Thursday 31 October 2019

আত্মমর্যাদা



এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, "স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?"
শিক্ষক বললেন, ''না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।"
যুবক তখন বললেন, "স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।
আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে 'চোর' বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।
একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।
তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।
কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।
স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। "
"স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!"
শিক্ষক জবাব দিলেন, " হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।"
এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর। কিন্তু তাঁরা যথাযথ মর্যাদা পায়না। যতদিন না আমলারা এটা বুঝতে পারবে, ততদিন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়, জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়।

Tuesday 29 October 2019

পিনড্রপ সাইলেন্স



পিনড্রপ সাইলেন্স (সম্পূর্ণ/চরম নিস্তব্ধতা) মানে কি? চলুন, নিচের ঘটনাগুলি পড়া যাক। প্রতিক্ষেত্রেই নীরবতা শব্দের থেকে বেশি বাঙময়।
ঘটনা ১
-----------
ফিল্ড মার্শাল স্যাম বাহাদুর মানেকশ একবার গুজরাটের আহমেদাবাদে এক জনসভায় ইংরাজিতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। জনতা দাবি তুললো গুজরাটিতে বক্তৃতা দেওয়া হোক, তবেই তারা শুনবে।
মানেকশ জনতার দিকে কঠোর দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে নিয়ে বলতে শুরু করলেন।
"আমি আমার দীর্ঘ জীবনে অনেক যুদ্ধ লড়েছি।
শিখ রেজিমেন্টের কাছে পাঞ্জাবি শিখেছি। 
মারাঠা রেজিমেন্টের কাছে মারাঠি শিখেছি। 
তামিল শিখেছি তামিল সৈন্যদের কাছ থেকে। 
বাংলা শিখেছি বাঙালি সৈন্যদের কাছ থেকে।
বিহার রেজিমেন্ট আমাকে হিন্দি শিখতে সাহায্য করেছে। 
এমনকি গুরখা রেজিমেন্টের কাছে নেপালিও শিখেছি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনও গুজরাটি সৈন্যের সাথে আমার এজীবনে পরিচয় হয়নি যার কাছে আমি গুজরাটি শিখতে পারি।"
জনতার মাঝে নেমে এলো পিনড্রপ সাইলেন্স!
ঘটনা ২
-----------
Robert Whiting, একজন ৮৩ বছর বয়সী আমেরিকান নাগরিক প্লেনে করে প্যারিস এয়ারপোর্ট পৌঁছলেন। বয়স হওয়ার দরুন তিনি কাস্টমস কাউন্টারে নিজের পাসপোর্টটি খুঁজতে একটু বেশি সময় নিচ্ছিলেন।
"আপনি কি আগে কখনও ফ্রান্সে এসেছেন?" তরুণ কাস্টমস অফিসার জিজ্ঞেস করলেন।
"হ্যাঁ, এসেছি।" Whiting উত্তর দিলেন।
"তাহলে এখানে যে নিজের পাসপোর্ট দেখানোর জন্য আগে থেকেই বার করে রাখতে হবে, সে জ্ঞান আপনার থাকা উচিত।" কাস্টমস অফিসার উপহাস করলেন।
"আগের বার যখন এসেছিলাম, পাসপোর্ট দেখাতে হয়নি।"
"অসম্ভব! আমেরিকানরা যখনই ফ্রান্সে আসে, তাদের পাসপোর্ট দেখাতেই হয়।"
আমেরিকান ভদ্রলোক দীর্ঘ সময় তরুণ কাস্টমস অফিসারের দিকে তাকিয়ে থেকে বলতে শুরু করলেন-
"ওয়েল, আমি যখন ১৯৪৪ সালের ৬ই জুন (D-Day) ভোর ৪:৪০এ মিত্রপক্ষের অন্যান্য সৈন্যদের সঙ্গে Omaha বীচে এসে নেমেছিলাম তোমাদের দেশকে স্বাধীন করার এবং হিটলারকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে, তখন কিন্তু সেখানে একজন ফরাসীকেও আমাদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য উপস্থিত থাকতে দেখিনি।"
সমগ্র ফরাসী পাসপোর্ট অফিসে নেমে এলো পিনড্রপ সাইলেন্স! 
ঘটনা ৩
-----------
১৯৪৭ সাল। আমাদের দেশ তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে। জওহরলাল নেহরু সাময়িকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সেইসময় একদিন এক বৈঠক ডাকা হলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম সর্বাধিনায়ক (Commnder-in-Chief) নিয়োগ করার উদ্দেশ্যে। সেই বৈঠকে নেহরু প্রস্তাব রাখলেন যে একজন ব্রিটিশ অফিসারকেই এই পদ দেওয়া উচিত কারণ আধুনিক যুদ্ধের ও সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কারোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই।
বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত সদস্যের মুখে কোনও কথা নেই। সবাই ব্রিটিশ শাসন ও ব্রিটিশ শিক্ষায় অভ্যস্ত। সেবা করতে জানেন কিন্তু নেতৃত্ব দিতে জানেন না।
কিছুক্ষণ পরে সেনাবাহিনীর এক অভিজ্ঞ অফিসার নাথু সিং রাঠোর কিছু বলার অনুমতি চাইলেন। নেহরু বিস্মিত হলেও তাঁকে অনুমতি দিলেন।
রাঠোর নেহরুকে বললেন "হ্যাঁ, আপনার কথাই ঠিক। একইভাবে যেহেতু আমাদের দেশ চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই, সুতরাং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীও একজন ব্রিটিশ হওয়া উচিত।"
বৈঠকে নেমে এলো পিনড্রপ সাইলেন্স!
অনেকক্ষন পর নেহরু নীরবতা ভাঙলেন।
"অফিসার রাঠোর, আপনি কী ভারতীয় সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?" নেহরুর প্রশ্ন।
"আমার মনে হয় জেনারেল কারিয়াপ্পা এই পদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।" রাঠোরের জবাব।
এইভাবেই ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পা স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনীর প্রথম সর্বাধিনায়ক হয়েছিলেন আর নাথু সিং রাঠোর প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল।

Thursday 24 October 2019

লঞ্চ দূর্ঘটনা



একবার একটা লঞ্চ দূর্ঘটনায় পড়লো। 
লঞ্চের এক দম্পত্তি একটা লাইফবোট পেল। কিন্তু স্বামীটা বুঝে ফেললো সেখানে একজনের বেশি উঠতে পারবে না। লোকটা তার স্ত্রীকে পিছনে ঠেলে দিয়ে নিজে লাফিয়ে উঠে পড়লো। ডুবন্ত লঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে মহিলা স্বামীর উদ্দেশ্যে একটাই মাত্র বাক্য চিৎকার করে বলেছিলো।
কি বলেছিলো মহিলা!”
আমার বিশ্বাস, মহিলাটি বলেছিল, আমাদের বাচ্চাটার যত্ন নিও, ওকে দেখে রেখ।”
........লঞ্চটা ডুবে গেলো এবং বাড়ি ফিরে লোকটা একাকী মেয়েকে যত্ন করে বড় করলো।
লোকটি মারা যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পরে তাদের কন্যা বাবার একটি ডায়েরী পেল।
সেখানে সে আবিষ্কার করলো, লঞ্চযাত্রায় যাওয়ার আগেই মায়ের দুরারোগ্য অসুখ ধরা পড়েছিলো, চরম মূহূর্তে তার বাবা তাই বাঁচার একমাত্র উপায়ের সদ্ব্যবহার করেছে।
ডায়েরীতে তার বাবা লিখেছে, “আমারও তোমার সাথে সাগরের তলে ডুবে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু শুধু মেয়ের কথা ভেবে তোমাকে একাই সাগর তলে চিরদিনের জন্য ছেড়ে আসতে হলো।”
গল্প শেষ হলো, 
ভালো এবং মন্দ, পৃথিবীর সব কিছুর পেছনেই অনেক জটিলতা আছে যা সব সময় বোঝা যায় না।
........................
**আমাদের কখনোই শুধুমাত্র উপরের তল দেখেই যাচাই করা উচিত না, অন্যকে না বুঝেই বিচার করে ফেলাটা বেশ বোকামি।
**যারা খাবারের বিলটা সবসময়ই নিজে দিতে চায়, তার মানে এই নয় যে তার টাকা উপচে পড়ছে, এর কারন সে টাকার চেয়ে বন্ধুত্বকে বড় করে দেখে।
**যারা আগে ভাগেই কাজ করে ফেলে, এর মানে সে বোকা না, আসলে তার দায়িত্বজ্ঞান রয়েছে।
**যারা ঝগড়া বা বাকবিতন্ডার পরে আগে মাফ চেয়ে নেয়, সেই ভুল ছিলো এমনটা নয়, বরঞ্চ সে চারপাশের মানুষকে মূল্যায়ন করে।
**তোমাকে যে সাহায্য করতে চায় সে তোমার কাছে কোন কিছু আশা করে না, বরং একজন প্রকৃত বন্ধু মনে করে।
**কেউ আপনাকে প্রায়ই টেক্সট করে তার মানে এটা নয় যে তার কোন কাজ নেই, আসলে আপনাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে।
**একদিন আমরা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো, কিন্তু আমাদের আচরণ ও ভালোবাসাগুলো মানুষের হৃদয়ে থেকে যাবে। কেউ না কেউ স্মরণ করবে, “ এ হচ্ছে সেই মানুষ যার সাথে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু সময় কাটিয়েছি।”

এক হরিনীর গল্প



বনের ভেতর, এক হরিনীর সময় হলো সন্তান জন্ম দেয়ার।
তাই সে বনের ধারে যেয়ে নদীর পাশে ঘাসজমিতে সুন্দর একটি জায়গা খুজে বের করে নিলো সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য। সময় কিছু পার হলো, তার প্রসব বেদনাও উঠলো।
কিন্তু বিধি বাম। এসময় হরিনীটির চারপাশে শুরু হলো বিপদ।
হরিনীটি যখন উপরে তাকালো, দেখলো ঘন মেঘে আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে। সে যখন জংগলের দিকে তাকালো, দেখলো ঘন জংগলে হঠাৎ দাবানল শুরু হয়েছে। এর মাঝে সে টের পেলো তার সামনে এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছে। আর পেছনে ফিরে দেখলো এক শিকারী তার দিকে তীর নিশানা করে আছে।
এখন সে কি করবে?
দিশেহারা সময়টিতে দাবানল, নদীর স্রোত, ক্ষুধার্থ সিংহ আর নির্দয় শিকারী দিয়ে চারদিক দিয়ে ঘিরে থাকা হরিনীটি তাই চুপচাপ কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে ভাবলো। তারপর সে তার সব বিপদ আপদ অগ্রাহ্য করে সিদ্ধান্ত নিলো সে তার সন্তান জন্ম দিবে। বিপদ আপদ যদি ঘটে ঘটুক। সেটির দায়িত্ব সে বিশ্বাসী মনে চোখ বুজে সৃষ্ঠিকর্তার হাতে ছেড়ে দিলো।
সাথে সাথে কিছু মিরাকল ঘটলোঃ
- কালো মেঘে ঢাকা আকাশে তুমুল ঝড় বৃস্টি শুরু হলো। সেই সাথে প্রচন্ড বজ্রপাতে শিকারীর চোখ অন্ধ হয়ে গেলো।
- অন্ধ শিকারী তীর ছুড়ে দিলো। সেই তীর হরিনীর পাশ কেটে সিংহের মাথায় আঘাত করলো।
- তুমুল বৃস্টির জলে জংগলের আগুন নিভে শান্ত হয়ে গেলো।
- হরিনীটি একটি সুস্থ ও সুন্দর শাবকের জন্ম দিলো।
আমাদের জীবনেও এরকম কিছু সময় আসে। চারদিক থেকে বিপদ, নিন্দা, হতাশা আর অসহযোগিতা চেপে ধরে আমাদের। কখনো কখনো এই খারাপ সময় এত শক্তিশালী মনে হয় যে আমরা পরিস্থিতির কাছে হার মেনে যাই। আত্নহত্যার কথাও চিন্তা করি।
অথচ এটি ভুল। আর সেটা আমরা এই হরিনের গল্প থেকেই শিখে নিতে পারি।
যখন হরিনীটির চারপাশে এত বিপদ ছিলো, তবু জীবন মৃত্যু যাই আসুক, সে বিপদের আশংকায় নিজের লক্ষ্য থেকে একবিন্দু সরে যায়নি। সে তার কাজ, অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেয়াতেই নিজের সব মনযোগ দিয়েছে। আর তখন বাকী সব বিপদ আপদ সৃস্টিকর্তা নিজে সমাধান করে দিয়েছেন।
যখন হতাশা গ্রাস করে, নিজের উপর বিশ্বাস উঠে যায়, তখনো সৃস্টিকর্তার প্রতি অগাথ বিশ্বাস রাখবেন। জীবনের লক্ষ্যে স্থির থাকবেন। আর কখনো লক্ষ্য থেকে একবিন্দু পিছপা হবেন না।
মনে রাখবেন, আপনি যত বড় ঝড়ের মাঝেই থাকুন, যত নিঃসঙ্গই আপনি নিজেকে ভাবুন না কেন, সৃস্টিকর্তা কখনো আপনাকে ছেড়ে যাননি, সর্বদা আপনার কাছেই আছেন।
মনে রাখবেন, সৃস্টিকর্তা কখনো ঘুমান না এবং কোন তন্দ্রাও তাকে স্পর্শ করেনা, সব সময় তিনি আপনাকে দেখছেন এবং আপনার কোন প্রার্থনা তিনি অপূর্ণ রাখবেন না....

পিরিয়ডে এই চারটি কাজ বর্জনীয়



🚺 পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিচের চারটি কাজ অবশ্যই বর্জন করুন 🚺
১। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠান্ডা জল, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।
-
২। এইসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া আলগা হয় ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী
মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
-
৩। এইসময় শশা খাবেন না। কারণ শশার মধ্যে থাকারস পিরিয়ডের রক্তকে জরায়ু প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
৪। এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন, পিরিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আঘাত না লাগে, বিশেষত পেটে। পিরিয়ডের সময়টায় জরায়ু খুব নাজুক থাকে ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ুতে ঘাঁ কিংবা বন্ধ্যাত্যের ঝুঁকি থাকে।
-
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠান্ডা জল পান করার ফলে পিরিয়ডের রক্ত বের না হয়ে জরায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে। যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে পারে। তাই কুসুম কুসুম গরম জল খাবেন।
-
দয়াকরে এই তথ্যটুকু আপনার স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিন যেকোন কিংবা কারো মাধ্যমে। আপনার মাধ্যমে যদি একজন নারীও উপকৃত হয় সেটাও পরম পাওয়া।
জরায়ু ক্যান্সার ও বন্ধ্যান্ত মুক্ত হোক আমাদের মা, বোনেরা।

Monday 21 October 2019

মারোয়াড়ি বিয়ে



সেদিন একটা মারোয়াড়ি বিয়ের নেমন্তন্ন বাড়িতে খেতে গিয়ে দেখলাম আইসক্রিম এর জন্য একটা আলাদা স্টল করেছে, আর আইসক্রিম দেবার পর একটি সুন্দরী মহিলা কপালে একটি তিলক এঁকে অভিবাদন করছে। আমি ভাবলাম বাহ্ এনাদের কালচার তো বেশ ভালো। এভাবে অতিথি সৎকার তো কখনো দেখিনি। খাওয়া দাওয়া সেরে ফেরার সময় নিমন্ত্রণ কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম আপনাদের  অতিথিদের  তিলক পরিয়ে অভিবাদন এর কালচার টা আমার খুব ভালো লেগেছে। তখন উনি হেসে বললেন আরে এসব কালচার ফালচার কিছু না, লোকে ৫-৭ বার করে আইসক্রিম খেয়ে নেয় সেটা আটাকানোর জন্য ঐ তিলকের ব্যবস্থা।

😁😁😁😂😂😂🤣🤣🤣

Sunday 13 October 2019

রোববার



*জানি, আপনার বয়স ষাট পেরিয়েছে এবং আপনি বেশ কয়েকবার চেক আপ করিয়েছেন। ইউরিক অ্যাসিড, সুগার, কোলেস্টেরল সবকিছুর ভয় দেখিয়েছেন ডাক্তারবাবু। এতএব ডায়েটিঙ। খাবেন না ডিমের কুসুম, বড় মাছ, খাসীর মাংস, সন্দেশ, ঘী, বাটার, বাঁধাকপি, টমেটো, পনীর ইত্যাদি ইত্যাদি।*

*তাহলে খাবেন কী? চিনি ছাড়া লিকার চা, ক্রীম ক্র্যাকার বিস্কুট, তেল ছাড়া পেঁপের তরকারী, সাদাটে ব্রয়লার মাংস আর টক দৈ??? এর থেকে মরে গেলেই বা ক্ষতি কী??*

*ছাড়ুন মশাই!! সপ্তাহের আর ছ'টা দিন অখাদ্য ক্রীম ক্র্যাকার বিস্কুট, পেঁপের তরকারী আর চারাপোনার ঝোল খেতে পারেন কিন্তু রোববার টা আপোষ করবেন না*। *ঈশ্বর এই একটা দিন আপনাকে উপহার দিয়েছেন।*

*সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে লুঙ্গি ফতুয়া বা পাজামা পাঞ্জাবী পরে বাজার চলুন। প্যান্ট শার্ট পরে বাজার যাবেন না, ওটা অসভ্যতা। মোড়ের চায়ের দোকানের বেঞ্চে আরাম করে বসে খবরের কাগজটা খুলুন।* *সঙ্গে একটা লেড়ো বিস্কুট আর ঘন লিকারে দুধ চিনি মেশানো চায়ে আওয়াজ করে চুমুক। গিন্নি ফোনে তাড়া দেবে, পাত্তা দেবেন না।*

*এবার গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলুন।* *সামনে ঝোলানো খাসীর সামনের পা থেকে কিছুটা আর সিনা বা গর্দান থেকে কিছুটা... বাড়ি গিয়ে হাঁক দেবেন...কই গো, চা দাও।* *মনে রাখবেন বাকীদিন গুলো বিড়াল হলেও রোববার কিন্তু আপনি বাঘ।* *খাসীর মাংস দেখে বউ যদি আপনাকে ডাক্তারের উপদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়...দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলবেন, বেশি জ্ঞান দিওনা, যা বলছি তাই কর।* *মনে রাখবেন, শের ভুখ মর যাতা লেকিন ঘাস নেহি খাতা..!*

*জলখাবারে ফুলকো লুচি, লঙ্কা ফোড়ন দেওয়া সাদা আলুর চচ্চড়ি সঙ্গে মুচমুচেি জিলিপি কিম্বা বোঁদে।*
*চিনি কম মিষ্টি খাওয়া আর তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গে প্রেম করা একই ব্যাপার। এরপর আবার এক কাপ চা, একদম মালাই মার কে...এবার পাড়ার মোড়ে বসে রাজা উজির মেরে যখন বাড়ি ফিরবেন, গন্ধে ম ম করছে গোটা বাড়ি। বাথরুমে ঢুকে স্নান করতে করতে গলা ছেড়ে গাইতে থাকুন, "ঠান্ডা ঠান্ডা পানিমে নাহানা চাহিয়ে...."  চিন্তা নেই, আজকে আপনি গানকে সুরের বাঁধন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।*

*এবার মেঝেতে পাত পেড়ে খাওয়া। কাঁসার থালায় সাদা ঝরঝরে সরু চালের ভাত, ঝিরিঝিরি আলুভাজা আর বড় জামবাটিতে ধোঁয়া ওঠা মাংস।* *শেষ পাতে ঘনযৌবনা চাটনি আর লাল দই। যদি সাহসে কুলোয় তাহলে বউ কে বলবেন হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতে। ওটা প্রয়োজনীয় নয়, আলংকারিক, জাস্ট পুরনো মেজাজটা একটু ফিরিয়ে আনা (মেজাজটাই আসল রাজা....)।* *খাওয়ার পর একটা মিঠাপাতি মুখে পুরে সিগারেট ধরিয়ে মোবাইল টা খুটখাট করুন। চোখের পাতা ঘন হয়ে আসছে...ঘুম আসছে...ঘুম আসছে " মিলন কি মসতি /ভারী আঁখো মে/ হাজারো সপনে/ সুহানে লিয়ে..."!!!*

*কোলবালিশ জড়িয়ে বিছানায় লম্বা ঘুম ।*
*এরপর বিকেলে যদি আর ঘুম থেকে সারাজীবন না ও ওঠেন...কোন আফসোস নেই।* 
*এই তো জীবন কালীদা !!!*
😀👌👍👍👍

ভালো থাকুক ভালবাসা



বিয়ের ১৫ দিন না যেতে না যেতেই মেয়েটার মাথা ঘুরানি আর বমি বমি ভাব দেখে শুধু আমি অবাক হইনি, বরং অবাক হয়েছে আমার গোটা পরিবার।
অবশেষে পরিবারের চাপে পড়ে নিয়ে গেলাম ডক্টরের কাছে! চেকাপ করে সত্যাটা প্রকাশ পেলো,আমি বাচ্চার বাবা হতে চলেছি! :o
যেখানে আমার খুশি হওয়ার কথা সেখানে আমি নারাজ!! :/
মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে আসলাম।মেয়েটার চোখে চোখ রেখে জানতে চাইলামঃ
--সত্যি কি এই বাচ্চার বাবা আমি?
মেয়েটা চুপ করে আছে!
কোন উত্তর নেই!!
মাথায় হাত বুলিয়ে সাহস দিলাম, ভয় পেয়োনা।
আমি তোমাকে ত্যাগ করবোনা, শুধু একজন পুরুষ হয়ে সেই পুরুষেকে ধিক্কার জানাবো, যে আমার স্বপ্নটা পূরণ হতে দেয়নি!
মেয়েটার চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝরছে। কাধতে কাধতে হেস্কি উঠে গেছে তার। কান্নার আওয়াজ আমার অন্তর
ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছে। আমি উত্তর পেয়ে গেছি!
তবুও তাকে দোষ দেয়নি।ভাগ্য বলে চালিয়ে নিলাম!
ওকে এতটাই ভালোবাসি যে, ছুড়ে ফেলতে পারলাম না!
আমি পরিবার থেকে বঞ্চিত হলাম। অন্য অফিসে বদলি হলাম। মেয়েটা কেমন জানি বোবা হয়ে গেছে, বাসায় একা একা মন মরা দিয়ে থাকে সারাক্ষণ। কোন কথা বলে না।
কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে!
হঠাৎ এক গভীর রাতে হু হু করে কেঁদে উঠেছে।
আমি চমকে গেলাম। জেগে দেখি মেয়েটা আমার বুকের উপর মাথা রেখে চোখের পানিতে আমার গেঞ্জি ভিজিয়ে ফেলছে। চোখ মুছে দিয়ে আবার বুকে জড়িয়ে নিলাম। আমি ওকে একটুও ঠকাইনি তবে সে আমাকে ঠকিয়েছে এটাই তার দুঃখ। তবে বেপার না, আমি ঐ বাঁচ্চা কে নিয়েই স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম!
বিয়ের বয়স ৮ মাস হতেই বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলো।দুঃখের
বিষয় বাচ্চাটা ছিলো মরা! মেয়েটার জ্ঞান ফেরার পরে
যখন জানতে পারলো বাচ্চাটা মারা গেছে, সে তখন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আমাকে ডাক দিয়ে আবার বেহুশ হয়ে গেলো। তার পর থেকে মেয়েটা আর কথা বলতে পারেনা। এখনো দুজন দুজনকে পাগলের মত ভালবাসি!
বিয়ের বয়স আজ চার বছর, বাবা হওয়ার স্বপ্নটা
আর পূরণ হলোনা। তবুও সারাদিন পরিশ্রম শেষে যখন ডিম লাইটের আলো নিভিয়ে মেয়েটা আমার বুকের উপর মাথা রাখে, বিশ্বাস করুন....!!
আমি তখন স্বর্গের ছোঁয়া পাই।
ভালো থাকুক ভালবাসা!! ভাল থাকুক ভালবাসার মানুষগুলো
ভালবাসার কাছে অনেক বড় ভুলও ক্ষমার যোগ্য হয়ে যায়! ভালবাসুন, কিন্তু কিছু গোপন রেখে না।
সম্পর্ক জড়াবার আগে সব সত্য বলে দিন, মাফ চেয়ে নিন!! তারপর দেখবেন আপনিই শ্রেষ্ট প্রেমিক-প্রেমিকা/স্বামী-স্ত্রী।

Saturday 12 October 2019

বলতে নেই



কবি শুভ দাশগুপ্ত

সব জায়গায় সব কথা বলতে নেই,
পরস্ত্রীর সৌন্দর্যের কথা
আর অফিসের সঠিক মাইনের কথা -
নিজের বৌ কে ; বলতে নেই।
হিন্দুদের সামনে গো - মাংসের কথা, বলতে নেই।
রেলের কর্তাদের সামনে টাইম - টেব‌িল‌ের কথা, বলতে নেই।
ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে - শিক্ষকদের, বলতে নেই।
আর পুলিশকে সততার কথা, বলতে নেই।
যখনই যা ইচ্ছে হলো ওমন‌ি বলে ফেলতে নেই।
ইচ্ছে আপনার করবে,‌ জিহ্বটা উসখুস করবে,
গলার ভেতরটা কুটকুট করে উঠবে,
তবু ; বলতে নেই।
আপনি ভাববেন পরিকল্পনার পাঠশালায় -
সব শালাই ভাওতা মারছে।
ভাবতে নিশ্চয়ই পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
আপনি ভাববেন হাসপাতাল, থানা , সরকারি দপ্তরগুলো -
ক্রমশ ফোঁড়ে আর দালালদের মৃগয়া ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।
ভাবতে সারাদিন ধরে পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
এমনি বাজারে ছেড়ে দিলে -
কুঁড়ি টাকা রোজের মুটেগিরিও জুটত‌ো না যে ব্যাটার !
রাজনীতির সোনার কাঠির ছোঁয়ায় -
সে ব্যাটা, গাড়ি - বাড়ি করে জনগণের মাথায় চড়‌ে ব্রেকড্যান্স করছে !
সেসব ভেবে আপনি তেলে - বেগুনে চটে উঠতে পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে ঢুকছেন -
পর্দার মেগা স্টারেরা কোটি কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে
আর টিভিতে ‘ মেরা দেশ মহান ’ বলে দাঁত ব‌ের কর‌ে হাঁসছে।
বাংলার সিনেমা বেদের মেয়ের পাল্লায় পড়‌ে -
সিঁদুর নিও না মুছে বলে আর্তনাদ করছে।
একশ টাকার ঢাউস পুজো সংখ্যার উপন্যাসে -
কাহিনীর চেয়ে ছায়া আর ব্লাউজের কথা বেশি থাকছে।
বুদ্ধিমান পরিচালক, হাড় - হাবাদের জীবন নিয়ে সিনেমা তৈরি করে -
ফরেনে পুরস্কার হাতাচ্ছেন
আর পাঁচতারা হোটেলে বসে ফুর্তি মারছেন।
খবরের কাগজ খুন, ডাকাতি আর ধর্ষণের সিরিয়াল ছাপছে -
টিভিতে মুড়ো ঝেটার বিজ্ঞাপনে উলঙ্গ মেয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
সব কিছুতে আপনি বিরক্ত হতে পারেন,
কিন্তু ; বলতে নেই।
কারখানার পর কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে -
শ্রমিকরা বাটি হাতে ভিক্ষে করছে, গলায় দড়‌ি দিচ্ছে।
ইউনিয়নের দাদারা রান্না ঘরে টাইলস বসাচ্ছেন !
সাংসদ - বিধায়করা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলছে -
দেখে শুনে আপনার বাপের নাম খগেন হয়ে যেতে পারে,
কিন্তু ; বলতে নেই।
বলেছেন কি ফেঁসেছেন,
লাল বলবে এ ব্যাটা নীলের দলাল, প্রতিক্রিয়াশীল
আর নীল বলবে ও ব্যাটা লালের দালাল, দেশদ্রোহী।
মাঝখান থেকে আপনি নাকাল।
আপনার ধোপা - নাপিত বন্ধ হয়ে যেতে পারে -
বলেছেন কি ফেঁসেছেন,
প্যাঁচে পরুন - তখন বুঝবেন।
বাড়িতে চোর ঢুকে সব সাফ করে দিক -
থানা বলবে বাড়িতে এতো জিনিস রাখেন কেন !
দিনকাল বোঝেন না ! খালি বড় বড় কতা !
সুতরাং ; বলতে নেই।
বোবার শত্রু নেই, বোবা হয়ে থাকুন !
চোখে ছানি পড়লে কাঁটাবেন না, দৃষ্টি যতো ঝাপসা -
বেঁচে থাকার আনন্দ ততো বেশি।
একটা কথা সাফ বলে দিই,
যে ব্যাটা এখনও জন্মায়নি আর যে ব্যাটা টেশে গেছে,
এরা ছাড়া কোন মিয়াই সুখে নেই।
আপনি ভ্যাব্লা, না নেতা, না অভিনেতা,
না ঘরের, না ঘাটের,
আপনার মশাই চুপ করে থাকাই শ্রেয় ;
চুপ করে মটকা মেরে পরে থাকুন না !
আর তো ক ’ টা দিন।
মনে মনে গান করুন -
ঐ মহাসিন্ধুর ওপার থ‌েক‌ে কি সঙ্গীত ভেসে আসে !

Tuesday 8 October 2019

মহিষাসুর বধ



ছোট্ট থেকে আসছি শুনে
মহিষাসুর মেরেছিলি,
সত্যি করে বল না মাগো
সত্যি কি তা পেরেছিলি?
সত্যি কি তোর ত্রিশূল খোঁচায়
মহিষাসুর অক্কা গেছে,
তবে কেন প্রতি বছর
দেখি যে তোর পায়ের কাছে?
কেমন তরো দাঁত খিচিয়ে
তোর দিকে মা ভেংচি কাটে।
পশ্চাতে এক ঝাড় না লাথি,
পড়ুক গিয়ে শ্মশানঘাটে।
সত্যি করে বলনা কবে
অসুরটাকে করবি শেষ,
নাকি সবই লোক দেখানো,
আসলে সব গট আপ কেস?
স্বর্গে কি মা রাজনীতি হয়,
মন্ত্রীরা কি সবাই ঝানু?
বাইরে শুধু রঙের লড়াই,
ভিতরে সব‌ই রামধনু!
ঐখানে কি হাওয়ায় হাওয়ায়
আচ্ছে দিনের স্বপ্ন ওড়ে,
লক্ষ টাকায় সেজেগুজে
সুর-অসুরে বিদেশ ঘোরে?
মহিষাসুর বধটা যদি
হয়ে থাকে তোরই কাজ,
তবে কেন মর্ত্য জুড়ে
চলছে আজও অসুর রাজ ?
      *শারদীয় পরিবারের সবাইকে রইলো প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।*

মূল্য



মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, 'এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে'।
ছেলেটা বললো, 'কি কাজ?'
- 'এই ঘড়িটা নিয়ে রাস্তার পাশের ঘড়ির দোকানে যাবে। তাদের বলবে যে এই ঘড়ি তুমি বিক্রি করতে চাও'।
ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা রাস্তার পাশের একটা ঘড়ির দোকানে বিক্রি করতে নিয়ে গেলো। সে ফিরে এলে তার বাবা বললো, 'ঘড়ির দোকানদার কতো টাকা দিতে চাইলো ঘড়িটার বিনিময়ে?'
ছেলেটা বললো, 'একশো টাকা মাত্র। ঘড়িটা নাকি অনেক পুরাতন, তাই'।
বাবা বললেন, 'এবার পাশের কফি শপে যাও। তাদেরকে বলো যে তুমি এই ঘড়ি বিক্রি করতে চাও'।
ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা নিয়ে পাশের এক কফি শপে গেলো৷ ফিরে এলে তার বাবা জানতে চাইলো, 'কি বললো ওরা?'
- 'ওরা তো এটা নিতেই চাইলো না। বললো, এতো পুরোনো, নোংরা ঘড়ি দিয়ে আমাদের কি হবে?'
বাবা হাসলেন। বললেন, 'এবার তুমি এই ঘড়ি নিয়ে জাদুঘরে যাও। তাদের বলো যে এই ঘড়িটা আজ থেকে দুই'শতো বছর আগের'।
ছেলেটা এবারও তা-ই করলো। সে ঘড়িটা নিয়ে জাদুঘরে গেলো। ফিরে এলে তার বাবা বললো, 'কি বললো ওরা?'
- 'ওরা তো ঘড়িটা দেখে চমকে উঠেছে প্রায়! তারা এই ঘড়ির দাম বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে চাইলো আমাকে'।
ছেলের কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, 'আমার সন্তান! আমি তোমাকে এটাই শিখাতে চাচ্ছিলাম যে, যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে জীবনে মূল্যায়ন করবে। আর যারা তোমার মূল্য বুঝবেনা, তারা কোনোদিনও তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা। তাই, যারা তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা তাদের দেখে হতাশ হয়ে পড়ো না। তারা তোমার মূল্য বুঝতে অক্ষম। তুই তাদের কাছেই যাবে তারা তোমার সত্যিকার মূল্য বুঝবে...'।

Thursday 3 October 2019

Cool English Alphabet



The 26 letters of the English alphabet  are so intelligently arranged.... They show you the way of life....   "A"lways "B"e  "C"ool.   "D"on't  have "E"go  with  "F"riends  n Family.   "G"iveup   "H"urting  "I"ndividuals.   "J"ust  "K"eep  "L"oving  "M"ankind.   "N"ever  "O"mit  "P"rayers.   "Q"uietly  "R"emember  "G"od.   "S"peak  "T"ruth.   "U"se  "V"alid  "W"ords.   "X"press  "Y"our  "Z"eal.

Tuesday 1 October 2019

জীবনের হিসাব



জীবনের সুন্দর একটি হিসাব দেখুন 
যদি.....
A, B, C, D, E, F, G, H, I, J, K, L, M, N, O, P, Q, R, S, T, U, V, W, X, Y, Z = 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12, 13, 14, 15, 16, 17, 18, 19, 20, 21, 22, 23, 24, 25, 26
অর্থাৎ A to Z এর মান যদি এমনভাবে ধরি যেখানে : A=1, B=2, C=3, D=4, E=5, F=6, G=7, H=8, I=9, J=10, K=11, L=12, M=13, N=14, O=15, P=16, Q=17, R=18, S=19, T=20, U=21, V=22, W=23, X=24, Y=25, Z=26
তাহলে....
Hard Work:
H+A+R+D+W+O+R+K= 8+1+18+4+23+15+18+11=98%
Knowledge:
K+N+O+W+L+E+D+G+E=
11+14+15+23+12+5+4+7+5=96%
Luck:
L+U+C+K=
12+21+3+11=47%
অর্থাৎ এদের কোনোটাই 100% স্কোর করতে পারেনা, তাহলে সেটা কী যা 100% স্কোর করতে পারে???
Money?? না, এটা 72%
Leadership?? না, এটা 97%
তাহলে??
সব সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব, যদি আমাদের থাকে একটা পারফেক্ট Attitude বা দৃষ্টিভঙ্গি
হ্যা, একমাত্র Attitude ই আমাদের জীবনকে করতে পারে 100% সফল......
A+T+T+I+T+U+D+E=
1+20+20+9+20+21+4+5=100%
সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে।।

Popular Posts