Thursday, 3 September 2020

নুনু পত্রিকা

নুনু মিয়া নামের এক লোক পুরনির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছে। পরদিন স্থানীয় পত্রিকার শিরোনাম :-
 
"নুনু দাঁড়িয়েছে!"

খবর দেখে নুনু মিয়ার মেজাজ গরম হয়ে গেছে। তিনি পত্রিকা অফিসে ফোন করে রাগী গলায় বকা ঝকা করলেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এসেছে :-

"নুনু গরম হয়েছে!"

নুনু মিয়া ভোটে দাঁড়িয়েছে এই খবর এলাকার বড় এক বয়স্ক নেতা জানেন না। মূলত তিনি একই দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রানিং ভাইস চেয়ারম্যান।  সাংবাদিকরা ওনার কাছে গিয়ে অনুভূতি জানতে গেলে উনি বলেন "নুনু আবার কবে দাঁড়াল, আমিতো টেরই পেলাম না।"

এদিকে সেই নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়িয়েছেন এক মহিলা। তিনি নুনু মিয়ার ঘোর বিরোধী। তিনি নারীদের নিয়ে নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে মিছিল করলেন। নারীরা পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিল। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এসেছে :-

"এলাকার নারীদের খুশী করতে পারেনি নুনু!"

খবর দেখে এবার পত্রিকাওয়ালার বিরুদ্ধে সেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষেপে গেছেন। তিনি এবং নুনু মিয়া একই দলের লোক। ওনাকে কেন্দ্র থেকে বকা দিয়েছে। বকা খেয়ে তিনি পত্রিকায় ফোন করে বলেন " এই সামান্য বিষয় নিয়েও আপনারা শিরোনাম করেন!" ওনার সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত ঝামেলা নেই। আপনারা আগামীকাল সঠিক খবর প্রকাশ করুন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

"মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুনুতে সন্তুষ্ট!"


বিষয়টা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গোচরে আসল। তারা ভাবলেন সেখানে একজন নিরপেক্ষ নেতা পাঠানো দরকার যিনি সবাইকে বোঝাবেন। কেন্দ্র থেকে খোকন মাল নামের একজনকে পাঠানো হল। যাকে আবার আদর করে লোকজন 'মাল' ডাকেন। কিন্তু মিটিংয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যাওয়ায় খোকন মাল রাগ করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

"নুনু ঢোকার সাথে সাথেই মাল আউট"

এইবার নুনু মিয়া পড়লেন টেনশনে। কেন্দ্র থেকে পাঠানো নেতা ফেরত গেছে। কেন্দ্রের লোকজন ক্ষেপলে তিনি নমিনেশন পাবেন না।তার ওপর অনেকেই ক্ষিপ্ত। দুঃখে নুনু মিয়া কয়েকদিন প্রচার বন্ধ রাখলেন।একদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

"মাল আউটের পরে নিস্তেজ নুনু"


এদিকে নুনুর পক্ষে কথা বলতে আসরে নামলেন আরেক বড় নেতা। ওনার নাম কেষ্ট মাল। নুনু মিয়া এবার উজ্জীবিত হলেন। তিনি আবারও প্রচার শুরু করলেন।
পত্রিকার শিরোনাম এলো :-

'মালে পরিপূর্ণ নুনু সতেজ হয়ে গেছে!"
 

কিন্তু নুনু মিয়ার টেনশন এখনো দূর হয় নাই। কারণ তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোনা মিয়া। পত্রিকায় প্রায়ই খবর আসে :-

"কে বড়? সোনা, নাকি নুনু?"


অবশেষে নুনু মিয়া সফল হলেন। তিনি নমিনেশন পেলেন। যারা এতদিন সোনা মিয়াকে গুরুত্ব দিত তারা এখন সবাই নুনুর পক্ষে।  পত্রিকায় শিরোনাম এলো :-

"নুনু এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। সবাই নুনুতে তেল মাখাচ্ছে!"

No comments:

Post a Comment

Popular Posts