখো কুকুর দেখা যায় ।" ক্লাসটিচার "দেখেছেন কেমন ইতর বাঁদর ছেলে ... নোংরা নোংরা কথা লিখেছে ... না না আপনি ওকে অন্য কোন স্কুলে নিয়ে যান মশাই।" তাই শুনে বুকুনের বাবা বললেন "ও বাচ্চা ছেলে  ... অতসত বোঝে না। রাস্তা ঘাটে হয়তো কুকুরদের করতে দেখেছে তাই লিখেছে.... আপনি বরং ওকে অন্য রচনা লিখতে দিন...... দেখবেন ও উলট পালটা কিছু লিখবে না।" ক্লাসটিচার সেই মতো বুকুনকে গরুর রচনা লিখতে দিলেন। বূকুন লিখল : "গরু গৃহপালিত পশু। গরু নানা রংয়ের হয়ে থাকে .... সাদা, কালো, লাল ইত্যাদি। গরুর  গোবর থেকে ঘুঁটে হয়। গরুর  চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ, একটি লেজ ইত্যাদি ইত্যাদি ..........গরুর দুধ খুব উপকারী পানীয়। গরুর দুধ খেলে শরীরে বল হয়। তাই আমরা বাড়ির সকলে গরুর দুধ খাই... শুধু আমার ছোট ভাইটা আর বাবা মায়ের দুধ খায়..........পাশের বাড়ির পল্টু কাকুও মাঝে মাঝে খেয়ে যায় "। বুকুনের বাবা হেঁচকি তুলতে তুলতে বাড়ি ফিরল। আজও হেঁচকি থামেনি। 😝😝😝😝😝😝

টুকলি



দশম শ্রেনীর জীববিদ্যা ক্লাস চলছে । শিক্ষক সব ছাত্রদের পুরুষ লিঙ্গের ছবি আঁকতে দিয়েছে । সবাই মনোযোগ দিয়ে ছবি আঁকছে । হঠাৎ বল্টু চিৎকার করে উঠল , "স্যার , আপনার প্যান্টের চেনটা আটকে নিন.....মেয়েরা টুকলি করছে....." 😂😂😂😂

আপনি অনেকদিন বাঁচবেন



বল্টু স্কুল এর বাথরুমে হ্যান্ডেল মারছিল। 
হঠাৎ ম্যাডাম এসে দেখে ফেললেন। 
ম্যাডাম - কী করছিস বল্টু এখানে?? 
বল্টু - আপনি অনেকদিন বাঁচবেন ম্যাডাম, এই আপনার কথাই ভাবছিলাম।। 😸😸😸😸

ম্যাডামের বুকে ব্যাথা



একটা স্কুলের হেডস্যার ফাঁকা ক্লাসরুমে একটা ম্যাডামের মাই টিপছিল-----
পচা এই ঘটনা দেখে ফেলেছে দেখে হেডস্যার পচাকে বলল--ম্যাডামের বুকে ব্যাথা, তাই মালিশ করে দিচ্ছিলাম-----পচা হেডুকে বলল- আবে মাদারচোদ হেডু, ব্লু ফ্লিম দেখি, পোগো নয়, বুঝলি----ধোনে ঘুঙুর বেঁধে এমন গাঁড় মারব না যে পড়শিও বুঝতে পারবে না যে ভজন হচ্ছে না মুজরা !! 🤔🤔🤔🙊🙉🙈

Saturday, 22 February 2020

বাবা



খাবার টেবিলে বসে মার দিকে তাকিয়ে চোখে ইশারা করলাম আমার কথাটা বাবাকে বলতে।
 মা ভয়ে ভয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বললো  ' রাজু ' ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো। ওর বন্ধু বান্ধবরা মিলে কয়েকদিনের জন্য দীঘা যাবে সেজন্য.....

বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- কবে যাবি?

আমি বললাম,
-- এই তো ৫ দিন পর যাবো..

বাবা নিচের দিকে তাকিয়ে খেতে খেতে বললো,
- তাহলে এক কাজ কর ৩ দিন দোকানে একটু সময় দে। আমি ৩ দিনের জন্য একজায়গায় যাবো। এসে তোকে টাকাটা দেব....

আমি খুশিতে হাসতে হাসতে বললাম,
-- ঠিক আছে বাবা..

পর দিন সকালে দোকানে গেলাম। আমাদের ছোটখাটো একটা কাপড়ের দোকান আছে। মাঝে মাঝে আমি দোকানে আসলেও কখনো দোকানে বসা হয় নি। আজকেই প্রথম দোকানে বসলাম। দোকানে দুইটা কর্মচারী আছে ওরা সব আমায় বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমার কাজ হলো কোন কাপড়ে কত টাকা লাভ হয়েছে সেটা লিখে রাখা আর মাঝে মাঝে কাস্টমারদের কাপড় দেখানো...

একটা কাস্টমারকে ২০টার মত শার্ট দেখানোর পর কাস্টমারটা বললো,
~না ভাই পছন্দ হয় নি।

আমি অবাক হয়ে বললাম,
-- এত গুলোর মাঝেও পছন্দ হয় নি?
উনি বললেন,

- না...

মুখটা গোমড়া করে শার্ট গুলো যখন ঠিক করছিলাম তখন কর্মচারী ছেলেটা হেসে বললো,
~ভাই, মুখ গোমড়া করে থাকলে হবে না। সব সময় মিষ্টি হেসে কাস্টমারের সাথে কথা বলতে হবে...

কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে এসে বললো, কিছু নতুন ডিজাইনের প্যান্ট দেখাতে।
 আমি দোকানের কিছু ভালো মডেলের প্যান্ট দেখালাম। একটা প্যান্ট পছন্দ করলো।
 প্যান্টের কিনা মূল্য ছিলো ১২০০ টাকা। আমি ছেলেটার কাছে চাইলাম ১৫০০ টাকা। ছেলেটা প্যান্টা উল্টে পাল্টে আবার দেখে বললো,
~৩০০ টাকাই দিবেন?

কথাটা শুনে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। দাঁতের সাথে দাঁত চেপে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে মুখে মিষ্টি হাসি এনে বললাম,
-- না ভাই, এত কম দামে হবে না...

কিছুক্ষণ পর এক মহিলা এসে ১ ঘন্টা ধরে দোকানের সমস্ত কাপড় চোপড় উল্টে পাল্টে দেখে ২টা কাপড় পছন্দ করে বললো,
~আমার স্বামী ৩দিন পর বেতন পাবে তখন এই দুইটা কাপড় নিবো।
রাগে সারাটা শরীর কাঁপছিলো। তারপরও কিছু বলতে পারছিলাম না কারণ কাস্টমার বলে কথা। নিজের রাগ বুকের ভিতর জমাট রেখে মুচকি হেসে বললাম,
-- আন্টি, যেদিন আংকেল বেতন পাবে সেদিন আংকেল কে নিয়ে না হয় আসবেন...

একছেলে মনে হয় তার গার্লফ্রেন্ডকে সাথে নিয়ে দোকানে এসেছে। কর্মচারী ছেলে গুলো যে কাপড় গুলোই দেখায় সেগুলো দেখেই বলে আরো ভালো মানের কাপড় দেখাতে। অবশেষে কর্মচারী ছেলেটা বললো,
~এর চেয়ে ভালো মানের কাপড় আমাদের দোকানে নেই।

ছেলেটা মুখে বিরক্তির ভাব এনে বললো,
- দূর যা, শুধু শুধু এমন একটা ফালতু দোকানে সময় নষ্ট করলাম...

না আর সহ্য করা যায় না। ছেলেটাকে বললাম,
-- ভাই, আপনি বড়লোকের ছেলে, তাহলে যেকোন বড়  শপিংমল এ যান , শুধু শুধু কেন এই সব সাধারণ শপিংমলে ঘুরাঘুরি করছেন?

আমাদের যখন কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো তখন কর্মচারী ছেলেটা ঐ ছেলেটার কাছে মাফ চেয়ে আমাকে বললো,
~ভাই  এমন করলে তো ব্যবসা হবে না। প্রতিদিন কত মানুষের কত রকম কথা শুনতে হবে। আপনি আজ প্রথম এসেছেন তাই কিছু জানেন না...

দিন শেষে হিসাব করে দেখি সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ৮২০ টাকা...

আমি ৩দিন দোকান দেখাশুনা করি। এই তিন দিনে আয় হয় ৪০২০টাকা। আর এই ৩দিনে যে পরিমাণ কষ্ট হয়েছে মনে হয় না আমি আমার জীবনে এত কষ্ট করেছি...

রাতে নিজের রুমে বসে যখন ফোন টিপছি 🙇‍♂️ 🤳
তখন বাবা এসে বললো,
- এই নে তোর ১০ হাজার টাকা।

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, 
-- কিসের ১০ হাজার টাকা?

বাবা অবাক হয়ে বললো,
- তুই না দীঘা যাবি বন্ধুদের সাথে?

আমি বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,
-- বাবা আমি আগে বুঝতাম না টাকা ইনকাম করতে কতটা কষ্ট হয় তাই তোমার কাছে এতকিছু আবদার করতাম। আমি এই ৩ দিনে খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি টাকা ইনকাম করার কষ্টটা।
  আমি ৩ দিনে ৫ হাজার টাকাই ইনকাম করতে পারলাম না, সেই আমি কি-না ২ দিনের জন্য ১০ হাজার টাকা কিভাবে আবদার করি। এত টাকা খরচ করা আমাদের মত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অপচয় বাদে কিছুই না..

আমার কথা শুনে বাবা কিছুটা রেগে গিয়ে বললো,
- তোকে এত পন্ডিতগিরি করতে হবে না। বন্ধুরা সবাই যাচ্ছে তুইও যা। সমুদ্রের বিশালতা দেখলে তোর খুব ভালো লাগবে।

আমি বাবার হাত ধরে বললাম,
-- বিশালতা দেখতে সমুদ্রে যেতে হয় না। বাবার চোখের দিকে তাকালেই বিশালতা দেখা যায়।
 যে বাবারা হাজার কষ্টের পরেও সন্তানের মুখে হাসি ফোটায়... 

খাবার টেবিলে বসে যখন খাচ্ছি তখন বাবাকে বললাম,
-- বাবা, দোকানে ২জন কর্মচারী রাখার কোন দরকার নেই। আজ থেকে আমি দোকানে বসবো।

বাবা আমার কথার কোন উত্তর দিলো না। শুধু মাকে বললো,
-তরকারি তে এত ঝাল দিয়েছো কেন? ঝালে চোখেমুখে জল চলে এসেছে...

আমি জানি তরকারিতে ঝাল হয় নি। বাবা চোখের জল লুকানোর জন্য মিথ্যা কথা বলছে।

*আসলে বাবারা এইরকমই হয়, কখনো নিজেদের কষ্ট আমাদের বুঝতে দেয় না . . .*

 *Love you বাবা*

Thursday, 20 February 2020

হবু বর হবু শ্বশুর



হবু বর হবু শ্বশুর বাড়ি এসেছে। আশীর্বাদ পর্ব মেটার পর খাবারের পালা। শ্বাশুড়ী নিচু হয়ে লাউ চিংড়ি দিচ্ছিলেন। শ্বাশুড়ী হবু জামাই কে জিজ্ঞাসিলেন .... " লাউ চিংড়ি টা কেমন হয়েছে? আরেকটু  দেবো? ...." জামাই আড়চোখে দেখে বলল.... " দিন, লাউটা হেব্বি। "...
শ্বশুর পাশে বসে জামাই কে ফলো করছিলেন। জামাইয়ের পিঠ চাপড়ে বললেন .... " কিছু চিন্তা কোরো না বাবা, এই লাউএর বিচিই তোমায় পাঠাচ্ছি। ......... ".....
🤣🤣🤣🤣😢😜

জিন্স



🙆🏻‍♂🙆🏻‍♂🙆🏻‍♂🙆🏻‍♂🙆🏻‍♂🙆🏻‍♂🙆🏻‍♂
হ্যাঁ গো শুনছো, আজ অনেকদিন পর তোমার বান্ধবী আমাদের বাড়ীতে এসেছে ।আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।
স্ত্রী: জিন্স পরে নাও, পাজামাতে তোমার আনন্দ বোঝা যাচ্ছে ।
👊🏻👊🏻👊🏻👊🏻✊🏻✊🏻✊🏻✊🏻 

বৌদির কথোপকথন



*প্রথম বৌদি:* আর বলিস না মাইরি! আমার বর টা এত সেক্স-কাতুরে, যে ওর সামনে জামাকাপড় ও বদলাতে পারিনা।

*দ্বিতীয় বৌদি:* তবু তো ভালো রে! আমি তো বরের সামনে হাই ও তুলতে পারিনা।
🙏🏻🙏🏻🙏🏻😳😳😳😳

আপনার ছেলের মতো



শ্বাশুড়ী: বৌমা নতুন আনা চাল গুলো কেমন?

বৌমা: একদম আপনার ছেলের মতো,

শ্বাশুড়ী: মানে?

বৌমা: চাপিয়ে দিতেই ফুটতে শুরু করে,অথচ দ্রুত ফ্যান বেরিয়ে যায়, তাড়াতাড়ি নামিয়ে ফেলতে হয়।
🤓😁😜🤑😎😍

Thursday, 13 February 2020

গুপ্ত জ্ঞান



প্রথম বান্ধবী - জানিনা কেন, মাথার চুল তাড়াতাড়ি পেকে যায়, কিন্তু নীচের চুল কাঁচাই থাকে। 
দ্বিতীয় বান্ধবী - দূর পাগলী, নীচের চুল তো মাথার চুলের থেকে 14 বছরের ছোট। আর তাছাড়া নীচে শুধু আনন্দ আর আনন্দ, আর উপরে শুধুই টেনশন।

Friday, 7 February 2020

মাস্টারমশাই



আমার এক মাস্টারমশাই কোনদিন কারুর গায়ে হাত তুলতেন না। সেই তিনিই একবার মেজাজ হারিয়ে একজন ছাত্রকে চড় মেরে ফেলেছিলেন। ইস্কুল ছুটির পর নিজে সেই ছাত্রকে নিয়ে গিয়ে দোকান থেকে মিষ্টি কিনে খাইয়েছিলেন।
মনে পড়ছে আরও একজনের কথা। বাড়িতে সবসময় কয়েকটা বাড়তি ছাতা রাখতেন। বৃষ্টির দিনে টিউশন পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের জনে জনে জিজ্ঞাসা করতেন ছাতা আছে কিনা; না থাকলে দিয়ে বলতেন “জানি তোদের বৃষ্টিতে ভিজতে ভাল লাগে, কিন্তু এই সময়টা ভাল না। ভিজিস না। ছাতাটা নিয়ে যা। সামনের দিন নিয়ে আসিস।“
মফঃস্বলের এক অতি প্রবীণ মাস্টারমশাইকে তাঁর রোগশয্যায় ‘কি করতে ইচ্ছে করছে’ জিগ্যেস করায় প্রিয় ছাত্রের নাম করে বলেছিলেন, ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
ইস্কুলের সাথে বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীর মাথার কাছে বসে রাত জেগেছিলেন যে স্যার কিম্বা ইস্কুলের মাঠে খেলতে গিয়ে চোট পাওয়া ছাত্রকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ে ছিলেন যে মাস্টারমশাই, তাঁদের তখন আলাদা আলাদা নাম ছিল হয়ত --- #সমর #বাবু #অমিত #স্যার #শিশির #বাবু #অমিয় #স্যার #ডিডি #স্যার #ডিএম #স্যার প্রমুখ, কিন্তু আজ এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে মনে হয় তাঁদের একটাই পরিচয় ছিল – ‘শিক্ষক’ । তাঁরা বাংলা-ইতিহাস-ভূগোল-অঙ্ক-বিজ্ঞানের বাইরেও কি যেন একটা শিখিয়েছিলেন, সিলেবাসে যার হদিশ মেলেনি কোনদিন।
বিশ্বাস করুন, সিলেবাসের মধ্যে আর সিলেবাসের বাইরের অনেক অনেক জিনিস শেখানোর ফাঁকে এক মুহূর্তের জন্যেও বুঝতে দেননি এটা তাঁদের জীবিকা।
ছাত্রের কাছে হেরে গিয়ে যে শিক্ষক আনন্দে কেঁদে ফেলেন, কিম্বা ছাত্রকে শাস্তি দিয়ে যে শিক্ষক নিজেই কষ্ট পান, শিক্ষকতা শুধুই তাঁর জীবিকা হতে পারেনা।
এত বছরে সিলেবাসের মধ্যের আর সিলেবাসের বাইরের যা কিছু শিখেছি যতজনের কাছ থেকে, তাঁদের সকলকে আমার আনত প্রণাম। যা কিছু শিখতে পারিনি তার দায় পুরোটাই আমার। তার জন্য যা শাস্তি প্রাপ্য, মাথা পেতে নিতে রাজি আছি। শুধু একটাই অনুরোধ ---- বহুদিন আগে যে ছাতাটা দিয়েছিলেন সেটা ফেরত দিতে বলবেন না। আপনাদের দেওয়া ওই ছাতাটার আজও বড্ড দরকার – সময়ে এবং অসময়ে। শুধু ওই ছাতার আশ্রয় পেতেই সারাজীবন আপনাদের ছাত্র হয়ে থাকব।
ভালো থাকবেন স্যার সুস্থ থাকবেন সবাই।

Saturday, 1 February 2020

নূনূ সংক্রান্ত শব্দ



এক কথায় প্রকাশ: 
আজকের বিষয়: নূনূ সংক্রান্ত শব্দ

কৃষ্ণের নূনূ- কৃষাণু
কালো নূনূ- কানু
জীবিত নূনূ- জীবাণু
পর্ণগ্রাফি তে ব্যবহৃত নূনূ- পাণু
শান্তনূনূ- শানু
শুক্র যুক্ত নূনূ- শুক্রাণু
ডিম হ্ইতে প্রাপ্ত নূনূ- ডিম্বাণু
জাঙ্গিয়া পরা নূনূ- জানু
ঝাড়ুদার নূনূ- ঝানু
ভদ্র নূনূ- ভানু
কীটপতঙ্গের নূনূ- কীটানূ
ব্যাঁকানূনূ- বেনু
ধূর্ত নূনূ- ধেনু
নূনূ সম্পর্কে অভিজ্ঞ- নূনূজ্ঞ
নূনূ সম্পর্কে জ্ঞানী- নূনী
নূনূ যাহার সর্বস্ব- নূনূস্ব্
ঝানু- ঝাঁট যুক্ত নুনু
কানু- কাটা নুনু
বানু- বাক্সবন্দী নুনু
রানু- রক্তাক্ত নুনু
জানু- জান সে পেয়ারা নুনু
পরমাণু- পরম আদরে বড় হওয়া নুনু।
আনইউজ্ড নুনু - আনু
অভিমানী নুনু - অভিমন্যু।।
এইবার ঠিক কর তোর নুনু কোনটা এবং কোন প্রকারের।।

Wednesday, 29 January 2020

বিক্রিওয়ালা



ভর দুপুরবেলা ..টেঁপি বৌদি সাংসারিক কাজে প্রচন্ড ব্যাস্ত । এক কাবাড়িওয়ালা এসে  ডাকাডাকি  করছে .."মা, ওমা ,  বাড়িতে পুরোনো ,অদরকারী, কোনো কাজে লাগেনা এরকম  জিনিসপত্র  আছে নাকি   ?"

টেঁপি বৌদির উত্তর  "অফিস গেছে ..রবিবার এসো।"

Saturday, 25 January 2020

ফেসবুক পোস্ট



ক্লাস চলছে বল্টু তার মধ্যে তার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলে পোস্ট করলো - এখন ক্লাস চলছে তার মধ্যে আমি ফেসবুক করছি।  
   সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাসের টিচার (যিনি নিজেও ফেসবুক ঘাঁটছিলেন) বল্টুর পোস্টে কমেন্ট করলেন এখুনি ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যাও। 
  এদিকে স্কুলের হেড মাষ্টার যিনিও নিজের অফিস ঘরে বসে ফেসবুক করছিলেন টিচার এর পোস্টে লাইক দিলেন। 
  বল্টুর বন্ধুরা যারা স্কুলে না এসে চা এর ঠেকে আড্ডা দিচ্ছিল তারা কমেন্ট দিল-চলে আয় ঠেকে আমরা সবাই তোর অপেক্ষায়। 
  এদিকে বল্টুর মা এতক্ষণ চুপচাপ বল্টুর কীর্তি কলাপ ফেসবুকে দেখেছিলেন তিনি কমেন্ট করলেন-বদমাশ ছেলে ক্লাস থেকে যখন তোকে বারই করে দিয়েছে তখন বাজার করে বাড়ি আয় তারপর তোর ব্যবস্থা করছি। 
  বল্টুর বাবা কমেন্ট করলেন - দেখ গিন্নি ছেলের কীর্তি কলাপ আজ বাড়ি ফিরুক এমন শিক্ষা দেব যে সারা জীবন মনে রাখবে। 
  এরমধ্যে বল্টুর গার্লফ্রেন্ড কমেন্ট করলো - মিথ্যুক কোথাকারের আমায় যে বললে ঠাকুমা মৃত্যু শয্যায় আই সি এউ তে ভর্তি তাই দেখা করতে আসতে পারবে না। 
এখানেই শেষ নয় এবারের কমেন্টটাই সব চাইতে মারাত্মক। ঠাকুমা কমেন্ট লিখলেন - হতভাগা ছেলে আমি বহাল তবিয়তে ঘরে আর তুই আমাকে মারতে চাইছিস আজ ঘরে আয় আজ তোকে পিটিয়ে আই সি ইউ তে ভর্তি করবো।
😂😂😂

Tuesday, 21 January 2020

পরম করুণাময়



একটি গরু জঙ্গলে ঘাস খাচ্ছিল। হঠাৎ তাকে একটি বাঘ আক্রমণ করল। গরুটি অনেকক্ষন দৌড়ানোর পর কোনো উপায় না পেয়ে পুকুরে ঝাপ দিল। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া পুকুরটিতে কাদা ছাড়া কোন জল ছিল না। গরুর পেছন পেছন বাঘটিও ঝাপ দিল। বাঘ ও গরু কাদায় গলা পর্যন্ত আটকে গেল। বাঘ রেগে মেগে বলে, "কিরে হারামী তুই আর লাফ দেওয়ার জায়গা পেলি না? ডাঙায় থাকলে তোকে না হয় একটু কুড়মুড় করে খেতাম। এখনতো দুজনেই মরব'রে।"
গরু হেসে বলে, "তোমার কি মালিক আছে? বাঘ রেগে বলে, বেটা আমি হলাম বনের রাজা! আমার আবার মালিক কে? আমি নিজেইতো বনের মালিক। গরু বলে, তুমি এখানেই দুর্বল। একটু পর আমার মালিক আসবে। এসে আমাকে এখান থেকে তুলে নিয়ে যাবে। আর তোমাকে পিটিয়ে মারবে। বাঘ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল। ঠিকই সন্ধ্যা বেলায় গরুটির মালিক এসে বাঘটার মাথায় বাঁশ দিয়ে কয়েকটা বাড়ি মেরে, গরুটিকে টেনে তুলল। গরু হাসতে হাসতে বাড়ি চলে গেল আর বাঘটি মরে একা একা পড়ে রইল।
মূলকথা:- আমরা যারা মালিকের উপর ভরসা করি আমাদের উপর যত অত্যাচার নির্যাতনই হোক না কেন, আমাদের মালিক ঠিকই আমাদের রক্ষা করবেন। হয়তো সন্ধ্যা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। সে মালিক হল পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তা।

Sunday, 12 January 2020

মুরগি বারোভাতারি



# ডিম কত করে ..?😒
# সাত টাকা..😜
# কিন্তু পাশের একজন 5 টাকায় দিচ্ছে, 😲
# ওর মুরগি বারোভাতারি ..!😂

গন্ধ



বল্টুদাকে যেদিন পুলিশে ধরে থানায় নিয়ে গেলো, সেদিনও প্রচুর মদ গিলেছিল বল্টুদা। ওর হাঁটাচলা, কথাবার্তা, হাবভাব সবকিছুই অসংলগ্ন ঠেকছিল দারোগাবাবুর ।

অথচ বল্টু'দার মুখে মদের কোন গন্ধ নেই, ব্রেথ এনালাইজার মেশিনেও অ্যালকোহলের উপস্থিতি ধরা পড়ছিলো না কোনমতেই।

কিন্তু দারোগাবাবুর দৃঢ় বিশ্বাস বল্টু মদ খেয়ে আছে।

অনেক চেষ্টার পরেও হতাশ দারোগাবাবু শেষমেশ বল্টু দা'কে ছেড়ে দিতে দিতে বললো, "দেখ ভাই, আমি জানি তুই মাল খেয়ে আছিস। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে ব্যর্থ।"

তারপর দারোগাবাবু বল্টুর হাতে ২০০০ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিয়ে বললো, "আসল রহস্যটা কি? এটা তো অন্তত বলে যা "।

যুদ্ধজয়ের হাসি হেসে বল্টুর জবাব, " স্যার আমি পাইপ লাগিয়ে পেছন দিক দিয়ে খেয়েছি। ধরা পরবে কিভাবে...?"

..."এইজন্য মুখ থেকে কোন গন্ধ নেই, আপনার মেশিন-ও ফেল "। 😁

থানা থেকে বেরোবার সময় গম্ভীর দারোগাসাহেব বল্টুকে আবার কাছে ডাকলেন, এবার ৫০০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, "দেখ ভাই, এই কথাটা আর কাউকে কোনদিন বলিসনা "।

বল্টুদার এবার অবাক হওয়ার পালা।

কাঁচুমাচু মুখে তবুও বলেই ফেললো, "কিন্তু,, এই ব্যাপারটা কাউকে না জানালে আপনার কি লাভ স্যার? "

রাগতস্বরে এবার দারোগার জবাব,...
"শালা , মাতালদের শুধু মুখটাই শুঁকতে হয়েছে এতোদিন, এখন থেকে কি ....................

Popular Posts