1947এ স্বাধীনতার দলিলে সই ছিল ক্লিমেন্ট এটলীর, তখন তিনিই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তারপর যথারীতি নেহেরু গদিতে, গান্ধীজী জাতির জনক।
গোটা বিশ্ব জেনে গেল চরকা কেটে, অহিংসাবাদে ভারত স্বাধীনতা পেল। ইতিহাস ওইভাবে রচিত হলো...আজও জনগণ সেটাই মনে করে।
এর প্রায় নয় বছর পর, 1956 এ ক্লিমেন্ট এটলী আবার একবার আসেন ভারতে।রাত্রিবাস করেন কোলকাতাতে, গেস্ট হাউসে, তৎকালীন গভর্নর স্যার পি. বি. চক্রবর্তীর আথিতেয়তায় ।
পি.বি.চক্রবর্তী জিজ্ঞেস করেছিলেন, প্রায় দুশো বছর শাসন করার পর, এত চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে স্বাধীনতা দিল কেন তাঁর দেশ?
এটলী উত্তর দিয়েছিলেন : সুভাষচন্দ্র।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর ঘটনার পর, ভারতের তৎকালীন স্থলবাহিনী, জলবাহিনীর সৈনিকেরা ততদিনে নব্বই শতাংশই বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিল মনে প্রাণে। এদের দিয়ে আর ভারতবর্ষ শাসন করা যেত না!
যেকোন মুহুর্তে শুরু হত বিদ্রোহ জানিয়েছিল ব্রিটিশ গুপ্তচর বিভাগ। আর যুদ্ধক্লান্ত ব্রিটিশদের সেটা সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না।
পি.বি.চক্রবর্তী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন : তাহলে গান্ধীজী? অহিংস আন্দোলনের প্রভাব?
ঘুম জড়ানো চোখে এটলী উত্তর দিয়েছিলেন :
"মি-নি-মা-ল"
"অতি সামান্য প্রভাব ছিল ওসবের"
Saturday, 20 April 2019
সুভাষচন্দ্র
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
একদা কোন এক সময়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাধ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি সামসুর রহমান বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন । আড্ডা দেওয়ার এক পর্...
No comments:
Post a Comment