কলিযুগে যদি মহিষাসুরমর্দিনী জন্মাতেন তাহলে অত কষ্ট করে, যুদ্ধ করে, রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে আমাদের মা দুর্গা ভিলেনেশ্বর মহিষাসুরকে বধ করতেন না, বাঙালির রক্তে ল্যাদ তো আছেই ..তাই না? । তার কাছে অনেক সহজ উপায় ছিল ..অনেক মডার্ন পন্থা অনুসরণ করতেন ..
এই যেমন ধরুন ..ব্যাটাকে একটু হাত-পা বেঁধে কানে হেডফোন গুঁজে টোস্ট বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে রুমা ঘোষের গান বা দিদির হিন্দি/ইংলিশ বক্তৃতা শুনিয়ে দিতেন ..পুরো টোটাল "গ্রাভিটি অফ দি পরিস্থিতি" হয়ে যেত, যদিও ভাটশ্রী বিপ্লব দেবের বাণী একই কাজ দিত বা সন্ধ্যাবেলায় টিভির সামনে বসিয়ে এক কাপ চা দিয়ে হালকা করে "সাত ভাই চম্পা" দেখিয়ে দিতেন বা দেবের পাগলু ২ বা পাথরম্যানের গ্যাংস্টার .. ব্যস কেল্লা ফতে ।
আরো অনেক সহজ উপায় ছিল ..পশ্চিমবঙ্গে জেনারেল ক্যাটাগরিতে জন্ম করিয়ে দিতেন ঋষিবরকে Sms করে,ব্যস! ব্যাটা পাষন্ড চাকরি খুঁজতে খুঁজতে বেকারত্বের জ্বালায় মরে যেত বা বাংলা যেকোন বোর্ড KU,SU,CU, VU তে কোনকিছু অনার্স নিয়ে ভর্তি করালেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যেত ।
বা ধরুন ভুলিয়ে-ভালিয়ে কলকাতায় ঘুরতে নিয়ে আসতেন, কোন ব্রিজের তলায় রেখে পালিয়ে যেতেন, ব্যস! নিমিষে কেল্লাফতে! রেস্তোরাঁর মাংস খাওয়ালেও ব্যাটা পেটে গলযোগ বাধিয়ে নির্ঘাত মরত!
আবার ধরুন ব্যাটাকে শিক্ষিত করার মন্ত্র নিতেন,কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করে দিতেন, মেসে থাকত আবার স্টুডেন্ট অসুর.. যেই মেসের খাবার মুখে তুলেছে.. ব্যস ছবি!
তারপরে ধরুন একটু ফুসলে-ফাসলে coc এর নেশা ধরাতেন, ব্যাটা অসুর খেটে-খুঁটে Th10 বানাত, একদিন সুযোগ বুঝে গুগলে ব্যাইন্ডিং না করিয়েই তা ঝপ করে ডিলিট করে দিতেন ..ব্যস! অসুর ব্যাটা শেষে ডিপ্রেশনে ভুগে ভুগে মোমো খেলে দশতলা ঝাঁপ দিয়ে মরত ।
তবে হ্যাঁ! সবথেকে সহজ উপায় হয়তো এটাই নিতেন .. অসুরকে মানুষ করে তুলতেন, ভদ্র-সভ্য-পুরো ঝিকঝাঁক .. তারপরে অসুরকে ভালোবাসতে শেখাতেন ..ব্যস! হ্যা! মশাই ..সত্যিকারের ভালোবাসা!
অসুর তারপর থেকে রোজ রোজ বধ হত ..
Friday, 7 September 2018
অসুর বধ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
একদা কোন এক সময়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাধ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি সামসুর রহমান বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন । আড্ডা দেওয়ার এক পর্...
No comments:
Post a Comment