Monday, 30 December 2019

অবিদ্যা কি?



একদা বাদশা আকবর তাঁর সভাসদ বীরবল কে প্রশ্ন করলেন, "রাজা বীরবল, অবিদ্যা কি?"
বীরবল উত্তর দিলেন, "জাহাঁপনা, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমাকে ৪ দিন ছুটি দিতে হবে, ফিরে এসে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব!"
বাদশা আকবর রাজি হয়ে তাঁকে ৪ দিন ছুটি দিলেন। বীরবল এক মূচির কাছে গিয়ে বললেন, "ভাই একটা জুতো বানিয়ে দাও।"
মূচি বলল, "ঠিক আছে হুজুর, মাপটা দিন।"
বীরবল বললেন, "ওসব মাপ টাপ ছাড়, এক হাত লম্বা আর এক বিত্তা চওড়া জুতো বানাও, আর ওতে কিছু হীরে জহরত জুড়ে দাও। সোনা আর রুপোর সুতো দিয়ে সেলাই করো, টাকার চিন্তা করো না, যা দাম হবে তাই পাবে, দরদাম করব না।"
মূচী বলল, "ঠিক আছে, কিছু টাকা আগাম দিন, আর ৩ দিন বাদে এসে নিয়ে যাবেন।"
তৃতীয় দিন পুরো টাকা দেওয়ার আগে বীরবল মূচিকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিলেন যে ও এই জুতোর গল্প কারও কাছে কখনও করবে না।
তারপর বীরবল একপাটি জুতো নিজের কাছে রেখে অন্য পাটি টা মসজিদের সামনে ফেলে দিলেন। ভোরবেলা মৌলবী আজান দিতে এসে ঐ একপাটি জুতো আবিষ্কার করলেন। মৌলবী চিন্তা করলেন, এত বড় জুতো কখনও কোন মানুষের পায়ে হতে পারে না, আর যা হীরে জহরত লাগানো তাতে নিশ্চয়ই রাত্রে মসজিদে এসেছিলেন, এবং বাইরে ভুল করে এই একপাটি জুতো ফেলে গেছেন। উনি প্রথমে জুতোর পাটি টা মাথায় ঠেকালেন, তারপর বার বার জুতোটা কে চুমু খেতে লাগলেন। পরে মসজিদে আরও অনেক লোক এলে মৌলবী সকলকে এই আল্লার জুতো র পাটি পাওয়ার গল্প বললেন। সকলেই বলল, নিশ্চয়ই এই জুতো আল্লা র হবে, মানুষের পায়ে এত বড় জুতো হতেই পারে না, আর মসজিদের বাইরে যখন পাওয়া গেল তখন জিন বা শয়তানের ও নয়। সবাই মিলে জুতোর পাটি বারবার মাথায় ঠেকাতে আর চুমু খেতে লাগল। শেষ পর্যন্ত জুতোর কথা বাদশা র কানে গেল, আকবরের আদেশে জুতো শাহী দরবারে পেশ হল।
বাদশা ও স্বীকার করলেন, "এ জুতো আল্লাহরই হবে।"
তিনিও বারবার মাথায় ঠেকিয়ে আর চুমু খেয়ে বললেন, "এই জুতো মসজিদের কোন পবিত্র স্থানে রাখ।"
পরের দিন বীরবলের ছুটি শেষ হল, উনি এসে বাদশা কে সালাম ঠুকে মাথা নিচু করে বসে রইলেন।
বাদশা প্রশ্ন করলেন, "কি হল রাজা বীরবল, তুমি এমন বিরসবদন কেন?"
বীরবল বললেন, "জাহাঁপনা, আমার বাড়ি থেকে একপাটি জুতো চুরি গেছে।"
"একপাটি জুতো?" বাদশা প্রশ্ন করলেন। 
 "হ্যাঁ, আমার প্রপিতামহের একপাটি জুতো চুরি গেছে, চোর একপাটি ফেলে গেছে।"
"ঐ একপাটি জুতো কি তোমার কাছে আছে?" বাদশা র প্রশ্ন। 
 "হ্যাঁ, আমার কাছে আছে," বীরবল অন্য পাটি টা বের করে দেখলেন।
দেখেই তো বাদশার মাথা ঘুরতে আরম্ভ করল, নিজের কপালে করাঘাত করে হুকুম করলেন মসজিদ থেকে জুতোর পাটি নিয়ে আসতে।
তারপর বললেন, "ইয়া আল্লা, আমরা তো এটাকে আল্লার জুতো মনে করে কত মাথা ঠেকিয়ে, চুমু খেয়ে, চেটে চেটে চকচকে করে তুলেছি!"
বীরবল বললেন, "জাহাঁপনা, একেই বলে অবিদ্যা, কোন কিছু সম্পর্কে একেবারে কিছুই না জেনে ভেড়ার পালের মত সবাই একই দিকে চলতে থাকা!"

Saturday, 21 December 2019

দেবদাস পারোর সত্য গল্প



স্বাদ বদলের পোস্ট
******************

দেবদাসের মৃত্যুর পর পার্বতীর কী হয়েছিল? দেব-পারোর সেই গ্রাম স্মৃতি আঁকড়ে রেখেছে আজও
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

ভালোবাসার পারোকে কথা দিয়েছিলেন দেবদাস। কথা ছিল, পারোর সঙ্গে ফের একবার দেখা হবেই তাঁর দেবদার। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই মৃত্যু আসন্ন বুঝে কাশী যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে নেমে পড়েছিলেন দেবদাস। গোরুর গাড়িতে চড়ে কোনওক্রমে পৌঁছন হাতিপোতা গ্রামে সেই বটগাছের তলায়। এই হাতিপোতা গ্রাম কোথায় জানেন কী? জানেন কী, দেবদাসের মৃত্যুর পর পার্বতীর কি হয়েছিল?

চুনিলালের সঙ্গে কাশী যাওয়ার সময় পান্ডুয়া স্টেশনে নেমে পড়েন দেবদাস। রাতের অন্ধকার। এবড়োখেবড়ো মাটির দীর্ঘ রাস্তা। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম গোরুর গাড়িতে চড়ে অবশেষে দেবদাস পৌঁছলেন হাতিপোতা গ্রামে জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর বাড়ির সামনে বটগাছের তলায়। জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী পার্বতী। তৃষ্ণা মেটানোর মতো পানীয় জলটুকুও না পেয়ে জমিদার বাড়ির সামনে বটগাছের তলায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন দেবদাস।

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস লেখা হয়েছিল ঠিক একশ দুই বছর আগে ১৯১৭ সালে। আজও পূর্ব বর্ধমানের কালনার হাতিপোতা গ্রামে দেবদাস পার্বতীর সেই ভালবাসার আখ্যান বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফেরে। জমিদারবাড়ি গঙ্গায় বিলীন হয়েছে আগেই। বেশ কয়েকবছর হলো বটগাছটিও মারা গিয়েছে। তবে জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর কাছারি বাড়ির ছবি, জমিদারবাড়ির ইট, চাবি, দলিল দস্তাবেজ আগলে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। দেবদাস পারোর প্রেম যে শুধুই গল্পকাহিনী নয়, তা যে জলজ্যান্ত সত্যকাহিনী তা গ্রামবাসীরা শুনেছেন বয়ঃজেষ্ঠ্যদের কাছে। এমনকি শরৎচন্দ্র যে এই গ্রামে এসেছিলেন সেই প্রমাণও আছে বিভিন্ন নথিতে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র কিছুটা কল্পনা মিশিয়ে নিজের প্রেমকাহিনীকে অমর করে রেখেছেন দেবদাস পার্বতীর গল্পের আড়ালে। গ্রামে শরৎচন্দ্রের মূর্তি বসেছে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে। বর্তমান প্রজন্ম তৈরি করেছে দেবদাস স্মৃতি ক্লাব। সাহিত্য অনুরাগী অনেকেই উৎসাহ নিয়ে পৌঁছন হাতিপোতা গ্রামে। গ্রামবাসীরা তাদের ঘুরে দেখান পার্বতীর শ্বশুরবাড়ি স্মৃতিচিহ্ন, বটগাছের জায়গা, অতীতের খুঁটিনাটি। বাংলাদেশ থেকেও আসেন অনেকে।

বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, দেবদাসের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামে একটা সংগ্রহশালা হোক। তৈরি হক লাইব্রেরি। সেইসঙ্গে দূরদূরান্ত থেকে সপরিবারে আসা উৎসাহীদের জন্য হোক অতিথিনিবাস। দেবদাসের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পার্বতীর ‘দেবদা... দেবদা’ করে সেই আর্তনাদ, শেষ দেখাটা দেখতে পাওয়ার সেই আকুতি বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মনের গহনে সোনার ফ্রেম ও চোখের জলে বাঁধানো থাকবে চিরকাল। কিন্তু তারপর? পার্বতীর সেই প্রেমের কথা জমিদারবাড়ির বিশাল বন্ধ দরজা, উঁচু প্রাচীরে আটকা পড়েনি। সেখবর রাষ্ট্র হতে বাড়তি সময় লাগেনি। তারপর আর হাতিপোতা গ্রামে থাকেননি পার্বতী। ফিরে যান হুগলিতে বাপের বাড়ির গ্রামে। সেখানেই দেবদার সঙ্গে ছোটবেলার খুনসুটির স্মৃতি তর্পন করে কাটান বাকি জীবন। এ সত্য জানেন হাতিপোতার বর্তমান প্রজন্ম।

Friday, 13 December 2019

Politician



🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
A politician visited a village in Karnataka and asked what their needs were.

”We have 2 basic needs sir,” 
replied the villager.

“Firstly, we have a hospital, but there’s no doctor.”

On hearing this, politician whipped out his cellphone, 
and after speaking for a while he reassured the village leader that, *the doctor would be there the next day.*
 He then asked about the second problem.

“Secondly Sir,
there is no cellphone coverage anywhere in this village.”
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣

Tuesday, 3 December 2019

ঝগড়া



স্ত্রী:- পাশের ফ্ল্যাটে ঝগড়া চলছে !!তুমি একবার যাও না🙏
স্বামী:- আমি দু-একবার গেছিলাম সেটা নিয়েই ঝগড়া হচ্ছে।

😬🥴🤡🤩😂🤣

সাদা মনে কাদা



ছোটবেলায় কত সরল ছিলাম:

ম্যাডাম বোর্ডে লিখে বলতেন দেখা যাচ্ছে তো?

আমরা সরল মনে বলে উঠতাম, না ম্যাডাম, নিচেরটা দেখা যাচ্ছে না.

😝😝😝😝😝😝
----------------------------------------

স্কুলে ম্যাডাম বলতেন:

আমার পিরিয়ডের আগে আর পরে যা করার করে নাও, আমার পিরিয়ডের সময় কিছু করতে দেব না.

শালা এখন এই কথাগুলোর মানে বুঝতে পারি.

😛😛😛😛😛

Monday, 18 November 2019

তৃষ্ণার্ত কালিদাস



*কালিদাস*  --  মা আমি বড়ই তৃষ্ণার্ত , একটু জল দিন বড়ই পূণ‍্য হবে ।

*বৃদ্ধা* ---- বাবা তোমায় তো আমি চিনি না , নিজের পরিচয় দাও,
আমি অবশ্যই জল খাওয়াবো।

*কালিদাস বললেন* -----  আমি পথিক,  দয়া করে একটু জল দিন।


*বৃদ্ধা বললেন* ---- তুমি পথিক কি করে হতে পারো ?  পথিক তো কেবল দুজন,  এক সূর্য ☀  দ্বিতীয় চন্দ্রমা🌙   এরা কখনো থামেন না সর্বদাই চলায়মান । তুমি এদের মধ্যে কে সত্যি করে বল ?

*কালিদাস বললেন*  -----  তাহলে আমি অতিথি , বড়ই তৃষ্ণার্ত দয়া করে আমাকে একটু জল পান করান।

*বৃদ্ধা বললেন* ----  তুমি অতিথি কি করে হতে পারো ?   সংসারে দুজনই মাত্র অতিথি,  এক অর্থ বা সম্পদ আর দ্বিতীয় যৌবন --  এরা আসেন আবার চলেও যান , সত্যি করে বলো তুমি কে?

*কালিদাস তর্কে পরাজিত এবং হতাশ হয়ে বললেন*  ----  আমি একজন সহ্যশীল, এবার অন্তত একটু জল দিন!

*বৃদ্ধা বললেন*  ----  না না সহ্যশীল তো মাত্র দুজন,  এক ধরিত্রী যিনি পাপী-পুণ্যাত্মা সকলের ভার গ্রহণ করেন বা বহন করেন। দ্বিতীয় বৃক্ষ ---- তাকে যতই পাথর দিয়ে আঘাত করো তবু সে মিষ্টি ফল দিয়ে সেবা করে যায় । সত্যি বলো তুমি কে?

*কালিদাস বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে বললেন* ---- তাহলে আমি উদ্ধত  হঠকারী এবার অন্তত একটু জল তো দিন ।

*বৃদ্ধা বললেন* ----  অসত্য বলছো । হঠকারী দুই -- এক নখ আর দ্বিতীয় চুল এদের যতবারই কাটো এরা বার- বার বেড়েই ওঠে । সত্য বল ব্রাহ্মণ  তুমি কে ?

*অপমানিত পরাজিত কালিদাস বললেন* ----  তাহলে ধরুন আমি মূর্খ , এবার একটু জল দেবেন কি ?

*বৃদ্ধা বললেন* ----  না,  তুমি মূর্খ কি করে হতে পারো ? মূর্খ তো দুজন !   এক এমন রাজা ----  যিনি বিনা যোগ্যতাতেই  সবার উপর শাসন করেন । আর দ্বিতীয় এমন রাজপন্ডিত বা পুরোহিত যিনি রাজা কে প্রসন্ন করার জন্য ভুলভাল তর্কের সাহায্যে ভুলকেও সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করেন ।

*কালিদাস* ---  আর কিছু না বলতে  পেরে সটান বৃদ্ধার পায়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।

*বৃদ্ধা বললেন* -- *ওঠো বৎস* কন্ঠস্বর অন্যরকম হওয়ায় কালিদাস চোখ তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে দেখলেন স্বয়ং *মা সরস্বতী* তাঁর সামনে দণ্ডায়মান । *কালিদাস* করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ।

*মা বললেন* ---  বৎস সর্বদা মনে রেখো শিক্ষা বা বিদ্যা কখনো দম্ভ বা অহংকার দেয় না ,  যা দেয় তা হল *বিনয় এবং বিনম্রতা* ।

________________________________

_চলুন আমরা সকলেও *বিনয় এবং বিনম্রতার* সাধনায় রত হই_
🙏🙏🙏

Tuesday, 5 November 2019

ধর্ষিতা বাঙালী



১৯৭১ এর তথ্যগুলো নতুন প্রজন্মদের
জানা বিশেষ জরুরী।
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক এক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন এই বলে- যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছিলো।
তাদের সরল জবাব ছিলো;
আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো যে,
একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। 
তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।
যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে।
তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী।”
আজ কেন যেন মনে হয় টিক্কা খান এবং নিয়াজীরা একাত্তরে হেরে গেলেও আসলে জিতে গেছে।
আজ রাস্তা-ঘাটে পাকিস্তানীদের অসংখ্য সমর্থক পাওয়া যায়।
পুরান ঘটনা ভুলে গিয়ে পাকিস্তানীদের শীতল ঘৃণার পরিবর্তে উষ্ণ ভালোবাসাও দেয়।
বর্তমানের তরুণেরা কি জানে একাত্তরের মার্চে মিরপুরের সেই বীভৎসতার কথা?
এক বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে
ধরে এনে পাকিস্তানীরা,
কাপড় খুলতে বলেছিল সবাইকে।
রাজি না হওয়ায় বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে।
এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানের তরুণেরা কি জানে,
একাত্তরে বাঙ্গালী নারীদের পাকিস্তানী সেনারা ধরে এনে কি পৈশাচিক নির্যাতন করতো?
রাজারবাগে পুলিশ লাইনে ধরে আনা বাঙ্গালী নারীদের উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ত ওরা,
ধর্ষণ করতে করতে হঠাৎ ছুরি দিয়ে স্তন কেটে,
পশ্চাৎদেশের মাংস কেটে, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়তো ওরা।
মাঝে মাঝে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে যোনি থেকে গলা পর্যন্ত চিরে ফেলতো।
তারপর এ সকল মেয়ের লাশ অন্যান্য মেয়েদের সম্মুখে ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে বস্তার মধ্যে ভরে বাইরে ফেলে দিত।
আর ছোট ছোট বালিকাদের যখন ধর্ষনে সুবিধা করতে পারতো না, তখন ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দুজন দু পা দু দিকে টেনে ধরে চড়চড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিত।
একাত্তরের নয় মাস গোপনে হাজারো মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করার অপরাধে ডাঃ ফজলে রাব্বীকে ১৪ই ডিসেম্বর তুলে নিয়ে গিয়েছিল আলবদর আর পাকিস্তানীরা।
তাঁকে
হাত-পা আর চোখ বেঁধে ব্রাশফায়ার করে তুলে নিয়েছিল তার হার্টটা।
একাত্তরের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর নরপিশাচরা ৯৯১ জন শিক্ষাবীদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলীকে উলঙ্গ করে, চোখ বেঁধে, বেয়নেটে খুচিয়ে খুচিয়ে, মলদারে লাঠি ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছিলো।
এই তথ্যগুলো অবশ্য বাংলাদেশ নিবাসী এইসব আধুনিক পাকিমনাদের মনে কোন ছাপ ফেলে না।
পুরো দেশব্যাপি এরকম অসংখ্য লোমহর্ষক ঘটনা আছে,যা নতুন প্রজন্মদের জানা দরকার,জানা উচিৎ,জানানো উচিৎ...

Sunday, 3 November 2019

ব্যাংক ডাকাতি



ফ্রান্সের এক নামকরা ব্যাংকে....ব্যাংক ডাকাতির সময়...ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোন নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের!
কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার!
তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"
এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept” অর্থাৎ মানুষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।
সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার অসাবধানবশত তার কাপড় পা থেকে কিছুটা উপরে উঠে গিয়েছিল। ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional” অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, ঐটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো.....তখন এক ছোট ডাকাত(MBA পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে Class 5 পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) -কে বললো, "বস চলুন! টাকাটা গুনে ফেলি।"
ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনই প্রয়োজন নেই। একটু পরে টিভি অন করলেই, নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দেবে আমরা কত টাকা নিয়ে এসেছি। ;)
এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience"
অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, ব্যাংকের কর্মচারি...ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলুন পুলিশকে ফোন করে দিই...এখন ফোন করে দিলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না।
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদের -কে আমাদের জন্যই এই ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিত, তাহলে আমরা যে ৭০ লক্ষ টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।
কিছু সময় পরেই টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ লক্ষ টাকার ডাকাতি। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ লক্ষ এর বেশি বাড়াইতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো,"শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এত কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা নিলাম! আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ লক্ষ টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই ত বেশি লাভ হত।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!"
অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।(তরবারীর থেকে কলমের জোড় বেশি)
ব্যাংক ম্যনেজার হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ লক্ষ। ৭০ লক্ষ টাকার গরমিল করেও সে আরো ১০ লক্ষ টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Seizing the opportunity/Daring to take risks!"
অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত। ;)
**********************************

Saturday, 2 November 2019

মদের গুনগান



DRINK শব্দের এক এক  Alphabet এক এক পেগের গুনা গুন দেখে করা হয়েছে যেমন 

১. যদি প্রথম পেগ নেওয়া হয় ,তো সেটা Digestion এর জন্য ভালো সেই জন্য তার "D" নেওয়া হয়েছে 😌

২.যদি দ্বিতীয় পেগ নেওয়া হয় তো , সেটা  Relaxation এর জন্য ঠিক, সেই জন্য তার "R" নেওয়া হয়েছে😴

৩. যদি তিন নম্বর পেগ নেওয়া হয় তো, সেটা আপনাকে Intelligent বানিয়ে দেয়, সেই জন্য তার "I" নেওয়া হয়েছে 🤓

৪. যদি চতুর্থ পেগ নেওয়া হয় তো, সেটা আপনাকে "Naughty "বানিয়ে দেয় , সেই জন্য তার " N"নেওয়া হয়েছে 😜 

৫. আর যদি পঞ্চম পেগ নেওয়া হয় তো, সেটা আপনাকে একদম " KING" বানিয়ে দেয়, সেই জন্য তার " K" নেওয়া হয়েছে 🤴

সমস্ত মদ ভক্ত দের  শ্রদ্ধা পূর্বক "সমর্পিত"😋

Friday, 1 November 2019

বাঙ্গালি! বাঙ্গালি হোতা হ্যায়



নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী মুম্বইয়ের একটি ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে 50,000/- টাকা Loan চাইলেন।ব্যাংক ম্যানেজার গ্যারান্টি চাইল। বাঙ্গালি বাবু ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের BMW গাড়িটি দেখিয়ে বললেন, ওটি গ্যারান্টি রাখতে পারেন। Bank manager গাড়ীর কাগজপত্র দেখে বাঙ্গালি বাবুকে 50,000/ টাকা Loan দিতে রাজি হলেন। বাঙ্গালি বাবু ৫০,০০০ টাকা নিয়ে চলে গেলেন। এক কোটি টাকার গাড়ী মাত্র ৫০০০০ টাকায় বন্ধক রেখে যাওয়াতে ব্যাংকের কর্মচারীরা বাঙ্গালির বোকামিতে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে লাগলেন।
দুই মাস বাদে, বাঙ্গালি বাবু ব্যাংকে এসে নিজের গাড়ী ফেরত চাইলেন এবং ৫০,০০০ মূল আর ১২৫০ টাকা সুদ দিয়ে গাড়ী ছাড়িয়ে নিলেন।
ম্যানেজার থাকতে না পেরে জিগ্যেস করলেন,
"Sir, কোটিপতি হয়েও মাত্র ৫০,০০০ টাকার জন্য নিজের BMW গাড়ী কেন বন্ধক রাখতে হলো একটু বলবেন? বাঙ্গালি বাবু, দেখুন- আমার দুই মাসের জন্য আমেরিকা যাওয়ার ছিল। কলকাতা থেকে মুম্বাই এসে গাড়ি parking করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। Parking ওয়ালারা দুই মাসের জন্য ১০,০০০ টাকা চাইছিল। আপনার এখানে মাত্র ১,২৫০ টাকায় আমার কাজ হয়ে গেল। গাড়ি টাও secured থাকল। তাছাড়া আপনি ৫০,০০০ টাকাও দিলেন খরচ করার জন্য। ধন্যবাদ। ম্যানেজার বেহূঁশ।
🚘 বাঙ্গালি! বাঙ্গালি হোতা হ্যায় ভাই!! 🚘

Thursday, 31 October 2019

আত্মমর্যাদা



এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, "স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?"
শিক্ষক বললেন, ''না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।"
যুবক তখন বললেন, "স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।
আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে 'চোর' বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।
একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।
তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।
কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।
স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। "
"স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!"
শিক্ষক জবাব দিলেন, " হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।"
এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর। কিন্তু তাঁরা যথাযথ মর্যাদা পায়না। যতদিন না আমলারা এটা বুঝতে পারবে, ততদিন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়, জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়।

Tuesday, 29 October 2019

পিনড্রপ সাইলেন্স



পিনড্রপ সাইলেন্স (সম্পূর্ণ/চরম নিস্তব্ধতা) মানে কি? চলুন, নিচের ঘটনাগুলি পড়া যাক। প্রতিক্ষেত্রেই নীরবতা শব্দের থেকে বেশি বাঙময়।
ঘটনা ১
-----------
ফিল্ড মার্শাল স্যাম বাহাদুর মানেকশ একবার গুজরাটের আহমেদাবাদে এক জনসভায় ইংরাজিতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। জনতা দাবি তুললো গুজরাটিতে বক্তৃতা দেওয়া হোক, তবেই তারা শুনবে।
মানেকশ জনতার দিকে কঠোর দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে নিয়ে বলতে শুরু করলেন।
"আমি আমার দীর্ঘ জীবনে অনেক যুদ্ধ লড়েছি।
শিখ রেজিমেন্টের কাছে পাঞ্জাবি শিখেছি। 
মারাঠা রেজিমেন্টের কাছে মারাঠি শিখেছি। 
তামিল শিখেছি তামিল সৈন্যদের কাছ থেকে। 
বাংলা শিখেছি বাঙালি সৈন্যদের কাছ থেকে।
বিহার রেজিমেন্ট আমাকে হিন্দি শিখতে সাহায্য করেছে। 
এমনকি গুরখা রেজিমেন্টের কাছে নেপালিও শিখেছি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনও গুজরাটি সৈন্যের সাথে আমার এজীবনে পরিচয় হয়নি যার কাছে আমি গুজরাটি শিখতে পারি।"
জনতার মাঝে নেমে এলো পিনড্রপ সাইলেন্স!
ঘটনা ২
-----------
Robert Whiting, একজন ৮৩ বছর বয়সী আমেরিকান নাগরিক প্লেনে করে প্যারিস এয়ারপোর্ট পৌঁছলেন। বয়স হওয়ার দরুন তিনি কাস্টমস কাউন্টারে নিজের পাসপোর্টটি খুঁজতে একটু বেশি সময় নিচ্ছিলেন।
"আপনি কি আগে কখনও ফ্রান্সে এসেছেন?" তরুণ কাস্টমস অফিসার জিজ্ঞেস করলেন।
"হ্যাঁ, এসেছি।" Whiting উত্তর দিলেন।
"তাহলে এখানে যে নিজের পাসপোর্ট দেখানোর জন্য আগে থেকেই বার করে রাখতে হবে, সে জ্ঞান আপনার থাকা উচিত।" কাস্টমস অফিসার উপহাস করলেন।
"আগের বার যখন এসেছিলাম, পাসপোর্ট দেখাতে হয়নি।"
"অসম্ভব! আমেরিকানরা যখনই ফ্রান্সে আসে, তাদের পাসপোর্ট দেখাতেই হয়।"
আমেরিকান ভদ্রলোক দীর্ঘ সময় তরুণ কাস্টমস অফিসারের দিকে তাকিয়ে থেকে বলতে শুরু করলেন-
"ওয়েল, আমি যখন ১৯৪৪ সালের ৬ই জুন (D-Day) ভোর ৪:৪০এ মিত্রপক্ষের অন্যান্য সৈন্যদের সঙ্গে Omaha বীচে এসে নেমেছিলাম তোমাদের দেশকে স্বাধীন করার এবং হিটলারকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে, তখন কিন্তু সেখানে একজন ফরাসীকেও আমাদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য উপস্থিত থাকতে দেখিনি।"
সমগ্র ফরাসী পাসপোর্ট অফিসে নেমে এলো পিনড্রপ সাইলেন্স! 
ঘটনা ৩
-----------
১৯৪৭ সাল। আমাদের দেশ তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে। জওহরলাল নেহরু সাময়িকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সেইসময় একদিন এক বৈঠক ডাকা হলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম সর্বাধিনায়ক (Commnder-in-Chief) নিয়োগ করার উদ্দেশ্যে। সেই বৈঠকে নেহরু প্রস্তাব রাখলেন যে একজন ব্রিটিশ অফিসারকেই এই পদ দেওয়া উচিত কারণ আধুনিক যুদ্ধের ও সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কারোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই।
বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত সদস্যের মুখে কোনও কথা নেই। সবাই ব্রিটিশ শাসন ও ব্রিটিশ শিক্ষায় অভ্যস্ত। সেবা করতে জানেন কিন্তু নেতৃত্ব দিতে জানেন না।
কিছুক্ষণ পরে সেনাবাহিনীর এক অভিজ্ঞ অফিসার নাথু সিং রাঠোর কিছু বলার অনুমতি চাইলেন। নেহরু বিস্মিত হলেও তাঁকে অনুমতি দিলেন।
রাঠোর নেহরুকে বললেন "হ্যাঁ, আপনার কথাই ঠিক। একইভাবে যেহেতু আমাদের দেশ চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই, সুতরাং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীও একজন ব্রিটিশ হওয়া উচিত।"
বৈঠকে নেমে এলো পিনড্রপ সাইলেন্স!
অনেকক্ষন পর নেহরু নীরবতা ভাঙলেন।
"অফিসার রাঠোর, আপনি কী ভারতীয় সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?" নেহরুর প্রশ্ন।
"আমার মনে হয় জেনারেল কারিয়াপ্পা এই পদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।" রাঠোরের জবাব।
এইভাবেই ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পা স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনীর প্রথম সর্বাধিনায়ক হয়েছিলেন আর নাথু সিং রাঠোর প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল।

Thursday, 24 October 2019

লঞ্চ দূর্ঘটনা



একবার একটা লঞ্চ দূর্ঘটনায় পড়লো। 
লঞ্চের এক দম্পত্তি একটা লাইফবোট পেল। কিন্তু স্বামীটা বুঝে ফেললো সেখানে একজনের বেশি উঠতে পারবে না। লোকটা তার স্ত্রীকে পিছনে ঠেলে দিয়ে নিজে লাফিয়ে উঠে পড়লো। ডুবন্ত লঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে মহিলা স্বামীর উদ্দেশ্যে একটাই মাত্র বাক্য চিৎকার করে বলেছিলো।
কি বলেছিলো মহিলা!”
আমার বিশ্বাস, মহিলাটি বলেছিল, আমাদের বাচ্চাটার যত্ন নিও, ওকে দেখে রেখ।”
........লঞ্চটা ডুবে গেলো এবং বাড়ি ফিরে লোকটা একাকী মেয়েকে যত্ন করে বড় করলো।
লোকটি মারা যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পরে তাদের কন্যা বাবার একটি ডায়েরী পেল।
সেখানে সে আবিষ্কার করলো, লঞ্চযাত্রায় যাওয়ার আগেই মায়ের দুরারোগ্য অসুখ ধরা পড়েছিলো, চরম মূহূর্তে তার বাবা তাই বাঁচার একমাত্র উপায়ের সদ্ব্যবহার করেছে।
ডায়েরীতে তার বাবা লিখেছে, “আমারও তোমার সাথে সাগরের তলে ডুবে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু শুধু মেয়ের কথা ভেবে তোমাকে একাই সাগর তলে চিরদিনের জন্য ছেড়ে আসতে হলো।”
গল্প শেষ হলো, 
ভালো এবং মন্দ, পৃথিবীর সব কিছুর পেছনেই অনেক জটিলতা আছে যা সব সময় বোঝা যায় না।
........................
**আমাদের কখনোই শুধুমাত্র উপরের তল দেখেই যাচাই করা উচিত না, অন্যকে না বুঝেই বিচার করে ফেলাটা বেশ বোকামি।
**যারা খাবারের বিলটা সবসময়ই নিজে দিতে চায়, তার মানে এই নয় যে তার টাকা উপচে পড়ছে, এর কারন সে টাকার চেয়ে বন্ধুত্বকে বড় করে দেখে।
**যারা আগে ভাগেই কাজ করে ফেলে, এর মানে সে বোকা না, আসলে তার দায়িত্বজ্ঞান রয়েছে।
**যারা ঝগড়া বা বাকবিতন্ডার পরে আগে মাফ চেয়ে নেয়, সেই ভুল ছিলো এমনটা নয়, বরঞ্চ সে চারপাশের মানুষকে মূল্যায়ন করে।
**তোমাকে যে সাহায্য করতে চায় সে তোমার কাছে কোন কিছু আশা করে না, বরং একজন প্রকৃত বন্ধু মনে করে।
**কেউ আপনাকে প্রায়ই টেক্সট করে তার মানে এটা নয় যে তার কোন কাজ নেই, আসলে আপনাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে।
**একদিন আমরা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো, কিন্তু আমাদের আচরণ ও ভালোবাসাগুলো মানুষের হৃদয়ে থেকে যাবে। কেউ না কেউ স্মরণ করবে, “ এ হচ্ছে সেই মানুষ যার সাথে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু সময় কাটিয়েছি।”

এক হরিনীর গল্প



বনের ভেতর, এক হরিনীর সময় হলো সন্তান জন্ম দেয়ার।
তাই সে বনের ধারে যেয়ে নদীর পাশে ঘাসজমিতে সুন্দর একটি জায়গা খুজে বের করে নিলো সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য। সময় কিছু পার হলো, তার প্রসব বেদনাও উঠলো।
কিন্তু বিধি বাম। এসময় হরিনীটির চারপাশে শুরু হলো বিপদ।
হরিনীটি যখন উপরে তাকালো, দেখলো ঘন মেঘে আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে। সে যখন জংগলের দিকে তাকালো, দেখলো ঘন জংগলে হঠাৎ দাবানল শুরু হয়েছে। এর মাঝে সে টের পেলো তার সামনে এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছে। আর পেছনে ফিরে দেখলো এক শিকারী তার দিকে তীর নিশানা করে আছে।
এখন সে কি করবে?
দিশেহারা সময়টিতে দাবানল, নদীর স্রোত, ক্ষুধার্থ সিংহ আর নির্দয় শিকারী দিয়ে চারদিক দিয়ে ঘিরে থাকা হরিনীটি তাই চুপচাপ কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে ভাবলো। তারপর সে তার সব বিপদ আপদ অগ্রাহ্য করে সিদ্ধান্ত নিলো সে তার সন্তান জন্ম দিবে। বিপদ আপদ যদি ঘটে ঘটুক। সেটির দায়িত্ব সে বিশ্বাসী মনে চোখ বুজে সৃষ্ঠিকর্তার হাতে ছেড়ে দিলো।
সাথে সাথে কিছু মিরাকল ঘটলোঃ
- কালো মেঘে ঢাকা আকাশে তুমুল ঝড় বৃস্টি শুরু হলো। সেই সাথে প্রচন্ড বজ্রপাতে শিকারীর চোখ অন্ধ হয়ে গেলো।
- অন্ধ শিকারী তীর ছুড়ে দিলো। সেই তীর হরিনীর পাশ কেটে সিংহের মাথায় আঘাত করলো।
- তুমুল বৃস্টির জলে জংগলের আগুন নিভে শান্ত হয়ে গেলো।
- হরিনীটি একটি সুস্থ ও সুন্দর শাবকের জন্ম দিলো।
আমাদের জীবনেও এরকম কিছু সময় আসে। চারদিক থেকে বিপদ, নিন্দা, হতাশা আর অসহযোগিতা চেপে ধরে আমাদের। কখনো কখনো এই খারাপ সময় এত শক্তিশালী মনে হয় যে আমরা পরিস্থিতির কাছে হার মেনে যাই। আত্নহত্যার কথাও চিন্তা করি।
অথচ এটি ভুল। আর সেটা আমরা এই হরিনের গল্প থেকেই শিখে নিতে পারি।
যখন হরিনীটির চারপাশে এত বিপদ ছিলো, তবু জীবন মৃত্যু যাই আসুক, সে বিপদের আশংকায় নিজের লক্ষ্য থেকে একবিন্দু সরে যায়নি। সে তার কাজ, অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেয়াতেই নিজের সব মনযোগ দিয়েছে। আর তখন বাকী সব বিপদ আপদ সৃস্টিকর্তা নিজে সমাধান করে দিয়েছেন।
যখন হতাশা গ্রাস করে, নিজের উপর বিশ্বাস উঠে যায়, তখনো সৃস্টিকর্তার প্রতি অগাথ বিশ্বাস রাখবেন। জীবনের লক্ষ্যে স্থির থাকবেন। আর কখনো লক্ষ্য থেকে একবিন্দু পিছপা হবেন না।
মনে রাখবেন, আপনি যত বড় ঝড়ের মাঝেই থাকুন, যত নিঃসঙ্গই আপনি নিজেকে ভাবুন না কেন, সৃস্টিকর্তা কখনো আপনাকে ছেড়ে যাননি, সর্বদা আপনার কাছেই আছেন।
মনে রাখবেন, সৃস্টিকর্তা কখনো ঘুমান না এবং কোন তন্দ্রাও তাকে স্পর্শ করেনা, সব সময় তিনি আপনাকে দেখছেন এবং আপনার কোন প্রার্থনা তিনি অপূর্ণ রাখবেন না....

পিরিয়ডে এই চারটি কাজ বর্জনীয়



🚺 পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিচের চারটি কাজ অবশ্যই বর্জন করুন 🚺
১। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠান্ডা জল, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।
-
২। এইসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া আলগা হয় ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী
মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
-
৩। এইসময় শশা খাবেন না। কারণ শশার মধ্যে থাকারস পিরিয়ডের রক্তকে জরায়ু প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
৪। এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন, পিরিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আঘাত না লাগে, বিশেষত পেটে। পিরিয়ডের সময়টায় জরায়ু খুব নাজুক থাকে ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ুতে ঘাঁ কিংবা বন্ধ্যাত্যের ঝুঁকি থাকে।
-
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠান্ডা জল পান করার ফলে পিরিয়ডের রক্ত বের না হয়ে জরায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে। যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে পারে। তাই কুসুম কুসুম গরম জল খাবেন।
-
দয়াকরে এই তথ্যটুকু আপনার স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিন যেকোন কিংবা কারো মাধ্যমে। আপনার মাধ্যমে যদি একজন নারীও উপকৃত হয় সেটাও পরম পাওয়া।
জরায়ু ক্যান্সার ও বন্ধ্যান্ত মুক্ত হোক আমাদের মা, বোনেরা।

Monday, 21 October 2019

মারোয়াড়ি বিয়ে



সেদিন একটা মারোয়াড়ি বিয়ের নেমন্তন্ন বাড়িতে খেতে গিয়ে দেখলাম আইসক্রিম এর জন্য একটা আলাদা স্টল করেছে, আর আইসক্রিম দেবার পর একটি সুন্দরী মহিলা কপালে একটি তিলক এঁকে অভিবাদন করছে। আমি ভাবলাম বাহ্ এনাদের কালচার তো বেশ ভালো। এভাবে অতিথি সৎকার তো কখনো দেখিনি। খাওয়া দাওয়া সেরে ফেরার সময় নিমন্ত্রণ কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম আপনাদের  অতিথিদের  তিলক পরিয়ে অভিবাদন এর কালচার টা আমার খুব ভালো লেগেছে। তখন উনি হেসে বললেন আরে এসব কালচার ফালচার কিছু না, লোকে ৫-৭ বার করে আইসক্রিম খেয়ে নেয় সেটা আটাকানোর জন্য ঐ তিলকের ব্যবস্থা।

😁😁😁😂😂😂🤣🤣🤣

Sunday, 13 October 2019

রোববার



*জানি, আপনার বয়স ষাট পেরিয়েছে এবং আপনি বেশ কয়েকবার চেক আপ করিয়েছেন। ইউরিক অ্যাসিড, সুগার, কোলেস্টেরল সবকিছুর ভয় দেখিয়েছেন ডাক্তারবাবু। এতএব ডায়েটিঙ। খাবেন না ডিমের কুসুম, বড় মাছ, খাসীর মাংস, সন্দেশ, ঘী, বাটার, বাঁধাকপি, টমেটো, পনীর ইত্যাদি ইত্যাদি।*

*তাহলে খাবেন কী? চিনি ছাড়া লিকার চা, ক্রীম ক্র্যাকার বিস্কুট, তেল ছাড়া পেঁপের তরকারী, সাদাটে ব্রয়লার মাংস আর টক দৈ??? এর থেকে মরে গেলেই বা ক্ষতি কী??*

*ছাড়ুন মশাই!! সপ্তাহের আর ছ'টা দিন অখাদ্য ক্রীম ক্র্যাকার বিস্কুট, পেঁপের তরকারী আর চারাপোনার ঝোল খেতে পারেন কিন্তু রোববার টা আপোষ করবেন না*। *ঈশ্বর এই একটা দিন আপনাকে উপহার দিয়েছেন।*

*সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে লুঙ্গি ফতুয়া বা পাজামা পাঞ্জাবী পরে বাজার চলুন। প্যান্ট শার্ট পরে বাজার যাবেন না, ওটা অসভ্যতা। মোড়ের চায়ের দোকানের বেঞ্চে আরাম করে বসে খবরের কাগজটা খুলুন।* *সঙ্গে একটা লেড়ো বিস্কুট আর ঘন লিকারে দুধ চিনি মেশানো চায়ে আওয়াজ করে চুমুক। গিন্নি ফোনে তাড়া দেবে, পাত্তা দেবেন না।*

*এবার গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলুন।* *সামনে ঝোলানো খাসীর সামনের পা থেকে কিছুটা আর সিনা বা গর্দান থেকে কিছুটা... বাড়ি গিয়ে হাঁক দেবেন...কই গো, চা দাও।* *মনে রাখবেন বাকীদিন গুলো বিড়াল হলেও রোববার কিন্তু আপনি বাঘ।* *খাসীর মাংস দেখে বউ যদি আপনাকে ডাক্তারের উপদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়...দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলবেন, বেশি জ্ঞান দিওনা, যা বলছি তাই কর।* *মনে রাখবেন, শের ভুখ মর যাতা লেকিন ঘাস নেহি খাতা..!*

*জলখাবারে ফুলকো লুচি, লঙ্কা ফোড়ন দেওয়া সাদা আলুর চচ্চড়ি সঙ্গে মুচমুচেি জিলিপি কিম্বা বোঁদে।*
*চিনি কম মিষ্টি খাওয়া আর তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গে প্রেম করা একই ব্যাপার। এরপর আবার এক কাপ চা, একদম মালাই মার কে...এবার পাড়ার মোড়ে বসে রাজা উজির মেরে যখন বাড়ি ফিরবেন, গন্ধে ম ম করছে গোটা বাড়ি। বাথরুমে ঢুকে স্নান করতে করতে গলা ছেড়ে গাইতে থাকুন, "ঠান্ডা ঠান্ডা পানিমে নাহানা চাহিয়ে...."  চিন্তা নেই, আজকে আপনি গানকে সুরের বাঁধন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।*

*এবার মেঝেতে পাত পেড়ে খাওয়া। কাঁসার থালায় সাদা ঝরঝরে সরু চালের ভাত, ঝিরিঝিরি আলুভাজা আর বড় জামবাটিতে ধোঁয়া ওঠা মাংস।* *শেষ পাতে ঘনযৌবনা চাটনি আর লাল দই। যদি সাহসে কুলোয় তাহলে বউ কে বলবেন হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতে। ওটা প্রয়োজনীয় নয়, আলংকারিক, জাস্ট পুরনো মেজাজটা একটু ফিরিয়ে আনা (মেজাজটাই আসল রাজা....)।* *খাওয়ার পর একটা মিঠাপাতি মুখে পুরে সিগারেট ধরিয়ে মোবাইল টা খুটখাট করুন। চোখের পাতা ঘন হয়ে আসছে...ঘুম আসছে...ঘুম আসছে " মিলন কি মসতি /ভারী আঁখো মে/ হাজারো সপনে/ সুহানে লিয়ে..."!!!*

*কোলবালিশ জড়িয়ে বিছানায় লম্বা ঘুম ।*
*এরপর বিকেলে যদি আর ঘুম থেকে সারাজীবন না ও ওঠেন...কোন আফসোস নেই।* 
*এই তো জীবন কালীদা !!!*
😀👌👍👍👍

ভালো থাকুক ভালবাসা



বিয়ের ১৫ দিন না যেতে না যেতেই মেয়েটার মাথা ঘুরানি আর বমি বমি ভাব দেখে শুধু আমি অবাক হইনি, বরং অবাক হয়েছে আমার গোটা পরিবার।
অবশেষে পরিবারের চাপে পড়ে নিয়ে গেলাম ডক্টরের কাছে! চেকাপ করে সত্যাটা প্রকাশ পেলো,আমি বাচ্চার বাবা হতে চলেছি! :o
যেখানে আমার খুশি হওয়ার কথা সেখানে আমি নারাজ!! :/
মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে আসলাম।মেয়েটার চোখে চোখ রেখে জানতে চাইলামঃ
--সত্যি কি এই বাচ্চার বাবা আমি?
মেয়েটা চুপ করে আছে!
কোন উত্তর নেই!!
মাথায় হাত বুলিয়ে সাহস দিলাম, ভয় পেয়োনা।
আমি তোমাকে ত্যাগ করবোনা, শুধু একজন পুরুষ হয়ে সেই পুরুষেকে ধিক্কার জানাবো, যে আমার স্বপ্নটা পূরণ হতে দেয়নি!
মেয়েটার চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝরছে। কাধতে কাধতে হেস্কি উঠে গেছে তার। কান্নার আওয়াজ আমার অন্তর
ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছে। আমি উত্তর পেয়ে গেছি!
তবুও তাকে দোষ দেয়নি।ভাগ্য বলে চালিয়ে নিলাম!
ওকে এতটাই ভালোবাসি যে, ছুড়ে ফেলতে পারলাম না!
আমি পরিবার থেকে বঞ্চিত হলাম। অন্য অফিসে বদলি হলাম। মেয়েটা কেমন জানি বোবা হয়ে গেছে, বাসায় একা একা মন মরা দিয়ে থাকে সারাক্ষণ। কোন কথা বলে না।
কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে!
হঠাৎ এক গভীর রাতে হু হু করে কেঁদে উঠেছে।
আমি চমকে গেলাম। জেগে দেখি মেয়েটা আমার বুকের উপর মাথা রেখে চোখের পানিতে আমার গেঞ্জি ভিজিয়ে ফেলছে। চোখ মুছে দিয়ে আবার বুকে জড়িয়ে নিলাম। আমি ওকে একটুও ঠকাইনি তবে সে আমাকে ঠকিয়েছে এটাই তার দুঃখ। তবে বেপার না, আমি ঐ বাঁচ্চা কে নিয়েই স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম!
বিয়ের বয়স ৮ মাস হতেই বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলো।দুঃখের
বিষয় বাচ্চাটা ছিলো মরা! মেয়েটার জ্ঞান ফেরার পরে
যখন জানতে পারলো বাচ্চাটা মারা গেছে, সে তখন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আমাকে ডাক দিয়ে আবার বেহুশ হয়ে গেলো। তার পর থেকে মেয়েটা আর কথা বলতে পারেনা। এখনো দুজন দুজনকে পাগলের মত ভালবাসি!
বিয়ের বয়স আজ চার বছর, বাবা হওয়ার স্বপ্নটা
আর পূরণ হলোনা। তবুও সারাদিন পরিশ্রম শেষে যখন ডিম লাইটের আলো নিভিয়ে মেয়েটা আমার বুকের উপর মাথা রাখে, বিশ্বাস করুন....!!
আমি তখন স্বর্গের ছোঁয়া পাই।
ভালো থাকুক ভালবাসা!! ভাল থাকুক ভালবাসার মানুষগুলো
ভালবাসার কাছে অনেক বড় ভুলও ক্ষমার যোগ্য হয়ে যায়! ভালবাসুন, কিন্তু কিছু গোপন রেখে না।
সম্পর্ক জড়াবার আগে সব সত্য বলে দিন, মাফ চেয়ে নিন!! তারপর দেখবেন আপনিই শ্রেষ্ট প্রেমিক-প্রেমিকা/স্বামী-স্ত্রী।

Saturday, 12 October 2019

বলতে নেই



কবি শুভ দাশগুপ্ত

সব জায়গায় সব কথা বলতে নেই,
পরস্ত্রীর সৌন্দর্যের কথা
আর অফিসের সঠিক মাইনের কথা -
নিজের বৌ কে ; বলতে নেই।
হিন্দুদের সামনে গো - মাংসের কথা, বলতে নেই।
রেলের কর্তাদের সামনে টাইম - টেব‌িল‌ের কথা, বলতে নেই।
ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে - শিক্ষকদের, বলতে নেই।
আর পুলিশকে সততার কথা, বলতে নেই।
যখনই যা ইচ্ছে হলো ওমন‌ি বলে ফেলতে নেই।
ইচ্ছে আপনার করবে,‌ জিহ্বটা উসখুস করবে,
গলার ভেতরটা কুটকুট করে উঠবে,
তবু ; বলতে নেই।
আপনি ভাববেন পরিকল্পনার পাঠশালায় -
সব শালাই ভাওতা মারছে।
ভাবতে নিশ্চয়ই পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
আপনি ভাববেন হাসপাতাল, থানা , সরকারি দপ্তরগুলো -
ক্রমশ ফোঁড়ে আর দালালদের মৃগয়া ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।
ভাবতে সারাদিন ধরে পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
এমনি বাজারে ছেড়ে দিলে -
কুঁড়ি টাকা রোজের মুটেগিরিও জুটত‌ো না যে ব্যাটার !
রাজনীতির সোনার কাঠির ছোঁয়ায় -
সে ব্যাটা, গাড়ি - বাড়ি করে জনগণের মাথায় চড়‌ে ব্রেকড্যান্স করছে !
সেসব ভেবে আপনি তেলে - বেগুনে চটে উঠতে পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে ঢুকছেন -
পর্দার মেগা স্টারেরা কোটি কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে
আর টিভিতে ‘ মেরা দেশ মহান ’ বলে দাঁত ব‌ের কর‌ে হাঁসছে।
বাংলার সিনেমা বেদের মেয়ের পাল্লায় পড়‌ে -
সিঁদুর নিও না মুছে বলে আর্তনাদ করছে।
একশ টাকার ঢাউস পুজো সংখ্যার উপন্যাসে -
কাহিনীর চেয়ে ছায়া আর ব্লাউজের কথা বেশি থাকছে।
বুদ্ধিমান পরিচালক, হাড় - হাবাদের জীবন নিয়ে সিনেমা তৈরি করে -
ফরেনে পুরস্কার হাতাচ্ছেন
আর পাঁচতারা হোটেলে বসে ফুর্তি মারছেন।
খবরের কাগজ খুন, ডাকাতি আর ধর্ষণের সিরিয়াল ছাপছে -
টিভিতে মুড়ো ঝেটার বিজ্ঞাপনে উলঙ্গ মেয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
সব কিছুতে আপনি বিরক্ত হতে পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
কারখানার পর কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে -
শ্রমিকরা বাটি হাতে ভিক্ষে করছে, গলায় দড়‌ি দিচ্ছে।
ইউনিয়নের দাদারা রান্না ঘরে টাইলস বসাচ্ছেন !
সাংসদ - বিধায়করা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলছে -
দেখে শুনে আপনার বাপের নাম খগেন হয়ে যেতে পারে,
কিন্তু ; বলতে নেই।
বলেছেন কি ফেঁসেছেন,
লাল বলবে এ ব্যাটা নীলের দলাল, প্রতিক্রিয়াশীল
আর নীল বলবে ও ব্যাটা লালের দালাল, দেশদ্রোহী।
মাঝখান থেকে আপনি নাকাল।
আপনার ধোপা - নাপিত বন্ধ হয়ে যেতে পারে -
বলেছেন কি ফেঁসেছেন,
প্যাঁচে পরুন - তখন বুঝবেন।
বাড়িতে চোর ঢুকে সব সাফ করে দিক -
থানা বলবে বাড়িতে এতো জিনিস রাখেন কেন !
দিনকাল বোঝেন না ! খালি বড় বড় কতা !
সুতরাং ; বলতে নেই।
বোবার শত্রু নেই, বোবা হয়ে থাকুন !
চোখে ছানি পড়লে কাঁটাবেন না, দৃষ্টি যতো ঝাপসা -
বেঁচে থাকার আনন্দ ততো বেশি।
একটা কথা সাফ বলে দিই,
যে ব্যাটা এখনও জন্মায়নি আর যে ব্যাটা টেশে গেছে,
এরা ছাড়া কোন মিয়াই সুখে নেই।
আপনি ভ্যাব্লা, না নেতা, না অভিনেতা,
না ঘরের, না ঘাটের,
আপনার মশাই চুপ করে থাকাই শ্রেয় ;
চুপ করে মটকা মেরে পরে থাকুন না !
আর তো ক ’ টা দিন।
মনে মনে গান করুন -
ঐ মহাসিন্ধুর ওপার থ‌েক‌ে কি সঙ্গীত ভেসে আসে !

Tuesday, 8 October 2019

মহিষাসুর বধ



ছোট্ট থেকে আসছি শুনে
মহিষাসুর মেরেছিলি,
সত্যি করে বল না মাগো
সত্যি কি তা পেরেছিলি?
সত্যি কি তোর ত্রিশূল খোঁচায়
মহিষাসুর অক্কা গেছে,
তবে কেন প্রতি বছর
দেখি যে তোর পায়ের কাছে?
কেমন তরো দাঁত খিচিয়ে
তোর দিকে মা ভেংচি কাটে।
পশ্চাতে এক ঝাড় না লাথি,
পড়ুক গিয়ে শ্মশানঘাটে।
সত্যি করে বলনা কবে
অসুরটাকে করবি শেষ,
নাকি সবই লোক দেখানো,
আসলে সব গট আপ কেস?
স্বর্গে কি মা রাজনীতি হয়,
মন্ত্রীরা কি সবাই ঝানু?
বাইরে শুধু রঙের লড়াই,
ভিতরে সব‌ই রামধনু!
ঐখানে কি হাওয়ায় হাওয়ায়
আচ্ছে দিনের স্বপ্ন ওড়ে,
লক্ষ টাকায় সেজেগুজে
সুর-অসুরে বিদেশ ঘোরে?
মহিষাসুর বধটা যদি
হয়ে থাকে তোরই কাজ,
তবে কেন মর্ত্য জুড়ে
চলছে আজও অসুর রাজ ?
      *শারদীয় পরিবারের সবাইকে রইলো প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।*

মূল্য



মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, 'এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে'।
ছেলেটা বললো, 'কি কাজ?'
- 'এই ঘড়িটা নিয়ে রাস্তার পাশের ঘড়ির দোকানে যাবে। তাদের বলবে যে এই ঘড়ি তুমি বিক্রি করতে চাও'।
ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা রাস্তার পাশের একটা ঘড়ির দোকানে বিক্রি করতে নিয়ে গেলো। সে ফিরে এলে তার বাবা বললো, 'ঘড়ির দোকানদার কতো টাকা দিতে চাইলো ঘড়িটার বিনিময়ে?'
ছেলেটা বললো, 'একশো টাকা মাত্র। ঘড়িটা নাকি অনেক পুরাতন, তাই'।
বাবা বললেন, 'এবার পাশের কফি শপে যাও। তাদেরকে বলো যে তুমি এই ঘড়ি বিক্রি করতে চাও'।
ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা নিয়ে পাশের এক কফি শপে গেলো৷ ফিরে এলে তার বাবা জানতে চাইলো, 'কি বললো ওরা?'
- 'ওরা তো এটা নিতেই চাইলো না। বললো, এতো পুরোনো, নোংরা ঘড়ি দিয়ে আমাদের কি হবে?'
বাবা হাসলেন। বললেন, 'এবার তুমি এই ঘড়ি নিয়ে জাদুঘরে যাও। তাদের বলো যে এই ঘড়িটা আজ থেকে দুই'শতো বছর আগের'।
ছেলেটা এবারও তা-ই করলো। সে ঘড়িটা নিয়ে জাদুঘরে গেলো। ফিরে এলে তার বাবা বললো, 'কি বললো ওরা?'
- 'ওরা তো ঘড়িটা দেখে চমকে উঠেছে প্রায়! তারা এই ঘড়ির দাম বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে চাইলো আমাকে'।
ছেলের কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, 'আমার সন্তান! আমি তোমাকে এটাই শিখাতে চাচ্ছিলাম যে, যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে জীবনে মূল্যায়ন করবে। আর যারা তোমার মূল্য বুঝবেনা, তারা কোনোদিনও তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা। তাই, যারা তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা তাদের দেখে হতাশ হয়ে পড়ো না। তারা তোমার মূল্য বুঝতে অক্ষম। তুই তাদের কাছেই যাবে তারা তোমার সত্যিকার মূল্য বুঝবে...'।

Thursday, 3 October 2019

Cool English Alphabet



The 26 letters of the English alphabet  are so intelligently arranged.... They show you the way of life....   "A"lways "B"e  "C"ool.   "D"on't  have "E"go  with  "F"riends  n Family.   "G"iveup   "H"urting  "I"ndividuals.   "J"ust  "K"eep  "L"oving  "M"ankind.   "N"ever  "O"mit  "P"rayers.   "Q"uietly  "R"emember  "G"od.   "S"peak  "T"ruth.   "U"se  "V"alid  "W"ords.   "X"press  "Y"our  "Z"eal.

Tuesday, 1 October 2019

জীবনের হিসাব



জীবনের সুন্দর একটি হিসাব দেখুন 
যদি.....
A, B, C, D, E, F, G, H, I, J, K, L, M, N, O, P, Q, R, S, T, U, V, W, X, Y, Z = 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12, 13, 14, 15, 16, 17, 18, 19, 20, 21, 22, 23, 24, 25, 26
অর্থাৎ A to Z এর মান যদি এমনভাবে ধরি যেখানে : A=1, B=2, C=3, D=4, E=5, F=6, G=7, H=8, I=9, J=10, K=11, L=12, M=13, N=14, O=15, P=16, Q=17, R=18, S=19, T=20, U=21, V=22, W=23, X=24, Y=25, Z=26
তাহলে....
Hard Work:
H+A+R+D+W+O+R+K= 8+1+18+4+23+15+18+11=98%
Knowledge:
K+N+O+W+L+E+D+G+E=
11+14+15+23+12+5+4+7+5=96%
Luck:
L+U+C+K=
12+21+3+11=47%
অর্থাৎ এদের কোনোটাই 100% স্কোর করতে পারেনা, তাহলে সেটা কী যা 100% স্কোর করতে পারে???
Money?? না, এটা 72%
Leadership?? না, এটা 97%
তাহলে??
সব সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব, যদি আমাদের থাকে একটা পারফেক্ট Attitude বা দৃষ্টিভঙ্গি
হ্যা, একমাত্র Attitude ই আমাদের জীবনকে করতে পারে 100% সফল......
A+T+T+I+T+U+D+E=
1+20+20+9+20+21+4+5=100%
সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে।।

Monday, 30 September 2019

পাঁদের ফ্লেভার



বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার টেবিলে খেতে বসে এক ভদ্রলোক অনেক কষ্টেও বায়ু আটকাতে না পেরে পুক করে দিয়ে ফেললেন। সেটিকে make up করার জন্য তিনি মুখ দিয়ে বারবার পুক পুক পুক শব্দ করতে লাগলেন। যেন প্রথম শব্দটি মুখ থেকেই বেরিয়েছে।
তা দেখে পাশের ভদ্রলোক বললেন --
"যতই চেষ্টা করুন দাদা, ফ্লেভারটা কিন্তু প্রথমটার মতো আসছে না...!!"
蠟

Sunday, 15 September 2019

জিতবেন আপনিই



বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু।
আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে। তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
- এর পর, বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আপনি মারা যান নি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায়। আপনি এখনো বেঁচে আছেন ।
- অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায়। আপনার কিছুই হয় নি ।
- বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, আপনি এখনো আছেন ।
আর আজ......
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন ? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে, ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
কেনো একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে,
সেটা মেনে নিতে পারেন না?
কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন??
কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন?
আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন। নিজেকে সময় দিন, মনকে প্রশ্ন করুন কি প্রতিভা আছে আপনার। মনের চাওয়া কে সব সময় মূল্য দিন, সব সময় সৃষ্টিকর্তা কে স্বরণ করুন। দেখবেন আপনি জিতে যাবেন,
শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।

Tuesday, 10 September 2019

সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস



যিনি বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন,
আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন,সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।
একথা শুনে আইনস্টাইন তো অবাক!
উনি তখন বললেন,
বেশতো!
তাহলে এর পরের মীটিংয়ে যেখানে যাবো,তারা আমাকে চেনেন না, একেবারে নতুন এলাকা৷ চাইলে তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিতে পারো, আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো৷
সুযোগ পেয়ে পরের সভায় তো ড্রাইভার হুবহুব আইনস্টাইন এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন। উপস্থিত বিজ্ঞজনেরা তুমুল করতালি দিলেন৷
এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন।
সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন,
স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সঙ্গাটা বললেন,অনুগ্রহ করে আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?
আসল আইনস্টাইন দেখলেন ড্রাইভারেরতো বিপদ!
এবারতো ড্রাইভার ধরা পরে যাবে৷
কিন্তু তিনি ড্রাইভার এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন, ড্রাইভার উত্তর দিল।
এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ?
আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে৷
———*———
বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।
তাই কথায় আছে!
"সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"

Thursday, 5 September 2019

যুবক vs বৃদ্ধ



এক বৃদ্ধ ট্রেনে উঠেছে। বগিতে বৃদ্ধ একাই ছিলো৷ হঠাৎ ১২ জন যুবক চলন্ত ট্রেনের ঐ বগিতে উঠেই চিৎকার করে গান গাচ্ছিলো। ছুরি দিয়ে আম কেটে কেটে খাচ্ছিলো।
হঠাৎ একটি যুবক বলে উঠলোঃ "চল আমরা ট্রেনের চেইনটা টেনে ট্রেনটাকে থামিয়ে দেই।"
২য় যুবকঃ "না দোস্ত, লেখা আছে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অনাথায় ছয় মাস জেল।"
১ম যুবকঃ "আমরা একশো টাকা করে চাঁদা তুলি।
বারোশো টাকা হবে বাকী সাত শো টাকা দিয়ে
লাঞ্চ করবো। Let's fun friends" (বারোশো টাকা তুলে ১ম যুবকের পকেটে রাখলো)
৩য় যুবকঃ "দোস্ত, আমরা চেইন টেনে ঐ বুইড়াটাকে দেখিয়ে দিলে পাঁচ শো টাকাও বাঁচলো Fun হলো৷ আমরা ১২জনের সাক্ষী দিলে টিটি মেনে যাবে।"
বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বললোঃ "বাবা,
তোমরা আমার ছেলের বয়সী। কেনো আমাকে বিপদের মধ্যে ফেলবে।"
যুবকগুলো বৃদ্ধের অনুরোধ অবজ্ঞা করে চেইনটা টান
দিতেই। টিটি চলে এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ "কে চেইন টেনেছে?"
যুবকগুলো বৃদ্ধকে দেখিয়ে বললোঃ "ঐ চাচা মিয়া
টেনেছে।"
টিটি বৃদ্ধকে বললোঃ "অকারনে চেইন টানলে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাস জেল।"
যুবকগুলো চিৎকার করে বললোঃ "স্যার, বুইড়া অকারনেই টেনেছে। হো হো হো হো........."
বৃদ্ধ একটু দাঁড়িয়ে বললোঃ "টিটি সাহেব আমি বিপদে পড়েই চেইন টেনেছি।"
টিটি বললোঃ "কি বিপদ?"
বৃদ্ধ বললোঃ "ঐ যুবকগুলো আমার গলায় ছুরি ধরে
আমার বারো শো টাকা ছিনতাই করেছে।"
টিটি বললোঃ "কি সর্বনাশ?"
বৃদ্ধ বললোঃ "দেখুন, ঐ যুবকটির পকেটে টাকা আর ঐ ব্যাগে ছুরি।"
টিটি পুলিশ কল করে ১২জন যুবককে গ্রেফতার
করে নিয়ে যাচ্ছিলো।
তখন বৃদ্ধ তাঁর পাঁকা চুল/দাঁড়ি দেখিয়ে যুবকগুলোকে বললোঃ "এইগুলো বাতাসে পাকে নাই।"

Sunday, 1 September 2019

বুড়ির বাজি

ব্যাংকে এসে এক বুড়ি মহিলা ব্যাংক
ম্যানেজারকে বললঃ আমি কিছু টাকা
ব্যাংকে রাখতে চাই...
ম্যানেজার জিজ্ঞেস করলঃ কত আছে? .
বুড়ি বললঃ হবে ১০ লাখের মত....
ম্যানেজার বললঃ বাহ! আপনার কাছে বেশ
ভালোই টাকা আছে। আপনি করেন কি?
বুড়ি বললঃ তেমন কিছু না খোকা ।
ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় বাজি লাগাই।
আর বাকি সময় সবার সাথে যেকোনো
ব্যাপারে বাজি খেলি।
ম্যানেজার বললঃ শুধু বাজি লাগিয়েই এত
টাকা জমিয়েছো? তাজ্জব ব্যাপার !
বুড়ি বললঃ তাজ্জবের কিছু নেই খোকা।
আমি এখুনি এক লাখ টাকা বাজি ধরতে
পারি যে, তোমার মাথায় ফলস চুল
লাগানো...
ম্যানেজার হাসতে হাসতে বললঃ না
দিদা। আমি এখনো যথেষ্ট যুবক ।আর মাথায়
ফলস চুল লাগানো নেই।
বুড়িঃ তাহলে লাগাবে কি বাজি?
ম্যানেজার মনে মনে ভাবল, এই বুড়ি পাগল
মনে হচ্ছে। যাই হোক ১ লাখ টাকা ফ্রিতে
কামানো যাচ্ছে, তো অত ভেবে লাভ কি...?
ম্যানেজার রাজি হয়ে গেলো...
বুড়ি বললঃ যেহেতু এক লাখ টাকার ব্যাপার
তাই আমি কাল সকাল ১১ টায় আমার উকিল
নিয়ে এই কেবিনে আসব। আর ওর সামনেই
প্রমান করা হবে। আপনি কি রাজি ?
ম্যানেজার বললঃ ঠিক আছে। আমি রাজি।
ম্যানেজারের রাতে ঘুম আসলো না, সারা
রাত ঐ বুড়ি আর ১ লাখ টাকার কথা ভাবতে
থাকে...
পরের দিন সকালে ঐ বুড়ি উকিল নিয়ে ঠিক
১১ টায় ম্যনেজারের কেবিনে এসে
উপস্থিত।
বুড়ি ম্যানেজার কে বললঃ আপনি কি
রেডি?
ম্যানেজার বললঃ একদম রেডি।
বুড়ি বললঃ যেহেতু প্রমানের দরকার তাই
আমি আমার উকিলের সামনে আপনার চুল
টেনে প্রমান করতে চাই যে চুল আসল না
নকল।
ম্যনেজার ভাবল, এক লাখ টাকার ব্যাপার...
একটু চুলই তো টানবে! তাই সে রাজি হয়ে
গেলো....
বুড়ি ম্যানেজার এর পাশে গেলো আর চুল
ধরে টানতে শুরু করল। আর ঠিক ঐ সময়ই বুড়ি'র
সাথে আসা উকিলটা দেওয়ালে মাথা
ঠুকতে শুরু করে দিলো...!
ম্যানেজার বলে উঠেঃ আরে আরে উকিল
বাবু কি হলো ???
বুড়ি হাসতে হাসতে বললঃ কিছু না। শক
খেয়েছে। আসলে ওর সাথে ৫ লাখ টাকার
বাজি ধরেছিলাম যে আজ সকাল ঠিক ১১
টায়, শহরের সবথেকে বড় ব্যাংকের
মানেজারের চুলের মুঠি ধরে টানব।

Tuesday, 27 August 2019

মাতালের প্রতিজ্ঞা

মদ্যপান করে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া এক মাতাল😎😎😎
প্রতিজ্ঞা করল,, আর কখনও সে মদ ছোঁবে না। তারপর ঘরের ভেতর থেকে একটার পর একটা খালি মদের বোতল বাইরে ছুঁড়ে ফেলতে লাগল। প্রথম বোতলটা ছুঁড়ে ফেলে বলল,,
তোর জন্য আমার চাকরি গেছে👍👍
দ্বিতীয়টা ছুঁড়ে ফেলে বলল,,
তোর জন্য আমার ঘর বিক্রি হয়ে গেছে👍👍তৃতীয়টা ছুঁড়ে বলল,,
আজ তোর জন্যই আমার বউ আমায় ছেড়ে চলে গেছে👍👍
কিন্তু চতুর্থ বোতলটা ছুঁড়ে ফেলতে গিয়ে যখন দেখল সেটা ভর্তি,, তখন বলল👍👍
তুই ঘরেই থাক শালা,, তুই তো এখনও নির্দোষ😎😎😎

Sunday, 25 August 2019

পিরিয়ডস

কোরিয়ান এক ভদ্রমহিলা কাজ সেরে বাস এ করে বাড়ী ফেরার পথে পিরিয়ড শুরু হয়। স্কার্ট ভেদ করে রক্তের দাগ বাস এর সিটে লেগে গেলে মহিলা খুব অস্বস্তিতে পড়ে যান।
মহিলার সহযাত্রী ভদ্রলোক পুর ঘটনাটা নোটিশ করেন এবং কিছু না বোঝার ভান করে নিজের হাতে থাকা স্ট্রবেরী জ্যুস এর কিছুটা মহিলার স্কার্ট এ ফেলে দেন,
তারপর সরি বলতে বলতে নিজের ব্লেজার টা এগিয়ে দিয়ে বলেন ভেজা অংশ কভার করে বাস থেকে নেমে যেতে। পরে কোনদিন ব্লেজার ফেরত দিলেই হবে।
মহিলা বাড়ী ফেরার পরে বুঝতে পারেন লোকটা আসলে তাকে পিরিয়ডের লজ্জা থেকে বাঁচাতে তার গায়ে জুস ফেলেছিল।
ঠিক এরকমই আরেকটি ঘটনা সম্প্রতি আমাদের দেশে ভাইরাল হয়েছে।
একজন মা তার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লিখেছেন আজ স্কুল থেকে বাসে করে বাড়ী ফেরার সময় আমার মেয়ের প্রথম পিরিয়ড স্টার্ট হয়। তার স্কার্টে দাগ দেখে একটা ছেলে তার কাছে এগিয়ে আসে এবং তাকে এক কোনে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কানে কানে বলে, তার ড্রেস এ দাগ লেগেছে। তারপর নিজের সোয়েটার টা এগিয়ে দিয়ে বলে ওটা কোমরে বেঁধে নিতে।
মেয়েটা অস্বস্তি বোধ করলে সে আশ্বস্ত করে, বলে, লজ্জার কিছু নেই, আমারও বোন আছে, আমি জানি এটা স্বাভাবিক।
মেয়েটির মা এরপর সেই ছেলের মাকে উদ্দেশ্য করে লেখেন- সঠিক ভাবে পুত্রকে মানুষ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!!
আমার পুত্রকেও আমি সঠিক পুরুষ বানাতে চাই, এবং শেখাতে চাই, কাপড়ে কাদা লাগলে যেমন গোপন করার বিষয় থাকেনা, তেমনি পিরিয়ডের দাগও গোপন করার কোন বিষয় না।
কোনো পুরুষ যদি এরকম অস্বস্তিতে কোন মেয়েকে দেখে তাহলে যেন বলে, লজ্জা কেন পাচ্ছ ?? পিরিয়ডের দাগই তো,
কাওকে খুন তো আর করনি .....
একটা বিশেষ ধরনের শারীরিক গঠন হলেই আমরা তাকে পুরুষ বলি। কিন্তু পুরুষ আসলে দুই প্রকারঃ- সঠিক পুরুষ আর বেঠিক পুরুষ। সঠিক পুরুষ চেনার প্রধান এবং প্রথম লক্ষণ হল নারী জাতির প্রতি তার আচরণ কেমন?
একজন পুরুষ যত সফলই হোক না কেন মেয়েদের সম্মান না দিলে বুঝতে হবে সে বেঠিক পুরুষ, তার মধ্যে কোনো পুরুষত্ব নেই।।

Tuesday, 13 August 2019

*Law Students* প্রপোজাল বি লাইক

- আমরা তো Law পড়ছি .. তো ভবিষ্যতে তো সেই বিয়ে-ডিভোর্স ইত্যাদি করাতে হবে..
- হ্যা! তা তো বটেই .. কি আর করার..এটাই আমাদের প্রফেশন!
- আচ্ছা! এমন কোন সম্পর্ক হতে পারেনা যেখানে কোন ডিভোর্স নেই?
- হ্যা! অবশ্যই হতে পারে, যদি দুজনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপরা থাকে, ভালোবাসা থাকে, লোয়ালিটি থাকে .. একে অপরের বন্ধু হতে পারে ..
- বাঃ তো আমরা তো বন্ধু তাই না?
- হুম ..
- তাহলে মিস Future Lawyer, Law কে সাক্ষী রেখেই আপনি কি আমার পিতার daughter-in-LAW হবেন? 😍

Friday, 2 August 2019

"জানার আছে অনেক কিছু"

রাজ দরবারে একদিন এক জেলে একটি বড়সড় মাছ নিয়ে গেলো । রাজামশাই মাছটি দেখে খুব খুশি হলেন কারণ মাছ তাঁর খুব প্রিয় খাবার ছিলো । এজন্য রাজামশাই খুশি হয়ে জেলেকে ৫০০/-টাকা দিয়ে দিলেন । এদিকে পাশেই বসে থাকা রাণী ফিসফিস করে রাজাকে বললেন, এই সামান্য টাকার মাছটার দাম তুমি ৫০০/-টাকা দিয়ে দিলে ! বড়জোর খুশি হয়ে তাকে ৮০/- থেকে ১০০/- টাকা দিতে পারতে । মাছ ফেরত নিয়ে টাকা দিতে বলো ।
-
রাজামশাই বললেন, একি বলো রাণী ! রাজারা যা বলে তা নড়চড় করা অসম্ভব তাছাড়া এটাতো রাজাদের ইজ্জতের ব্যাপার ।
-
রাণী বললেন, আমি এমন একটা বুদ্ধি দিচ্ছি যা প্রয়োগ করলে তোমার সন্মানের কোনো হানি হবে না । জেলে মাছ নিয়ে টাকাও ফেরত দিবে ।
-
রাজামশাই বললেন কি বুদ্ধি ?
-
রাণী বললেন , জেলেকে ডেকে বলবে তোমার মাছটা কি পুরুষ না স্ত্রী ? যদি জেলে বলে মাছ পুরুষ তাহলে তুমি বলবে আমার স্ত্রী মাছ লাগবে আর যদি জেলে বলে মাছ স্ত্রী তাহলে তুমি বলবে আমার পুরুষ মাছ লাগবে । অতএব, জেলে তখন মাছ ফেরত নিতে বাধ্য হবে ।
-
রাজা রাণীর বুদ্ধিতে খুশি হয়ে জেলেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার মাছটা কোন জাতের ? পুরুষ না স্ত্রী ? জেলে থতমত হয়ে একটু ভেবে চিন্তে বললো, যাঁহাপনা আমার মাছটা পুরুষও না স্ত্রীও না ! আমার মাছটা হলো হিজড়া । এবার রাজদরবারে হাসির রোল পড়ে গেলো, রাণীও শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে হাসলেন ।
-
রাজা জেলের বিচক্ষণতা দেখে খুশি হয়ে আরও ৫০০/- টাকা দিয়ে দিলেন। জেলে খুশি হয়ে মোট ১০০০/- টাকার পোটলায় নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে । রাজমহলের মেইন গেইটের সামনে যেতেই পোটলা থেকে পাঁচটি টাকা মাটিতে পড়ে গেলো । জেলে তা তুলে চুমু খাচ্ছে কপালে লাগাচ্ছে । এদিকে রাণী তা দেখে রাগে ফোঁস ফোঁস করছে ।
-
যাঁহাপনা, এই জেলে এত লোভী কেন ? ১০০০/- টাকা থেকে মাত্র পাঁচটি টাকা পড়ে গেছে জেলের তা সহ্য হচ্ছেনা । যাঁহাপনা ! আপনি তাঁকে শাস্তি দেন । রাজাও ভাবলেন ঠিকই তো মাত্র ৫/- টাকা পড়ে গেছে, গেট দিয়ে কত গরিব মানুষ আসা যাওয়া করে তারা না হয় কুঁড়িয়ে নিতো।
-
রাজামশাই জেলেকে ডেকে বললেন, এই লোভী জেলে ? তোমার এত লোভ কেন ? এত টাকা দিয়েছি তোমায়, মাত্র ৫/- টাকার লোভ সামলাতে পারলে না ? তা তুলে চুমু খাচ্ছ ? তোমাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে।
-
জেলে বলল, যাঁহাপনা ! আমি কিন্তু লোভের কারণে ঐ টাকাটা তুলে চুমু খাইনি । টাকার গায়ে আমার রাজামশাই ও রাণী মা'র নাম লেখা আছে, ভাবলাম টাকাটা মাটিতে পড়ে থাকলে হয়তো অন্য কোনো মানুষ পা দিয়ে পিষবে আর আমার যাঁহাপনা ও রাণী মা'র ইজ্জতের হানি হবে । তাই আমি টাকাটা তুলে চুমু খেলাম এবং কপালে ঠেকিয়ে প্রণাম করলাম।
-
এবার রাজামশাই আরও খুশি হয়ে জেলেকে আরও ৫০০/- টাকা দিলেন । সর্বমোট ১৫০০ /- টাকা দিয়ে জেলে বিদায় করলেন । আর রাজ ঘোষককে বললেন, তুমি সমগ্র রাজ্যে ঘোষণা করে দাও কেউ যেন বউয়ের বুদ্ধিতে না চলে । আর এটাও বলে দাও বউয়ের বুদ্ধিতে চললে 500/- টাকার জায়গায় ১৫০০/- টাকা লোকসান হয় ।

Popular Posts