Monday 30 September 2019

পাঁদের ফ্লেভার



বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার টেবিলে খেতে বসে এক ভদ্রলোক অনেক কষ্টেও বায়ু আটকাতে না পেরে পুক করে দিয়ে ফেললেন। সেটিকে make up করার জন্য তিনি মুখ দিয়ে বারবার পুক পুক পুক শব্দ করতে লাগলেন। যেন প্রথম শব্দটি মুখ থেকেই বেরিয়েছে।
তা দেখে পাশের ভদ্রলোক বললেন --
"যতই চেষ্টা করুন দাদা, ফ্লেভারটা কিন্তু প্রথমটার মতো আসছে না...!!"
蠟

Sunday 15 September 2019

জিতবেন আপনিই



বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু।
আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে। তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
- এর পর, বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আপনি মারা যান নি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায়। আপনি এখনো বেঁচে আছেন ।
- অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায়। আপনার কিছুই হয় নি ।
- বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, আপনি এখনো আছেন ।
আর আজ......
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন ? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে, ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
কেনো একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে,
সেটা মেনে নিতে পারেন না?
কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন??
কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন?
আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন। নিজেকে সময় দিন, মনকে প্রশ্ন করুন কি প্রতিভা আছে আপনার। মনের চাওয়া কে সব সময় মূল্য দিন, সব সময় সৃষ্টিকর্তা কে স্বরণ করুন। দেখবেন আপনি জিতে যাবেন,
শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।

Tuesday 10 September 2019

সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস



যিনি বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন,
আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন,সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।
একথা শুনে আইনস্টাইন তো অবাক!
উনি তখন বললেন,
বেশতো!
তাহলে এর পরের মীটিংয়ে যেখানে যাবো,তারা আমাকে চেনেন না, একেবারে নতুন এলাকা৷ চাইলে তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিতে পারো, আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো৷
সুযোগ পেয়ে পরের সভায় তো ড্রাইভার হুবহুব আইনস্টাইন এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন। উপস্থিত বিজ্ঞজনেরা তুমুল করতালি দিলেন৷
এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন।
সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন,
স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সঙ্গাটা বললেন,অনুগ্রহ করে আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?
আসল আইনস্টাইন দেখলেন ড্রাইভারেরতো বিপদ!
এবারতো ড্রাইভার ধরা পরে যাবে৷
কিন্তু তিনি ড্রাইভার এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন, ড্রাইভার উত্তর দিল।
এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ?
আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে৷
———*———
বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।
তাই কথায় আছে!
"সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"

Thursday 5 September 2019

যুবক vs বৃদ্ধ



এক বৃদ্ধ ট্রেনে উঠেছে। বগিতে বৃদ্ধ একাই ছিলো৷ হঠাৎ ১২ জন যুবক চলন্ত ট্রেনের ঐ বগিতে উঠেই চিৎকার করে গান গাচ্ছিলো। ছুরি দিয়ে আম কেটে কেটে খাচ্ছিলো।
হঠাৎ একটি যুবক বলে উঠলোঃ "চল আমরা ট্রেনের চেইনটা টেনে ট্রেনটাকে থামিয়ে দেই।"
২য় যুবকঃ "না দোস্ত, লেখা আছে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অনাথায় ছয় মাস জেল।"
১ম যুবকঃ "আমরা একশো টাকা করে চাঁদা তুলি।
বারোশো টাকা হবে বাকী সাত শো টাকা দিয়ে
লাঞ্চ করবো। Let's fun friends" (বারোশো টাকা তুলে ১ম যুবকের পকেটে রাখলো)
৩য় যুবকঃ "দোস্ত, আমরা চেইন টেনে ঐ বুইড়াটাকে দেখিয়ে দিলে পাঁচ শো টাকাও বাঁচলো Fun হলো৷ আমরা ১২জনের সাক্ষী দিলে টিটি মেনে যাবে।"
বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বললোঃ "বাবা,
তোমরা আমার ছেলের বয়সী। কেনো আমাকে বিপদের মধ্যে ফেলবে।"
যুবকগুলো বৃদ্ধের অনুরোধ অবজ্ঞা করে চেইনটা টান
দিতেই। টিটি চলে এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ "কে চেইন টেনেছে?"
যুবকগুলো বৃদ্ধকে দেখিয়ে বললোঃ "ঐ চাচা মিয়া
টেনেছে।"
টিটি বৃদ্ধকে বললোঃ "অকারনে চেইন টানলে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাস জেল।"
যুবকগুলো চিৎকার করে বললোঃ "স্যার, বুইড়া অকারনেই টেনেছে। হো হো হো হো........."
বৃদ্ধ একটু দাঁড়িয়ে বললোঃ "টিটি সাহেব আমি বিপদে পড়েই চেইন টেনেছি।"
টিটি বললোঃ "কি বিপদ?"
বৃদ্ধ বললোঃ "ঐ যুবকগুলো আমার গলায় ছুরি ধরে
আমার বারো শো টাকা ছিনতাই করেছে।"
টিটি বললোঃ "কি সর্বনাশ?"
বৃদ্ধ বললোঃ "দেখুন, ঐ যুবকটির পকেটে টাকা আর ঐ ব্যাগে ছুরি।"
টিটি পুলিশ কল করে ১২জন যুবককে গ্রেফতার
করে নিয়ে যাচ্ছিলো।
তখন বৃদ্ধ তাঁর পাঁকা চুল/দাঁড়ি দেখিয়ে যুবকগুলোকে বললোঃ "এইগুলো বাতাসে পাকে নাই।"

Sunday 1 September 2019

বুড়ির বাজি

ব্যাংকে এসে এক বুড়ি মহিলা ব্যাংক
ম্যানেজারকে বললঃ আমি কিছু টাকা
ব্যাংকে রাখতে চাই...
ম্যানেজার জিজ্ঞেস করলঃ কত আছে? .
বুড়ি বললঃ হবে ১০ লাখের মত....
ম্যানেজার বললঃ বাহ! আপনার কাছে বেশ
ভালোই টাকা আছে। আপনি করেন কি?
বুড়ি বললঃ তেমন কিছু না খোকা ।
ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় বাজি লাগাই।
আর বাকি সময় সবার সাথে যেকোনো
ব্যাপারে বাজি খেলি।
ম্যানেজার বললঃ শুধু বাজি লাগিয়েই এত
টাকা জমিয়েছো? তাজ্জব ব্যাপার !
বুড়ি বললঃ তাজ্জবের কিছু নেই খোকা।
আমি এখুনি এক লাখ টাকা বাজি ধরতে
পারি যে, তোমার মাথায় ফলস চুল
লাগানো...
ম্যানেজার হাসতে হাসতে বললঃ না
দিদা। আমি এখনো যথেষ্ট যুবক ।আর মাথায়
ফলস চুল লাগানো নেই।
বুড়িঃ তাহলে লাগাবে কি বাজি?
ম্যানেজার মনে মনে ভাবল, এই বুড়ি পাগল
মনে হচ্ছে। যাই হোক ১ লাখ টাকা ফ্রিতে
কামানো যাচ্ছে, তো অত ভেবে লাভ কি...?
ম্যানেজার রাজি হয়ে গেলো...
বুড়ি বললঃ যেহেতু এক লাখ টাকার ব্যাপার
তাই আমি কাল সকাল ১১ টায় আমার উকিল
নিয়ে এই কেবিনে আসব। আর ওর সামনেই
প্রমান করা হবে। আপনি কি রাজি ?
ম্যানেজার বললঃ ঠিক আছে। আমি রাজি।
ম্যানেজারের রাতে ঘুম আসলো না, সারা
রাত ঐ বুড়ি আর ১ লাখ টাকার কথা ভাবতে
থাকে...
পরের দিন সকালে ঐ বুড়ি উকিল নিয়ে ঠিক
১১ টায় ম্যনেজারের কেবিনে এসে
উপস্থিত।
বুড়ি ম্যানেজার কে বললঃ আপনি কি
রেডি?
ম্যানেজার বললঃ একদম রেডি।
বুড়ি বললঃ যেহেতু প্রমানের দরকার তাই
আমি আমার উকিলের সামনে আপনার চুল
টেনে প্রমান করতে চাই যে চুল আসল না
নকল।
ম্যনেজার ভাবল, এক লাখ টাকার ব্যাপার...
একটু চুলই তো টানবে! তাই সে রাজি হয়ে
গেলো....
বুড়ি ম্যানেজার এর পাশে গেলো আর চুল
ধরে টানতে শুরু করল। আর ঠিক ঐ সময়ই বুড়ি'র
সাথে আসা উকিলটা দেওয়ালে মাথা
ঠুকতে শুরু করে দিলো...!
ম্যানেজার বলে উঠেঃ আরে আরে উকিল
বাবু কি হলো ???
বুড়ি হাসতে হাসতে বললঃ কিছু না। শক
খেয়েছে। আসলে ওর সাথে ৫ লাখ টাকার
বাজি ধরেছিলাম যে আজ সকাল ঠিক ১১
টায়, শহরের সবথেকে বড় ব্যাংকের
মানেজারের চুলের মুঠি ধরে টানব।

Popular Posts