Monday 30 December 2019

অবিদ্যা কি?



একদা বাদশা আকবর তাঁর সভাসদ বীরবল কে প্রশ্ন করলেন, "রাজা বীরবল, অবিদ্যা কি?"
বীরবল উত্তর দিলেন, "জাহাঁপনা, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমাকে ৪ দিন ছুটি দিতে হবে, ফিরে এসে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব!"
বাদশা আকবর রাজি হয়ে তাঁকে ৪ দিন ছুটি দিলেন। বীরবল এক মূচির কাছে গিয়ে বললেন, "ভাই একটা জুতো বানিয়ে দাও।"
মূচি বলল, "ঠিক আছে হুজুর, মাপটা দিন।"
বীরবল বললেন, "ওসব মাপ টাপ ছাড়, এক হাত লম্বা আর এক বিত্তা চওড়া জুতো বানাও, আর ওতে কিছু হীরে জহরত জুড়ে দাও। সোনা আর রুপোর সুতো দিয়ে সেলাই করো, টাকার চিন্তা করো না, যা দাম হবে তাই পাবে, দরদাম করব না।"
মূচী বলল, "ঠিক আছে, কিছু টাকা আগাম দিন, আর ৩ দিন বাদে এসে নিয়ে যাবেন।"
তৃতীয় দিন পুরো টাকা দেওয়ার আগে বীরবল মূচিকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিলেন যে ও এই জুতোর গল্প কারও কাছে কখনও করবে না।
তারপর বীরবল একপাটি জুতো নিজের কাছে রেখে অন্য পাটি টা মসজিদের সামনে ফেলে দিলেন। ভোরবেলা মৌলবী আজান দিতে এসে ঐ একপাটি জুতো আবিষ্কার করলেন। মৌলবী চিন্তা করলেন, এত বড় জুতো কখনও কোন মানুষের পায়ে হতে পারে না, আর যা হীরে জহরত লাগানো তাতে নিশ্চয়ই রাত্রে মসজিদে এসেছিলেন, এবং বাইরে ভুল করে এই একপাটি জুতো ফেলে গেছেন। উনি প্রথমে জুতোর পাটি টা মাথায় ঠেকালেন, তারপর বার বার জুতোটা কে চুমু খেতে লাগলেন। পরে মসজিদে আরও অনেক লোক এলে মৌলবী সকলকে এই আল্লার জুতো র পাটি পাওয়ার গল্প বললেন। সকলেই বলল, নিশ্চয়ই এই জুতো আল্লা র হবে, মানুষের পায়ে এত বড় জুতো হতেই পারে না, আর মসজিদের বাইরে যখন পাওয়া গেল তখন জিন বা শয়তানের ও নয়। সবাই মিলে জুতোর পাটি বারবার মাথায় ঠেকাতে আর চুমু খেতে লাগল। শেষ পর্যন্ত জুতোর কথা বাদশা র কানে গেল, আকবরের আদেশে জুতো শাহী দরবারে পেশ হল।
বাদশা ও স্বীকার করলেন, "এ জুতো আল্লাহরই হবে।"
তিনিও বারবার মাথায় ঠেকিয়ে আর চুমু খেয়ে বললেন, "এই জুতো মসজিদের কোন পবিত্র স্থানে রাখ।"
পরের দিন বীরবলের ছুটি শেষ হল, উনি এসে বাদশা কে সালাম ঠুকে মাথা নিচু করে বসে রইলেন।
বাদশা প্রশ্ন করলেন, "কি হল রাজা বীরবল, তুমি এমন বিরসবদন কেন?"
বীরবল বললেন, "জাহাঁপনা, আমার বাড়ি থেকে একপাটি জুতো চুরি গেছে।"
"একপাটি জুতো?" বাদশা প্রশ্ন করলেন। 
 "হ্যাঁ, আমার প্রপিতামহের একপাটি জুতো চুরি গেছে, চোর একপাটি ফেলে গেছে।"
"ঐ একপাটি জুতো কি তোমার কাছে আছে?" বাদশা র প্রশ্ন। 
 "হ্যাঁ, আমার কাছে আছে," বীরবল অন্য পাটি টা বের করে দেখলেন।
দেখেই তো বাদশার মাথা ঘুরতে আরম্ভ করল, নিজের কপালে করাঘাত করে হুকুম করলেন মসজিদ থেকে জুতোর পাটি নিয়ে আসতে।
তারপর বললেন, "ইয়া আল্লা, আমরা তো এটাকে আল্লার জুতো মনে করে কত মাথা ঠেকিয়ে, চুমু খেয়ে, চেটে চেটে চকচকে করে তুলেছি!"
বীরবল বললেন, "জাহাঁপনা, একেই বলে অবিদ্যা, কোন কিছু সম্পর্কে একেবারে কিছুই না জেনে ভেড়ার পালের মত সবাই একই দিকে চলতে থাকা!"

Saturday 21 December 2019

দেবদাস পারোর সত্য গল্প



স্বাদ বদলের পোস্ট
******************

দেবদাসের মৃত্যুর পর পার্বতীর কী হয়েছিল? দেব-পারোর সেই গ্রাম স্মৃতি আঁকড়ে রেখেছে আজও
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

ভালোবাসার পারোকে কথা দিয়েছিলেন দেবদাস। কথা ছিল, পারোর সঙ্গে ফের একবার দেখা হবেই তাঁর দেবদার। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই মৃত্যু আসন্ন বুঝে কাশী যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে নেমে পড়েছিলেন দেবদাস। গোরুর গাড়িতে চড়ে কোনওক্রমে পৌঁছন হাতিপোতা গ্রামে সেই বটগাছের তলায়। এই হাতিপোতা গ্রাম কোথায় জানেন কী? জানেন কী, দেবদাসের মৃত্যুর পর পার্বতীর কি হয়েছিল?

চুনিলালের সঙ্গে কাশী যাওয়ার সময় পান্ডুয়া স্টেশনে নেমে পড়েন দেবদাস। রাতের অন্ধকার। এবড়োখেবড়ো মাটির দীর্ঘ রাস্তা। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম গোরুর গাড়িতে চড়ে অবশেষে দেবদাস পৌঁছলেন হাতিপোতা গ্রামে জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর বাড়ির সামনে বটগাছের তলায়। জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী পার্বতী। তৃষ্ণা মেটানোর মতো পানীয় জলটুকুও না পেয়ে জমিদার বাড়ির সামনে বটগাছের তলায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন দেবদাস।

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস লেখা হয়েছিল ঠিক একশ দুই বছর আগে ১৯১৭ সালে। আজও পূর্ব বর্ধমানের কালনার হাতিপোতা গ্রামে দেবদাস পার্বতীর সেই ভালবাসার আখ্যান বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফেরে। জমিদারবাড়ি গঙ্গায় বিলীন হয়েছে আগেই। বেশ কয়েকবছর হলো বটগাছটিও মারা গিয়েছে। তবে জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর কাছারি বাড়ির ছবি, জমিদারবাড়ির ইট, চাবি, দলিল দস্তাবেজ আগলে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। দেবদাস পারোর প্রেম যে শুধুই গল্পকাহিনী নয়, তা যে জলজ্যান্ত সত্যকাহিনী তা গ্রামবাসীরা শুনেছেন বয়ঃজেষ্ঠ্যদের কাছে। এমনকি শরৎচন্দ্র যে এই গ্রামে এসেছিলেন সেই প্রমাণও আছে বিভিন্ন নথিতে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র কিছুটা কল্পনা মিশিয়ে নিজের প্রেমকাহিনীকে অমর করে রেখেছেন দেবদাস পার্বতীর গল্পের আড়ালে। গ্রামে শরৎচন্দ্রের মূর্তি বসেছে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে। বর্তমান প্রজন্ম তৈরি করেছে দেবদাস স্মৃতি ক্লাব। সাহিত্য অনুরাগী অনেকেই উৎসাহ নিয়ে পৌঁছন হাতিপোতা গ্রামে। গ্রামবাসীরা তাদের ঘুরে দেখান পার্বতীর শ্বশুরবাড়ি স্মৃতিচিহ্ন, বটগাছের জায়গা, অতীতের খুঁটিনাটি। বাংলাদেশ থেকেও আসেন অনেকে।

বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, দেবদাসের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামে একটা সংগ্রহশালা হোক। তৈরি হক লাইব্রেরি। সেইসঙ্গে দূরদূরান্ত থেকে সপরিবারে আসা উৎসাহীদের জন্য হোক অতিথিনিবাস। দেবদাসের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পার্বতীর ‘দেবদা... দেবদা’ করে সেই আর্তনাদ, শেষ দেখাটা দেখতে পাওয়ার সেই আকুতি বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মনের গহনে সোনার ফ্রেম ও চোখের জলে বাঁধানো থাকবে চিরকাল। কিন্তু তারপর? পার্বতীর সেই প্রেমের কথা জমিদারবাড়ির বিশাল বন্ধ দরজা, উঁচু প্রাচীরে আটকা পড়েনি। সেখবর রাষ্ট্র হতে বাড়তি সময় লাগেনি। তারপর আর হাতিপোতা গ্রামে থাকেননি পার্বতী। ফিরে যান হুগলিতে বাপের বাড়ির গ্রামে। সেখানেই দেবদার সঙ্গে ছোটবেলার খুনসুটির স্মৃতি তর্পন করে কাটান বাকি জীবন। এ সত্য জানেন হাতিপোতার বর্তমান প্রজন্ম।

Friday 13 December 2019

Politician



🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
A politician visited a village in Karnataka and asked what their needs were.

”We have 2 basic needs sir,” 
replied the villager.

“Firstly, we have a hospital, but there’s no doctor.”

On hearing this, politician whipped out his cellphone, 
and after speaking for a while he reassured the village leader that, *the doctor would be there the next day.*
 He then asked about the second problem.

“Secondly Sir,
there is no cellphone coverage anywhere in this village.”
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣

Tuesday 3 December 2019

ঝগড়া



স্ত্রী:- পাশের ফ্ল্যাটে ঝগড়া চলছে !!তুমি একবার যাও না🙏
স্বামী:- আমি দু-একবার গেছিলাম সেটা নিয়েই ঝগড়া হচ্ছে।

😬🥴🤡🤩😂🤣

সাদা মনে কাদা



ছোটবেলায় কত সরল ছিলাম:

ম্যাডাম বোর্ডে লিখে বলতেন দেখা যাচ্ছে তো?

আমরা সরল মনে বলে উঠতাম, না ম্যাডাম, নিচেরটা দেখা যাচ্ছে না.

😝😝😝😝😝😝
----------------------------------------

স্কুলে ম্যাডাম বলতেন:

আমার পিরিয়ডের আগে আর পরে যা করার করে নাও, আমার পিরিয়ডের সময় কিছু করতে দেব না.

শালা এখন এই কথাগুলোর মানে বুঝতে পারি.

😛😛😛😛😛

Popular Posts