এক মহিলা একটা অজগর সাপ পুষতো।
সাপটাও মহিলাকে অসম্ভব ভালবাসতো। অজগরটা লম্বায় এবং দেখতেও বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল।
একদিন হঠাৎ তার আদরের অজগর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।
কয়েক সপ্তাহ চলে গেল, কিন্তু সাপ কিছুই খায় না।
আদরের সাপের এমন অবস্থায় মহিলা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল এবং উপায়-বুদ্ধি না পেয়ে শেষমেশ সাপটাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার সাহেব মনযোগ দিয়ে সব শুনলেন এবং জানতে চাইলেন- সাপটা কি রাতে আপনার সাথে ঘুমায়?
মহিলা উত্তর দিল- হ্যাঁ। -
ঘুমানোর সময় এটা আস্তে আস্তে
আপনার কাছে ঘেঁসে? - হ্যাঁ -
তারপর আস্তে আস্তে আপনাকে চারপাশে মুড়িয়ে ধরে? মহিলা বিস্মিত হলেন এবং জবাব দিলেন-
এইবার চিকিৎসক খুবই ভয়ানক এবং
অপ্রত্যশিত কিছু বললেন।
- ম্যাডাম, সাপটি কাছে কাছে থাকে, আপনাকে জড়িয়ে ধরে, চারপাশ থেকে মুড়িয়ে ধরে, কারণ এটা আপনার মাপ নিচ্ছে।
নিজেকে প্রস্তুত করছে আপনাকে আক্রমণ করার জন্য।
এবং হ্যাঁ,
সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছে যথেষ্ট জায়গা খালি করতে, যাতে সহজেই আপনাকে হজম করতে পারে।
# মোড়াল_অব_দা_স্টোরি
আপনার চারপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছে যাদের আপনি কাছের মানুষ ভাবেন, যাদের দেখে মনে হয় আপনাকে তারা অসম্ভব ভালবাসে।
হয়ত আপনার ক্ষতিই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
Saturday, 20 April 2019
অজগর
সুভাষচন্দ্র
1947এ স্বাধীনতার দলিলে সই ছিল ক্লিমেন্ট এটলীর, তখন তিনিই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তারপর যথারীতি নেহেরু গদিতে, গান্ধীজী জাতির জনক।
গোটা বিশ্ব জেনে গেল চরকা কেটে, অহিংসাবাদে ভারত স্বাধীনতা পেল। ইতিহাস ওইভাবে রচিত হলো...আজও জনগণ সেটাই মনে করে।
এর প্রায় নয় বছর পর, 1956 এ ক্লিমেন্ট এটলী আবার একবার আসেন ভারতে।রাত্রিবাস করেন কোলকাতাতে, গেস্ট হাউসে, তৎকালীন গভর্নর স্যার পি. বি. চক্রবর্তীর আথিতেয়তায় ।
পি.বি.চক্রবর্তী জিজ্ঞেস করেছিলেন, প্রায় দুশো বছর শাসন করার পর, এত চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে স্বাধীনতা দিল কেন তাঁর দেশ?
এটলী উত্তর দিয়েছিলেন : সুভাষচন্দ্র।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর ঘটনার পর, ভারতের তৎকালীন স্থলবাহিনী, জলবাহিনীর সৈনিকেরা ততদিনে নব্বই শতাংশই বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিল মনে প্রাণে। এদের দিয়ে আর ভারতবর্ষ শাসন করা যেত না!
যেকোন মুহুর্তে শুরু হত বিদ্রোহ জানিয়েছিল ব্রিটিশ গুপ্তচর বিভাগ। আর যুদ্ধক্লান্ত ব্রিটিশদের সেটা সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না।
পি.বি.চক্রবর্তী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন : তাহলে গান্ধীজী? অহিংস আন্দোলনের প্রভাব?
ঘুম জড়ানো চোখে এটলী উত্তর দিয়েছিলেন :
"মি-নি-মা-ল"
"অতি সামান্য প্রভাব ছিল ওসবের"
Popular Posts
-
একদা কোন এক সময়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাধ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি সামসুর রহমান বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন । আড্ডা দেওয়ার এক পর্...
-
-"মা, চারটে বেজে গেছে। তুমি রেডি তো ?" গাড়ির চাবিটা নিতে নিতে বললো রোহিত। -"হ্যাঁ। দাঁড়া, জুতোটা পড়ি।" বৌমা সুস্মিতা ...
-
-সোহিনী.. সত্যি করে বলো.. শপিং মলে সাথে ওই ছেলেটা কে ছিল?আমার বন্ধু কিন্তু দেখেছে..আমাকে ছবি তুলেও পাঠিয়েছে.. তুমি কিভাবে এমনটা করলে আমার সা...
-
সখিনাঃ তোমার স্বামী প্রতিদিনই দেখি ঠিক ৯টার সময় বাসায় ফেরে। আমার স্বামী তো পারলে বাসায়ই ফেরে না। কিন্তু তোমার স্বামী আসে, রহস্য কি? * * * *...
-
ঘোষ বাবুর বউ বোস বাবুর বউকে বলছেন : "আমাদের ঘোষে ঘোষে হয় না ,আপনাদের হয়?" বোস বাবুর বউ উত্তর দিচ্ছেন, "হ্যা দিদি,আমাদের বো...
-
কোনো গাধাকে খুঁটোর সঙ্গে বেঁধে রাখলে,, গাধাটি মেজাজ হারিয়ে,, খুঁটো উপড়ে নিয়ে,, কোথাও পালিয়ে যেতে পারে।। এমন ঘটনার হাত থেকে নিস্তার পেতে,, ব...
-
বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে তার হোস্টেলে গেল। সেখানে ছেলের সাথে একটা সুন্দরী মেয়েও ছিল...।। বাবাঃ তোর সাথে এই মেয়েটা কে....?? ছেলেঃ বাবা, ও...
-
শুনেছি কানাডিয়ানরা নাকি সবথেকে বিনয়ী জাতি, মানে তাদের কথায় কথায় নাকি "সরি" বলার অভ্যেস, কাউকে দুঃখ দিয়ে বা Rudely কথা নাকি বলেননা ...
-
এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার স্ত্রী একজন ডাক্তার ডা্কলো। ডাক্তার পরীক্ষআ করে পথ্য দিল আর বললো- ঔষধগুলা নিয়মিত চালাবেন আর উনাকে নিয়মিত কলা,...
-
একটা লোক পুরো বেহেড মাতাল হয়ে বার থেকে কোনোমতে টলতে টলতে বেরিয়ে এলো। বাইরে এসেই তার দেখা আরে বেহদ্দ মাতালের সাথে। প্রথম মাতাল আকাশের দিকে ত...