Friday 27 August 2021

আঠারো বছর




ডাক্তারবাবু সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষে, সন্ধ্যায় স্নান করে স্ত্রীর সাথে চা বিস্কিটসহ গল্প করছিলেন। মোবাইলটা বেজে উঠলো।

ডাক্তারবাবু, 'হ্যালো'।

অন্য প্রান্ত, 'আমরা তিনজন, আঠারো বছরের পুরোনো সিঙ্গল মল্ট নামী হুইস্কি নিয়ে বসেছি। তুই কি আসবি'?

ডাক্তারবাবু গম্ভীর গলায়, 'তাই? আসছি'।

উনি তাড়াতাড়ি পোশাক পরে রেডি।
বেরোনোর সময় স্ত্রী প্রশ্ন করলেন, 'কিছু কি সিরিয়াস ব্যাপার'?

ডাক্তারবাবু, 'মাত্র আঠারো বছর বয়স। অলরেডি তিনজন ডাক্তার পৌঁছে গেছে। আর দেরি করলে হয়তো শেষ হয়ে যাবে'।

স্ত্রী, 'তাড়াতাড়ি যাও তাহলে'।

মুহূর্তরা




পাড়ার মোড়ের ফুলওয়ালী কাকিমাটা শেষ বেলীর থোকাটা বিক্রি করতে গিয়েও পাশে সরিয়ে রেখে

একগাল হেসে বললে,

- “এ ফুল বিক্কিরি হবে না বাবু।”

তাড়াতাড়ি হাত চালিয়ে ব্যাগপত্তর গোছাতে গোছাতে মনে

মনেই বকবক করতে লাগল ফুলওয়ালী,

- “মানুষটা কবে থেকে বিছানায় শুয়ে রয়েছে, গাছের ফুলগুলোও মানুষটার দেখা হয় না। খালি হসপিটাল আর ওষুধ। আজ মানুষটার মাথার পাশের জানালাটার উপর বড়ো স্টিলের বাটিটার জলে বেলীর থোকাটা ভাসিয়ে রাখব। আমার মানুষটার মনটা ভালো হবে নিশ্চিত।”

ওদের মুহূর্তটুকু *বন্ধক* থাক ভালোবাসার কাছে।

❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

ক্লাস সেভেনের ছেলেটাকে পড়ানো শেষ করেই* মুখচোরা কলেজ পাশ ছেলেটা মাথা নীচু করে আমতা

আমতা করে বলেই ফেলল,

– “কাকিমা, আজ মাইনের টাকাটা পেলে একটু উপকার

হতো।”

মিনিট পাঁচেক পর টাকাটা হাতে পেয়েই মুখচোরা ছেলেটার মুখে একগাল হাসি ফুটল, - “বাবার শীতের শালটা কিনে তবে বাড়ি যাব। পাতলা চাদরটা গায়ে দেওয়া বের করছি এবার। খুব বকব কথা

না শুনলে।”

এই বকুনিটুকুও থাকুক ভালোবাসার রোজনামচায়।

🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺

বাবা নামক মানুষটা অফিসফেরত ট্রেন থেকে নেমে *ভ্যানে* উঠেও নেমে গিয়ে হাঁটতে শুরু *করল,* ভ্যানকাকু পেছন দিক দিয়ে হাঁক দিয়ে বলল,

- “ও দাদা কি হল, আজ যাবেন না?”

লম্বা চওড়া মানুষটা হেসে বললে,

- “আজ নাহয় একটু হাঁটি, শরীরটা ভালো থাকে যে

হাঁটলে।”

সামনের দিকে তাকিয়ে আবার হাঁটতে হাঁটতে পকেটের

মানিব্যাগে হাত রেখে ফিসফিসিয়ে উঠল, - “মেয়েটা বড্ড নাচতে ভালোবাসে। সারাদিন কেমন ফড়িং -এর মতন নেচে নেচে বেড়ায়। ওকে নাচের ক্লাসে ভর্তি করে দেব। মাইনেটা উঠে আসবে। রোজ রোজ ভ্যানে না চড়ে *হাঁটলে* উপকারও হবে।”

হেঁটে ফেরার রাস্তাটুকু এগোেক ভালোবাসায়।

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

বিয়ের লগ্নের মিনিট পাঁচেক আগেই খুব প্রিয় বান্ধবীটি

মেয়েটার কানে কানে এসে বললে,

- “আর্য ফিরে এসেছে রে। ও জানতে পেরেছে রাহুলের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক ছিল না, ভুল বোঝাবুঝি। বিয়েটা ভেঙে দিতে পারিস এবার একটু ভেবে দ্যাখ | গেটের বাইরে ও দাঁড়িয়ে আছে তোর জন্য।” একগাল হেসে কনে মেয়েটা আলমারির থেকে একটা

রুমালে বাঁধা এগারোটাকা বান্ধবীটির হাতে দিয়ে বলল, - “বছর দুই আগে হাতে টাকা ছিল না। ঠাকুরকে বলেছিলাম আর্য সত্যিটা জানতে পারলে এগারো টাকার পুজো দেব। আমার তো আর হল না। আর্যকে বলিস

টাকাটা দিয়ে পুজো দিতে।" বান্ধবীটি ভীষণ অবাক হয়ে বলল,

- “তুই এই বিয়েটা করবি?”

*কনে* মেয়েটা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বসতে বলল,

- “যে মানুষটা আমায় বিয়ে করতে এসেছে, সেই মানুষটার চোখ ভর্তি শুধু বিশ্বাস।”

এই লগ্নটুকুও থাকুক ভালোবাসার মুহূর্তে।

💚💚💚💚💚💚💚💚

বাজারের ব্যাগটা নামিয়ে বাবা নামক মানুষটা

ফিসফিসিয়ে মা'কে বললে,

- “পমফ্রেটের দামটা বেড়েছে আবার। আমাদের জন্য বাটা এনেছি। আর মেয়েটার জন্য একটা পমফ্রেট

আনলাম। বুঝলে?” কি বোঝা হল সেটা জানাই বাকি থাকল,

মা মানুষটাকে একটু পরেই উঁচু গলায় বলতে শোনা গেল, - “আরে বাহ্ এতো জ্যান্ত বাটামাছ গো। মেয়েটা যে কি খায় ঐ বরফের পমফ্রেট। ওর পমফ্রেটের আলাদা ঝোল করে দেব আর আমাদের বাটামাছটা কালোজিরা দিয়ে করব কিন্তু।”

বাবা-মা'র বোঝাবুঝিটুকুও ভালোবাসা মতন।

বড্ড সাধারণ মানুষগুলোর মুহূর্তরা বাঁচুক ভালোবাসায়।

💕💕💕💕💕💕💕💕

Monday 23 August 2021

বাস্তব পরিস্থতি




একটা মেয়ে কোর্টে গেছে তার বয়ফ্রেন্ড এর নামে মামলা করতে। মামলাটা ছিলো তার বয়ফ্রেন্ড তাকে ধর্ষণ করেছে। জজ সাহেব সব কিছু জানতে চাইলে মেয়েটা তাদের রিলেশনের সব কিছু খুলে বলে, জজ সাহেব সব শুনে মেয়েটার হাতে একটা ৫ টাকার কয়েন দেয়, এবং বলে এক সপ্তাহ পর যদি এই কয়েনটা তুমি আমার কাছে জমা দিতে পারো তাহলে তুমি নির্দোষ। আর ছেলেটাকে বলল তুমি যদি কয়েনটা মেয়েটার কাছ থেকে আনতে পারো তাহলে তুমি নির্দোষ। এক সপ্তাহ পর মেয়েটা জজের কাছে কয়েনটা ফিরিয়ে দিয়েছে। জজ মেয়েটাকে প্রশ্ন করলো, ছেলেটা কি তোমার কাছ থেকে কয়েনটা নেওয়ার চেষ্টা করেনি? মেয়েটা বলল হ্যা স্যার অনেক চেষ্টা করেছে আমাকে লাখ টাকার লোভ ও দেখিয়েছে, কিন্তু আমি দিই নি। জজ সাহেব বলল এইভাবে তুমি তোমার ইজ্জত টাও বাঁচাতে পারতে কিন্তু তুমি বাঁচাও নি। দুজনেই সেচ্ছায় রুম ডেট করেছো এখন যখন ব্রেকাপ হয়েছে ছেলেটা ধর্ষক হয়ে গেছে ..

এটাই বর্তমান বাস্তবতা

গান্ধারীর অভিশাপ, তালিবান




গান্ধার প্রদেশের রাজা সুবল ও রানী সুদ্রামার জেষ্ঠ পুত্র শকুনি সহোদরা গন্ধারীকে অতি স্নেহ করতেন, কারণ তিনি রূপসী ও বিদুষী, ধৰ্মনিষ্ঠা।রাজ জ্যোতিষী, গান্ধারীর অকাল বৈধব্য ভবিষ্যৎ বানী করলে, একটি ছাগলের সাথে গান্ধারীর বিয়ে দিয়ে, ছাগলটি কে মেরে তার কপাল যোগ খন্ডন করা হয়।
এ সেই গান্ধার, যা লোকমুখে গান্ধাহার ও পরে কান্দাহার হয়, যা অধুনা আফগানিস্তান এর একটি প্রদেশ।
 ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ হওয়ার কারনে, যোগ্য রাজকন্যা পাত্রী খোঁজা দুরুহ হয়ে ওঠে, তার অভিভাবক ভীষ্ম ও বিদুরের পক্ষে। তাই হস্তিনাপুরের বহুদূরে, ক্ষুদ্র রাজ্য গান্ধারের রাজকন্যা গান্ধারীকেই
ধৃতরাষ্ট্রের যোগ্য পাত্রী নির্বাচিত করলেন ভীষ্ম। গান্ধারী বুঝলেন,
এ অসম বিয়ে মেনে না নিলে, গান্ধার দেশে পরাক্রমশালী ভীষ্ম ও ধৃতরাষ্ট্র, রক্তগঙ্গা সৃষ্টি করবেন, তাই রাজী হলেন। বিয়ের পরে, তার রূপ, শিক্ষা, বুদ্ধি স্বামীকে ছাপিয়ে না যায়, তাই নিজের চোখ আজীবন বেঁধে রাখলেন।
কিন্তু ভীষ্ম অচিরেই জানতে পারলেন, রাজ জ্যোতিষীর ভবিতব্য কহন ও গান্ধারীর ছাগ বিবাহ ও বৈধব্য। এ সত্য, রাজা সুবল বা রাজপুত্র শকুনি গোপন করায়, ভীষ্ম আক্রমণ করলেন গান্ধার রাজ্যকে। রাজা সুবল, শকুনি ও তার অজস্র ভ্রাতা, আত্মীয় বন্দি হলেন।বন্দি শিবিরে ধৰ্ম মেনে, সব বন্দিকে একটি ভাতের দানা খেতে দেওয়া হতো। কিন্তু সবাই, সেই ভাত, রাজপুত্র শকুনিকে দিয়ে দিতো, যাতে প্রতিশোধ নেবার তাগিদে অন্তত
শকুনি বেঁচে থাকে। শকুনি শপথ নিয়েছিল,ভীষ্ম ও কুরু বংশ, তিনি
একাই ধ্বংস করবেন।আহারের তাগিদে, শকুনির ভাই, বাবা মারা গেলে তাঁদের মাংস খেয়েই মনের জোরে শকুনি বেঁচে রইলেন ও বাবার পায়ের পাতার হাড়( Metatarsal bones)থেকে তৈরী করলেন পাশা খেলার গুটি।
শুরু হলো শকুনির প্রতীক্ষা, কারণ শকুনি জানতেন, কেবল রক্তপাত এড়ানোর কারণেই,
গান্ধারী ইচ্ছের বিরুদ্ধে,অন্ধ রাজাকে বিয়ে করেও রক্তপাত এড়াতে পারলেন না।
****** বাকিটা সবাই জানে।যুদ্ধের পরে,গান্ধারীর অভিশাপে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বংশ ধ্বংস হয়ে যায়। এ সেই গান্ধার বা আফগানিস্তান, যেখানে রাজা আলেকজান্ডার জয় পতাকা তুলেও বেশিদিন বাঁচতে পারে নি। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ সনে, মৌর্য বংশ এখানে রাজত্ব করলেও বেশী দিন
টেকে নি ও তার পরেও অষ্টম, নবম শতাব্দীতে বুদ্ধ ধৰ্ম প্রচার হলেও, বৌদ্ধধর্মী ও তাদের সভ্যতা বিলীন হয়ে যায় ।
ইংরেজরা ভারতকে পরাধীন করলেও, আফগানিস্তান জয় করতে পারে নি। পাকিস্তান শত চেষ্টাতেও দখল নিতে পারে নি । পারে রাশিয়া দখল নিয়েও পস্তাতে থাকে। আমেরিকা তো আফগানিস্তানে, আরেক ভিয়েতনামের নজির সৃষ্টি করলো।
যদুবংশ ধ্বংস হওয়ার মতো এখন তো তালিবানরা গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে, তারাও ধ্বংস হবে।
এ এক অভিশপ্ত দেশ আফগানিস্তান । গান্ধারী ও শকুনির আক্রোশ, আজও বোধহয় ভেসে বেড়ায় কাবুলের পাহাড়ে পাহাড়ে ।

Friday 6 August 2021

প্রসব কৌতুক




তিন বন্ধুর তিন স্ত্রী সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি।

যথারীতি তিন বন্ধু ওয়েটিং রুমে বসে এবং খুব চিন্তামগ্ন।

সময় কাটছে না দেখে তিন জন তিনটে গল্পের বই পড়তে শুরু করলো। প্রথম জন A tale of two cities নিয়ে পাতা ওল্টাচ্ছে।
সঙ্গে সঙ্গে নার্স এসে বললো congratulation আপনার যমজ সন্তান হয়েছে।

দ্বিতীয় জনের হাতে three masketiers।

নার্স এসে জানালো congratulation আপনার স্ত্রী এক সাথে তিনটি সন্তান প্রসব করেছেন।

এই শুনে তৃতীয় জন হাতে থাকা গল্পের বইটি সঙ্গে সঙ্গে ছুড়ে ফেলে দিলো।

নার্স জিজ্ঞাসা করলো, কি ব্যাপার বইটি ছুড়ে ফেললেন যে?
কি বই ছিল?
তৃতীয় জন কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,.......

আলিবাবা ও চল্লিশ চোর।

🤣🤣🤣

কি অদ্ভুত মিল!




এক লোক ফাস্টফুড কাউন্টারে বসে মাটন কাবাব আর চিলি সস অর্ডার দিতেই পাশে বসা এক সুন্দরী মহিলাও একই অর্ডার দিয়ে বললো কি অদ্ভুৎ মিল !!

আপনার আমার প্রিয় খাবার একই মাটন আর চিলি

বাই দ্য ওয়ে আমি রত্না, আপনি?

আমি রতন

আরে আপনার আর আমার নামের প্রথম অক্ষরও এক, নামের অর্থও এক।

আপনি কি নিয়মিত আসেন?

না,

আমি সেলিব্রেট করতে এসেছি।

এখানেও কি অদ্ভুৎ মিল,

আমিও সেলিব্রেট করতে এসেছি।

জানতে পারি কিসের?

ভদ্রলোকঃ আমার পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীগুলো প্রায় চার বছর যাবৎ ডিম দিচ্ছে না।

আজ সকালে ডিম দিয়েছে সেই আনন্দ উদযাপনের জন্য এখানে আসা।

মহিলাঃ

এখানেও আমার সাথে আপনার কি অদ্ভুৎ মিল। আমার চার বছর বিবাহিত জীবন।

সন্তান হচ্ছিলো না। আজই প্রেগনেন্সি পজিটিভ হলো।

কিভাবে মুরগী ডিম দিলো?

ভদ্রলোকঃ আমি মোরগ চেঞ্জ করেছিলাম।

আপনি?

মহিলা মৃদু হেঁসে

কি অদ্ভুৎ মিল...

😮😮😮

Wednesday 4 August 2021

পরকীয়া প্রেম




পরস্ত্রীর সাথে প্রেম করার অর্থ কিন্তু এটা নয় – যে তুমি নিজের স্ত্রীকে প্রতারণা করছ। এটা অনেকটা তোমার নিজের গাড়ি থাকা সত্বেও ট্যাক্সি ভাড়া করার মত। এতে তোমার গাড়ির টায়ারের আয়ু বাড়বে। তোমার গাড়ি অনেক বেশি দিন সুন্দর থাকবে।

এই পুরো ব্যাপারটা তোমার স্ত্রীকে বুঝিয়ে বলো। তারপর তুমি কোন হাসপাতালে ভর্তি আছো জানাবে দেখতে যাব।

খবরদার আমি বলেছি একথা কিন্তু বৌকে বোলোনা, যা বলবে নিজের দায়িত্বে। 👠

Popular Posts