Saturday, 31 July 2021

বর বউয়ের বিবাদ




শুভময়ের আজ সকালে ভীষণ জরুরী মিটিং | সাড়ে নটা র ভিতর অফিস ঢুকতেই হবে | স্নানে যাবার সময় হয়ে এল,কিন্তু যেতে পারছে কই | কাজের সময় মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছে না তার মধ্যে শ্বশুর মশায় আর শাশুড়ি মা, সাত সকালে এসে হাজির একই পাড়ায় প্রেম ঘটিত বিয়ে তার আর সঞ্চিতার শ্বশুর বাড়ি হেঁটে পাঁচ মিনিটের রাস্তা | শ্বশুর মশায় ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন,এখন অবসর নিয়েছেন,আর শাশুড়ি মা হলেন ডাক্তার, গাইনোকোলজিস্ট| সাংঘাতিক দাপুটে মহিলা | ওনাদের দু জনেরই দৃঢ় বিশ্বাস, মেয়ের সম্বন্ধ করে বিয়ে দিলে অনেক ভাল জামাই পাওয়া যেত | তাই কথা বার্তায় একটা খোঁচার আভাস পাওয়া যায় | শুভময়ের বাবা,মা এখন দিল্লীতে,শুভময়ের দিদির কাছে গেছে, তাই ওনাদের যাওয়া আসাটাও বেড়েছে | শ্বশুর মশায় বললেন "কি হে কি খুঁজছো এত তন্ন তন্ন করে "?"না, আসলে ফোনটা কোথায় যে রাখলাম" | "ফোন কি সাইলেন্ট মোডে রাখা "? এই সব প্রশ্ন এই সময় ভালো লাগে কারুর?তাও মাথা ঠান্ডা রেখে বললো "না সাইলেন্ট এ রাখা নয়" | শ্বশুর মশায় খোঁচা মারার এমন সুযোগ কি আর ছেড়ে দেন?বললেন" তা হলে এত চিন্তা করার কি আছে? আমি তোমার ফোনে ফোন করছি,রিং হলেই তো বুঝে যাবে ফোন কোথায়, তোমাদের আজকাল কার ছেলেদের এই উপস্থিত বুদ্ধিটুকু যদি না থাকে ,তা হলে তো মুস্কিল"| শুভময় মনে মনে বললো "এটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয় অনেকেই তাই করে" ", আজ নেহাত মিটিং এর টেনশন এ মাথা কাজ করছে না তাই"| কিন্তু সামনে তো আর সেটি বলা যায় না, তাই খোঁচাটুকু হজম করে,হেঁ হেঁ করে দেঁতো হাসি হেসে ম্যানেজ করল | অনেক দেরী হয়ে গেছে | সঞ্চিতাকে বলে দিল ফোনটা পেলে যেন খাবার টেবিলের উপর রেখে দেয়| বাথরুমে যাবার আগে দেখলো শ্বশুর মশায় সোফাতে আয়েশ করে বসে খুব স্মার্টলি নিজের স্মার্ট ফোনটি বার করে তাকে ফোন লাগাচ্ছেন,আর শাশুড়ি মা একসাথে দশটি করলার জুস্ সদ্য খেয়ে ওঠার পর যেমন মুখ হয় মানুষের,সেই রকম মুখ করে বসে আছেন | বাথরুমে ঢোকার পর তার কানে ফোনের মিষ্টি আওয়াজ ভেসে এল,"যাক বাবা, নিশ্চিন্ত, এবার ফোনটা পাওয়া যাবে স্নান করে বেরিয়ে দেখে সঞ্চিতা তার ফোনটি হাতে নিয়ে বসে আছে | এক গাল হেসে সে যেই ফোনটি নিতে যাবে অমনি সঞ্চিতা চিৎকার করে বলে উঠলো " তুমি এত অশিক্ষিত আমার জানা ছিল না তো | "ছিঃ,ছিঃ, বাবার আজকে যা অপমান হলো,বাবা মনে হয় আর কোনোদিনও এ বাড়ি আসবে না" | শুভময় তো কিছুই বুঝতে পারলো না | স্নান এ যাবার আগে দেখে গেল বউ হাসি হাসি মুখে চা বানাচ্ছে, স্নান সেরে বেরিয়েই দেখছে বউ এমন মারকুটে হয়ে ল, এ কি কান্ড রে বাবা | তাই খুব ভয়ে ভয়ে আমতা আমতা করে জিজ্ঞাসা করলো "কি হয়েছে বল তো"?"বাবা,মা কোথায় চলে গেলেন"? "তুমি বা এত ক্ষেপে আছো কেন"? "আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না" | সঞ্চিতা একটি হাড় হিম করা চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো "কিছুই বুঝতে পারছো না, তাই না"? "ন্যাকামো হচ্ছে"? "তোমার ফোনটা বাবার ঠিক পাশেই সোফার ফাঁকে ঢুকে গেছিলো,বাবা রিং করেই ফোনটা পেয়ে যায়, তারপর বাজতে থাকা অবস্থাতেই আমাকে দেখায়, দেখি ফোনের স্ক্রীনে যে লেখাটা বার বার ফুটে উঠছে, সেটা হল "টাকলা শ্বশুর", টাকলা শ্বশুর", "তুমি আমার বাবার নম্বর এই নামে সেভ করেছো"? "বাবা,মা ভীষণ অপমানিত বোধ করে বাড়ি চলে গেল"| শুভময় বুঝলো হাওয়া সাংঘাতিক খারাপ, এখন কিছু বলতে গেলেই কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে |তাছাড়া আজ মিটিং আছে,যা মিটমাট সব মিটিং এর পর | সে কোনো কথা না বলে ঝটপট তৈরি হয়ে নিল | খেতে খেতে দেখতে পেল সঞ্চিতা বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে | এখন শান্ত করার কোনো মানেই হয় না,যা হবে অফিস থেকে ফিরে বেরোনোর আগে সে শুধু ভগবানকে একবার ডাকলো আর একবার ধন্যবাদ দিল | ডাকলো যাতে মিটিং টা ভালো ভাবে উৎরে যায়,আর ধন্যবাদ দিল কারণ শাশুড়ি মা, শ্বশুর মশায়ের মত ফোনটা খোঁজার চেষ্টা করেননি বলে শুভময়ের ফোনে তার শাশুড়ির নাম্বারটি "গাইনির ডাইনি"বলে সেভ করা আছে। 😂

সুখবর

বাড়ির বৌ টক লেবু চাটছে দেখে, ভাববেন না যে খুশির খবর আসতে চলেছে, জমানা, পাল্টেছে, হতে পারে চার পেগ মেরে এসেছে, এখনো ঘোর কাটেনি। 🥂🍾🍻

ভাইরাস

😂😂😂
এত intellectual ভাইরাস আগে হয়ত আসেনি। 
প্রথমে বয়স্ক, তারপর যুবককে, তারপর বাচ্ছাদের। একটা শৃঙ্খলা  মেনে এগোচ্ছে।
সে জানতো যে টিকা আসছে সেইজন্য সে ডেল্টা রূপে পালিয়ে গেল। অদ্ভুত দূরদর্শিতার পরিচয়।
যে সময় lockdown চলছে শুধুমাত্র সেই সময়েই সে ঘুরতে বা শিকার করতে বেরোবে। যেমন রাত 9 তা থেকে 5 । অদ্ভুত ভাবে disciplined.
Train সে খুবই ভালোবাসে। বাস বা অন্য public ট্রান্সপোর্ট সে পছন্দ করে না। হতেই পারে ..virus বলে কি তার ইচ্ছে থাকতে পারে না?
Virus কিন্তু চাইলেই মাস্কের মধ্যে দিয়ে ঢুকে পড়তে পারে, কিন্তু না। কানে ঝুলিয়ে রেখে সম্মান টুকু দিলেই করোনা খুশি। প্রচন্ড আত্মসম্মানি জীবাণু।
আপনি রেঁস্তোরাতে মাস্ক পরে ঢুকবেন এবং অবশ্যই আশা করি মাস্ক খুলেই খাবেন, সেই টুকু সময় ও আপনাকে আক্রমণ করবে না। virus বলে কি প্রাণে মায়া নেই???
Virus পরীক্ষা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব পছন্দ করে। হয়তো অতৃপ্ত কোনো বাসনা ছিল। কিন্তু যুব আন্দোলন সমর্থন করেন সেই জন্য ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের তিনি ছাড় দিয়েছেন। বিপ্লবী মন থাকতেই পারে।
ও জানে যে রাজনৈতিক কোনো জায়গায় সেরকম ভাবে তার উপস্থিতি গ্রাহ্য হয় না। সেই জন্য সে মিটিং মিছিল থেকে দূরে থাকে। মর্যাদা পালন করে থাকে ভোটের আগে।
জীবানু বদ অভ্যেস একদম পছন্দ করে না। মদ বা মদের দোকান থেকে সে দুরেই থাকে। মানুষ না বুঝলেও সে বোঝে মদ্যপান স্বাস্থের জন্য হানিকারক।
যত বলা যায় তত কম এই  জীবাণুর প্রতিভার বিষয়ে। আমি মুগ্ধ।

🙏🙏🙏

গালাগালির উপকারিতা

গালাগালির উপকারিতা বিষয়ক একটি গল্প :
😊😊😊😊😊😊

মিন্টু ঘোষ ব্যাগ নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ রাস্তার পাশের পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের নিচে পাবলিকের ভিড় দেখে সেদিকে এগিয়ে গেলেন। সবাই ওপরের দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখছে ?? 🤔
ভদ্রলোকও ওপরের দিকে তাকালেন। দেখলেন ছাদের কার্নিশে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। একটু এদিক-সেদিক হলেই পাঁচতলা থেকে সোজা নিচে পড়ার প্রবল আশঙ্কা। 

মিন্টুবাবু উপস্থিত একজনকে জিজ্ঞেস করলেন - ‘মশাই, বিষয় কী?’
ভদ্রলোক বললেন - ‘বৌ *ছ্যাঁকা* দিয়েছে। 😢 তাই আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে উঠেছেন।’ 

মিন্টু বাবু বললেন - ‘আপনারা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন না?’ 

ভদ্রলোক বললেন - ‘সবাই তাকে নেমে আসার জন্য বলছে, কিন্তু সে নামতেই চাইছে না।’

মিন্টুবাবুর মনটা খুব খারাপ হলো। এমন তরতাজা নওজোয়ানেরা তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে দেখে তাঁর মন ব্যথায় ভরে গেল। ব্যথার জন্য পাশের ফার্মেসি থেকে একটা পেইনকিলার খেয়ে ছেলেটাকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সে চিন্তা শুরু করলেন।

আইডিয়া পেতে দেরি হলো না। মিন্টুবাবু ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন - ‘কোন শুয়োরের বাচ্চা  ছাদে উঠেছে রে?’ 

ওপর থেকে জবাব এল, ‘গালাগালি করে কে রে?’

মিন্টু ঘোষ আবার বললেন - 'বেশ করেছি গালাগালি করেছি। তুই কী করবি রে বোকা**  হারামির বাচ্চা?’ 

‘দেখুন, ভদ্রলোক মানুষ, মুখ খারাপ করবেন না। 
আমি নেমে আসলে কিন্তু অবস্থা খারাপ করে ফেলব!' 

জবাব এল আত্মহননকারীর কাছ থেকে।

মিন্টু ঘোষ এবার আসল বোমাটা ছাড়লেন - ‘তোর এত বড় সাহস, আমাকে হুমকি দিস! কুত্তার বাচ্চা, সাহস থাকলে সামনে আয় খা**র ছেলে।’ 

ব্যস, এতেই কাজ হলো। আত্মহননকারী আত্মহত্যার চিন্তা বাদ দিয়ে মিন্টু ঘোষ কে ধরতে সিঁড়ি দিয়ে হড়হড় করে নামতে শুরু করল। 

এই ফাঁকে মিন্টু বাবু দিলেন দৌড়।
🕺🕺🕺🕺🕺🕺🕺

সেই আত্মহননকারী আজও বেঁচে আছে। মিন্টু ঘোষকে উপযুক্ত  শিক্ষা না দিয়ে সে মরবে না বলে পণ করেছে।
😡😡 😠😠

Moral: *গালাগালি দিয়ে যদি ভালো কিছু হয়, তবে গালাগালিই ভালো😉😘*

Friday, 30 July 2021

তালার নিরাপত্তা

এক ভদ্রলোক ঘরের নিরাপত্তার জন্য একটা তালা কিনতে দোকানে গিয়ে বললেনঃ এই তালাটার দাম কত ভাই? বিক্রেতাঃ এটা জাপানি তালা। দাম মাত্র ৩৫০০/- টাকা।

ভদ্রলোক দাম শুনে দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন দেখে বিক্রেতা বললোঃ

কি ভাই তালা নেবেন না?

ভদ্রলোকঃ না ভাই,আমার দারোয়ান নেই।

বিক্রেতাঃ দারোয়ান দিয়ে কি হবে?

ভদ্রলোকঃ বুঝলেন না, ৩৫০০/- টাকার তালা পাহারা দেবে কে? আগে দারোয়ান ঠিক করি, তারপর তালা। 😒

ভোলাভালা

বিয়ের প্রায় পনেরটি বছর পর আজ গিন্নি হঠাৎই ইমোশনাল হয়ে বললো, "তুমি কিন্ত একটুও বদলাওনি, সেই একই রকম ভোলাভালা শান্তশিষ্ট প্রথম দেখা দিনটির মতন!"

আমি উদাস হয়ে বললাম, "যো রহিম উত্তম প্রকৃতি, কা করি সক্ত কুসংগ। চন্দন বিষ ব্যাপত্ নহি, লিপটে রহি ভুজঙ্গ।।"

গিন্নি আহ্লান্দী হয়ে বললো, "বাংলায় বলোনা গো!"

রহিম বলছে, "যেমন সাপ জড়িয়ে থাকলেও চন্দন গাছের কোন ক্ষতি হয় না, সেরকম উত্তম প্রকৃতির মানুষের ওপর কুসঙ্গ কোন প্রভাব ফেলে না!"

চোয়ালে বরফ ঘষছি। রাতে রুটিও বোধহয় চিবুতে পারবো না! 😭

সম্পত্তি

   ♦এক বৃদ্ধ হাসপাতালে তার শেষ নিশ্বাস নিচ্ছিল ৷ বেডের পাশে একজন নার্স, তার স্ত্রী, 
দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল৷
   ♦বৃদ্ধ বড় ছেলেকে বলল- "বাবা,আমিতো আর বেশিক্ষণ বাঁচবো না৷ তাই ভুবনডাঙ্গার১৫টি বাড়ি তুই নে ৷"
   ♦মেয়েকে বলল- "রতন পল্লীর ১৭টি বাড়ি তুই নে ৷"
   ♦ছোটো ছেলেকে বলল- "তোকে তো আমি খুব ভালোবাসি তাই শ্যামবাটির ২০টি বাড়ি তোর৷"
   ♦স্ত্রীকে বলল- "আমার যাবার পর কারো কাছে তোমাকে হাত পাততে হবেনা ৷ তাই বসুন্ধরার ১০টি ফ্ল্যাট তুমি রাখো৷"
   ♦তখন নার্স তার স্ত্রীকে বলল- "আপনি কত ভাগ্যবান আপনার স্বামী আপনাদের জন্য কত সম্পত্তি দিয়ে যাচ্ছেন৷".......
   ♦স্ত্রী বললো- "কিসের সম্পত্তি! ও দুধওয়ালা!! বাড়ি বাড়ি দুধ দেয়। সকলের দুধ দেয়ার Duty ভাগ করলো!!!"......
   ♦নার্সের এখনও জ্ঞান ফেরেনি.

Thursday, 29 July 2021

স্ট্রোক সনাক্তকরণ

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিকষ আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।
মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো- তার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক হয়েছিল। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভারসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটে মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।
স্ট্রোককে চিনুন...
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R... পড়ুন এবং জানুন!
মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।
সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile. রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk. রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।
এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো। সুতরাং, আপনি শিখলেন- আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান..!!

Wednesday, 28 July 2021

এত রাতে

বন্টু মদ খেয়ে বেশি রাত করে যখন বাড়ি ফিরে দেখলো টুনি দরজা কিছুতেই খুলতে চাইছে না!

বন্টুঃ ও গো দরজাটা খুলো.

টুনিঃ লজ্জা করেনা তোমার, রাত বিরেতে ছাই-পাস গিলে এসেছো? আজ বাইরেই থাকো, নয়তো যেখান থেকে গিলে এসেছো সেখানেই যাও,আমি দরজাখুলবই না।

বন্টু অনেক কাকুতি মিনতি করলো তাও দরজা খুললো না।শেষে বল্ট টুনিকে হুমকি দিল বললো

বন্টুঃ যদি দরজা না খুলো তো আমি কিন্তু পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মরে যাবো।

ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ভাবলো ওষুধে কাজ হয়েছে, . কিন্তু !! কিছুক্ষণ পর ওই টুনি বলে উঠলো টুনিঃ তুমি যাই করো আমার যায় আসেনা,আজ তোমার ঘরে আসা বন্ধ।

বন্টু চুপচাপ করে ঘরের এক পাশে অন্ধকার জায়গায় গিয়ে লুকিয়ে একটু অপেক্ষা করলো,

কিন্তু টুনি দরজা খুললো না। তখন একটা ইট তুলে ছুড়ে দিল পুকুরে,আর অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে রইলো।

এদিকে টুনি শুনতে পেলো জলে কিছু পড়ার আওয়াজ! সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে ছুটে গেল পুকুর পাড়ে। ঠিক সেই সুযোগে বল্ট ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। টুনি অনেক ধাক্কা দিল কিন্তু বল্ট দরজা খুললো না।

তখন টুনি খুব রেগে বললো-

টুনিঃ তুমি দরজাখুলবে, না আমি চেঁচিয়ে লোক ডাকবো?

বল্টুঃ একটু জোরে জোরে চিল্লাও যাতে করে বেশি লোক ঘুম থেকে উঠে চলে আসে, তারপর আমি তাদের সামনে তোমার কাছে জানতে চাইবো যে এতো রাতে তুমি কোথায় গিয়েছিলে? তাও আবার

নাইট ড্রেস পরে ....

🤣🤣🤣

দুধ, ক্ষীর আর ছানার সম্পর্ক

দুধ, ক্ষীর আর ছানার মধ্যে কী সম্পর্ক জানেন?

দুধ খেতে খেতে সঠিক জায়গায় ক্ষীর ঢালতে পারলে ছানা তৈরী হওয়ার সম্ভবনা বেশ ভালোই থাকে।

ভারতীয় বিমান পরিষেবা

ভারতীয় বিমানের ফ্লাইটে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে টয়লেটে বসিয়ে বললেন,

তুমি টয়লেট করো, আমি পাঁচ মিনিট পর আসছি।

কিন্তু বাচ্চাটা ২ মিনিট পরই টয়লেট থেকে বের হয়ে ওর মা-এর কাছে না গিয়ে ভুল করে উল্টো দিকে চলে গেল।

এদিকে প্রথমবার প্লেনে চড়ে বিজয় বাবু বিদেশ যাচ্ছিলেন, তিনি টয়লেটে ঢুকলেন।

পাঁচ মিনিট পর বাচ্চার মা এসে দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ করছেন আর বলছেন,

হয়ে গেছে নাকি?

তাহলে দরজা খোলো, আমি তোমাকে ধুইয়ে দিয়ে প্যান্ট পরিয়ে দেবো।

টয়লেটের ভিতর থেকে বিস্মিত বিজয় বাবু ভাবছেনঃ

উফ্:.....

একেই বলে সার্ভিস!

কে বলে ভারতীয় বিমানের সার্ভিস খারাপ?

🤣🤣🤣

Monday, 26 July 2021

বান্ধবী

পচার বউয়ের বান্ধবী এসেছিলো ঘরে। পচা বান্ধবীকে অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলো, তখন হঠাৎ প্রেশারকুকারের ১০টা সিটি বেজে উঠলো।

পচাঃ যাও রান্নাঘরে গিয়ে দেখো ডাল হয়তো পুড়ে গেছে।

পচার বউঃ ডাল পুড়লে পুড়ক চলবে,তবুও আমি তোমার ডাল এখানে গলতে দেবোনা।
🤣🤣🤣

সাইকোলজি

১. সেদিন স্টাফরুমে বসে আছি, মাথার ওপর ফ্যান চলছে মিডিয়াম স্পিডে৷ হঠাৎ বাইরে প্রবল বৃষ্টি এল, একজন বললেন, 'দীপেন, ফ্যানটা একটু কমা দিখি! ঠান্ডা লাগছে বিরাট'! আমি উঠে গেলাম ফ্যানের রেগুলেটারের কাছে, রেগুলেটারে হাত দিলাম কিন্তু স্পিড কমালাম না! জাস্ট রেগুলেটারে হাত ছুঁইয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, 'ঠিক আছে? নাকি আরেকটু কমাবো?' তিনি বললেন, 'না না, এটা ঠিক আছে, থাক! এবার ভাল্লাগছে'৷ ঠিক একই অনুরোধে, মানে ফ্যানের স্পিড কমানোর অনুরোধে পরের একদিন রেগুলেটারে হাত রেখে স্পিড অল্প বাড়িয়ে দিলাম, মানে রেগুলেটারটা একদম একটু খানি ডানদিকে ঘুরিয়ে দিলাম(ধরুন ৪ এ ছিল, আমি ৪.২ করলাম)! তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, 'কমেছে? এটা ঠিক আছে?' তিনি হেসে বললেন, 'হ্যাঁ ভাই, এবার ঠিক আছে'৷

২. সেদিন বাইকে করে ফিরছি, ফাঁকা রাস্তা দেখে স্পিড মোটামুটি সত্তর পার করেছি৷ পিছনে যিনি বসেছিলেন, তিনি বললেন, 'এত জোরে চালাস না, একটু আস্তে চল'! আমি বললাম 'ঠিক আছে, কমাচ্ছি থামো' এই বলে স্পিড সত্তর থেকে বাড়িয়ে ৭০.১ এর মত করলাম, জিজ্ঞাসা করলাম 'ঠিক আছে এবার'? পিছনের তিনি জবাব দিলেন, 'হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে৷ এত জোরে কেউ বাইক চালায়, একটু কমই ভালো'৷

৩. পিকনিক হচ্ছে, চিকেন বসিয়েছি কড়াইয়ে৷ রান্নার মাঝে একজনকে ডেকে অল্প ঝোল বাটিতে তুলে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, 'নুন ঝাল সব ঠিক আছে কিনা দেখ তো'! সে ঝোল মুখে নিয়ে স্বাদ সম্পর্কে বেশ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বলল, 'নুন একটু লাগবে বুঝলি, অল্প দিয়ে দে'! আমি নুনের প্যাকেটের দিকে হাত বাড়িয়ে সেই হাত কড়াইয়ের ওপর নিয়ে এসে জাস্ট আঙুলগুলো নেড়ে দিলাম, না নুনের একটা দানাও নিইনি দিইওনি ঝোলে৷ তারপর সেই ঝোলটাই আবার বাটিতে তুলে তাকে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এবার ঠিক আছে কিনা, সে দ্বিতীয়বার ঝোলের স্বাদ পরীক্ষা করে বলল, 'হ্যাঁ, এবার পারফেক্ট আছে! দারুণ লাগছে'!

এরকম প্রতিদিন হাজারো ঘটনা নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা চলে, প্রতিদিন নানান রেজাল্ট পাই!

কিন্তু এই ব্যাপারগুলো কেন ঘটে, সেটা খুঁজে পাইনি৷ আজ হঠাৎ গ্যাঁড়ার সাথে ভরদুপুরে বসে ছিলাম, ব্যাপারটা বোঝাচ্ছিলাম ওকে, তারপর জিজ্ঞাসা করলাম 'ভাই, কেন এরকম হয় বলতো? মানুষ এত বোকা কেন!!'

ব্যাটাচ্ছেলে মুচকি হেসে বলল, 'মাষ্টার! আজ সকালে মাছ কেনার সময় যখন তোর মাছের দাম হল ৩৭৮টাকা, তুই যখন মাছদিদিকে ৫০০ টাকার নোট দিল আর দিদি বাকি টাকা ফেরৎ দিল খুচরো কয়েন আর নোট সমেত, তখন কি তুই দোকানে দাঁড়িয়ে টাকাটা গুনে হিসেব করে পকেটে ঢুকিয়েছিলি?' আমি বললাম, 'না'! গ্যাঁড়া হেসে ফেলল, 'ভাই তুইও তো তাহলে বোকা'! মাথা নিচু করলাম, সত্যিই তো, আমিও তো বোকা!! সে হেসে বলল, 'মাস্টার, তুই যেটাকে বোকা বলে ভাবছিস, আসলে সেটা বিশ্বাস, সেটা ভরসা, ভালবাসা, স্নেহ, প্রশ্রয়...., সেটা আসলে আরও অনেক কিছু যেটা তোর সাইকোলজির কোন চ্যাপ্টারেই ডিফাইন করা নেই! ডিফাইন করা সম্ভবও নয়৷ যেদিন এই সিচুয়েশনগুলোর ডেফিনেশন আবিষ্কার হবে, ফর্মুলা আবিষ্কার হবে, প্রসিডিওর আবিস্কার হবে, সেদিন বরং সত্যি সত্যিই একে অপরকে 'বোকা' ভাবার অবকাশ পাবি! দে, তিরিশটা টাকা দে....'

কাজের ফোন

বাড়ির ফোনের বিল সাংঘাতিক বেশি আসায় গৃহকর্তা বাড়ির সবাইকে বললেন,"আমি বেশিরভাগ ফোনই অফিস থেকে করি, বাড়ির বিল তবুও এত বেশি আসে কী করে??"

স্ত্রী বললেন, "আমিও তাই । কোম্পানির ফোনেই আমার কাজ মিটে যায়।"

ছেলে বলল,"অফিসের ফোন ব্যবহারের পর আমারও তো বাড়ির ফোন ব্যবহারের তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না।"

ঘরভর্তি লোকের চোখ এরপর গিয়ে পড়ল একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা পরিচারিকার ওপর। সে এতক্ষণ নির্বিকারভাবে সব শুনছিল । ততোধিক নির্বিকার স্বরে সে এবার বলে উঠল, "তো? সবাই -ই তো দেখছি কাজের জায়গার ফোন ইউজ করে! আমি করলেই দোষ?"

Sunday, 25 July 2021

শতবর্ষ বৃদ্ধ

প্রায় শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই এক বৃদ্ধকে মদ্য পান দেখে এক যুবক বলল, আপনি এই বয়সে এ সব খাচ্ছেন? প্রেসার বাড়বে, লিভার খারাপ হয়ে যাবে, ডায়াবিটিসে কষ্ট পাবেন। বৃদ্ধ বললেন কি করি বাবা। না খেয়ে থাকতে পারি না।

আপনাকে কেউ কোনদিন বারণ করেনি? কি আর বলি বাবা। যারা বারণ টারণ করত তাদের কেউই আজ আর বেঁচে নেই। অনেকদিন পর এই তুমিই আজ বারণ করলে| সাবধানে থেকো বাবা!! 
😂😂😂

Saturday, 24 July 2021

শুদ্ধ বাংলা

দোকানদার দোকানের সাইনবোর্ডে লিখে রেখেছেন—'গ্রাহক দোকান থেকে জিনিস কেনার সময় একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করলে তাকে আমরা ২৫% ছাড় দিচ্ছি।'

লেখাটা পড়ে আমাদের পচা দোকানে গিয়ে বলল —"ভাই, দুখানা সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম বিষানুগমনাগমন নির্গমন অবরোধক মুখ-ওষ্ঠ-নাসিকাদি রক্ষার্থে কর্ণদ্বয় কর্তৃক সমর্থিত বস্ত্রখন্ড' দিন।"

দোকানদার তার কথা শুনে বলল—"আপনাকে আমি ৫০% ডিসকাউন্ট দেব। দয়া করে ইংরাজিতেই বলেন কী লাগবে?"

পচা হেসে বলল— *"দুটো মাস্ক দিন।"*

রাজুর বাচ্চা

রাজুর 4টে বাচ্চা। একদিন কাগজে রাজু দেখল যে, সরকার ঘোষনা করেছে, যার পাচটা বা তার বেশী বাচ্চা আছে তাকে প্রতি মাসে সরকার 20000 টাকা দেবে। রাজু তখন তার বউকে খবরটা দেখাল আর বলল, তুমি যদি কিছু মনে না কর, তো একটা কথা বলব ?

বৌ – বলো, কিছু মনে করব না।

রাজু - দেখো, আমার প্রেমিকার কাছে আমার একটা বাচ্চা আছে, তুমি বললে আমি নিয়ে আসব, আর আমাদের পাচটা বাচ্চা হয়ে যাবে। 20000 টাকা করে মাসে মাসে পাব।

বউ বলল – যাও ...

রাজু বাচ্চা নিয়ে ফিরে এসে দেখল ... তার ঘরের দুটো বাচ্চা গায়েব। রাজু বৌকে জিজ্ঞাসা করল, ব্যাপার কি বৌ বলল, যার বাচ্চা ... সে নিয়ে গেছে। কারণ, খবরের কাগজ তো তুমি একা পড়োনি।

স্বামী স্ত্রী সংবাদ

একজন মহিলা তার অসুস্থ স্বামীকে চিকিৎসার জন্য এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেন।

রোগীর উপযুক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক মহিলাটিকে বললেন- ওনাকে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ দেবেন ও হাসিখুশি মেজাজে রাখবেন। ওনার সঙ্গে ঝগড়া মারামারি করবেন না। দুপরে খাওয়ার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করবেন আর আপনার সমস্যার কথা ওনাকে বলবেন না। টেলিভিশন দেখা ও ফেসবুক করা বন্ধ রাখবেন। কখনো টাকা পয়সা ও নতুন গয়না গাটির জন্য দাবি জানাবেন না । যদি এক বছর এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন তবে আপনার স্বামী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন।

চিকিৎসকের চেম্বার থেকে ফেরার পথে স্বামী ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন - ডাক্তারবাবু কি বললেন?

স্ত্রী গম্ভীর স্বরে বললেন- তোমার রোগ এ জীবনে সারবে না।😂😂😂

আম চোর

আম চুরি করতে একটি ছেলে গাছে উঠেছে। গাছের মালিক হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলল। 'ওই বদমাশ, আমার আমগাছে কী করছিস? 'ইয়ে... আঙ্কেল... মানে 
কয়েকটি আম মাটিতে পড়েছিল, ওগুলো গাছে তুলে রাখছি।😂😂😂

ডাক্তারি

একটি অসাধারণ সুন্দরী যুবতী একটা ওষুধের দোকানের সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল।
মনে হচ্ছিল যেন সে দোকানের ভীড় কমার অপেক্ষায় ছিল।
দোকানের মালিক তার দিকে বেশ কৌতূহলের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল মাঝে মাঝে।
ভাবছিল, সে এমন কিছু জিনিষ কিনতে এসেছে যেটা নিতান্ত গোপনীয়?
কারুর সামনে সে বলতে বোধহয়  তার লজ্জা বোধ করছে!
ভেবেই যাচ্ছে আর নিজেও চাইছে যেন ভীড়টা তাড়াতাড়ি কমে যায়।
ওষুধের বিক্রী কমে কমুক, সুন্দরী যুবতীটির কী প্রয়োজন আর সেটা সে মেটাতে পারবে কিনা, সেই ভেবেই তার হাঁকপাকানি অবস্থা।
যাই হোক, অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর অবশেষে দোকানটা একটু ফাঁকা হল।
কোন গ্রাহকই আর ছিলনা।
মেয়েটি দোকানে ঢুকল আর মালিককে একটু আস্তে ঈশারায় ডাকল।
একেবারে মৃদু সুরে সলজ্জ ভঙ্গীতে একটা কাগজ দোকানের মালিকের দিকে এগিয়ে দিল।
আর অতি সুরেলা ভঙ্গীতে, প্রায় ফিসফিস করে বলল...
“কাকু, আমার না........
আমার না .......কি যে বলি.....
আমার না এক ডাক্তারের সঙ্গে বিয়ে পাকা হয়ে গেছে।
আর আজ না ওনার প্রথম চিঠি পেয়েছি।
ডাক্তারদের হাতের লেখা তো আপনারাই পড়তে পারেন!
তাই একটু এটা পড়ে শোনাবেন  প্লিজ?
আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা কাকু ।

বন্ধুত্ব

বিলুর ছোটবেলা থেকেই ভয় যে তার খাটের নিচে বোধহয় কেউ লুকিয়ে আছে।

শেষ পর্যন্ত এক মনোবিদের কাছে গেল সে। "আমার একটা সমস্যা আছে। যখনই শুতে যাই, আমার মনে হয় কেউ যেন আমার খাটের তলায় লুকিয়ে রয়েছে। ভয়ে ঘুম হয় না। মনে হয় আমি পাগল হয়ে যাব।"

মনোবিদ বললেন "চিন্তার কোনও কারণ নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু একটু সময় লাগবে।"

"কত সময় লাগবে"?

"তা ধরুন বছর খানেক। আপনি সপ্তাহে তিনদিন করে আমার কাছে আসবেন, আমরা শুধু কথা বলব। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ভয় হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে।"

"আপনার ফি কত?"

"২০০০ টাকা প্রতি সেশন।"

বিলু নমস্কার জানিয়ে চলে এলো।

এর ছয় মাস পরে একদিন রাস্তায় বিলুর সঙ্গে সেই

মনোবিদের হঠাৎ দেখা।

"কি ব্যাপার, আপনি আর এলেন না কেন?"

বিলু বলল "প্রতি দর্শনে ২০০০ টাকাটা অনেক বেশী মনে হল। বছরের শেষে সেটা লাখ টাকায় দাঁড়িয়ে যেত। আমার এক বন্ধু মাত্র একটা Egg Roll পারিশ্রমিক নিয়ে আমার ভয় সারিয়ে দিয়েছে।"

মনোবিদ বেশ ক্ষুন্ন হয়েই বললেন, "আচ্ছা ? তা কিভাবে সারালেন তিনি আপনার রোগ?"

"সহজ রাস্তা। পুরো Egg Roll টা শেষ করে ও আমাকে বলল খাট বেচে দিয়ে মেঝেতে তোষক পেতে শুতে।"

নীতিশিক্ষা:

আগে বন্ধুর সঙ্গে কথা বল।

বন্ধুদের কাছে সব সমস্যারই সহজ সমাধান আছে। দেখা হওয়া, কথা বলা জরুরী। তাই দূরে থাকুন কিন্তু touch এ থাকুন।

ফ্রী এর অফার

দরজা খুলতেই দেখা গেলো প্রতিবেশি সুন্দরী ডিভোর্সি মহিলা সেজেগুজে অপ্সরা রূপে দন্ডায়মান!

মহিলাটি বললো - একাকীত্ব আর সহ্য হচ্ছে না... আমারও ইচ্ছে করছে নাইট ক্লাবে গিয়ে ড্রিঙ্কস, ডান্স ও ডিনারের সাথে life enjoy করতে.... আপনি কি আজ রাত free আছেন? 😀😀

হৃদপিন্ডের দ্রুত স্পন্দন সংযত করে লাজুক মুখে ভবেশবাবু বলে দিলেন হ্যাঁ -😍

মহিলাটি বললো- গুড.... তাহলে আজ রাত আমার বাচ্চাটাকে একটু খেয়াল রাখবেন প্লিজ, আমি ভোরবেলা চলে আসবো! 😁😁

Note - Please read the instructions carefully before saying " Yes".. All free offers come with hidden terms and conditions.😂😂😂

বেতন

Sir, আমার বেতন বাড়ান।

Boss : সম্ভব না।

- তাহলে আগামীকাল থেকে আমাকে

বিকাল ৫ টার পর ছুটি দিতে হবে!

Boss : কেন?

- আমি সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাতে, অটো রিকশা চালাবো।

কারণ, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই

বেতন দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।

Boss : Ok, তবে অটো চালাতে চালাতে মধ্যরাতে যদি তুমি ক্ষুধার্ত হয়ে যাও,

শ্রীরামপুর রেলস্টেশনের দক্ষিন পাশে আইসো! -কেন?

Boss : মধ্যরাতে আমি ঐখানে পরটা

তরকারি বিক্রি করি! 😂😂😂

Monday, 19 July 2021

সাহচর্যের প্রভাব

1. স্ত্রীর পাশে 1-মিনিট বসুন
বুঝতে পারবেন জীবন বড় কঠিন.
2. 2-মিনিট মাতালের কাছে বসুন
আপনি বুঝতে পারবেন জীবন খুব সহজ।
3. সাধুদের সাথে 3-মিনিট বসুন
আপনার সবকিছু দান করে অবসর নিতে ইচ্ছে করবে।
4. রাজনীতিবিদের সাথে 4-মিনিট বসুন
বুঝবেন আপনার পড়াশুনা সব বেকার।
5. একজন জীবন বীমা এজেন্টের সাথে 5-দশ মিনিট বসুন
বুঝবেন বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
6. একজন ব্যবসায়ীর সাথে 6-মিনিট বসে থাকুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনার উপার্জন কিছুই না।
7. একজন বিজ্ঞানীর সাথে 7-মিনিট বসুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মধ্যে খারাপটা আপনার অজ্ঞতার কারণে।
8. একজন ভালো শিক্ষকের সাথে 8-মিনিট বসুন
আপনি একজন ছাত্র হয়ে ফিরে আসতে চাইবেন।
9. একজন কৃষক বা শ্রমিকের সাথে 9-মিনিট বসে থাকুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন না।
10. একজন সৈনিকের সাথে 10-মিনিট বসুন
আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কাজ এবং ত্যাগ অত্যন্ত ঘৃণ্য।
11. অর্থীকে নিয়ে দশ এগারো-মিনিটের জন্য শ্মশানে যান
মনে হবে জীবনের সবই মায়া, হাল ছেড়ে দিন।
12. কিন্তু একজন * প্রকৃত বন্ধু ইতিবাচক ব্যক্তির সাথে দশ-মিনিট বসুন
এবং মনে হবে আপনার জীবন স্বর্গের চেয়েও সুন্দর।

 🙏

খুঁটি

কোনো গাধাকে খুঁটোর সঙ্গে বেঁধে রাখলে,, গাধাটি মেজাজ হারিয়ে,, খুঁটো উপড়ে নিয়ে,, কোথাও পালিয়ে যেতে পারে।। 

এমন ঘটনার হাত থেকে নিস্তার পেতে,, বহু যুগ আগে,, মানুষ একটি নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে।। 

খুঁটোর পরিবর্তে,, দুটো গাধাকে পরস্পরের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হতো।। গাধার চরিত্র হলো ভিন্নধর্মী।। একটা গাধা উত্তর দিকে যেতে চাইলে,, অন্যটা দক্ষিণ দিকে যাবে।। 

এক গাধা ছুটে পালাতে চাইলে,, অন্য গাধা 
ধুপ করে বসে পড়বে!!

বুদ্ধিমান মানুষ,, দুটো গাধাকে এক দড়িতে বেঁধে রাখার এই পদ্ধতি অবলম্বন করে,, গাধা পালানোর হাত থেকে রক্ষা পেতে থাকে।।

*

*

*

*

*

কথিত আছে যে,, 
এই পদ্ধতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে,, আমাদের পূর্বপুরুষদের,, বিবাহের কথা 
মাথায় আসে ।।

😀😀😀😀😀😀

সোনার মালিক

এক দম্পতি নিজের সদ্যোজাত ৩ কিলো ওজন সন্তানের জন্য খুবই খুশী এবং সদ্যোজাত ছেলেটির নাম রাখলেন "সোনা"

সেন বাবু এই আনন্দ সামলাতে না পেরে সোজা পত্রিকার এডিটরকে জানালেন যে তিনি ৩ কিলো ওজনের সোনার মালিক হয়েছেন। 

আর কি..!!
এই রকম একটা অতি বিশিষ্ট রোমাঞ্চকর সংবাদ শুনে এডিটর নিজের বিশেষ সাংবাদিককে "সেন বাড়ী"তে ইন্টারভিউ নেবার জন্য পাঠিয়ে দিলেন..।

যখন সাংবাদিক পৌঁছালেন,
সেন বাবু বাইরে গিয়েছিলেন এবং গিন্নী একলা ঘরে ছিলেন।
সাংবাদিক :- মিঃ সেন বাবু কি এখানে থাকেন??
গিন্নী :- হ্যাঁ।
সাংবাদিক :- উনি কি বাড়ি আছেন?
গিন্নী :- না, উনি বাইরে গেছেন।
সাংবাদিক :- এটা কি সত্যি যে উনি ৩ কিলো ওজনের সোনার মালিক হয়েছেন ?
গিন্নী :- (মজা টি বুঝতে পেরে) হ্যাঁ, তাইতো।
সাংবাদিক :- আমি কি ওই জায়গাটি দেখতে পারি যেখান থেকে এটি পাওয়া গেছে ?
গিন্নী :- আমি দু:খিত, কারণ সেন বাবুর আপত্তি আছে। তাছাড়া জায়গাটি খুব গোপনীয়।
সাংবাদিক :- জায়গাটি কি অনেক দূরে ?
গিন্নী :-  না, খুবই কাছে এবং সহজেই যাওয়া যায়।
সাংবাদিক :-  কত বছর ধরে মিঃ সেন বাবু এই গর্তে খোড়া খুড়ি করছিলেন?
গিন্নী :- এই প্রায় ২ বছর হলো।
সাংবাদিক :- গর্ত টি কি খুব গভীর ?
গিন্নী :- বলতে পারেন...
সাংবাদিক :- কোন সময় মিঃ সেন বাবু সচরাচর খোড়া শুরু করেন ?
গিন্নী :- উনি বেশিরভাগ সময় রাতেই খুঁড়তেন, সময় পেলে দিনেও খুঁড়তেন।
সাংবাদিক :- উনি কি এর উপর খুব পরিশ্রম করেন?
গিন্নী :- সে আর বলতে!! কি ঘাম ই না হয়।
সাংবাদিক :- মিঃ সেন বাবুই কি প্রথম খোড়েন ?
গিন্নী :- এর আগেও দু/চার জন খুঁড়েছিলেন তাঁরা কিছুই পাননি!
সাংবাদিক :- আপনি কি করে জানেন যে আর কেউ ওনার আগে খুঁড়েছিলেন ?
গিন্নী :- আমি ভাল করে বলতে পারি কারন ওটি আমার জায়গা।
সাংবাদিক :- ওহঃ!! বুঝলাম, কিন্তু আপনি কি জায়গাটি মিঃ সেন বাবুর কাছে বেচে দিয়েছেন?
গিন্নী :- না, কিন্তু আপাতত উনিই আইনত জায়গাটির মালিক।
সাংবাদিক :- মিঃ সেন বাবু কি এই কাজে কারোর সাহায্য নেন?
গিন্নী :- হ্যাঁ, আমি ওনার নিচে কাজ করি....
সাংবাদিক :- কখনও আপনার মনে হয় উনি জায়গাটি বেচে দিতে পারেন ?
গিন্নী :- আমার মনে হয়না কারন উনি খুব উপভোগ করেন এর উপর কাজ করতে।
সাংবাদিক :- আমি কি ওই ৩ কিলো ওজনের সোনাটি দেখতে পারি একটু ?
গিন্নী :- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই......
গিন্নী রিপোর্টারকে সদ্যোজাত শিশুটি দেখালেন...
সাংবাদিক মৃত প্রায়.....😂😂😂

Tuesday, 13 July 2021

টিভি সিরিয়াল

বেশ কয়েকদিন আগের কথা, এক পরিচিতের  বাড়িতে গিয়েছি মায়ের সাথে। সন্ধ্যা সাতটা, টিভিতে তখন যথারীতি পাড়া কাঁপানো সিরিয়াল "শ্রীময়ী" চলছে। কাহিনীটা সবাই জানেন। সিরিয়ালে শ্রীময়ী একজন মধ্যবয়সী মহিলা,বড়বড় তিন ছেলেমেয়ের মা। স্বামী এই বুড়োবয়সে ডিভোর্স দিয়ে অফিসের কলিগ জুনকে বিয়ে করেছে। এইদিকে শ্রীময়ীর পুরোনো প্রেমিক আর চরম হ্যান্ডসাম সাথে বড়লোক রোহিত সেন রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানে বিপদে পড়বে আমাকে স্মরণ করিবে,আমি ছুটিয়া জুটিয়া যাইবো টাইপের মহাপুরুষ হয়ে শ্রীময়ীর জীবনে আসে। 
    যাইহোক, তো আমি আর মা যথারীতি বসে আছি সেই আত্মীয়ার বাড়ি।কিন্তু ওনার কথা বলার সময় নেই, যাষ্ট হাঁ করে গিলছেন সিরিয়াল। ব্যাপারটা এই, "তোমরা এই টাইমে যখন এসেছো তখন বসতে হবে বাপু। আগে শ্রীময়ী তারপর অন্য কিছু। বাকি দুনিয়া যায় ভার মেঁ। "
    হঠাৎ চিৎকার " যা যা চলে যা, চলে যা। ওরা তোকে কিছুই দেবেনা। চলে যা ওর সাথে, নিজের মতো করে বাঁচ। আমরা তো আর পারলামনা। "
   মা ফ্যালফ্যাল করে মহিলার দিকে তাকিয়ে। পিলে চমকে উঠেছে আমার তখন, কোথায় যাবো? কেন যাব? কার সাথে যাব? নিজের মতো বাঁচবো শুনলে মাবাবা দূর করে দেবে বাড়ি থেকে ভেবে ভেবে আমি তখন আকুল যখন মহিলা টিভিতে বিজ্ঞাপনের বদন্যতায় অমায়িক স্বরে জানালেন " শ্রীময়ীকে বলছিলাম। রোহিত সেনের সাথে নতুন করে সংসার করো। কেন সমাজের কথা ভেবে নিজেকে কষ্ট দেবে? "
   মায়ের রিয়্যাকশন জানিনা। আমি তো বস পারলে মহিলাকে জড়িয়ে ধরি, কিন্তু খারাপ দেখায়। উফ্ উফ্  কি উচ্চমানসিকতা! যদি শ্রীময়ী দেখে এমন সমাজের উন্নতি হয় তো আমি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন রাখতেও রাজি যাতে টিভিতে ২৪ঘন্টা শ্রীময়ী চলে দেশ ও দশের উন্নতির জন্য। 
     কিন্তু, কিন্তু। কাহানী মেঁ টুইস্ট আসলো কয়েকমাস পরে।এইবার তিনি এসেছেন আমাদের বাড়ি, আমি তো উনাকে নিজের রোল মডেল ভেবেই নিয়েছি ততদিনে। একথা সে কথায় হঠাৎ শুনি বলছেন "জানো বৌদি আমাদের পাশের বাড়ির অল্পবয়সী ডিভোর্সী মেয়েটার কথা বলেছিলাম না? ছোটো একটা বাচ্চা আছে যার? কি বলবো রোজ বাড়িতে একটা ছেলে আসে, বলে দু সম্পর্কের দাদা। দাদা না ছাই! ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি চরিত্র দেখেছো? এমন মেয়ের স্বামী টিকবে কি করে বলো? "
      আমার কথা আর কিচ্ছু কানে যাচ্ছেনা। মানে? এই তো কদিন আগে শ্রীময়ীকে মুভ অন করতে বলছিলো, যেই নিজের পরিচিতের মধ্যে ঘটলো অমনি ১৮০ ডিগ্রি পাল্টি?how??!!! 
    ঐদিন একটা কথা বুঝেছিলাম। মানুষ সিনেমা সিরিয়াল দেখে যে ঘটনায় বাহবা দেয়? ঠিক সেই ঘটনাটাই যদি ঘটে বাস্তবে? মানতে পারেনা। 
    আচ্ছা আরেকটা বিখ্যাত সিরিয়াল হলো খড়কুটো।কাহিনী কিছুই না, বড়লোকের বিশ্বন্যাকা( যে নাকি বায়োলজিক্যালি কি করে মানুষ প্রেগন্যান্ট হয় তাও জানেনা। ভাবে মানুষ গাছে হয়।)বিগড়ে যাওয়া ফেল করা এক মেয়ের বিয়ে হয় সায়েন্টিস্ট এক মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলের সাথে। সেই বাড়ির লোকের ওদের ঘরে আড়ি পাতা ছাড়া কোনো কাজকর্ম নেই, আর ছোটো পোশাক গায়ে শ্বশুরবাড়িতে মেয়েটা আলফাল  কথা বলে বেড়ায়।আর শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে মাথায় তুলে নাচে। এই সিরিয়ালের ন্যাকা নায়িকা মানে গুনগুনকে দেখে আমার বাড়ির লোক অবদি পাগল। আমি ভাবি অন্য কথা, আচ্ছা ধরুন আপনি মধ্যবিত্ত মফস্বলের মানুষ। ছেলের বৌ হটপ্যান্ট পরে বাড়িতে ঘোর,আপনি এতটাই মুক্তমনা তো যে মেনে নেবেন? আর বাড়ির বৌ এর কোনো দোষ না দেখে মাথায় তোলা?? এও হয়???!!!  আমার এক পরিচিত কাকিমা  শুনেছি এই সিরিয়াল না দেখলে অন্নস্পর্শ করেননা। তাঁরই আবার তাঁর পুত্রবধূর সাথে চরম অশান্তি। কারণ? কারণ একটাই বৌ টি নাকি কাজ করেনা। ইশারা কাফি হেঁ  মেরে দোস্ত। 
    বহু মণিমুক্ত ছড়িয়ে আছে, যা দেখে মানুষ হুটহাট মুক্তমনা হয়ে যাচ্ছে। যমুনাঢাকি না কি যেন! মেয়েটি সারাদিন চরম মেকাপ করে ঢাকা বাজায়।গঙ্গারাম সিরিয়ালে ছেলেটি ধুতিপাঞ্জাবি  গায়ে সরল মন নিয়ে রূপম ইসলামের গান গায় আর বৌ এর হাতে মার খায়। 
     আমি ভাবি অন্যকথা, আমার বাড়িতে খেলাঘর নামক এক দুনিয়া বদলে দেওয়া সিরিয়াল চলে।গুন্ডা নায়ক হুট করে একদিন বিলেত ফেরত এক মামণিকে  রাস্তায় সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে। সেই মেয়ে আবার বস্তিতে থাকতেও চলে এসেছে, একফোঁটা ইংরেজি ওয়ার্ড না বলে। আর সবচাইতে কেলেঙ্কারির কথা হলো গুন্ডা নায়ক নাকি হেব্বি পড়াশুনায় ছিলো। বুকে আঘাত পেয়ে গুন্ডা হয়েছে। বৌদি সিরিয়াল দেখে বলে "দেখ,কি আঘাত পেলো ছেলেটা।আহা "
    সিঁদুর পরানো ছাড়ুন।আমি ভাবছি অন্য কথা, স্ট্যাটাসে একটু কম হলে মানতে পারেননা। এইদিকে আপনার মেয়ে যদি পাকা বাড়িতে কোনও ভালো ছেলেকেও বিয়ে করে চলে যায়, জীবনে মুখ দেখবেন? 
     টিভি সিরিয়াল, সিনেমায় যে চরিত্রগুলোকে আমরা রোল মডেল ভাবি? অ্যাডমায়ার করি?ভালোবাসি? আসল কথা তো এই যে সেই চরিত্র বাস্তব হয়ে আমাদের চারপাশে জীবন্ত হয়ে উঠলে মেনে নিতে পারিনা। সেলুলয়েডের দুনিয়ায় যতটাই  মুক্তমনা, ততটাই একটা অন্ধকূপ মন বাস্তবটাকে মানতে শেখায়নি। আসলে আমাদের সবার মধ্যে দ্বৈতসত্ত্বা  বাস করে। আমরা কল্পনার জগতের মতো যদি বাস্তবেও এতটাই বুঝদার হতাম কত সম্পর্ক হয়তো আজও বেঁচে যেতো, কত মানুষ হয়তো হারিয়ে যেতোনা।টিভি সিরিয়ালকে দোষ দিই আমরা? 
 মাল্টিপ্লেক্সে  প্রাক্তন সিনেমাটা দেখেছিলাম যাদের সাথে তারা তখন সম্পর্কে ছিলো। মনে আছে হলে বসেই বান্ধবীটি নিচু স্বরে বললো "ইগোটা সব শেষ করে দেয় বুঝলি? কাউকে তো এগোতে হবে। নইলে সম্পর্ক টিকবে কি করে? "
     ওদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে একবছর হলো।কম্প্রোমাইজ করা হেরে যাওয়া নয় যাওয়া এই বিখ্যাত ডায়লগ নিজের ছবির ক্যাপশানে রেখেও, কেউ সেদিন একফোঁটা কম্প্রোমাইজ করেনি।

লিপিড প্রোফাইল

একটি সুন্দর গল্প ...
( লিপিড প্রোফাইল কে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ) ...
**********************************

আমাদের শরীর যদি একটা ছোট্ট শহর হয়, তবে এই শহরের প্রধান সমাজবিরোধী হচ্ছে *কোলেষ্টেরল* । এর সাথে কিছু সাঙ্গপাঙ্গ আছে। তবে একেবারে ডানহাত হলো *ট্রাইগ্লিসারাইড* । এদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় রাস্তায় মাস্তানি করে রাস্তা ব্লক করা আর শহরকে ব্যতিব্যস্ত রাখা । 
*হৃৎপিন্ড* হলো এই শহরের প্রাণকেন্দ্র । শহরের সব রাস্তাগুলো এসে মিশেছে সেই প্রাণকেন্দ্রে । সমাজবিরোধীর সংখ্যা বেশী হলে কি হয় আপনারা সবাই জানেন । এরা নিত্য নতুন হাঙ্গামা বাধিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রকে অচল করে দিতে চায় । 
আমাদের শরীর নামক শহরে কি পুলিশ নেই ? যারা মাস্তানদের ক্রসফায়ার করবে , তাদের ছত্রভঙ্গ করে জেলে‌ ভরবে ?
হ্যাঁ, আছে। তার নাম *H D L* এই ব্যক্তি পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানী করা এসব মাস্তানদের রাস্তা থেকে তুলে এনে জেলে ভরে রাখে । জেল মানে *লিভার* । *লিভার* এইগুলোকে বাইল সল্ট বানিয়ে শহরের পয়ঃ নিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে ( পায়খানার সাথে ) শহর থেকে বের করে দেয়। কি অদ্ভুত শাস্তি মাস্তানদের !
আর একজন আছে *L D L*। তিনি‌ আবার ক্ষমতালোভী। তিনি ক্ষমতার জোরে তাদের জেলখানা থেকে তুলে আবার রাস্তায় বসিয়ে দেন। মাস্তানদের মাস্তানীতে পুরো শহরে জ্যাম লেগে যায় । 
*H D L* হায় হায় করে দৌড়ে আসে। কিন্তু সে *L D L* আর মাস্তানদের যৌথ শক্তির সাথে পেরে ওঠেনা। পুলিশের *(H D L*) সংখ্যা যত কমে মাস্তানরা ততই উল্লসিত হয় ।

 শহরের পরিবেশ হয়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর ।

এমন শহর কার ভালো লাগে বলুন ?

আপনি কি মাস্তানদের কমিয়ে পুলিশ বাড়াতে চান ? *তবে হাঁটুন।*
আপনার প্রতি কদমে পুলিশ পোস্টিং *(H D L)* বাড়বে - যত পুলিশ বাড়বে , ততই *Cholesterol* (মাস্তান) *Triglyceride* (মাস্তানের চামচে) , *L D L* ইত্যাদি সমাজবিরাধী কমবে ।

 আপনার শহর *(শরীর)* প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পাবে।
আপনার শহরের প্রানকেন্দ্র *(হার্ট)* মাস্তানদের অবরোধ *(হার্ট ব্লক )* থেকে বাঁচবে । 
আর শহরের প্রানকেন্দ্র *(হার্ট)* সুস্থভাবে বাঁচা মানে আপনিও সুস্থভাবে বাঁচবেন ।

তাই সময় বা সুযোগ পেলেই শুরু করুন 🚶🏾‍♂🚶🏻‍♀🚶🏾‍♂🚶🏻‍♀

GST

This is height of all creativity...
Teacher: How many letters are in the English alphabet?

Student:  23 without GST
                 26 with GST

😅😀

ওয়ার্ড ও ফিগার

আপনারা কি জানেন ব্যাংকের চেকে টাকার অঙ্ক ওয়ার্ড ও ফিগার দুটোতেই লেখা বাধ্যতা মূলক কেন? না জানা থাকলে নিচের লেখাটি পড়ুন।

বিকেল ৪.৩০ এ ব্যাঙ্ক দিনের মতো বন্ধ হবার সময় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অত্যন্ত মিষ্টি,সুরেলা কণ্ঠে এক মহিলার ফোন পেলেন। ফোনের ওপার হতে সেই লাস্যময়ী রমণী পাহাড়ের ওপর থেকে ঝরে পড়া ঝর্নার মতো কলকলিয়ে বললেন,"স্যার, আমার দুলক্ষ টাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি দশ মিনিটের মধ্যে চেক নিয়ে আসছি, আপনি কি আমার জন্যে একটু অপেক্ষা করবেন?
মহিলার সুমধুর কণ্ঠস্বরে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অভিভূত হয়ে গেলেন আর ক্যাশিয়ারকে দুলক্ষ টাকা রেডি রাখার আদেশ দিলেন।

বাড়ি ফেরার সময় ক্যাশিয়ার গজগজ করতে করতে দু লাখ টাকা রেডি করতে লাগলেন।

এরই মধ্যে এক বেহিসাবি মোটা,বেঢপ যৌবন অস্তগামী এক মহিলা থপাস থপাস করে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের অফিসের দরজা ঈষৎ ফাঁক করে সেই সুরেলা গলায় বললেন,"স্যার ভিতরে আসতে পারি"? ম্যানেজার এতক্ষণ যে এক সুন্দরী মহিলার চেহারা মানসলোকে দর্শন করছিলেন...কিন্তু বাস্তবের এই বেঢপ,যৌবন অস্তগামী মহিলাকে দেখে ক্ষণকালের জন্যে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,"সরি, ম্যাডাম আজ ক্যাশ ক্লোজ হয়ে গেছে আপনি কাল আসুন"।
"এটা তো ফোনেই বলতে পারতেন"- ঝংকার দিয়ে গটমটিয়ে মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে গেলেন।

ক্যাশিয়ার যিনি টাকা রেডি করে বসেছিলেন- বিরক্ত বদনে ম্যানেজারকে বললেন," যদি টাকা দেবেনই না তাহলে আমাকে আটকে রাখলেন কেন"?

ম্যানেজার বললেন," ব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক নিয়মই হচ্ছে- If words and figure do not match, payment will be declined"

Tuesday, 6 July 2021

ছোটিসি কাম

শুনশান রেল স্টেশন। দিনের শেষ ট্রেনটি প্লাটফর্ম ছেড়ে চলে গেছে। এক বৃদ্ধা বসেই আছেন। জানেন না পরের ট্রেনটি আসবে পরের দিন। এক কুলির নজর গেল সেদিকে। 
- মাইজি, তুমি কোথায় যাবে?
- দিল্লি যাব বাবা ছেলের কাছে।
- আজকে তো ট্রেন আর নেই মাইজি।
বৃদ্ধার অসহায় দৃষ্টি। কুলিটির বোধহয় দয়া হল।
- মাইজি তোমাকে ওয়েটিং রুমে রেখে আসি। আমার সঙ্গে চল।
- তাই চল বাবা। কি আর করব!
- তোমার ছেলে বুঝি দিল্লিতে থাকে?
- হ্যাঁ বাবা।
- কি করে?
- রেলে কি যেন একটা কাজ করে!
- নামটা বল দেখি। যোগাযোগ করা যায় কিনা দেখছি।
- ও তো আমার লাল। সবাই ওকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলে ডাকে যে।

তিনি তখন ভারতীয় রেলওয়ের ক্যাবিনেট মিনিস্টার। মুহূর্তের মধ্যে গোটা স্টেশন তোলপাড়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলো সালুন (saloon car)। বৃদ্ধা অবাক। তাঁর ছেলের এত ক্ষমতা!

লাল বাহাদুর কিছুই জানতেন না। সমস্ত আয়োজন করেছিল ভারতীয় রেল।
পরিশেষে একটিই কথা, এমন মা না হলে অমন ছেলে হয়! ****এই রকম নেতা এখন দুর্লভ, এরা ক্ষমতা প্রতিপত্তির জন্য পদে বসেন নি,এরাই পদকে অলংকৃত করেছেন। 
ছেলের দেখা পাওয়ার পর 
তিনি ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন - "বেটা , তু রেলমে কেয়া কাম করতে হো , এলোগ পুছা তো ম্যায়নে কুছ নেহি বোলপায়া ।"
তার উত্তরে ছেলে বলেছিলেন - " ছোটিসি কাম মা "। 🙏🙏🙏

Popular Posts