Thursday, 6 November 2025

Gavaskar

Sunil Gavaskar recently went on an Australia tour where he was invited for the screening of an Australian movie named "Gavaskar"

He was overjoyed, humbly accepted the invitation and went for the screening.

After sitting through the full movie, he realized it was nowhere related to Sunil Gavaskar or even to the game of Cricket!

Out of fury, he questioned the director "Are you out of your mind? Why did you name this movie Gavaskar, and made no mention of me or Cricket in the whole movie?"

The director replied - "So Mr. Gavaskar, now you know, how we Australians felt when you Indians made a movie named BORDER and there was no mention of Alan Border and cricket in it???"

Gavaskar fainted.

ভূত

বাঙালী যে কত পরিমানে ল্যাদখোর সেটা বোঝা যায় বাঙালির ভূত তাড়ানো দেখে। 


ইংরেজদের ভূত তাড়াতে ক্রুশ জোগাড়  করতে হয়,  হোলি ওয়াটার জোগাড় করতে হয়, ভূতে ধরা নাইটি পরা মেমকে ক্রুশ দেখিয়ে জল ছিটিয়ে বাইবেল পড়ে শোনায় পাদ্রী, তারপর মেমভূত "সি উ লেটার" বলে বিদেয় হয়। 


হিন্দি ভূতনিকে মুখস্থ শোনাতে হয় গোটা হনুমান চল্লিশা তবে গিয়ে নায়িকার ফিগার থুড়ি দেহ ছাড়েন। 


উর্দু ভূত শুনতে চায়, আয়াতুল কুর্সি। 


কিন্তু বাঙালি ভূতের সেসব বালাই নেই, চার বার "রাম-রাম-রাম-রাম" বললেই নাকি, ভূত "ধ্যারবাঁ*" বলে চলে যায়।


কিন্তু সেবার আমি পরেছিলাম এক বিচ্ছিরি গায়ে পড়া ভূতের পাল্লায়।


লাস্ট মেট্রো থেকে যতক্ষনে নেমেছি ততক্ষণে আমার মেয়ে হিসেবে একা রাস্তায় থাকার  ভ্যালিডিটি শেষ,  অটো-রিকশা-ট্যাক্সির ভিতর সব মানুষ কেই মোটামুটি পোটেনশিয়াল রেপিস্ট মনে হচ্ছে, তো ঠিক করলাম হাঁটবো। মেট্রো থেকে হেঁটে বাড়ি যাওয়া যায় মানেই বিশাল শহরে থাকি এমন নয়, এ জায়গাটাকে কলকাতা বলতে হলে  গড়িয়াহাটকে আউটস্কার্ট বলতে হয়।


রাস্তা পার হয়ে গলিতে ঢুকতেই বাঁশ বাগান থেকে সরসর করে কি একটা নেমে এলো। বুঝলাম কেসের বিলিরুবিন হাই। 


আমি তো ভয় পাই না, তাই সটান পিছন ফিরে বললাম, "কেক্কেক্কেরে!?"

ভূত বললো, "আমি ভূত"

আমি বললাম, "আমি ভূতে বিশ্বাস করি না"

ভুত বললো, "সে তো তুই তোর বয়ফ্রেন্ডকেও বিশ্বাস করিস না, গুডনাইট বলার পর চারবার এমনি আর দুবার ঘুম ভেঙে অনলাইন হোস এটা দেখার জন্য যে ও অনলাইন আছে কি না।  সেটা তোর ট্রাস্ট ইস্যু। আমি কি করবো?"

"একি! আপনি এরম তুই তোকারি করছেন কেন?"

"দেখ এটা তোর ফেসবুক নয়, যে হাই হ্যালোর পর র‍্যান্ডম সোজা তুই তোকারি করলে ঘোস্ট করে দিবি,  আর আমি তো এমনিই ঘোস্ট" বলে ভূতটা বিচ্ছিরি হ্যা হ্যা করে হাসতে শুরু করলো।


আমার ভীষণ  বিরক্ত লাগলো, আমি "****" বলে গটগটিয়ে হাঁটা লাগালাম।  


ভূতটা সঙ্গে সঙ্গে "ও দিদি ও দিদি শুনুন না" করতে করতে পিছন পিছন আসতে শুরু করলো। তারপর হঠাৎ দেখি দপ করে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড তেতো মুখে বললাম, "কি হয়েছেটা কি?"

"শুনুন না,  এই ভাইটাকে একটু হেল্প করে দিন না.. বড্ড বিপদে পড়েছি"


দেখলাম এই সুযোগ, এবার ঠিকমত তিন বরের ডিলটা করে ফেলতে পারলেই সারা জীবন সর্টেড।  

বললাম, "কি হেল্প?"

"আর বলবেন না,পুরো অভিমন্যু মারা কেস।  ছেলেপুলে প্ল্যানচেট করে ডেকে এনেছে এখন আর ফেরত পাঠাতে পারছে না।"

"এতে আমি কি করবো?  যান তাদের সবার ঘাড় মটকে দিন, আমায় যেতে দিন মা বকবে"

"এরম করবেন না, প্লিজ হেল্প করুন, ওই নামটা একবার বলুন"

"কোন নামটা?"

"ওই বাল্মিকী যার কথা লিখেছেন"

"কে? রাবণ?"

"না না ভালো লোকটা"

"বিভীষণ? "

"উফফ না অযোধ্যার রাজা"

"দশরথ?"

"তার ছেলে.."

"ভরত"

"আপনি কিন্তু এবার **** করছেন"

"করছি তো"

"আচ্ছা.. আপনার ফেভারিট  মদ কী?"

"শঁপাঁ"

"ক্যাঁ?"

"আরে শ্যাম্পেইন অশিক্ষিত"

"এটা ফেসবুকের সেল্ফ র‍্যাপিড ফায়ার নয়, আসলে কি খাস বল"

"ওল্ড মঙ্ক"

"শিওর? ক্যাপ্টেন মর্গ্যান না?"

"না"

"একটা হাফ সাড়ে সাতশো আছে আমার কাছে"

"কি করে?"

" ওই হাফ বোতল নামিয়ে ওরা প্ল্যাঞ্চেটে বসেছিলো,  আমি বাকি হাফটা ঝেড়ে দিয়েচি।"


রাত তখন তিনটে সাত,  ছাদে আমি, ভূত আর ওল্ড মঙ্কের খালি বোতল একসাথে গড়াগড়ি  দিচ্ছি। একটা সময় ভূত বললো,  "ওই গানটা তোর গলায় শুনতে ইচ্ছে করছে.."

"কোনটা?"

"ওই যে উত্তমবাবুর পার্টিতে মদের গানটা.."


গলা জড়িয়ে জড়ানো গলায় গান ধরলাম,


"এই তো জীবন

যাক না যেদিকে 

যেতে চায় প্রাণ,

বেয়ারা, চালাও ফোয়ারা..

জিন শেরি, শ্যাম্পেন, রাম"


ব্যাস! চলে গ্যালো! নো এক্সপ্লেনেশন জাস্ট ঘোস্ট করে দিয়ে চলে গ্যালো! বরটা অবধি চাইতে পারলাম না। এই জন্য শালা! এই জন্য কাউকে বিশ্বাস করি না। সবাই একরকম শালা! সব্বাই!


সে যাক গে যা বলছিলাম,  লোলা.. লুলু...

দুগ্গা দুগ্গা

গণেশ অম্লানবদনে প্রশ্ন করিল, "মা! ও মা! একটা কথা বলি? তুমি বাবাকে ছেড়ে মর্তে এলেই এরা "আর কত রাত একা থাকব" বাজায় কেন মা?" 


দেবী ধমকাইয়া বলিলেন, "যত সব পাকা-পাকা প্রশ্ন! যাও দাদার সঙ্গে খেলা করো গে যাও। মঞ্চ থেকে যেন নামতে না দেখি। আর উদ্যোক্তাদেরও বলিহারি যাই বাপু! ফি বছর ওই গান। ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে, সেটা বুঝবে না ! হ্যাঁ বাছা সারু ! তোমায় গানবাদ্যির দেবী বানিয়ে এই লাভ হল ?"


সরস্বতী দীর্ঘশ্বাস মোচন করিয়া কহিলেন, "মা গো! আগামী বছর দশেকের মধ্যে তোমার মণ্ডপে যে-সব গান বাজবে, তার তুলনায় "কত রাত" তো চণ্ডীপাঠ! এদের না আছে রুচি, না আছে..." 


বলিতে-না-বলিতেই মাইকে তারস্বরে খনখনে কণ্ঠে বাজিয়া উঠিল : "তোকে রডে বসিয়ে বেল বাজাআআব...।"


গণেশ অর্ধপথে খেলা ফেলিয়া ছুটিয়া আসিয়া বলিল, "কে বেল বাজাচ্ছে মা? বেলগাছে তো বোধন হয়েই গেছে...।"


ভবসাগরতারণতরণী ভগবতী নিজেই হাল ছাড়িয়া দিয়া বলিলেন, "ও রে মরণজ্বালা! এত দেবতা এত কিছু দিল, কেউ কানে গোঁজার তুলো দিল না গা!" 

মদ নিজে পাপ নয়; পাপ হলো মদের অপব্যবহার.......

বাঙালি ওয়াইন খেয়ে নেশা খোঁজে। অথচ ওয়াইন তৈরি হয়েছিল খাবারের অংশ হিসেবে—একটি সঙ্গীতের মতো, যা রসনাকে জাগিয়ে তোলে। ফরাসিরা প্রতিদিন দু’বেলা খাবারের সঙ্গে ওয়াইন পান করে, ঠিক যেমন আমরা একবেলা দই খাই।


ওয়াইন শুরু করতে হয় খাবারের আগে—এক ঢোঁক দিয়ে রুচি জাগাতে।

রেড ওয়াইন মানে মাংসের সঙ্গী;

হোয়াইট ওয়াইন মানে মাছের সাথি।


আর শ্যাম্পেন? সেটি আসলে এক প্রজাতির হোয়াইট ওয়াইন—যা ফেনিল, উৎসবমুখর, আর জন্ম থেকেই বিলাসিতার প্রতীক। শ্যাম্পেনের প্রতিটি বুদ্বুদ যেন আকাশের একেকটি তারাকে গ্লাসে বন্দি করে।


🔖ভদকা : বরফের দেশে জন্ম, গরমে মৃত্যুবরণ


বাঙালি ভদকা খায় গরমে! অথচ এটি রাশিয়ার শীতের সন্তান—একটি পানীয়, যা বরফে জমে যাওয়া শরীরে আগুন জ্বালাতে উদ্ভাবিত। রাশিয়ান শ্রমিকেরা একসময় সকালবেলায় এক ঢোঁক ভদকা খেয়ে বের হতেন কাজে, যেন হিমে জমে না যান।


এই পানীয় গরমে খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়—অর্থাৎ এটি একপ্রকার নরকীয় পানীয় হয়ে ওঠে। তাই গরমে ভদকা মানেই শরীরকে ধোঁয়ায় পরিণত করা!

আর শ্রেষ্ঠ ভদকার নাম জানতে চাইলে মনে রাখুন—Stolichnaya—রাশিয়ার গর্ব, শীতের মুকুট।


🔖জিন : গরমের সান্ত্বনা, শীতের বিপদ


বাঙালি জিন খায় শীতে। অথচ এই পানীয়ের জন্মই হয়েছে গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য। মূল উপাদান জুনিপার বেরি শরীরে শীতলতা আনে, এবং গরমের দিনে এটি একপ্রকার প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনারের কাজ করে।


এক চামচ জিন এক গ্লাস ঠান্ডা জলে মিশিয়ে পান করলে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। এজন্যই গলফ খেলার সময় পশ্চিমের খেলোয়াড়রা এটি ‘রিফ্রেশার ড্রিংক’ হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু শীতে? শীতে জিন মানে আত্মহত্যার উপায় একটু রুচিসম্পন্নভাবে!


🔖 ব্লাডি মেরি : ককটেল নয়, ককটেলের বিরামচিহ্ন


বাঙালি ‘ব্লাডি মেরি’ খায় মূল পানীয় হিসেবে। অথচ এটি অন্তর্বর্তী পানীয়—দুটি মদের মাঝে একপ্রকার সেতুবন্ধন। টমেটো জুসের কারণে এটি পূর্ববর্তী পানীয়ের প্রভাবকে নিরপেক্ষ করে, নতুন পানীয়ের জন্য রসনাকে প্রস্তুত করে।


এক কথায়, ব্লাডি মেরি হলো ‘এন্টি-ড্রিংক’।

যেমন কথার মাঝে বিরতি দরকার, তেমনি পানীয়ের মাঝেও দরকার একটু বিরতি—ব্লাডি মেরি সেই বিরতির রূপ।


🔖হুইস্কি : বরফের কবিতা


বাঙালি হুইস্কি খায় “র” বা জলে মিশিয়ে। অথচ হুইস্কি মানে হল জল ও আগুনের নিখুঁত সমন্বয়—যেখানে বরফই আসল মধ্যস্থ।

মূলনীতি হলো—প্রথমে গ্লাসে বরফ দিন, তারপর তার উপর দিয়ে স্কচ ঢালুন।


তাহলেই স্কচ বরফ বেয়ে নেমে আসবে এক স্বর্গীয় ধারা হয়ে, ঠিক যেমন পাহাড়ি ঝর্ণা নেমে আসে স্কটল্যান্ডের উপত্যকায়। স্কচকে কখনও জলে নিমজ্জিত করবেন না, কারণ এটি নিজেই স্কটিশ ঝর্ণার সন্তান!


মদ মাতালের জন্য নয়। মদ হলো যিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন, তাঁর জন্য এক পরিমিত সৌন্দর্য। যিনি মদ পান করেন না, কারণ তিনি খেয়ে ফেলেন, তাঁর কাছে মদ হারাম।

কিন্তু যিনি মদ পান করতে পারেন—অর্থাৎ আস্বাদন, নিয়ন্ত্রণ ও সম্মান করতে জানেন—তাঁর কাছে মদ একপ্রকার সঙ্গীত, একপ্রকার ধ্যান।

SIR আসছে!

 বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন?

বাপ মায়ের সাথে ক্যাচাল করে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করেন?

বাবা মায়ের সাথে সম্পর্ক রাখেন না?

সাবধান! SIR আসছে! নতুন জায়গায় গিয়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলে থাকলে এক্ষুণি বাপ মায়ের পায়ে পড়ুন। না পটলে তেলের বাটি নিয়ে মালিশ করুন। এই সিচুয়েশনে আপনার বেবি, বিবি, হাবি কেউ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। বাপ মা যদি একবার বলে দেয় চিনি না, সোজা জনশুনানির লাইনে।

😂

ইচ্ছা

শিক্ষকঃ- আচ্ছা পাপ্পু, তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?


পাপ্পুঃ- স্যার আমি বড় হয়ে গুগল-এর CEO হতে চাই, আমার দামী দামী পোশাক থাকবে, দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি থাকবে, ভালো ভালো খাবার খাবো, উড়োজাহাজে দেশবিদেশ ঘুরে বেড়াব, 5star হোটেলে থাকব।


শিক্ষকঃ- ব্যাস ব্যাস হয়েছে, এত বড় উত্তর দেওয়ার কোনো দরকার নেই, সবাই ছোট্ট ছোট্ট উত্তর দেবে।


আচ্ছা শিখা তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?


 শিখাঃ- পাপ্পুর বউ।



😳😳😇😇😀😀

Popular Posts