Monday 22 March 2021

লজ্জা করে না?

পাঁচু দা বাড়িতে বসে তুলসীপাতা চিবোতে চিবোতে প্রার্থনা করছে,
"হে ভগবান, রোগজ্বালা থেকে তুমি আমাদের রক্ষা করো"।

তা দেখে ঘনাদা বললো,
"ওরে পাঁচু, মানুষ বিজ্ঞানের সাহায্যে চাঁদে চলে গেল, বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন রোগের ওষুধ আবিষ্কার করে ফেললো, আর তুই এখনো আদ্যিকালের পদ্ধতি ব্যবহার করছিস"?

পাঁচুদা রেগে গিয়ে জবাব দিলো: 
"সে তো টেস্টটিউবেও বেবী তৈরী হচ্ছে, তা সত্ত্বেও বিয়ের পরে তুই সেই পুরনো  পদ্ধতিতেই কাজ চালাচ্ছিস্, লজ্জা করেনা আমাকে জ্ঞান দিতে "?

দাদা ও বৌদির গল্প

~ এই শুনছ, আমাদের বেসিনের কলটা দিয়ে সারাক্ষন জল পড়ছে, কিছু একটা ব্যবস্থা কর নাগো!
  ~  দুর, আমি কি করব? আমি কি কলের মিস্ত্রি নাকি?
     এই বলে দাদা আড্ডা মারতে বেরিয়ে  গেলেন। 
        
    দুদিন পর বৌদি  বললেন, 
 ~ দেখেছ আমাদের রান্নাঘরের দরজাটা কেমন আটকে আটকে যাচ্ছে, ভালো করে বন্ধ করা যাচ্ছে না।
  ~ আমি কি কাঠের মিস্ত্রি নাকি? ওসব আমার দ্বারা হবে না।
   এই  কথা বলে দাদা তাস খেলতে বেরিয়ে গেলেন।
  আবার কদিন পর..
 ~  বেডরুমের ফ্যানটা ঘুরলে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ হচ্ছে, কিছু  কর বাপু।
  ~ আমি তো আর ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নই, আমার এখন অনেক কাজ। কাল অফিসের কাজে তিনদিনের জন্য বর্ধমান যেতে হবে। সব পেপারস গুছিয়ে নিতে হবে।
     তিনদিন পরে দাদা ফিরে দেখলেন সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। 
 ~ কল, দরজা, ফ্যান কে সারালো গো?
 ~ ঐ তো, বাবুয়া ঠাকুরপো।
 ~ তা কত খরচ হল?
 ~ এক পয়সাও না।
 ~ মানে? বিনা পয়সায় সব হল?
 ~ হ্যাঁ, ঠাকুরপো বলল "সব ঠিক করে দেব, হয় আমাকে নিজের হাতে মিষ্টি  বানিয়ে খাওয়াও নয়ত আমার সাথে  দুদিনের জন্য দীঘা চল।"
 ~ তা কি মিষ্টি বানালে?
 ~ দুর, আমি ময়রা নাকি?
                        😜😜😜😂😂

Friday 19 March 2021

জগার ভুল

আমাদের জগার ইদানিং সব ভুল হয়ে যায়। 
বাথরুম থেকে বেরিয়ে আলো নেবাতে ভুলে যায় । আলো জ্বলতেই থাকে। আলমারি থেকে জামা বের করে আলমারি বন্ধ করতে ভুলে যায় । ভিজে গামছা বা তোয়ালে মেলতে ভুলে যায় । এমনি অগুণন্তি ভুল।
বিপদটা সেখানে নয় আসল বিপদটা জগার গৃহকর্ত্রীর কোনও কিছুই নজর এড়ায় না। গম্ভীর মুখে বাথরুমের আলো নেবান। কখনও আলমারি বন্ধ করেন। 
তারপর বলেন, "কবে দেখব বাথরুমে গিয়ে দাড়ি কামানোর বদলে মাথার চুল কামিয়ে বেরোলে।"
জগা হেসে জবাব দিল , "এখন ন্যাড়া হওয়াটাও ফ্যাসান"।
.
রোজকার নিয়মে জগা অফিস থেকে ফিরে চা খাচ্ছে, বউ পাশে এসে বসে বলল, "ডাক্তারের কাছে চলো। যে রেটে তুমি ভুলে যাচ্ছ কবে দেখব অন্যের বউকেই নিজের বউ ভেবে এনে হাজির করলে।"
জগা একটু তেল মেরেই বলল, "ধুর এ ভুল কক্ষনো হবে না। তুমি আমার হৃদয়ে খোদাই হয়ে আছো। আর সব ভুলের জন্য যে আমি একাই দায়ী তাও তো নয়। এই যে আজ তুমি আমার ভেতরে পরার সাদা গেঞ্জির পাশে তোমার  ব্রা টা রেখেছিল, সেটা তোমার ভুল নয়?"
জগার বউ যেন ইলেকট্রিক শক খেল। বলল, "তার মানে তুমি গেঞ্জির বদলে ওটা  পরে অফিস চলে গিয়েছিলে নাকি ? হা ভগবান! কী হবে আমার!"
একটু সময় নিয়ে জগার গিন্নি নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,"তাও ভাল যে ওর ওপর জামা পরা ছিল, নইলে কী যে হতো!"
জগা বলল, "খিচুড়ি খেতে আমি ভালবাসি, তাই খিচুড়ি খাওয়ার সময় বেশি খাওয়া হয়ে যায়, জানোই তো তুমি। তাও যে আজ খিচুড়ি করলে, সে কি আমার দোষ?"
জগার বউ নির্বাক হয়ে জগার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে রইল ।
জগা বলল, "অফিসে কাজ করছি এমন সময় ঘাম-টাম দিয়ে একসা। বদহজম থেকে গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তো অফিসের সবাই বলল, দাদা জামাটা খুলে একটু বসো। জোর করে ওরা সবাই জামা খুলিয়েই ছাড়লো। এক গাদা মেয়ে কলিগ, জামা খুলতে অস্বস্তি হচ্ছিল, কিন্তু ওরা শুনলে তো? জামা খোলার পরেই দেখলাম সব মেয়েগুলো দৌড়ে পালিয়ে গেল। আর ছেলেরা ফিকফিক করে হাসছে। কেন রে বাবা? এত হাসার কী হলো? তখনই দেখলাম আমি কি কেলোটা করেছি। আমার গেঞ্জি ভেবে তাড়াহুড়োয় তোমার ইয়েটা পরে চলে এসেছি।" 
.. জগার গৃহিণী জ্ঞান হারালেন।🤦‍♀️🤦‍♀️🤦‍♀️🤦‍♀️

😜😜😜😜😜😜

Thursday 18 March 2021

হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো

বিশ্বপিতা ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে বলছেন - ''হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!''

'ছোটদের বাইবেল' পড়ে ছোটবেলাতেই এই কথাটি বড় মনে ধরে হরিপদদার..! সময়ে অসময়ে বিড়বিড় করেন আজও, কারণে.. অকারণেও।

টিফিন টাইমে সিনেমা দেখতে গিয়ে চারবন্ধু ধরা পড়ল। মিশনারী স্কুলে কড়া আইন। তিনজনের টিসি হাতেনাতে। কেবল হরিপদ সমাদ্দার বেঁচে গেল কারণ, হেড দিদিমণির ঘরে ঢুকতে ঢুকতে ভয়ের চোটে বিড়বিড় করছিল - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" কী জানি কী ভেবে হরিপদকেই সেদিন ক্ষমা করে দেন দিদিমণিরা। 

ওজন করে, টাকা পয়সা মিটিয়ে চিংড়িগুলো থলিতে নিতে নিতে বিড়বিড় করছিলেন - 'হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!' কী জানি কী কারণে আরো চারটে চিংড়ি থলিতে পুরে দিল গণশা..!

শোকজের চিঠিটা হাতে পেতেই হার্টবিট বেড়ে গেছিল। পাঁচজন স্যারের মুখোমুখি প্যান্ট হলুদ। একের পর এক চোখা প্রশ্ন। চাকরি যায় যায়..! হঠাৎ বিড়বিড় করে উঠলেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" পাঁচজোড়া চোখ স্থির। চাকরি বহাল রইল হরিপদদার।

সেদিন হোটেলে খেতে বসে বিড়বিড় করছিলেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" হঠাৎই ছোঁ মেরে প্লেট তুলে নিল একজন - "আপনাকে মালিক ডাকছে..!" ভেতরে যেতে হাত পা ধরে কান্নাকাটি এক ভদ্রলোকের - "কাউকে বলবেন না প্লিজ, মারা পড়ে যাব। এই দেখুন সব ফেলে দিয়েছি..!"
হরিপদদার চোখের সামনে নালিতে উজাড় প্রচুর মাংস..দুর্গন্ধ..!!

মান্তির মা আ.সি.ইউ-তে। রোজ পঁচিশ হাজার বেরিয়ে যাচ্ছে। যমে মানুষে টানাটানি, ডাক্তার হাল ছাড়ছে না। রিসেপশনে বসে হরিপদদা নিজের খেয়ালেই অভ্যেসমতো বিড়বিড় করছেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" ডাক্তার ডেকে পাঠালেন চেম্বারে - "বুঝতেই তো পারছেন ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার, আমাদের হাত পা বাঁধা। পাঁচ কান করবেন না, লাস্ট তিনদিনের বিল দিতে হবে না..ডেড বডি রিলিজ করে দিচ্ছি..!"

আজ বড়দিন। ছেলে মেয়ে গিন্নীর সঙ্গে জমিয়ে মাংস ভাত। খেতে খেতেই হরিপদদার বিড়বিড় - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!"
হঠাৎ ভ্যাবাচাকা খেয়ে তিন্নি বললো - "ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, ভাল ঘরের ছেলে.. আমি নিজেই তোমাদের বলতাম..!"
খেয়ে উঠে নন্তু হরিপদদার কানের কাছ এসে বলে গেল - "বন্ধুরা জোর করল, তাই দু'টান দিচ্ছিলাম। আর খাব না।"
শুতে এসে বাবলির মুখঝামটা - "না হয়, প্যান্টের পকেট থেকে তিনশো টাকা নিয়েছি.. তা বলে খেতে বসে, ছেলে মেয়ের সামনে.. ওভাবে বলবে..!!"

হরিপদ সমাদ্দার মুখে খিলি পান গুঁজে বিড়বিড় করেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!"

😜😜😜😜😜😜😜😜😜😜😜😜

Popular Posts