Monday, 15 November 2021

রবীন্দ্র-জয়ন্তী

"জুতিয়ে চামড়া গুটিয়ে দেব শয়তান ছেলে” ...

শুনে প্রায় লাফিয়ে উঠলেন রবিনবাবু। রবীন্দ্রনাথ বাগুই... সংস্কৃতের মাস্টারমশাই। আর দেড়বছর আছে চাকরি শেষ হতে। অষ্টম শ্রেণীতে যৎপরোনাস্তি জ্ঞান ও অম্ল-মধুর বাক্য বিতরণের পর ফিরছিলেন স্টাফরুমে।
 
প্রধানশিক্ষকমশাই-এর ঘরের সামনে দিয়ে যেতে যেতেই এই তীব্র বাক্যবাণ তাঁর 'কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল'। 
এ কি ভাষা ! বিদ্যালয়ের চৌহদ্দিতে এ ভাষা ঢোকার অধিকার পায় কি করে !? চটি সংস্কৃত পাঠ্য বইটি বগলদাবা করে একটুক্ষণ চুপ করে দাঁড়ালেন তিনি। 

"পায়ে দড়ি বেঁধে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেবো!!!".... 

আবার ! প্রায় ভিরমি খেলেন রবিনবাবু!!!

একটু এগিয়ে মাথাটা গলিয়ে দিলেন হেডমাস্টারমশায়ের ঘরের দরজা দিয়ে। দরজা থেকে ঘরের পুরোটা দেখা না গেলেও দেখলেন একটি মুস‌্‌কো লুঙ্গিপরা লোক দাঁড়িয়ে আছে হেডমাস্টারমশায়ের টেবিলের সামনে।

হেডস্যার গৌরবাবু অবশ্য বসেই আছেন।

'সর্বনাশ... কোনো গুন্ডা নাকি ! তাহলে কি অন্য স্টাফদের ডাকতে হবে এবার' ?

'আর করবি এরকম?', হুঙ্কার দিয়ে উঠলো লুঙ্গিধারী। 

জিভ কাটলেন রবিনবাবু। এইভাবে তুই-তোকারি করে কে গালিগালাজ করছে হেডমাস্টারমশায়কে !!!

সঙ্গে সঙ্গে একটা মিনমিনে গলা কানে এলো : 'আর হবে না।' 

'ওঃ হো, তাহলে কোনো ছাত্র আছে ভেতরে ! সে-ই তাহলে এমন সুমধুর বাক্যবিন্যাসের লক্ষ্যকেন্দ্র !', মনে মনে একথা ভাবতে ভাবতে ঘরের মধ্যে আরেকটু এগিয়ে গেলেন রবিনবাবু। এবার তাঁর দৃষ্টির গোচরে এলো একাদশ শ্রেণীর ছাত্রটি। 

একইসঙ্গে তিনিও চলে এলেন হেডস্যারের দৃষ্টির গোচরে। হেডস্যার গোঁফ নাচিয়ে মুচকি হেসে কাছে ডাকলেন রবিনবাবুকে।

'মেরে তক্তা বানিয়ে দেবো, শয়তান।' রবিনবাবুর কানের কাছে হাঁক পাড়লো মিস্টার লুঙ্গি ! 

এবার মুখ খুললেন আদ্যন্ত বাঙাল হেডমাস্টারমশায়, 'এই ছোকরা কি লিখসে জানেন ?' 

রবিনবাবু ভেটকি মাছের মতো মুখভঙ্গি করে মাথা নাড়েন।

'আমি তো ওদের বাংলা পড়াই', চেয়ারে ভালো করে হেলান দিয়ে বসে শুরু করেন হেডমাস্টারমশায় - 'তা ক্লাসে লিখতে দিসিলাম আমাগো বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী সম্পর্কে। এই
ছোকরা যা লিখসে তা দেইখ্যা আমার মনে হইল লিখাডা তার বাপকে দেখানো উচিত হইব। 

রবিনবাবু ঘাড় ঘুরিয়ে চশমার উপর দিয়ে তাকালেন সেই লুঙ্গিধারীর দিকে। তখন লোকটি লুঙ্গির ঢিলে হয়ে যাওয়া গিঁট খুলে আবার বাঁধছে। তাঁর সামনেই!

হেডমাস্টার বললেন,"ইনি লিখাটা পড়সেন। পইড়া যা বলার নিজের পোলাকে বলসেন। ইতে আমাগো কুনো হাত নাই। উনি নিজের পোলাকে পুরস্কার দিবেন কি তিরস্কার করবেন সিডা উনার ব্যাপার।"

রবিনবাবু অসহায়ের মতো উপর-নিচে মাথা নেড়ে বলেন,
"কি লিখেছে?"

"আপনি সজ্জন মানুষ", বললেন হেডস্যার, "বিদ্বানও বটে। নিজেই পড়েন লিখাডা...।" বলে একটি খাতা খোলা অবস্থায় এগিয়ে দিলেন তাঁর দিকে। 

"অভিভাবকটিকে বললেন হেডমাস্টারমশাই, 
"সবসময় বাবা-বাছা কইরা যে সন্তানকে মানুষ করা উচিত নয়, তা আপনি জানেন দেখতাসি। না জাইনলে তার পরিণাম বালো হয় না, আশা করি মনে রাইখবেন।"

পিতা-পুত্র প্রস্থান করলে টেবিলে কনুইদুটো রেখে হেডমাস্টার বললেন, "পড়েন লিখাডা। তবে মনে মনে। পইড়া যদি আপনি মূর্চ্ছা যাইতে চান তাইলে তা অত্যন্ত সংগত বইলাই আমি বিবেচনা করুম।"

খোলা পাতায় ওপরের দিকে শিরোনাম - 
_'আমাদের বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-জয়ন্তী'_

তারপর লেখা, 
'আমাদের বিদ্যালয়টি অনেক বড়। এখানকার একজন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাগুই। তিনি খুব ভালো শিক্ষক। উনি যখন ছোটো ছিলেন, মানে যখন ইস্কুলে পড়তেন তখন একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। 
একদিন তিনি একটি চিঠি মেয়েটিকে দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল - 
_'আমি যাই সাইকেলে, তুমি যাও হেঁটে,_ 
_তোমার-আমার দেখা হবে ইস্কুলের গেটে।'_

মেয়েটিও একটি চিঠি দিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল,
_'রাস্তায় কুকুর আর আকাশে বাদুড়,_ 
_তোমার হাতেই পরবো আমি মাথায় সিঁদুর'।_
 
কিন্তু ওনাদের আর বিয়ে হয়নি।
সেই মেয়েটি বড় হয়ে আমাদের ম্যাডাম হয়েছেন। তাঁর নাম জয়ন্তী সেন। এই রবীন-স্যার আর জয়ন্তী-ম্যাম খুব ভালো মানুষ।
এই হলো আমাদের বিদ্যালয়ের *রবীন্দ্র-জয়ন্তী।"*

অনেক দূর থেকে যেন হেডমাস্টারের গলা ভেসে এল-
"আমি কিন্তু কইসিলাম, এমনটা অইতেই পারে। 
হেই রামধন, রবিনবাবুর মুখেসোখে এট্টু জল ছিটাইয়া দে বাবা।"

😂😂😂😂😂

বরফ

দূরপাল্লার এ সি টু টায়ারের প্যাসেঞ্জার, ট্রেন এটেনডেন্টের হাতে 100/- টাকার নোট ধরিয়ে ফিসফিস করে বলল " আরো একটু বরফ এনে দাওতো ,শেষ পেগটা মারি ।" এটেনডেন্ট ততোধিক ফিসফিসিয়ে বলল" আর তো দেওয়া যাবে না, ডেডবডি টা তো আগের স্টেশনেই নামিয়ে নিল।

শোকসভা

এককালে শোকসভা হতো , এখন শোক কে শক দিয়ে শোকসার্কাস হয় ফেসবুকে । এই তো সেদিন বাজারে ঝরুর সঙ্গে ছগুর দেখা । 

ছগু বলল - - 'কাকা মারা গেলো , অর্শ অপারেশন করাতে গিয়ে ...’

- 'রিপ রিপ' । ফেসবুকে দিয়েছিলে ? 

-  হ্যাঁ ।

- কটা লাইক আর কমেন্ট পেলে ?

- ৬৭ টা লাইক আর ১০৮ টা কমেন্ট । তুমি তো কবিতাও দিয়েছিলে একটা ।

‘আজ তোমায় নিয়েছে কেড়ে প্রাণঘাতী এক পাইলস, চার কাঁধে তোমাকে যেতে হবে ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস'। 

এককালে লোকজন শোকে পাথর হতেন, এখন শোকে আগে অনলাইন হন তারপর পাথর হন । এই তো সেদিন কমলদার দাদু মারা গেলেন । কমলদা লিখলেন - 'আজ একটু আগেই দাদু দেহ রাখলেন' । এবার চারিদিক থেকে লাল পিঁপড়ের মতন কাতারে কাতারে মানুষ সেই দুঃখের মিছিলে যোগ দিতে চলে এলেন । বেশীরভাগ লোক লিখলেন -  রিপ ! যাদের আর একটু বেশী কষ্ট হয়েছে বা হাতে বেশী সময় তারা লিখলেন , রেস্ট ইন পিস । যাদের আরও বেশী কষ্ট বা আরও বেশী টাইম আছে হাতে তারা লিখলেন , ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি । যাদের বড় বেশী কষ্ট তারা বললেন , বিশ্বাস করতে পারছি না । অথবা , আমি দাদুকে চিনতাম না কিন্তু কেন জানি না বড্ড কষ্ট হচ্ছে । সকালে ঠাণ্ডা লুচি আর বাসি ঘুগনি খেয়ে গৌতমদার বুকের কাছে এসে একটা সিরিয়াস ঊর্ধ্ববায়ু আটকে ছিল । সেটাকেই কষ্ট বলে চালিয়ে দিয়ে গৌতমদা লিখলেন - 'বুকের কাছে একটা কষ্ট এসে আটকে আছে' । সেই কমেন্টে আবার ১০ টা লাইক । যদিও এখানেই শেষ নয় । কমলদার পরিচিত ভজা ভট্ট পাড়ার নাটকে রাবণ , রাক্ষস , যম এসবের পার্ট করে বেশ আঁতেল হয়েছেন। তিনি বেশ সিরিয়াস পোস্ট লিখবেন , এটাই স্বাভাবিক !  উনি লিখলেন - 'গলার কাছে একটা দলা পাকানো কষ্ট আর কান্না' । কেউ কেউ সেই পোস্টে লিখলেন - 'আমার কষ্টটাও ওইরকম' । কেউ জাস্ট লিখেছেন , সেম । মানে , উনিও একইরকম , অর্থাৎ সেম ফিল করছেন । কেউ এটাও ভাবছেন - 'আরে আমারও তো গলার কাছটায় দলা পাকানো কষ্ট আর কান্না ছিল , কিন্তু ভজাদা আগে পোস্ট করে দিলো' । ভজাদা আগে পোস্ট করে দেওয়ায় অনেকেরই গলার কাছের কষ্ট ঢেঁকুর হয়ে উঠে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে আর কান্না শুকিয়ে গেছে । কেউ কেউ আবার চোখ বুজে টাইপ করেন আর অদ্ভুত বানান লেখেন 😩। শ্যামদা লিখলেন - 'আমার হুকটা কষ্টে ডেটে যাচ্ছে' । বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে , এটাই লিখতে চেয়েছিলেন । ওদিকে আবার বিমলের পোস্টে শ্যামদা লিখলো - 'যন্ত্রণার ফল গু ধারা' । ওই ফল্গু ধারা লিখতে গিয়ে বিপত্তি ! তবে দুঃখ তাঁদের সবচেয়ে বেশী হয় যারা বারবার পিতৃহীন , দাদুহীন , ঠাকুমাহীন ইত্যাদি হন। কেলাবের নদুদা মরলেও 'আবার পিতৃহীন হলাম' ,  ওদিকে মাদাগাস্কারের কেত্তনশিল্পী মরলেও 'আবার পিতৃহীন হলাম'  ! 

তবে কমলদা পুনুদার উপর বেজায় চটেছেন। দাদু টেঁসে যাবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই কমলদা আপডেট দিচ্ছিলো ... 'দাদু আর খাচ্ছে না' , 'দাদু আর বেডপ্যান চাইছে না' । এদিকে পুনুদা আবার পাহাড়ে যাবেন , ওখানে টাওয়ার নেই । তাই এর মধ্যে কমলদার দাদু মরলে , রিপ লেখা হবে না । তাই , উনি কমলদার কোন এক পোস্টে লিখে দিলেন - 'আমি তো পাহাড়ে যাচ্ছি । আমি ফিরে আসার আগে যদি কিছু হয়ে যায় ! তাই 'আগাম রিপ' লিখে গেলাম ।' আগাম শুভেচ্ছা হলে , আগাম রিপ বা রেস্ট ইন পিস হতেই পারে !  পুনুদা আবার অবিচুয়ারি স্পেশালিষ্ট । তাই , কোন বুড়ো হসপিটালে যাচ্ছে খবর পেলেই পুনুদা অবিচুয়ারি রেডি করে রাখেন । আরে অবিচুয়ারির হ্যাজানি নামাতে ইনফো জোগাড় করতে টাইম লাগে ভাই ! যাইহোক , সেই বুড়ো বেঁচে বাড়ি ফিরলে অবিচুয়ারিটা এদিক ওদিক পালটে স্মৃতিকথা হিসেবে পোস্ট করে দেন , আর বুড়ো টেঁসে গেলে অবিচুয়ারি পোস্ট হয়ে যায় । মরুক বা বাঁচুক , দুটো কেসেই পুনুদা লাইক , মন ছুঁয়ে গেলো , কিকরে লেখেন এমন , এসব পেয়ে থাকেন ।

ফেসবুক অঞ্চলে অনেক প্রাণী ঘুরে বেড়ায় যারা না পড়ে লাইক , কমেন্ট করে । সময় কম , পোস্ট অনেক । এবার কেউ হয়তো তার দাদুর ছবি দিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন । এবার এতো বড় পোস্ট পড়ে দেখার সময় নেই যে ওটা দাদুর জন্মদিন উপলক্ষে লেখা নাকি দাদু পার্মানেন্ট শাট ডাউন হয়ে গেছেন বলে লেখা ! ফলে অনেক উজবুক জন্মদিনের পোষ্টে লিখে ফেলেন - ভাবতেই পারছি না । আবার কেউ মৃত্যুদিনের পোস্টে লেখেন - কি মিষ্টি লাগছে !

বাজারে এমনটাই এখন "ইন'--
😭😭😂😂

ওকালতি!!

ল-কলেজের একদল ছাত্র একজন দুঁদে উকিল সাহেবকে জিজ্ঞেস করল, " স্যার, ওকালতি শব্দের অর্থ কী?"

উকিল সাহেব বললেন," এজন্য একটা উদাহরণ দিই: ধর, দুজন লোক আমার কাছে এলো। একজন খুব সাফসুতরা অন্যজন বেজায় নোংরা। আমি ওদের দুজনকে পরামর্শ দিলাম চান করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে। এখন তোমরা বল, দুজনের মধ্যে কে চান করবে?"

এক ছাত্র বলল," যে নোংরা সেই চান করবে।"
উকিল: উঁহু, কেবল পরিষ্কার লোকটিই এমন করবে... কেননা তার চান করার অভ্যাস আছে। নোংরা লোকটা তো পরিস্কার থাকার গুরুত্বই বোঝে না! বল এবার, কে চান করবে? "

আরেকজন ছাত্র বলল, "পরিষ্কার লোকটি।"
উকিল: না, নোংরা লোকটা চান করবে। কেন না তার পরিস্কার হওয়াটা দরকার, সেটা তার প্রয়োজন, তাই গুরুত্ব বুঝুক বা না বুঝুক চান তাকে করতে হবে। এখন বল দেখি কে চান করবে?

দুজন ছাত্র একসাথে বলে উঠল," যে নোংরা সে!"
উকিল: না, না দু'জনেই চান করবে। সাফ লোকটার অভ্যাস চান করা আর নোংরা লোকটার প্রয়োজন চান করা। এখন বল কে চান করবে?"

তিন ছাত্র মিলে বলল, "হ্যাঁ, দুইজনেই করবে তাহলে।"
উকিল: আবার ভুল, চান কেউই করবে না। কেন না, নোংরা লোকটার তো চান করার অভ্যাস নেই, তাকে প্রয়োজনের কথা বলা হলেও সে অগ্রাহ্য করবে আর পরিষ্কার ব্যক্তির চান করার দরকার নেই তাই সেও চান করতে বলা হলে অগ্রাহ্য করবে। এখন বল, কে চান করবে?"

এক ছাত্র সবিনয়ে বলল, "স্যার, আপনি এক এক বার এক এক রকম জবাব দিচ্ছেন আর আমাদের কাছে সব জবাবই ঠিক মনে হচ্ছে। সঠিক উত্তর আমরা কি করে বুঝব?"
উকিল: বাস্ এটাই তো ওকালতি... বাস্তব কি এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ হল তুমি নিজের বক্তব্য সঠিক প্রমাণ করার জন্য কতগুলো সম্ভাব্য যুক্তি উপস্থাপন করতে পার সেটাই দরকারী।"  

কি বুঝলে?
বোঝ নি? 
এটাই ওকালতি!!
😝😂😂

দাম্পত্য কলহের উপকারিতা

১। এতে গলার রেওয়াজ হয় । কণ্ঠের range বৃদ্ধি পায় । 
উদাহরণ: এক ভদ্রমহিলার গানের গলাটি ভালো ছিল ; কিন্তু বেশী উঁচুতে উঠতো না। বিবাহের চতুর্থ বছরেই দাম্পত্য কলহ অনুশীলনের কারণে বর্তমানে তার গলা তার সপ্তকের ধৈবত নিষাদ অবধি পৌঁছে যায়।

২। নানারকম ভাষা শেখা যায়।বাক্যগঠন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং stock of word  বাড়ে।
মন্তব্য: একবার এক অ্যাংলোইন্ডিয়ান দম্পতিকে দাম্পত্য কলহ করতে দেখেছিলাম। তাঁরা ইংরাজিতে ঝগড়া করছিলেন, কিন্তু মধ্যে মধ্যে হিন্দি গালাগালি দিচ্ছিলেন। পরে প্রশ্ন করে জানতে পারি যে ইংরাজিতে তেমন জবরদস্ত গালাগালির অভাবই তাঁদের বাধ্য করেছিল হিন্দি গালাগালি ব্যবহার করতে। এই ভাবে তাঁরা হিন্দিও শিখে যান।

৩। উচ্চৈঃস্বরে দাম্পত্য কলহ হ’লে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, ফুসফুসের জোর বাড়ে, ফ্যারিংসের ওপর চাপ পড়ে বলে ফ্যারিংজাইটিস সেরে যায়। মস্তিস্কেও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ফলে অ্যালঝাইমার রোগের সম্ভাবনা কমে।
মন্তব্য: লো-প্রেসারের রুগী, হাঁপানি রুগী, টনসিলাইটিস, ফ্যারিংজাইটিসের রুগীদের নিয়মিত দাম্পত্য কলহ করা উচিত।

৪। দাম্পত্য কলহে কখনও কখনও চোখের জলও পড়ে। এতে চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ হয়। চোখের ভিতর ময়লা থাকলে automatically ধুয়ে সাফ হয়ে যায়।
 উদাহরণ: একবার এক ভদ্রমহিলার চোখে ছানি পড়েছিল। দাম্পত্য কলহ কালীন প্রবল অশ্রু ধারায় সেই ছানি টুপ করে খসে পড়ে – তাঁকে আর অপারেশন করাতে হয়নি।

৫। দাম্পত্য কলহের কোন কারন লাগে না ; অকারনে বা বিনাকারনে করা যায়।
মন্তব্য: দার্শনিকদের কর্ম-কারন সুত্রের সত্যতা ব্যর্থ প্রমানিত হয়।

৬। দাম্পত্য কলহ শেষ হওয়ার পর যখন ভাব হয়, তখন প্রেম আরও ঘনীভূত হয় এবং পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
মন্তব্য: এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করলে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারি, তাই বিরত থাকলাম।

দাম্পত্য কলহের উপকারিতা সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।

যারা ঝগড়ায় এঁটে উঠতে পারেন না  তাঁদের জন্যে “দাম্পত্য কলহ অনুশীলন কেন্দ্র” এখন আসে পাশে প্রায় সব জায়গায় পেয়ে যাবেন তবে সব চেয়ে ভালো ফ্রি অফ কস্ট নিয়মিত দৈনিক সিরিয়াল গুলো তে  মন দিন ...

😁😁😁

Popular Posts