Monday 18 March 2019

দুরাত্মা গান্ধী

গান্ধীজিকে কেনো সন্মান করবো, বলতে পারেন ?
যারা গান্ধীজিকে মহানের চোখে দেখেন তাদের জন্য আমি বিপ্লব আরেকবার এলাম। আশাকরি কয়েকটি ঐতিহাসিক যুক্তি দিয়েই বোঝাতে পারবো যে গান্ধী কোন মহান ব্যাক্তি নন, সবটাই তার মুখোশ। যেমন-
১) বিপ্লবী যতীন দাস অনশন করে লাহোর জেলে ৬৩ দিনের মাথায় শহীদ হন। গান্ধী তখন লাহোরেই ছিলেন, কিন্ত তাকে বলা হলেও তিনি মহান যতীন দাসকে মালা দিতে যান নি। দেশের জন্য এক যুবকের এমন মৃত্যুবরণও গান্ধীর মন গলাতে পারলো না।
২) ভগত সিং তখন জেলে এবং ফাঁসীর ঘোষনা হয়ে গেছে। তাই চন্দ্রশেখর আজাদ তাঁকে বাচানোর জন্যে গান্ধীর সাথে দেখা করতে চান, কিন্ত গান্ধী বলেন যে তিনি কোনো আতঙ্কবাদীর সাথে দেখা করতে পারবেন না। অতঃপর আজাদ ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৩১ নেহেরুর সাথে দেখা করতে যান। সেখানে ভগত সিং কে বাচাতে মরিয়া আজাদের সাথে নেহেরুর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং আজাদ সেখান থেকে বেরিয়ে সাইকেল চেপে এক পার্কে গিয়ে বসেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্রিটিশের ২ ব্যাটেলিয়ান তাঁকে ঘিরে ফেলে, কিন্ত মহান বিপ্লবী নিজের গুলিতেই শহীদ হন। পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে নেহেরু গদ্দারি করেছিল।
৩) যেখানে ব্রিটিশও ভগত সিং এর ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হয়েছিলেন, কিন্ত গান্ধী তাকে বাচানোর কোনো চেস্টাই করলেন না উপরন্তু মহান বিপ্লবীকে গুন্ডা বললেন এবং একদিন আগেই ফাঁসীতে মত দিলেন।
৪) জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকারী মাইকেল ডায়ারকে বীর বিপ্লবী উধম সিং যখন ইংল্যান্ড গিয়ে হত্যা করে বদলা নিলেন তখন গান্ধী এই বীর বিপ্লবীকে পাগল বললেন।
৫) ১৯৩৮ সালে সুভাষ বিনা প্রতিদন্দীতায় সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেস সভাপতি হলেন। কিন্তু ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সুভাষের বিদ্রোহ গান্ধী সহ্য করতে পারলেন না, তাই ১৯৩৯ সালে সুভাষের বিরুদ্ধে সীতারামাইয়া পট্টভিনায়ককে দার করালেন এবং ঘোষনা করলেন যে সীতারামাইয়ার পরাজয় হবে তার পরাজয় ও যদি সুভাষ জয়ী হন তবে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সুভাষ একা একদিকে আর কংগ্রেসের বাকি সব ন্যাতা যেমন- গান্ধী, নেহেরু, প্যাটেল, গোবিন্দবল্লভ পন্হ, ভুলাভাই দেশাই, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সরোজিনি নাইডু, আবুল কালাম সহ সবাই একদিকে। কিন্তু সুভাষ সবাইকে গোহারা হারালেন, তবুও গান্ধী রাজনিতি ছাড়লেন না বরং সুভাষের সাথে শয়তানি করে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করলেন।
৬) গান্ধী প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশের হয়ে সৈন্য বাছতেন, সেই যুদ্ধে ১৩ লাখ ভারতীয় ব্রিটিশের হয়ে লড়লেন এবং ৭২ হাজার শহীদ হন। এটা কি অহিংসা? ২য় বিশ্বযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে নেতাজি যখন যুদ্ধের জন্য তৈরী, তখন গান্ধী বললেন সুভাষ দেশের শত্রু এবং আরও বললেন যে যদি ব্রিটিশই পরাধীন হয় তবে ভারতের স্বাধীনতা পেয়ে কি লাভ? এখন ব্রিটিশকেই সাহায্য করা উচিত এবং করলেন। তা যুদ্ধ কি অহিংসার পথে হয়েছিল ? গুলির বদলে কি লাড্ডু বিতরন হচ্ছিল?
৭) এই কাঙ্গালীর দেশে তিনি কিভাবে ভালো খান, আর কিভাবেই বা ধনীর মতো থাকেন? গরীব গান্ধীর প্রতিদিনের খাবার ছিলো যেমন- কাজু, আখরোঠ, বাদাম, মোসম্বি, বেদানা, লেবু, আপেল, গরুর দুধ, ছাগলের দুধ, ক্ষীর, রুটি আরও অনেক কিছু। এছাড়া গরমকালে ঠান্ডা এটেল মাটিতে পেট রেখে ঘি দিয়ে পা মালিশ করাতেন। সরোজিনী নাই ডু একবার বলেছিলেন " বাপু আপনাকে গরীব বানিয়ে রাখতে অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে।
নগ্ন হয়ে নারীদের সাথে একই বিছানায় নিশিযাপন করতেন, এটা নাকি তার ব্রম্মচর্যের পরীক্ষা। ডাক্তারের মতে ৪ সন্তানের বাবা 65 উর্ধ গান্ধীর পক্ষে ঐ পরীক্ষা সম্ভব নয়। তাই ঐ পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি ছিল সবার কাছেই সেটা পরিস্কার।
স্বামীজি এতো বড় ব্রম্মচারী হয়েও তার ব্রম্মচর্যের কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় নি।
৮) গান্ধী বলেছিলেন যদি দেশভাগ হয় তবে তা হবে তার মৃতদেহের উপর দিয়ে। কিনতু অবশেষে দেশভাগ হয়েছিল এই মুখোশধারী গান্ধীর সমর্থনেই।
যাইহোক অনেক বললাম। এবার শুনুন পর্দার আড়ালের আসল ঘটনাঃ
১৮৮৫ সাল, কংগ্রেসের প্রতিস্ঠাতা এলান অক্টিভিয়ান হিউম একজন ব্রিটিশ। সারা ভারত তখন স্বামী বিবেকানন্দের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ, তাঁর বাণী "জন্ম হইতেই তোমরা মায়ের বলী প্রদত্ত".... ব্রিটিশ দেখল যদি এই জাতীয়তাবাদ চলতে থাকে তবে তাদের সাম্রাজ্য ধংস হয়ে যাবে। তাই তাদের একটা প্রতিরোধ গড়তে হবে।
অসফল ব্যারীস্টার গান্ধী সাউথ আফ্রিকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে আসেন ৪৬ বছর বয়সে এবং ৫ বছরের মধ্যে কংগ্রেসের সর্বেসর্বা হয়ে যান কিভাবে? ভারত ধর্ম ভীরু দেশ এবং এই দেশ সন্ন্যাসীকে আগাগোড়াই শ্রদ্ধা করেন। তাই ব্রিটিশ গান্ধীকে কংগ্রেসের সর্বেসর্বা বানিয়েছিলেন স্বামীজির কাউন্টার হিসেবে। যাতে তারা এই কংগ্রেসের প্লাটফর্মকে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে পারেন। কারন তারা জানতেন গান্ধীর থেকে তাদের কোনো জীবননাশের ভয় নেই।তাই তারা বিপ্লবীদের দমাতে গান্ধীকে ফোকাসে রেখেছিলেন। এটাই সত্য।

No comments:

Post a Comment

Popular Posts