Monday, 18 November 2019

তৃষ্ণার্ত কালিদাস



*কালিদাস*  --  মা আমি বড়ই তৃষ্ণার্ত , একটু জল দিন বড়ই পূণ‍্য হবে ।

*বৃদ্ধা* ---- বাবা তোমায় তো আমি চিনি না , নিজের পরিচয় দাও,
আমি অবশ্যই জল খাওয়াবো।

*কালিদাস বললেন* -----  আমি পথিক,  দয়া করে একটু জল দিন।


*বৃদ্ধা বললেন* ---- তুমি পথিক কি করে হতে পারো ?  পথিক তো কেবল দুজন,  এক সূর্য ☀  দ্বিতীয় চন্দ্রমা🌙   এরা কখনো থামেন না সর্বদাই চলায়মান । তুমি এদের মধ্যে কে সত্যি করে বল ?

*কালিদাস বললেন*  -----  তাহলে আমি অতিথি , বড়ই তৃষ্ণার্ত দয়া করে আমাকে একটু জল পান করান।

*বৃদ্ধা বললেন* ----  তুমি অতিথি কি করে হতে পারো ?   সংসারে দুজনই মাত্র অতিথি,  এক অর্থ বা সম্পদ আর দ্বিতীয় যৌবন --  এরা আসেন আবার চলেও যান , সত্যি করে বলো তুমি কে?

*কালিদাস তর্কে পরাজিত এবং হতাশ হয়ে বললেন*  ----  আমি একজন সহ্যশীল, এবার অন্তত একটু জল দিন!

*বৃদ্ধা বললেন*  ----  না না সহ্যশীল তো মাত্র দুজন,  এক ধরিত্রী যিনি পাপী-পুণ্যাত্মা সকলের ভার গ্রহণ করেন বা বহন করেন। দ্বিতীয় বৃক্ষ ---- তাকে যতই পাথর দিয়ে আঘাত করো তবু সে মিষ্টি ফল দিয়ে সেবা করে যায় । সত্যি বলো তুমি কে?

*কালিদাস বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে বললেন* ---- তাহলে আমি উদ্ধত  হঠকারী এবার অন্তত একটু জল তো দিন ।

*বৃদ্ধা বললেন* ----  অসত্য বলছো । হঠকারী দুই -- এক নখ আর দ্বিতীয় চুল এদের যতবারই কাটো এরা বার- বার বেড়েই ওঠে । সত্য বল ব্রাহ্মণ  তুমি কে ?

*অপমানিত পরাজিত কালিদাস বললেন* ----  তাহলে ধরুন আমি মূর্খ , এবার একটু জল দেবেন কি ?

*বৃদ্ধা বললেন* ----  না,  তুমি মূর্খ কি করে হতে পারো ? মূর্খ তো দুজন !   এক এমন রাজা ----  যিনি বিনা যোগ্যতাতেই  সবার উপর শাসন করেন । আর দ্বিতীয় এমন রাজপন্ডিত বা পুরোহিত যিনি রাজা কে প্রসন্ন করার জন্য ভুলভাল তর্কের সাহায্যে ভুলকেও সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করেন ।

*কালিদাস* ---  আর কিছু না বলতে  পেরে সটান বৃদ্ধার পায়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।

*বৃদ্ধা বললেন* -- *ওঠো বৎস* কন্ঠস্বর অন্যরকম হওয়ায় কালিদাস চোখ তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে দেখলেন স্বয়ং *মা সরস্বতী* তাঁর সামনে দণ্ডায়মান । *কালিদাস* করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ।

*মা বললেন* ---  বৎস সর্বদা মনে রেখো শিক্ষা বা বিদ্যা কখনো দম্ভ বা অহংকার দেয় না ,  যা দেয় তা হল *বিনয় এবং বিনম্রতা* ।

________________________________

_চলুন আমরা সকলেও *বিনয় এবং বিনম্রতার* সাধনায় রত হই_
🙏🙏🙏

Tuesday, 5 November 2019

ধর্ষিতা বাঙালী



১৯৭১ এর তথ্যগুলো নতুন প্রজন্মদের
জানা বিশেষ জরুরী।
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক এক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন এই বলে- যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছিলো।
তাদের সরল জবাব ছিলো;
আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো যে,
একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। 
তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।
যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে।
তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী।”
আজ কেন যেন মনে হয় টিক্কা খান এবং নিয়াজীরা একাত্তরে হেরে গেলেও আসলে জিতে গেছে।
আজ রাস্তা-ঘাটে পাকিস্তানীদের অসংখ্য সমর্থক পাওয়া যায়।
পুরান ঘটনা ভুলে গিয়ে পাকিস্তানীদের শীতল ঘৃণার পরিবর্তে উষ্ণ ভালোবাসাও দেয়।
বর্তমানের তরুণেরা কি জানে একাত্তরের মার্চে মিরপুরের সেই বীভৎসতার কথা?
এক বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে
ধরে এনে পাকিস্তানীরা,
কাপড় খুলতে বলেছিল সবাইকে।
রাজি না হওয়ায় বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে।
এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানের তরুণেরা কি জানে,
একাত্তরে বাঙ্গালী নারীদের পাকিস্তানী সেনারা ধরে এনে কি পৈশাচিক নির্যাতন করতো?
রাজারবাগে পুলিশ লাইনে ধরে আনা বাঙ্গালী নারীদের উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ত ওরা,
ধর্ষণ করতে করতে হঠাৎ ছুরি দিয়ে স্তন কেটে,
পশ্চাৎদেশের মাংস কেটে, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়তো ওরা।
মাঝে মাঝে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে যোনি থেকে গলা পর্যন্ত চিরে ফেলতো।
তারপর এ সকল মেয়ের লাশ অন্যান্য মেয়েদের সম্মুখে ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে বস্তার মধ্যে ভরে বাইরে ফেলে দিত।
আর ছোট ছোট বালিকাদের যখন ধর্ষনে সুবিধা করতে পারতো না, তখন ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দুজন দু পা দু দিকে টেনে ধরে চড়চড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিত।
একাত্তরের নয় মাস গোপনে হাজারো মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করার অপরাধে ডাঃ ফজলে রাব্বীকে ১৪ই ডিসেম্বর তুলে নিয়ে গিয়েছিল আলবদর আর পাকিস্তানীরা।
তাঁকে
হাত-পা আর চোখ বেঁধে ব্রাশফায়ার করে তুলে নিয়েছিল তার হার্টটা।
একাত্তরের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর নরপিশাচরা ৯৯১ জন শিক্ষাবীদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলীকে উলঙ্গ করে, চোখ বেঁধে, বেয়নেটে খুচিয়ে খুচিয়ে, মলদারে লাঠি ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছিলো।
এই তথ্যগুলো অবশ্য বাংলাদেশ নিবাসী এইসব আধুনিক পাকিমনাদের মনে কোন ছাপ ফেলে না।
পুরো দেশব্যাপি এরকম অসংখ্য লোমহর্ষক ঘটনা আছে,যা নতুন প্রজন্মদের জানা দরকার,জানা উচিৎ,জানানো উচিৎ...

Sunday, 3 November 2019

ব্যাংক ডাকাতি



ফ্রান্সের এক নামকরা ব্যাংকে....ব্যাংক ডাকাতির সময়...ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোন নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের!
কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার!
তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"
এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept” অর্থাৎ মানুষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।
সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার অসাবধানবশত তার কাপড় পা থেকে কিছুটা উপরে উঠে গিয়েছিল। ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional” অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, ঐটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো.....তখন এক ছোট ডাকাত(MBA পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে Class 5 পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) -কে বললো, "বস চলুন! টাকাটা গুনে ফেলি।"
ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনই প্রয়োজন নেই। একটু পরে টিভি অন করলেই, নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দেবে আমরা কত টাকা নিয়ে এসেছি। ;)
এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience"
অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, ব্যাংকের কর্মচারি...ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলুন পুলিশকে ফোন করে দিই...এখন ফোন করে দিলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না।
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদের -কে আমাদের জন্যই এই ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিত, তাহলে আমরা যে ৭০ লক্ষ টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।
কিছু সময় পরেই টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ লক্ষ টাকার ডাকাতি। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ লক্ষ এর বেশি বাড়াইতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো,"শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এত কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা নিলাম! আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ লক্ষ টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই ত বেশি লাভ হত।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!"
অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।(তরবারীর থেকে কলমের জোড় বেশি)
ব্যাংক ম্যনেজার হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ লক্ষ। ৭০ লক্ষ টাকার গরমিল করেও সে আরো ১০ লক্ষ টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Seizing the opportunity/Daring to take risks!"
অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত। ;)
**********************************

Saturday, 2 November 2019

মদের গুনগান



DRINK শব্দের এক এক  Alphabet এক এক পেগের গুনা গুন দেখে করা হয়েছে যেমন 

১. যদি প্রথম পেগ নেওয়া হয় ,তো সেটা Digestion এর জন্য ভালো সেই জন্য তার "D" নেওয়া হয়েছে 😌

২.যদি দ্বিতীয় পেগ নেওয়া হয় তো , সেটা  Relaxation এর জন্য ঠিক, সেই জন্য তার "R" নেওয়া হয়েছে😴

৩. যদি তিন নম্বর পেগ নেওয়া হয় তো, সেটা আপনাকে Intelligent বানিয়ে দেয়, সেই জন্য তার "I" নেওয়া হয়েছে 🤓

৪. যদি চতুর্থ পেগ নেওয়া হয় তো, সেটা আপনাকে "Naughty "বানিয়ে দেয় , সেই জন্য তার " N"নেওয়া হয়েছে 😜 

৫. আর যদি পঞ্চম পেগ নেওয়া হয় তো, সেটা আপনাকে একদম " KING" বানিয়ে দেয়, সেই জন্য তার " K" নেওয়া হয়েছে 🤴

সমস্ত মদ ভক্ত দের  শ্রদ্ধা পূর্বক "সমর্পিত"😋

Friday, 1 November 2019

বাঙ্গালি! বাঙ্গালি হোতা হ্যায়



নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী মুম্বইয়ের একটি ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে 50,000/- টাকা Loan চাইলেন।ব্যাংক ম্যানেজার গ্যারান্টি চাইল। বাঙ্গালি বাবু ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের BMW গাড়িটি দেখিয়ে বললেন, ওটি গ্যারান্টি রাখতে পারেন। Bank manager গাড়ীর কাগজপত্র দেখে বাঙ্গালি বাবুকে 50,000/ টাকা Loan দিতে রাজি হলেন। বাঙ্গালি বাবু ৫০,০০০ টাকা নিয়ে চলে গেলেন। এক কোটি টাকার গাড়ী মাত্র ৫০০০০ টাকায় বন্ধক রেখে যাওয়াতে ব্যাংকের কর্মচারীরা বাঙ্গালির বোকামিতে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে লাগলেন।
দুই মাস বাদে, বাঙ্গালি বাবু ব্যাংকে এসে নিজের গাড়ী ফেরত চাইলেন এবং ৫০,০০০ মূল আর ১২৫০ টাকা সুদ দিয়ে গাড়ী ছাড়িয়ে নিলেন।
ম্যানেজার থাকতে না পেরে জিগ্যেস করলেন,
"Sir, কোটিপতি হয়েও মাত্র ৫০,০০০ টাকার জন্য নিজের BMW গাড়ী কেন বন্ধক রাখতে হলো একটু বলবেন? বাঙ্গালি বাবু, দেখুন- আমার দুই মাসের জন্য আমেরিকা যাওয়ার ছিল। কলকাতা থেকে মুম্বাই এসে গাড়ি parking করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। Parking ওয়ালারা দুই মাসের জন্য ১০,০০০ টাকা চাইছিল। আপনার এখানে মাত্র ১,২৫০ টাকায় আমার কাজ হয়ে গেল। গাড়ি টাও secured থাকল। তাছাড়া আপনি ৫০,০০০ টাকাও দিলেন খরচ করার জন্য। ধন্যবাদ। ম্যানেজার বেহূঁশ।
🚘 বাঙ্গালি! বাঙ্গালি হোতা হ্যায় ভাই!! 🚘

Popular Posts