Thursday, 2 June 2022

জীবযাপন




লাইফস্টাইল একটু সহজ সরল রাখুন। নিজেদের আশপাশ অতিরিক্ত আড়ম্বরে মুড়ে ফেলবেন না। হাতে টাকা এলেই লোক দেখিয়ে খরচা করে নিজেকে কেউকেটা দেখাতে যাবেন না।

চতুর্দিকে আমাদের বয়সী ছেলে মেয়েগুলো নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে। কী কী কারণ আছে জানিনা; তবে জীবনযাত্রার মান ভীষণ ভাবে উপরে উঠিয়ে দেওয়ার পর যখন আর্থিক সংকটে তাকে মেনটেইন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন সর্বনাশা ডিপ্রেসন চেপে ধরতে বাধ্য। যার পরিণাম শেষ কয়েক সপ্তাহের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম!

লোক দেখানো বৈভব দিয়ে কি হবে? হয়ত যাকে বা যাদেরকে দেখাচ্ছেন, ভিতরে ভিতরে তারাও ভীষণ ফাঁপা হয়ে আছেন। কী লাভ তাহলে? কৃত্রিম সুখের প্যালেস সাজাতে গিয়ে জীবন থেকে রামধনু হারিয়ে যাচ্ছে না তো? শিশির ভেজা ধানের শীষ হারিয়ে যাচ্ছে না তো?

টাকা আজ আছে, কাল নেই! গদিতে ঘুমানো একবার অভ্যেস করে ফেললে কাঠের চৌকিতে পিঠে ছোঁয়াতে পারবেন না আর কখনো তাই একটু সংহত হন। পাঞ্জাবি ফেটে গেলে সেলাই করে পড়তে শিখুন.. মোবাইল ভেঙে গেলে সারাই করে ব্যবহার করুন.. যতদিন করা যায়!

মায়েরা খাওয়ার শুরুতে সবসময় তেতো খাওয়া শিখিয়েছেন। যেন পরের পদগুলোর স্বাদ বেড়ে যায়। কিংবা আগে সুস্বাদু খাওয়ারে জিভকে অভ্যস্ত করিয়ে পরবর্তীতে তেতো খাওয়ার কষ্ট যেন সহ্য করতে না হয়। মায়েদের ওই খেতে শেখানোটা কিন্তু আদপে বাঁচতে শেখানো..

এই প্রজন্মের সকলকে মিলে একটা আদর্শ জীবন যাত্রার সর্বাত্মক আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। ছেলে মেয়েদের বাইরে খেলতে পাঠান। মারামারি করুক, চুলোচুলি করুক, আবার একে অন্যেকে পেয়ারা পেড়ে খাওয়াক। একটু কাদা মাটি মাখুক.. ছোট থেকে শিশুদের মিশতে দিন সবার সাথে। বীজ যেমন মাটি পাবে, গাছ হয়ে তার বাহার কিন্তু তেমনই হবে! চারা গাছ রোদ, বৃষ্টি না পেলে কিন্তু মরে যায়। এসি রুমে, ফাইবারের প্লেটে গাছ বাঁচে না।

ঐশ্বর্যে মোড়া চার দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে, আসুন একটু মন খুলে বাঁচি.. একটু ঘামের গন্ধে, একটু সাধারণ ছন্দে.. চার চাকা ছেড়ে একটু রিক্সায় উঠুন.. হাওয়া পাবেন। দেখবেন, রিক্সার টানের চোটে "দড়ি"টা আর আপনাকে টানবে না..

ফরাসি প্রেম




মধ্যযুগে ফরাসি শহরে মহিলারা সকালে স্বামীর নাস্তায় হালকা বি**ষ মাখিয়ে দিতো, আবার রাতে বাড়ি ফিরলে ঔষুধ দেওয়া হতো৷ তাই এই বি**ষে মানুষের কোন ক্ষতি হতো না। কিন্তু কোনো পুরুষেরা অন্য কোথাও থাকার কারণে বাড়িতে আসতে যদি দেরি হতো তখন ঔষুধ দিতে লেট হলেই পুরুষদের মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, বিষণ্ণতা শুরু হতো।

যে মানুষটি বাড়ি থেকে যত দূরে ছিল, সে তত অসুস্থ হতো। সে সময় মহিলারা সন্দেহ করতো তাদের স্বামী বোধহয় প****কী**য়া করে৷

তারপর যখন তারা বাড়ি ফিরত, নিজের অজান্তেই তাদের স্ত্রী তাদের প্রতিষেধক দিয়ে দিত এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা সুস্থ হয়ে যেত। বাট পুরুষরা এটা টের পেত না।

এই ভয়ানক কৌশলে পুরুষ প্রতারিত হয়েছিল, কারণ তারা কল্পনা করেছিল বাড়ি থেকে দূরে থাকলে তাদের কষ্ট ও বিষণ্নতার কারণ হবে, তাই তারা তাদের বাড়ি ও বউদের ছাড়া বেশি দূর কোথাও যেত না।

Popular Posts